মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

তোমাকেই এখনো খুঁজি-

অসীমের মাঝে আমি কি খুঁজে পাই জানো? -তোমাকে!
রংধনুর সবকটি রঙ দিয়ে সন্ধ্যার আবীর মেশানো আকাশে আমি কি লিখতে চাই জানো? -তোমার নাম!
এই নির্জন পুকুরপাড়ে বসে আজো আমি তোমার অস্তিত্ব অনুভব করি, হারিয়ে খুঁজি তোমাকে।
আজ আমার সময়গুলো
ভয়ঙ্কর নির্জন আর অসহায়।
তুমিহীনা প্রতিটি ক্ষণ,
এক একটি দীর্ঘ বছরের
চেয়ে  কোনো অংশে কম নয়।
তোমাকে নিয়ে দেখা স্বপ্নগুলো
হাতছানি দিয়ে ডাকে আমাকে।
লক্ষ্যের পেছনে দুরন্ত সাহসী হয়ে
এখনো ছুটে বেড়াই আমি।
এর প্রেরণাটুকু যোগায়
তোমার ভালোবাসা। ..
আমি কখনো জানতে চাইবো না, আমাকে কতটুকু ভালোবেসেছিলে?
কিন্তু জেনে রেখো,
তোমাকে ভালোবেসে যে পাগল হয়ে যেতে চেয়েছিল সে আমিই!

অ-পরাজিতা

পরাজিতা তুই সকল ফুলের কাছে,
তবু কেন তোর অপরাজিতা নাম?
গন্ধ কি তোর বিন্দু মাত্র আছে?
বর্ণ সেও ত নয় নয়নাভিরাম।

খুব ইচ্ছে করে-

খুব ইচ্ছা করে-
রাতে হঠাৎ একদিন
ফোন করে কেউ বলুক,
“ভালবাসি”
হঠাৎ করেই ফোন করে
কেউ বলুক,
“তোমাকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছা করছে”
প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝেপথ চলতে গিয়ে যখন হঠাৎ থেমে দাঁড়াই,
কেউ হাতটা ধরে সামনে
এগিয়ে নিয়ে যাক...
হরতালের দিনগুলোতে
বাসায় ফেরার সাথে সাথে
কারো এসএমএস আসুক-
“পৌঁছেছ?”
ঝুম বৃষ্টিতে ফোন
করে কেউ বলুক,
“কি সুন্দর বৃষ্টি দেখেছো?
খুব ইচ্ছা করছে
একসাথে বৃষ্টিতে ভিজতে।
কি আর করা,
এটা যেহেতু সম্ভব না,
তাহলে এসো
একসাথে বৃষ্টি দেখি”...
জ্যোৎস্না রাতে কেউ
এসএমএস
করুক, “ঘুমিয়ে পড়েছ?
চাঁদটা দেখো একবার”
এই কয়েকটা ছোট
ইচ্ছে রয়েছে জীবনে!
কখনো পূর্ণ হবে কী না জানিনা! তবুও কেন জানি বারবার
এইরকম চিন্তা করতে ভালোলাগে।
সেই দিন কি আসবে না আমার?

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৬

নস্টালজি।

আমার ইচ্ছে করে-
চলে যেতে সেই কৈশোরে,
যেখানে ব্যস্ততা নেই,
যেখানে সবুজ মন ছুটে চলে
দুরন্ত গতিতে।।

ইচ্ছে করে-
রাত আটটা বাজতেই যেনো
চোখে ঘুম চলে আসে,
ইচ্ছে করে ভোর হতেই যেনো
ঘুম ভেঙ্গে যায়।।

ইচ্ছে করে-
আগের মতন এতোসব জ্বালার বাইরে-
কেবল মা কিংবা বাবার  বকুনির ভয়টাই যেনো থাকে বুকের ভেতরে।

এই যে এক জীবন!
যেখানে সবকিছুর মানে পালিয়ে যাওয়া
সেখান থেকে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে; মনে হচ্ছে কাউকে যেনো কিছু না বলে চলে যাই কৈশোরে।

আচ্ছা একেই কি নষ্টালজিয়া বলে?
-------------------------------------------

অনুভব করার চেষ্টা করি!

কোন এক হেমন্তের বিকেলে প্রতিদিনের মতই যখন লাল কমলা আকাশটা ছুয়ে দেখার চেষ্টা করছি ঠিক সেই মুহূর্তেই তোমার দেখা পেলাম আমি, আমার মতই একা একা আকাশটাকে ছোয়ার চেষ্টা করছো ! পড়ন্ত বিকেলের আলোয় তোমার সোনারাঙ্গা মুখ কোন জাদুতে যেন আমার হৃদয়ের ঠিক মাঝখানটায় গেথে গেলো ! মুগ্ধ হলাম আমি জীবনে প্রথমবারের মত।
সন্ধাটা নামার পর পরই ফিরে এলাম আমি কিন্তু আমার আকাশটা ঠিক সেই মুহূর্তের লাল কমলাই থাকলো, কিছুতেই সন্ধার সেই হালকা আধার দেখতে পাইনা। সকাল সন্ধ্যা মাঝরাত সবসময়ই আমি লাল কমলা আকাশ দেখি । আর সেই সাথে তুমি...

তোমার সাথে আমার আর দেখা হয়নি, কিন্তু আমি সারাক্ষণই তোমাকে দেখতে পাই- বিকেলের সূর্যের আলোতে তোমার আকাশ ছোয়ার চেষ্টায় ব্যাস্ত তুমি । কিন্তু জানো এখন আমার আর আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করেনা, আমি গাছ ছুয়ে নদীর জল ছুয়ে তোমাকে ছোয়ার চেষ্টা করি। আমি ঠিক জানি আমার মতই এই বিশাল আকাশটার নিচে কোথাও তুমি আছ, হয়তো কখনো মনের ভুলে ছুয়ে দেখেছো এই নদীর জল- তাইতো সেই জল ছুয়ে তোমায় অনুভব করার চেষ্টা করি।

অনুভূতির চিঠি-

আমার অনুভূতিগুলো আমি তোমাকে কখনোই ঠিক করে বুঝাতে পারিনা। কেমন মায়াবী ভাললাগায় তুমি আমার স্বপ্নগুলো ভরে দাও তা হয়তো তুমি কখনো জানবেনা। আমার চোখের জলে তোমার নীল ওই আকাশের বুকে কেমন বৃষ্টি ঝরাই তুমি হয়তো কখনো বুঝতে পারবেনা । কালো ফ্রেমের চশমায় তোমার ভীষণ সরল ওই চোখের দৃষ্টি আমার কি যে ভাল লাগে তোমাকে হয়তো কখনো জানানো হবেনা। তুমি জানো না  কিন্তু আমার টবের গাছগুলোও তোমাকে জানে, চুপিচুপি তোমাকে নিয়ে কত্ত গল্প আর ভালবাসার কাহীনি আমি লিখি শুধু আমার ডাইরির ছিড়ে ফেলা পাতা আর জানালায় বসে থাকা পাখি গুলোই জানে । তোমাকে হয়তো কখনোই বলা হবে না কড়া রোদের মাঝে হেটে হেটে আমি তোমাকে কতটা ভেবেছ। বলা হবেনা মাঝরাতের অন্ধকার প্রহরগুলোয় আমি তোমাকে নিয়ে চিঠি লিখি অসম্ভব ভালবাসায় মোড়ানো নিশ্চুপ আবেগের এলোমেলো চিঠি। চিঠির লিখাগুলো ঝাপসা হয়ে যায় আমার চোখের চোখের জলে তবুও তোমাকেইতো লিখি আমার অনুভূতির চিঠি...

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

স্বপ্নগুলো বড্ড এলোমেলো!

মানুষ কত রকমের স্বপ্ন দেখে
নানান রঙের নানান ঢঙ্গের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নগুলোর কোন আগা নেই- মাথা নেই, শেষ নেই, শুরু নেই!  স্বপ্নগুলো থাকে অন্তহীন সীমানা ছাড়া ।

কিছু কিছু স্বপ্ন একদম বুকের কাছটা ঘেঁষে থাকে
আবার কিছু কিছু অনেক দুরের ওই তারাগুলোর মতো!
ছুতে চাইলেও ছোঁয়া যায়না।

তবে স্বপ্নগুলো যেমনি হউক স্বপ্ন হচ্ছে তার মালিকের মনে প্রতিচ্ছবি মাত্র ।
কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো এমন অচেনা হয় কেন ?
প্রতিবারই মনে হয় এই সপ্নগুলো বুঝি আমার না ।
অন্য কারো স্বপ্ন আমার চোখের তারায় ভাসছে তাই দেখছি ।

আমার স্বপ্নগুলো এতো এলোমেলো কেন !

ভালোবাসাগুলো নির্জিব তোমাকে ছাড়া-

বিরান পথে একলা হেটে যাই,
হঠাৎ করেই মরুভুমির মাঝে গজিয়ে উঠা ক্যাক্টাসের বেগুনী ফুল দেখে
মনে হয় তোমাকে বড় দরকার।
কতদুর তুমি; তোমাকে ভাবতেই
ছুয়ে দেয়ার তৃষ্ণাটা বেড়েই যায়।
ঘুম ভেংগে চায়ের কাপটা হাতে নিতেই মনে হয় এই মূহুর্তে তোমাকে প্রয়োজন- অন্তহীন পথের যাত্রায় ক্ষয়ে যাওয়া জুতো জোড়া হাতে তুলে
সমুদ্র জলে পা ডুবাই।
চারপাশে সব হাসিখুশী প্রাণের মেলা আমার সব মুগ্ধতায় তোমাকে প্রয়োজনের চেয়েও বেশী করে চাই।
তুমি দুর প্রবাসে, তোমাকে বড় দরকার-
দেখা হবে হবে করেও আমাদের আজো দেখা হয়নি!
অথচ ঘুমালেই তোমার দুটি হাত
জড়িয়ে থাকার স্বপ্নটা তাড়া করে।
দেখা হয়নি কখনো তারপরও  স্বপ্নের মাঝে তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো স্থির ছবি হয়ে ভেসে থাকে।
চোখ ভরতি জলে ঘুম ভাংগে প্রতি প্রভাতেই।
রাতের পর রাত আমি জেগে থাকি তুমিহীনতার অস্থিরতায়।
হাজার মাইল দুরুত্বে
তোমার কন্ঠ ভেসে আসে মিনিট সেকেন্ড অথবা আধ মূহুর্তের জন্য।
আজন্ম তৃষ্ণা আমার বেড়েই চলে।
মুঠোফোনে কথা বললেই কি কষ্টগুলো দুরে সরে!
কষ্টগুলো হারায় না,
রাতের অন্ধকারের কালো মেঘেও কষ্টগুলো চুপটি করে হৃদয়ের দরজায়
কড়া নাড়ে।
ভালোবাসাগুলো নির্জিব তোমাকে ছাড়া। তাইতো খুজে বেড়াই পথের পর পথ হারিয়ে।।

ব্যাথা নিয়ে-

বুকের ভিতর এক চিলতে ব্যাথা নিয়ে আমি বোধহয় চিরকালই যাযাবর থেকে যাবো -
খোলা জানালায় জোছনা হয়ে আকাশ ছোয়া হবেনা আর বোধহয় আমার -
মধ্য দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে, আমার ঘরে ফেরা হবে না।
ব্যাথাভরা দু চোখের মায়ায় সময় বাধা হয়তো আমার হবেনা কখনই।
তবুও আমি ক্ষণিক ভালোবাসার খোজে আবারো ফেরারী হবো-
উত্থাল পাতাল সমুদ্র পেরিয়ে আধার আকাশের নিঃসঙ্গ তারাই হবো হয়তো!

কিছু ভালবাসা বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখতেই ভাললাগে!

সেই মানুষটা হয়তো আপনার ব্লকলিস্টে আছে-
কিন্তু মনের মাঝে তার জায়গাটা কিন্তু ঠিকই সবার উপরে!
যে মানুষটাকে দেখতে চাননা বলে দূরে সরে আছেন,
সেই মানুষটার ছবি দিয়েই হয়তো আপনার ফোন গ্যালারি ভর্তি!
তার নামটা শুনতে চান না একদমই,
অথচ তার নামেই আপনার ল্যাপটপ মোবাইলের পাসওয়ার্ড!
যাকে চিৎকার করে বলতে চান,
'' আই হেট ইউ ''
তাকেই মনে মনে হয়তো সবার থেকে আজো অনেক বেশি ভালবাসেন!
তার ম্যসেজ এলে হয়তো রাগে ফুলে উঠেন,
অথচ প্রতিদিনই মোবাইলটা হাতে নেন যদি ওর একটা ম্যাসেজ আসতো!
রাতে না ঘুমিয়ে জেগে থাকেন তাকে স্বপ্নে দেখার ভয়ে,
অথচ আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রায়েই ভাবেন,
''ইশ,ও যদি এখন পাশে থাকতো!
কি অদ্ভুত আমরা তাই না ?
আসলে ভালবাসা পুরোপুরি কখনোই হারিয়ে যায় না,
আবার চিৎকার করে বলাও হয় না!!
কিছু ভালবাসা বুকের মাঝে চেপে রাখতেই হয়তো ভাল লাগে..😊

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

কিছু স্মৃতি, কিছু আশা।

গত দুদিন থেকেই কোন অজানা কারনে মনটা খারাপ ছিল। মাঝে মাঝেই আমার এমনটি হয়। কোন কারন ছাড়াই মনটা খারাপ হয়ে যায়। মনের ভিতর কেন যেন একটা শুন্যতা অনুভব করি। মন খারাপ হলেই আমি অতি আপন, অতি কাছের কিছু মানুষকে ফোন করি। গত দুদিন থেকে চেষ্টা করছিলাম সেরকম একজন মানুষকে ফোন করতে। কিন্তু কেন জানি তাকে পাচ্ছিলাম না ফোনে। হয়তো আমার সময় নির্বাচনে ভুল ছিল। অবশেষে আজ পেলাম। সিন্ধান্ত নিলাম নিজেকে ভিন্নভাবে তার কাছে উপস্থাপন করবো। করলামও তাই। ভেবেছিলাম হয়তো সে আপত্তি জানাবে। কিন্তু আপত্তি জানায়নি সে। অন্যদিনের মতই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছে আমার সাথে।
  অথচ আমি দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে শুধু ভেবেছি তাকে "তুমি" করে সন্মোধন করবো। হোক সে আমার দুই বছরের সিনিয়র। তাতে কি, তাকেতো আমি পছন্দ করি, ভালবাসি, বন্ধু ভাবি। তারপরও এতোটা বছর চলে গেছে তবুও তুমি করে বলা হয়ে উঠেনি। কারন তার সাথে এর বাইরে অন্য একটা সম্পর্ক থাকার কারনে। বন্ধুত্বটা তার সাথে আমার ছিল, আছে, ইনশাল্লাহ আগামিতেও হয়তো থাকবে। বন্ধুত্বটাতো কাউকে ঘটা করে বলার দরকার হয়না যে " তুমি আমার বন্ধু"। শুধু ভালবাসার ইজহারটা প্রত্যেকের জীবনেই জরুরি। সে জানে তাকে আমি ভালবাসি, আমিও জানি সেও আমাকে ভালবাসে। হয়তো অন্য দৃষ্টিতে।
এই দেখেন, ভালবাসারো প্রকারভেদ করে ফেললাম। আসলে ভালবাসার প্রকারভেদ আছেতো!!! মা ছেলেকে ভালবাসে, বোন ভাইকে ভালবাসে, প্রেমিক ভালবাসে তার প্রিয়াকে। তাই বলে সব ভালবাসাকে আপনি একি রকম ভাবতে পারেন না। ভাববার অবকাশও নাই। এরি মাঝে কিছু ভালবাসা থাকে তার সঠিক কোন রুপ নির্নয় করা কঠিন। তার ভালবাসাটাও তেমন। যখন তার সাথে আমার দেখা হয়, সব সময় সে আমাকে তার পাশে রাখতে চাই, আমাকে নিজে হাতে খাইয়ে দেয়, আমার সাথে গল্প করে, মজা করে, আবার কখনও ঝগড়া করে। তবে আমাদের রাগটা থাকে এক মুহুর্তের জন্য। আমি তার ভালবাসার সঠিক কোন রুপ নির্নয় করতে পারিনা।  অথচ আমার বয়োসন্ধিকালে তারবুকে মাথা রেখে কতো ঘুমিয়েছি, আমি স্কুলে অথবা বাইরে থাকলে সে না খেয়ে  আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়েছে। আমরা একসাথে গল্প করেছি, লুডু খেলেছি, আরো কত কি!!! আজও চোখের সামনে ভাসে, সেই দিনের স্মৃতি, যেদিন- সে আমার মায়ের কাপড় কাটা কাইচি দিয়ে আমার চুল কেটে দিয়েছিলো দুষ্টুমি করে। প্রতিশোধ হিসাবে আমিও তার সামনের অনেকগুলো চুল কেটে দিয়েছিলাম। প্রচন্ড বকা খেয়েছিলাম মায়ের কাছে। sad আর সে আমার ভিজা বেড়ালের মত অবস্থা sad দেখে হেসেছে দূর থেকে। অথচ আজ সে পপ ছাট চুল কেটে মর্ডান এক মেয়ে। কোন রাগ অভিমান আমাদের মধ্যে স্থায়ী হতনা। আজ সে আমার থেকে অনেক অনেক দূরে। তাতে কি আজও সে আমাকে আগের মতই ভালবাসে। আর আমি তাকে। তবুও আজও তাকে বলা হয়নি
"হে মানষী, আমি তোমাকে ভালবাসি "।  মাঝে মাঝেই আমাদের কথা হয়। মাঝে অনেক বছর চলে গেছে কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা হারানো সেই দিনগুলিতেই আটকে আছে। ফোন করলে এখনো শুরু হয় সেই গল্প, সেই ঝগড়া। আজ ফোন রেখে দেবার আগে তাকে জিজ্ঞেস করলাম- " বলতো আজ আমার মাঝে একটা চেঞ্জ হয়েছে, সেটা কি? "
উত্তরে সে বললো- " তুই আজ আমাকে অনেক "আপন" ভেবে কথা বলছিস।"

প্রেমের অমর উক্তি।

'প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন'-- কাজী নজরুল ইসলাম
'সবকিছুর শুরু, মধ্য এবং অন্তই হচ্ছে প্রেম'---নফডেয়ার
'একমাত্র প্রেমেই বিয়েকে পবিত্র করতে পারে। আর একমাত্র অকৃত্রিম বিয়ে হচ্ছে সেটাই, যেটা প্রেমের দ্বারা পবিত্রকৃত'-- লিও টলষ্টল
'ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই'--কাজী নজরুল ইসলাম
'ভালবাসা দিয়েই কেবল ভালবাসার ঋণ পরিশোধ করা যাই'--আলেকজেন্ডার ব্রাকেন
'অন্ধভাবে কাউকে ভালবাসলে তার ফল শুভ হতে পারেন'-- কারলাইন
'যে ভালবাসে কিন্তু প্রকাশ করে কম সে ভালবাসার ক্ষেত্রে প্রকৃত'-- জর্জ ডেবিটসন
'গভীর ভালবাসার কোন ছিদ্রপথ নেই'--জর্জ হেইড
'ভালবাসার নদীতে জোয়ার ভাটা আছে' -- জন হে
'ভালবাসা হচ্ছে জীবনের বন্ধু'--জেমস হাওয়েল
'ভালবাসা হৃদয়ের দরজা মুহুর্তেই খুলে দেয়'--টমাস মিল্টন
'ভালবাসা এমন একটি প্লাটফরম যেখানে সব মানুষ দাড়াতে পারে'-- টমাস মিল্টন
'মানুষের জীবন হলো একটি ফুল, আর ভালবাস হলো মধুস্বরুপ'--ভিক্টর হোগো
'পাখিরা বাসা বাধে লতা পাতা দিয়ে, আর মানুষ বাধে ভালবাসা দিয়ে'--মুঃ ইসহাক কোরেশী
'একমাত্র ভালবাসা সারাতে পারে সব রোগ।'--গতিয়ে
'যাকে ভালবাস তাকে চোখের আড়াল করোনা।'--বঙ্কিম চন্দ্র
'ভালবাসার জন্য যার পতন হয়, বিধাতার কাছে সে আকাশের উজ্জল তারার মত উজ্জল'--বেন জনসন
'ভালবাসার অর্থ হলো যাকে তুমি ভালবাসো তার মত জীবন যাপন করা'--টলস্টয়
'নারীর প্রেমে মিলনের সুর বাজে , আর পুরুষের প্রেমে বিচ্ছেদের বেদনা'--রবিন্দ্রনাথ
-----------------------------

দার্শনিক ভাষ্য-

একদিন এক দর্শনের শিক্ষক ক্লাশে আসলেন কতগুলো জিনিস নিয়ে এবং জিনিসগুলো তার সামনের  টেবিলের উপর রাখলেন। যখন ক্লাশ শুরু হল, তিনি হাতে একটা বড় জার নিলেন এবং এটাকে পাথর দিয়ে ভরতে শুরু করলেন। তারপর তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা উত্তরে বললো হ্যাঁ। এরপর তিনি কিছু নুড়ি পাথর নিয়ে জারটিতে ঢাললেন, তিনি যখন জারটি হাল্কা করে ঝাঁকালেন তখন নুড়ি পাথরগুলো বড়ো পাথরগুলোর ফাঁকে জায়গা করে নিলো। তিনি আবার তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা উত্তরে বললো হ্যাঁ।
তারপর তিনি এক বাক্স বালি নিয়ে জারটিতে ঢেলে দিলেন, বালিগুলো জারের সমস্ত খালি জায়গা পূর্ণ করে ফেললো। তিনি আরও একবার তার ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করলেন জারটি পূর্ণ কিনা, ছাত্ররা এবারো উত্তরে বললো হ্যাঁ।
এরপর তিনি ছাত্রদেরকে বললেন, “এখন, আমি চাই তোমরা মনে করো যে জারটি তোমাদের জীবন। বড়ো পাথরগুলো হচ্ছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ জিনিষগুলো- তোমার পরিবার, জীবনসঙ্গী, তোমার স্বাস্থ্য, তোমার বাচ্চারা। তোমার জীবন থেকে যদি এরা ছাড়া অন্য সবকিছু হারিয়ে যায়, তবুও তোমার জীবন পূর্ণ থাকবে। নুড়ি পাথরগুলো হচ্ছে- তোমার ঘর-বাড়ি, চাকরী ইত্যাদি। আর বালি হচ্ছে তোমার জীবনের অন্য সব ছোট ছোট জিনিসগুলো। তুমি যদি জারটিতে প্রথমে শুধু বালি ভরতে তাহলে পাথর আর নুড়ি পাথরগুলোর জন্যে কোন জায়গা থাকতো না। একইভাবে, তুমি যদি তোমার সবশক্তি ছোট ছোট জিনিসগুলোর পিছনে খরচ করে ফেলো, তবে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর খেয়ালই রাখতে পারবে না। তাই তুমি প্রথমে তোমার পরিবারকে সময় দাও, তারপর অন্যকিছু। সবকিছুর আগে বড় পাথরগুলোর যত্ন নিতে শেখো, যেগুলো তোমার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। বাকি সবকিছুই বালির মতো।”

উপরে উঠি-

উপরে উঠার জন্য কাউকে ল্যাঙ মেরে ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনা বরং সামনের লোকটাকে উপরে উঠিয়ে দিলেই নিজের উপরে উঠার রাস্তাটা পরিস্কার হয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬

প্রকৃতি কখনো অযোগ্যদের হাতে ভালো জিনিস তুলে দেয় না।

কাঁকড়া কিভাবে সঙ্গী নির্বাচন করে জানেন? পুরুষ কাঁকড়া বিপরীত লিঙ্গের মেয়ে কাঁকড়াটি কে আকর্ষণ করার জন্য খুব বড় সড় একটা গর্ত (ঘর) তৈরি করে। এরপর সেই গর্তটিকে নানা রকম রঙিন পাথর দিয়ে সাজায়। মেয়ে কাঁকড়াটি যে ঘর পছন্দ করে সেই ঘরের পুরুষ কাঁকড়াটির সাথে জুটি বাঁধে।

পাখি কিভাবে সঙ্গী নির্বাচন করে জানেন ?
স্ত্রী পাখিটি খেয়াল করে কোন পুরুষ পাখিটি সব থেকে জোরে কিচির-মিচির করতে পারে । তার জন্য সব থেকে সুন্দর কণ্ঠে গান গাইতে পারে কোন জন। কোন পুরুষ পাখিটি সুনিপুণ ভাবে বাসা বানাতে পারে। যার মধ্যে এই গুন গুলো থাকবে স্ত্রী পাখিটি গিয়ে তার সঙ্গী হয়।

প্রাচীনকালে যখন বিবাহ প্রথা ছিল না, তখন মেয়েরা কিভাবে তাদের সঙ্গী নির্বাচন করতো জানেন? গোত্রের মাঝে যে পুরুষটি সব থেকে বেশি শক্তিশালী এবং সবার নেতা হিসাবে বিবেচিত। সুন্দরী মেয়েরা তাকেই স্বামী হিসাবে গ্রহন করতে চাইতো।

প্রকৃতি কখনো অযোগ্যদের হাতে ভালো জিনিস তুলে দেয় না। মেয়েটা যদি এই কারনে আপনার সাথে ব্রেকাপ করে চলেও যায় তাহলে ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক। আপনার চোখে হয়তো মেয়েটি লোভী, পাষাণী, নোংরা। আপনার সংজ্ঞায় সে ভালোবাসাকে বিক্রি করেছে।

যে জিনিসটার দিকে আপনি আঙ্গুল তুলে বিচার করেন নাই, সেটা হলো আপনার "অযোগ্যতা''। আপনি নিজের অযোগ্যতাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। আপনার অযোগ্যতা তাকে প্রতারক হতে বাধ্য করেছে। আপনার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তাকে সুনিশ্চিত একটা ভবিষ্যৎ চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। আপনার অপরিপক্বতা তাকে পরিপক্ব করেছে।

আপনার যেমন সুন্দরী বউ না হলে চলবে না, ঠিক তেমনি সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের অঙ্গীকার না পেলে সে আপনার সাথেও থাকতে চাইবে না। আজকাল শুধু ভালবাসলেই হয় না। সাথে "আরো কিছু'' লাগে ।

অযোগ্য হয়ে কারো সাথে প্রেম করার চেয়ে যোগ্য হয়ে কারো থেকে রিজেক্ট হওয়া হাজার গুনে ভালো....!!!

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৬

তোমার শহর আর কতদূর?

রাত বাড়লেই দিনকে
অর্ধহাজার পৃথিবী দূরে মনে হয়...
জানালার ফাঁকে গলে
একমুঠো সোঁদা ঘ্রাণ!
কম্বলের ভাজে খোঁজি
তোমার শরীরের গন্ধ!
কপাল-চোখ-ঠোট সবি দিশেহারা
তোমার ছোঁয়ার অপেক্ষায়!
কতশত কল্পনার জাল বুনে যাই
তোমায় বলব বলে -
পাঁজরের ফাঁকে এলোপাথাড়ি আসন পেতে বসে কত স্বপ্ন!

দিন-রাতের পাঠ চুকিয়ে দিয়ে   অপেক্ষার দহনে পুড়তে থাকি ......

প্রিয়তমা, 
তোমার শহর আর কতদূর?

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬

হ্যাঁ বললেও দোষ! না বললেও দোষ!!

স্ত্রী: এই শোনো, ভাবছি চুলটা ছোট করে কেটে ফেলি। কি বল?
স্বামী: কেটে ফেলো।
স্ত্রী: এত কষ্ট করে বড় করলাম...
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু আজকাল ছোট চুলই তো ফ্যাশন!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: আমার বন্ধুরা বলে যে আমার যে মুখের কাটিং তাতে বড় চুলই মানায়।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: কিন্তু ইচ্ছে তো করে।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ছোট চুলে তো বিনুনি হবে না।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: ভাবছি এক্সপেরিমেন্ট করেই ফেলি, নাকি!
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: বাজে করে কেটে দিলে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না। কেটেই দেখি না একবার।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: যদি আমাকে স্যুট না করে তাহলে কিন্তু তুমি দায়ী!
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আসলে ছোট চুল সামলাতে সুবিধা।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: ভয় করে, যদি খারাপ লাগে।
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: না, একবার কেটেই দেখি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো।
স্ত্রী: তাহলে কবে যাবে?
স্বামী: তাহলে কেটো না।
স্ত্রী: আমি মায়ের কাছে যাবার কথা বলছি।
স্বামী: তাহলে কেটে ফেলো!
স্ত্রী: কি সব বলছ আবোল তাবোল। শরীর খারাপ নাকি?
স্বামী: তাহলে কেটো না!

স্বামী এখন পাবনাতে ভর্তি আছে, মাঝে মাঝেই হঠাৎ করে বলে ওঠে 'তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো! তাহলে কেটো না...তাহলে কেটে ফেলো!'

চিন্তা গুলো ঝেড়ে ফেলুন:

একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ করলেন অর্ধপূর্ণ একটি গ্লাস হাতে। তিনি এটি সোজা করে ধরে তার শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন কত হবে?”
“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”, শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।
প্রফেসর বললেন, “আমি এর ওজন জানিনা কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি! কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখি কি হবে তাহলে?”
শিক্ষার্থীরা বললেন, “তেমন কিছুই হবেনা!”
“আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?”
“আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।”একজন ছাত্র বললেন।
“ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”
আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড় হয়ে যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো কাজ করবেনা এবং আপনি প্যারালাইসডও হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে!”
শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরু করল, কেউ কেউ হাসলও।
প্রফেসর বললেন, “খুব ভালো, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কি এর ভরের বা উপাদানের কোন পরিবর্তন হবে?”
উত্তর আসলো “না”।
“আচ্ছা তাহলে সময় বাড়ার সাথে সাথে কেন আমার স্বাস্থ্যের অবনতি হবে?”
শিক্ষার্থীরা একটু দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ল।
“আচ্ছা, আমি যদি ব্যথা কমাতে চাই তাহলে আমাকে কি করতে হবে?”
একজন শিক্ষার্থী বলল “গ্লাসটাকে নামিয়ে রেখে দিতে হবে।”
প্রফেসর একটু আনন্দিত হয়ে বললেন, “এক্সাস্টলি! আমাদের জীবনের সমস্যাগুলোও এমনই। কিছুক্ষন সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করলে, তেমন কিছু হবেনা। কিন্তু যদি সারাদিন শুধু সমস্যা নিয়েই চিন্তা কর তাহলে সেটা তোমাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে। তুমি সমস্যাগুলো নিয়ে যত বেশি চিন্তা করবে তোমার কষ্টগুলো বাড়তেই থাকবে, যার ফলে তোমার সব কাজ বন্ধ হয়ে যাবে; জীবনের সমস্যাগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন, কিন্তু এর থেকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল চিন্তাগুলো ঝেড়ে ফেলা। প্রতিদিনের সমস্যাগুলো, ওই দিনই ভুলে যাও, রাতে খুব ভালো করে ঘুমাও এবং পরের দিন নতুন করে শুরু করো। এভাবেই, তোমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রতিটি সমস্যাকে মোকাবিলা করতে পারবে, দেখবে তোমাদের সামনে যত চালেঞ্জই আসুক না কেন তোমরা তাতে জয়ী হবেই!”

পুরুষের জীবন ভাবনা।

তরুণ বয়সে আমাদের অনেকেরই প্রধানত একটি উদ্দেশ্য থাকে, আর তা হল- প্রেম করা অর্থাৎ মেয়েদের পেছনে ছুটা অথবা টাকা উপার্জন করা। আসুন দেখি কোনটার কি ফলাফল:
আপনি যদি একটি মেয়ের পেছনে ছুটতে থাকেন:
আপনি যদি কোন মেয়ের প্রেমে পরে যান তবে দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৬ ঘণ্টাই আপনাকে তার কথা ভাবতে হবে। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসমেট, ইয়ারমেট অথবা একই সাবজেক্টের মেয়ে হলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে আপনাকে আরও কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে, যেমন:
❒প্রতিদিন তাকে বাদাম কিনে খাওয়াতে হবে,
❒প্রতি দুই দিন অন্তর অন্তর তাকে ফুচকা কিনে খাওয়াতে হবে,
❒প্রতি সপ্তাহে তাকে ভাল কোন রেস্টুরেন্টে দুপুরে লাঞ্চ করাতে হবে,
❒প্রতি পনের দিন অন্তর অন্তর তাকে রিক্সায় করে হাওয়া খাওয়াতে নিয়ে যেতে হবে।
❒প্রতি রাতে আপনাকে তার সাথে কমপক্ষে ত্রিশ টাকার কথা বলতে হবে।
❒অতি ভদ্রতা বশত আপনাকে তার মোবাইলে টাকা লোড করে দিতে হবে।
❒প্রতি মাসের শেষের দিকে আপনার সাথে তার ঝগড়া বাধবে, ভালভাবে ক্ষমা চাইতে পারলে আপনাকে সে ক্ষমা করে দিবে, তা না হলে সমস্যা নেই- পরবর্তী মাসের শুরুর দিকে আবার আপনাদের ঝগড়া মিটে যাবে! কারণ তখন আপনার হাতে থাকবে আপনার লেখা-পড়ার খরচ চালানোর জন্য বাড়ি থেকে আনা কিছু “টাকা”। আর সেই টাকা থেকে তাকে প্রতিমাসে কিছু উপহার দেওয়া চাই-ই চাই।
❒অপর একটা কমন দায়িত্ব হল- সে মিস্ড কল দেয়ার সাথে সাথে তাকে কল ব্যাক করা।

আর এত কিছুর বিনিময়ে আপনাকে সে কিছুই দিবে না। বিশিষ্ট পণ্ডিত, আমার এক বন্ধুর মতে -
“একজন মেয়ে মাসে ১০ টাকা দিয়েই তার মোবাইল খরচ পার করে দেয়”। সেক্ষেত্রে সে আপনাকে কি-ই বা দিতে পারে! মোবাইল খরচ কম হলেও সে কিন্তু মোবাইলে আপনার চেয়ে বেশি কথা বলে থাকে! কারণ আপনি শুধু কল দেন সেই মেয়ের নাম্বারে, অপর দিকে সে মিস্ড কল মারে আরও শ-খানেক ছেলের নাম্বারে। আর এই কমন দায়িত্ব পালন করতে করতে আপনার লেখাপড়ার বারোটা বেজে যাবে। তারপরও কোন ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হলেন। বেকারত্ব আপনাকে পেয়ে বসবে।
অতপরঃ
কিছুদিন পরে কান্না ভেজা চোখে (ছলনা) আবার তার আগমন। কেমন আছ জিজ্ঞেস করতেই বলবে- ‘ বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। আগামী পরশু আমার বিয়ে। ছেলে “FnF” কোম্পানির চীফ মার্কেটিং অফিসার। আমার বিয়েতে এসো। পারলে আমায় ভুলে যেও। আর আমায় ভুল বুঝনা”। এবার এই ছেঁকা ভুলতে আপনার সময় লাগবে আরও প্রায় দুই বছর। এক সময় বাবা-মা আপনাকে জোর করে একটি মেয়ের সাথে আপনার বিয়ে দিয়ে দিবে। কিছুদিন পর হয়তো আপনার বেকারত্ব ঘুচবে। কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে আপনার চাকরী হবে ভুয়া কোন এনজিওর নামমাত্র বেতনের সাধারণ কেরানি হিসেবে। কোন একদিন পুরনো বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারবেন- আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা এখন আমেরিকায় সেটেল্ড। আর আপনই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলবেন- আহ: জীবনে আর শান্তি পেলাম না।
(শতকরা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারে)

আপনি যদি টাকার পিছনে ছুটেন:
(লেখাপড়া করে ভাল রেজাল্টেরর পর) তবে আপনার লাভ বাদে ক্ষতি নেই। কারণ টাকার কোন লোভ নেই, তাকে বাদাম কিনে খাওয়াতে হয় না। সে কখনো ফুচকা খেতে চায় না। আর লাঞ্চ তো দূরের কথা। আর টাকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল- সে কখনো আপনার সাথে বেঈমানি করে না। আর সে রাগও করে না কখনো।
আপনার যদি অনেক টাকা হয়, তখন আপনার সুন্দর একটা বাড়ি হবে।
আপনার যদি সুন্দর একটা বাড়ি হয়, আপনার সুন্দর একটা গাড়ি হবে।
আর আপনার যদি অনেক টাকা থাকে, যদি সুন্দর একটা বাড়ি আর সুন্দর একটা গাড়ি থাকে, এবং আপনি যদি অতি নিম্নমানের লোকও হয়ে থাকেন, তাহলেও- আপনার টাকা, বাড়ি, গাড়ির লোভে আপনাকে বিয়ে করবে অতি সুন্দরী এক নারী। কারণ পয়সা থাকলে সবই হয়। আর প্রভাব-প্রতিপত্তি?—কোন দিনও এর অভাব হবে না।
অবশেষে সুখী জীবন।
(ব্যতিক্রম কয়েকজন সব জায়গায় থাকে তাদের উদাহরণ টেনে লাভ নেই)

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...