সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

শিক্ষা/জ্ঞান

ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক বলেছিলেন, জন্মের পর মানুষের মন থাকে সাদা কাগজের মত পরিস্কার। দিনে দিনে নানা অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সেই সাদা কাগজের মতো পরিস্কার মনে বিভিন্ন ছাপ ফেলে এবং সেই অভিজ্ঞতায় অর্জিত বা লব্ধ জ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান; যা পরবর্তীতে মানুষ তার জীবন দর্শনে পরিচর্যা করে। আবার বিজ্ঞান তাতে সামান্য ভিন্নতর ব্যাখ্যা সংযোজন করে। বলা হয়, মানুষের জীন-গত বৈশিষ্ট্যই মানুষকে তার কর্মকান্ডে ও চিন্তা-চেতনায় প্রভাভিত করে। আরও পরে নানা গবেষণায় যে তত্ত্ব বা ধারণা প্রতিষ্ঠা হয়, তার দার্শনিক ব্যাখ্যা হলো মানুষের জীন-গত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হতে পারে তার পারিপার্শ্বিক অর্জিত জ্ঞান দিয়ে। মানুষ স্বাধীন ইচ্ছা শক্তির অধিকারী। সুতরাং, তার কর্মকাণ্ড তার নিজস্ব চিন্তা চেতনার প্রতিফলন। যদিও মন ও দেহ সম্পর্কিত বর্তমান বিতর্কের এখনো কোন দার্শনিক সমাধান মিলেনি, কিন্তু স্নায়ু বিজ্ঞানীদের মতে মন ও দেহ পারস্পরিক সম্পর্কে জড়িত। যদি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া হয় এবং পরিমিত ঘুম হয়, তাহলে মস্তিষ্ক ভালভাবে কাজ করে। আর মস্তিষ্কের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা গ্রস্থ হলে দেহ বা শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর শরীর অসুস্থ হলে মন ও ভাল থাকে না। এভাবে দেহ ও মনের নির্ভরশীলতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্নায়ু-বিজ্ঞানিরা। আসলে এত তত্ত্ব কথার মুল কারন হলো, আজ আমরা সমাজে যে সমস্ত নৈতিকতার মানদণ্ড নির্ধারণ করি তা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, চিন্তা ও মনন থেকে, নাকি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...