বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

নতুন স্বপ্ন।

অদ্ভুত কিছু ভালবাসায়
আমি তোমাকে একেঁছি,
সূর্যের লাল রঙটায় সাজিয়েছি
ভাল লাগার সব মুহূর্ত।।
মাঝে মাঝে নীল তুলির রঙে আর সবুজের খেলায় বানিয়েছি রঙধনু,
সেই রঙধনুতে এখনো লিখছি
তোমাকে নিয়ে ছন্দহীন সব কবিতা ।
গড়ছি নতুন সব স্বপ্ন-
আবারো পালাবো আমি তোমাকে নিয়ে- অনেক দূরে কোথাও অচীন কোন মায়াপুরীতে।
ভালবাসবো তোমাকে ভীষণভাবে-
একলাই আমার করে।।

সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭

সফলতা কতদূর?

অনেক দূরের একটি পাখি দেখিয়ে দু'জনকে দুটি রাইফেল দেয়া হল। প্রথমজন রাইফেল তাক করার পর তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, তুমি রাইফেলের ল্যান্সে কী দেখতে পাচ্ছো?
সে জবাব দিল, পাখিটিকে দেখতে পাচ্ছি।
আর কী দেখতে পাচ্ছো ?
দেখতে পাচ্ছি পাখিটি একটি গাছের উপরে বসে আছে। গাছের কিছু ডাল; পাতা দেখতে পাচ্ছি।
আর?
ক্যামেরার শেষ মাথায় আকাশ
দেখতে পাচ্ছি। আকাশ মেঘলা।
দ্বিতীয়জনকেও একই প্রশ্ন করা
হল।
তার জবাব ছিল, রাইফেলের ল্যান্সে পাখিটির মাথা ছাড়া সে আর কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।

আমরা বেশিরভাগ মানুষ প্রথম মানুষটির মত। আমাদের জীবনের নিশানা অস্পষ্ট। মূল লক্ষ্যবস্তুর আশে পাশে আরও অনেক ভিউ চলে আসে। শিকারির ল্যান্সে শুধু পাখিটিকে দরকার; মেঘলা আকাশ না।

মারিও কুওমোর কথা মনে পড়ছে।
তিনি বলে ছিলেন- 'মাত্র দুটি উপায়ে সফল হওয়া যায়!
একটি হচ্ছে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া।"

সঠিক লক্ষ্য' শব্দ দুটির দিকে
ভাল ভাবে তাকান। আপনি সব কাজ
করতে পারবেন না। আপনাকে দিয়ে
সব কাজ হবে না। তার মানে এই না
যে আপনি পরাজিত।

'পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি'
কথাটি আসলে পুরোপুরি ঠিক না।
পরিশ্রম কখনো কখনো পণ্ডশ্রম ও হয়।
ডারউইন যদি ফুটবল প্লেয়ার হবার চেষ্টা করত তাহলে কেমন হত ?
মাহাত্না গান্ধী দিন রাত সঙ্গীত
চর্চা করলে কী ভুলটা হত ভাবা
যায় ?
রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ব্যারিস্টার হতে গিয়েও পারেন নি। নিজেকে বোঝার জন্য সময় নিন।

পার্কের বেঞ্চে বসে বসে বাদাম খেয়ে জীবন পার করে দেবার জন্য আপনার জন্ম হয়নি। অনেক হেরেছি
এখন চিত হয়ে বালিশ ছাড়া ফ্লোরে
শুয়ে শুয়ে হাউমাউ করার জন্য
আপনাকে সৃষ্টি করা হয়নি। আপনার ভেতরে যা কিছু আছে বিশ্বাস করুন
সেটা আর কারো ভেতরে নেই।

একটা কাগজ কলম নিয়ে নিচের
প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখে ফেলুন।
১- আপনি কেন বেঁচে আছেন।
২- লাইফে কী করতে চান ?
৩- কেন করতে চান ?
৪- সেটা করতে হলে আপনাকে কী
করতে হবে ?
৫- কেন আপনি ব্যর্থ হবেন না ?

শিব খেরার একটি বই আমি অনেক
দিন আমার সাথে রেখে দিয়েছিলাম। বইটি পড়ার জন্য না; শুধু মাত্র বইটির প্রচ্ছেদের জন্য।

সেখানে বড় বড় করে লেখা আছে '
বিজয়ীরা ভিন্ন ধরনের কিছু করে
না, তারা একই কাজ ভিন্নভাবে
করে'। আমি আমার আশে পাশের সফল এবং ব্যর্থ মানুষের মাঝে একটাই
পার্থক্য দেখি। একদল লেগে
থাকে। আকড়ে ধরে রাখে। কামড়
দিয়ে ঝুলে থাকে। আরেকদল ছেড়ে
দেয়। দাড়িয়ে যায়। পালিয়ে যায়।

টপ করে হাত ফসকে পরে গেছে ?
মাত্র এক নাম্বারের জন্য মিস হয়ে গেছে ? একদম দ্বারপ্রান্তে এসে ফলাফল জিরো ? কোন সমস্যা নাই! লেগে থাকুন... লেগে থাকুন। আঠার মত লেগে থাকুন। হেরে গেছেন? বার বার ? অনেকবার ? এখন কী করবেন ? লেগে থাকুন... ঝাপটে ধরে ঝুলে থাকুন।

এডিসনের একটি কথা আমাকে খুব
অনুপ্রাণিত করে। - ' আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলব
যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ
বের করেছি'

কেন আপনি পারবেন না ? আপনার
আইকিউ লেভেল অনেক কম ? আপনি
সব সময় যুক্তি তর্কে হেরে যান ? কিছু একটা করে চারপাশে তাক লাগিয়ে দেবার মত ক্ষমতা আসলে আপনার নেই ?

মনে রাখবেন; আপনার ভেতরে যা
কিছু আছে আর যা কিছু নেই সেটা
স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিয়েছে। এবং তিনি যথার্থই দিয়েছেন। তিনি কখনো ভুল করেন না।
-------------------------------

শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭

সে নেই-

আমার প্রতি যার নিরব অভিশাপ বিদ্যমান তার জন্য আমি মনে মনে প্রার্থনা করি।
উত্তরের বাতাসে মেলে  ধরি ভুলের সংবিধান,
সময়ের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখি শূন্যের মানচিত্র।
চোখের ভিতর লুকিয়ে রেখেছি ঢেউ ও নদীর গল্প,
আর তার জন্য বুকের মাঝারে জ্বেলে রেখেছি মঙ্গল প্রদিপ......

কাল্পনিক কথোপকথনে সে আমাকে যতই অপমানিত করুক না কেন,
আমি জানি- তার গভীরে মন ও মোহের বিবাদ আছে।
অযোগ্যতার অজুহাতে আমি তাকে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি,
বলেছি ঝড়ের কথা,
প্রজাপতি আর রাত জাগা পাখির কথা,
মধ্যবিত্তের অপারগতার কথা
সে শুনতে চায়নি.......

আমি আজও উল্টো পথে হাঁটি,
মধ্যবিত্ত শরীর নিয়ে ঘুম ও খুনের ব্যবধান খুঁজি।
যা পাইনি তার যোগ্য আমি নই,
তবু যাতনার দাহে জ্বলছে আমার ভিতর-বাহির।
অনুভূতিহীন বোধের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে আমি তাকে হাতড়ে বেড়াই,
সে নেই,
কোথাও সে নেই,
আমার কিছু নেই......
------------------------------

বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

শুধু তুমি

সব কবিতার শেষ লাইনে তুমি,
সব গল্পের শুরুতে তুমি।
ভোরের কুয়াশায় তুমি,
বিকেলের আবছা আলোয় তুমি।
সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায় তুমি,
রাতের নীরবতায় তুমি,
আমার সব মৌনতায় তুমি।
আমার সমস্ত অনুভূতি জুড়ে তুমি,
গভীর রাতের শিরোনাম তুমি!
আমার সবকিছুই তুমিময়-
কোথাও যেতে পারি না
চারিদিকে তুমি অন্তহীন।

রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৭

জীবন মানে এক ম্যারাথন দৌড়!!

একবার দৌড় প্রতিযোগিতায় ৫০ জন দৌড়বিদ অংশ নিয়েছিলেন। ত্রিশ মাইলের ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। দৌড়বিদদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল চল্লিশ বছরের ঊর্ধ্ব। ১৫ জনের বয়স ছিল ত্রিশ বছর করে। আর বাকি ২৫ জন ছিল সদ্য যৌবনে পা দেওয়া তরুণ, যাদের বয়স ১৮-২২ বছরের মধ্যে।

যখন দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হলো, তার ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই দেখা গেল— অল্প বয়সী দৌড়বিদেরা তিন-চার মাইল পথ অতিক্রম করেছে। ত্রিশ বছরের দৌড়বিদেরাও অনেকদূর এগিয়েছেন। কিন্তু চল্লিশ বছরের অধিক বয়সের দৌড়বিদেরা এক মাইল পথও অতিক্রম করতে পারেন নি। দর্শকরা টিভির পর্দায় এই দৌড়প্রতিযোগিতা দেখছিলেন। অনেক দর্শক তাদের নিজ নিজ পর্যবেক্ষণ-শক্তি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতে লাগলেন। কেউ বললেন, এই বুড়ো লোকগুলোকে এখানে নামানোই ভুল হয়েছে। কেউ বললেন, গাধা দিয়ে কি আর হালচাষ হয়?
যখন ম্যারাথন দৌড় শেষ হলো, তখন দর্শকরা ভীষণ অবাক হলো। কেননা, প্রতিযোগিতায় যে দু’জন প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছেন, তাঁদের বয়স চল্লিশ বছরের ঊর্ধ্বে।
আসলে ম্যারাথন দৌড় একটা দীর্ঘ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় ধৈর্য-বুদ্ধি-শক্তি সবকিছুরই প্রয়োজন হয়। যে অল্প বয়সী তরুণরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল, তাদের প্রচণ্ড শারীরিক শক্তি ছিল। কিন্তু তারা ছিল অনভিজ্ঞ। তাইতো তারা প্রথমে খুব জোরে দৌড়িয়ে প্রথম ঘন্টাতেই পনের-ষোলো মাইল পথ পাড়ি দিয়েছিল। এরপর তাদের দম-শক্তি ফুরিয়ে যাওয়ায় আর দৌড়াতে পারেনি। পক্ষান্তরে, যাঁরা অভিজ্ঞ ছিলেন তাঁরা প্রথমে খুব ধীরে দৌড়েছিলেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল, গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে কোনোভাবেই যেন দম-শক্তি ফুরিয়ে না যায়।
আমাদের জীবনও একটা ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। বলা যায়, ম্যারাথনের ম্যারাথন। এই ম্যারাথনে জয়ী হতে প্রয়োজন ধৈর্য-বুদ্ধি-অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করা। অল্প বয়সী তরুণরা অনেক ভুল করে। অনেক সময় তারা যে ভুলটি করছে, সেই ভুলকেই তাদের কাছে শতভাগ সঠিক বলে মনে হয়! এটা অবশ্য তাদের দোষ না, তাদের বয়সের দোষ! বয়স বাড়ার সাথে সাথে পূর্বের ভুলগুলো তাদের চোখে ভেসে ওঠে এবং তারা অনুতপ্ত হয়।
জীবনের ম্যারাথনে জয়ী হতে ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী হতে হবে— এটা চিরন্তন সত্য। এর চেয়েও বড় সত্য, সবকিছুর আগে নিজের চরিত্রকে ঠিক রাখতে হবে। চরিত্রবান তরুণদের জীবনের ট্রেন কখনো লাইনচ্যুত হয় না। হয়তো তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে একটু দেরি হয়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট গন্তব্যে একদিন না একদিন তারা পৌঁছাবেই।

শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭

ভালোবাসা কী?

সংজ্ঞা খুঁজে যাচ্ছি
ডিকশনারির পাতা ঘেটে শেষ করে ফেলেছি
নেট এ খুঁজে যাচ্ছি সেই কত কাল ধরে
এখনো জানতে পারি নি-
ভালোবাসা কি?

তোমার সাথে কথা না হলে যে কষ্ট হয় বুকে
তার নাম কি ভালোবাসা?
তোমায় না দেখলে মনটা যেমন উদাস হয়ে ওঠে
সে কি ভালোবাসা?
তুমি অভিমান করলে মনের মাঝে যে উথাল পাথাল ঝড় বয়ে যায়
তার নামই কি ভালোবাসা?
তোমায় খুঁজে না পেয়ে যে ছন্নছাড়া দিন কাটাই
তাকে কি ভালোবাসা বলে?
কি জানি!
কিছুতেই ভালোবাসার মানে বুঝতে পারি না।

কেউ বলে ভালোবাসা একটা অনুভুতি
যা চাইলেও পাওয়া যায় না,
আবার অনেক সময় না চাইতেও পাওয়া যায়।
কেউ কেউ এত বেশি পায় যে ভালোবাসার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায়;
যেমন তুমি।
আবার অনেকে ভালোবাসা না পেয়েও যন্ত্রণায় কাতরায়
ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকে
যেমন আমি।
তোমার ভালোবাসার পথ চেয়ে থাকি
আর ভালোবাসার মানে খুঁজে বেড়াই
শুধু তুমিই বুঝ না
কিংবা বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থাক
আমায় কষ্ট দিতে।

ভালোবাসা কি জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর?
ভালোবাসা কি কবিতার চেয়ে কষ্টের?
ভালোবাসা কি ফুলের সৌরভ?
ভালোবাসা কি সাগরের বিশালতা?
কিংবা নদীর বয়ে যাওয়া জল?
আমি বুঝতে পারি না
আমার কাছে ভালোবাসা মানে
তোমার বাড়ানো হাত আমায় কাছে টানার কিংবা "শুধুই তুমি"।

আমি কষ্ট কষ্ট সুখ পেয়ে যাচ্ছি
তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে
তুমি যেন আবার কষ্ট কষ্ট দুঃখ পেয় না
ভালোবাসার নষ্ট খেলা খেলতে গিয়ে।

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

ফেসবুক স্টেটাস!

ভাবনা
চাকুরীজীবি : কাল ছুটি।
ব্যবসায়ী : দৌড়ের উপর আছি।
আইটি স্পেশালিস্ট : অফিস
ফাঁকি দেওয়ার সফটওয়ার আসছে বাজারে।
ছাত্র : পড়তে ভাল লাগছে না।
ছাত্রী : আমার যে কি হবে? কাল
পরীক্ষা, কিন্তু কিছুই মনে থাকছে না।
তরুণ : সে কেন আমায় বুঝল না?
তরুণী : একটু পর শপিং-এ যাব।
বেকার : জোশ্ একটা সিনেমা দেখলাম।
কবি : পূর্ণিমা চাঁদ নিশি রাত
    কালো মেঘের ছাঁয়া।
প্রেমিক : শালা! সব মেয়ে একই রকম।
প্রেমিকা : আজ মনটা ভালো নাই।
খেলোয়াড় : শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপটা কোন দেশ যে নেয়!
গায়ক : এবারের এলবামটা প্রকৃত
শ্রোতাদের কথা ভেবে সাজানো হয়েছে।
গায়িকা : আমার নতুন এলবামটা ফেসবুক
বন্ধুদের উৎসর্গ করলাম।
নায়ক : রাতে ফ্লাইট, নতুন ছবির
কাজে সিঙ্গাপুর যাচ্ছি।
নায়িকা : আমার নতুন ছবিটি সব বয়সের
দর্শকেরই পছন্দ হবে।
সরকারী দলের লোক : এদেশে হরতালের
আর জনগন খায় না।
বিরোধী দলের লোক : আর ডিজিটাল
চাইনা। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ চাই।
সবকিছুর দাম নাগালের মধ্যে চাই। 
----------------------------

কিছু মজার তথ্য-

>মজার কিছু তথ্য জেনে নিন<<<
.
☑ কোন খানা খাওয়া যায়না ?
উঃকারখানা।
.
☑ কোন বরের বিয়ে হয়না ?
উঃখবরের।
.
☑ কোন তাল খাওয়া যায়না ?
উঃ হরতাল।
.
☑ যে পানি পান করা যায় না ?
উঃহ্যাপানি।
.
☑ যে লেজ কোন পশুর নয় তা ?
উঃ কলেজ।
.
☑ যে ডিম আজ পর্যন্ত দেখা যায়না ?
উঃঘোড়ার ডিম।
.
☑ যে জেল মাথায় দেওয়া যায়না ?
উঃডিজেল।
.
☑ যে হাতি পশু নয় ?
উঃ বাহাতি
.
☑ যে ঝিলে শাপলা নাই ?
উঃহাতিরঝিল
.
☑ কোনবার বার নয় ?
উঃহাটবার
.
☑ কোন চুরি হাতে দেয়না ?
উঃ খুচুরি
.
☑ কোন নারি নারী নয় ?
উঃ ডিকশোনারি
.
☑ কোন দেশ খাওয়া যায় ?
উঃ সন্দেশ
.
☑ কোন লাউ লাউ নয় ?
উঃ পোলাউ
.
☑ কোন হাস পানিতে ভাসেনা?
উ: ইতিহাস
.
☑ কোন সাগরে পানি নাই?
উ:বিদ্যাসাগর
.
☑ কোন বিলে পানি নেই?
উ:টেবিল
.
☑ কোন মাছি উড়তে পারে না?
উ:ঘামাছি

একটি বিশেষ অনুভুতি ভালবাসার সংজ্ঞা ও কিছু কথা-

মানুষের জীবনে তিনটি অনুভূতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।যার একটির ও অভাব থাকলে তার মধ্যে কোনো না কোনো ভাবে মূল্যবোধহীনতার বৈশিষ্ট্য ধরা পড়বেই !
(১)ভালবাসা;
(২)মর্যাদা/শ্রদ্ধা;
(৩)ভরসা/বিশ্বাস ।
এখানে মুলত ভালবাসার সংজ্ঞা ভাবসম্প্রসারিত করা হলো ।
অনেকেই সত্যিকার অর্থেই কাউকে ভালবেসে থাকলে ও ইহা আসলে কী জিনিস তা বোঝেনা ।
মানুষ এই প্‌থিবীতে যদি সব থেকে বেশী ভালবেসে থাকে তাহলে তা নিজেকেই বাসে । ধরুন কেউ সবচেয়ে বেশী ভালবাসে তার স্রষ্টাকে । সেটা নিজেকে স্‌ষ্টি করেছেন,প্রাণ এবং যাবতীয় সব দিয়েছেন সেই ক্‌তজঞতা থেকেই । ধরুন কেউ ভালবাসে তার জননীকে । সেটাও কিন্তু তার নিজের জননী বলেই । তাছাড়া কাউকে যদি তার ভাললাগে তাও কিন্তু নিজের পছন্দ বা চাহিদার মিল খুজে পাওয়া থেকেই প্রথম ভাললাগার অনুভুতি স্‌ষ্টি হয় ।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে "তাহলে দয়া কী জিনিস,মানুষ তাহলে কেন অপরের জন্য জীবন ত্যাগ করে?" এটা একটা সাময়িক মোহ । নিজের থেকেও অপর কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার এই সাময়িক মোহটি কখনো ক্ষণস্থায়ী,কখোনো দীর্ঘস্থায়ী কখোনোও চিরজীবন স্থায়ী হয় । স্থায়ীত্ব কালের তারতম্য বিভিন্ন কারনের উপর নির্ভরশীল ।
ভালবাসা যুক্তি,তুলনা,সম্ভব,অসম্ভব,উচিত্‍,অনুচিত্‍ ইত্যাদির অতীত । অনেকে মনে করেন স্‌ষ্টিকর্তা হতে অন্য কাউকে বেশি ভালবাসা অসম্ভব ! অনেকে মনে করেন জন্মদাতা-দাত্রী হতে বেশি ভালবাসা অসম্ভব ! অনেকে মনে করেন মনের প্রিয়তম হতে বেশি ভালবাসা অসম্ভব !
আসলে কে কাকে কেমন ভালবাসবে তা ব্যক্তির মানসিকতার উপর নির্ভর করে ।
তা যদি না হতো তাহলে কোন মানব কোনদিন ধর্মের অন্বেষণে বংশ ত্যগ করতেন না । কোনো প্রেমিক পুরুষ/প্রেমিক নারী উত্তরাধিকার ও পূর্বসূত্র ছেড়ে চলে যেতন না ।
ভালবাসা আর বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে পরস্পরের পরিপূরক নয় । সেটা হলে কোনো পিতা-মাতা তাঁর অবিশ্বাসী সন্তানকে ভালবাসতেন না ।
তবে যাদেরকে ভালবাসা যায় তাদের প্রতি অবশ্যই কিছুটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। যার ফলে তাদের সফলতার প্রতি একটা আলাদা শ্রদ্ধা বা ভরসাবোধ কাজ করে ।

তবে বিশ্বাস ভরসা, শ্রদ্ধা, মর্যাদা অনেক ক্ষেত্রেই দ্বায়িত্ব, কর্তব্য ও কৃতজ্ঞতার মতো উচিত্‍ যুক্তি ও ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে । ভালবাসা নয়।
-----------------------------

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

বন্ধু

বন্ধু সে নয়
যে তোমাকে gift দেয়।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার টি শার্ট টি নিয়ে
আর ফেরত দেয় না।
বন্ধু সে নয়,
যে তোমাকে invite করে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার বাড়িতে এসে বলবে
কি রান্না হয়েছে খেতে দে।
বন্ধু সে নয়,
যে তোমাকে phone
করে দেখা করতে বলে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার বাসার সামনে এসে বলবে কই দোস্ত? বের হ সামনে!
বন্ধু সে নয়,
যে তোমার মৃত্যুর পর
তোমায় ভুলে যাবে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার কবরের
পাশে গিয়ে কাদঁবে এবং বলবে
এই নে তোর টি_শার্ট-
আর ফিরিয়ে দে
আমার বন্ধুত্ব।
বিশ্ব বন্ধু দিবসে সকল বন্ধুদের
অনেক অনেক ভালবাসা।।
তোদের খুব মিস করি----
যে যেখানে থাকিস্
ভাল থাকিস্।

বন্ধুর কাছে বনের রাজা টারজানের চিঠি-

দোস্ত ,
কেমন আছিস ? আমি খুব ভালো আছি রে দোস্ত । তুই নিশ্চয়ই শুনে খুব অবাক হয়েছিস এই ব্যাকডেটেড জংগলে কি করে আমি এতো সুখে আছি? আরে শোন , এই গরমে আমার চাইতে আরামে আর কেউ নাই । এই ধর কাপড় চোপরের কোন ঝামেলাই নাই । পরলেই কি আর না পরলেই কি ? সারাক্ষন গায়ে বাতাস লাগাইয়া ঘুরা যায় । কেই কিচ্ছু মনে করে না। তোদের শহরে তো আবার বাতাস বলতে কিচ্ছু নাই। তোরা এই মজা বুঝবিনা। তার উপরে তোরা এতো জিনিষ পইড়া থাকস কেমনে ? বুঝিনা !
তোর আর কি খবর ? নেটে পড়লাম তোদের এইখানে নাকি দ্রব্যমুল্যের মারাত্নক ঊর্ধ্বগতি ? তোরা বলে একবেলা খাস আর দুইবেলা রোযা রাখস? কথা কি সত্যি? শুইনা খুবই মর্মাহত হইলাম। আমার এই জঙ্গলে খালি খানি আর খানি রে দোস্ত । আঙ্গুর , আপেল , কলা কতো কি... তাও নিজের পাইড়া খাওয়া লাগেনা । দুইটা বান্দর প্রশিক্ষন দিয়া রাখছি । হাতের তুরি বাজানোর লগে লগে বান্দরে আইনা খানি দিয়া যায়। কি সুখরে বন্ধু না দেখলে বিশ্বাস করবিনা !!
এরমাঝে শুনলাম ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নাকি চরম অবনতি হইছে? যখন তখন চুরি-ডাকাতি-খুন ? শুইন্না তো বন্ধু আমার শরীরের লোম খাড়া খাড়া ! তোরা বাইচ্চা আছোস কেমনে? কয়েকদিন আগে আমার এইখানেও বন্দুক হাতে কয়টা গুন্ডা ঢুকছিলো, আমি করলাম কি আমার পোষা বাঘরে দিয়া এমুন দাবড়ানি দিছি ! জন্মের মতো তাগো শিক্ষা হয়ে গেছে ! কি যুগ আইলো রে বন্ধু বাঘ রে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু মানুষরে করা যায়না ! এই জন্যই তো বলি রে দোস্ত জঙ্গলে আয় সুখে থাকবি, আরামে থাকবি । তুই তো কথা শুনোছ না। কয়েকদিন আগে কি হইছে শোন, জঙ্গলে তো অনেক সুখে ছিলাম । ফেসবুকে একটা মেয়ের সাথে পরিচয়। পয়লা ফ্রেন্ডশিপ পড়ে প্রেম... ক্যান যে প্রেম করতে গেলাম ? প্রথম প্রথম আমার প্রোফাইল পিকচার দিছিলাম বুম্বের হিরু সালমান খানের ! সিম্বোলিক পিকচার বুঝছস ? ওই ব্যাটাও তো আমার মতো কাপর-চোপড় পড়েনা ! প্রেমের যখন কঠিন রুপ তখন আমি ঢালিউডের লিপিস্টিক হিরুর ছবি লাগাইলাম । যত যাই বলিস দেশপ্রেম বইলা একটা কথা আছে ! তাইতো দেশি পণ্য ব্যাবহার করা শুরু করলাম । কিন্তু এই ছবি দেইখা মাইয়া আমারে ‘খ্যাত’ কইয়া অপমান কইরা চইলা গেলো !!!! দুইডা দিন খুব কষ্টে আছিলাম রে দোস্ত । মনের দুঃখে খালি এই গাছ থাইক্কা ওই গাছে ওই ও ও ও ও ও ও ও ও ইয়ো কইরা কইরা ঝুলছি । কি কষ্টরে বন্ধু , না দেখলে বুঝবি না ! তখন গিয়া বুঝতে পারলাম, মেয়েদের মনের চাইতে আমাজানের বন অনেক ভালো ।
এখন অবশ্য আমি অনেক শান্তিতে আছি । তুইও চলে আয়। গরমে দুইডা দিন শান্তিতে থাকবি। দেখবি একবার আইলে আর যাইতে মন চাইবো না ।

ইতি
তোর বন্ধু টারজান।

(বিঃদ্র - তোর তো আবার ফেসবুক নাই , তাই আমার লেটেস্ট একটা ছবি পাঠাইলাম ... কেমন হইছে জানাইস)

শিক্ষা/জ্ঞান

ব্রিটিশ দার্শনিক জন লক বলেছিলেন, জন্মের পর মানুষের মন থাকে সাদা কাগজের মত পরিস্কার। দিনে দিনে নানা অভিজ্ঞতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সেই সাদা কাগজের মতো পরিস্কার মনে বিভিন্ন ছাপ ফেলে এবং সেই অভিজ্ঞতায় অর্জিত বা লব্ধ জ্ঞানই প্রকৃত জ্ঞান; যা পরবর্তীতে মানুষ তার জীবন দর্শনে পরিচর্যা করে। আবার বিজ্ঞান তাতে সামান্য ভিন্নতর ব্যাখ্যা সংযোজন করে। বলা হয়, মানুষের জীন-গত বৈশিষ্ট্যই মানুষকে তার কর্মকান্ডে ও চিন্তা-চেতনায় প্রভাভিত করে। আরও পরে নানা গবেষণায় যে তত্ত্ব বা ধারণা প্রতিষ্ঠা হয়, তার দার্শনিক ব্যাখ্যা হলো মানুষের জীন-গত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হতে পারে তার পারিপার্শ্বিক অর্জিত জ্ঞান দিয়ে। মানুষ স্বাধীন ইচ্ছা শক্তির অধিকারী। সুতরাং, তার কর্মকাণ্ড তার নিজস্ব চিন্তা চেতনার প্রতিফলন। যদিও মন ও দেহ সম্পর্কিত বর্তমান বিতর্কের এখনো কোন দার্শনিক সমাধান মিলেনি, কিন্তু স্নায়ু বিজ্ঞানীদের মতে মন ও দেহ পারস্পরিক সম্পর্কে জড়িত। যদি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া হয় এবং পরিমিত ঘুম হয়, তাহলে মস্তিষ্ক ভালভাবে কাজ করে। আর মস্তিষ্কের সুস্থ ও স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা গ্রস্থ হলে দেহ বা শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, আর শরীর অসুস্থ হলে মন ও ভাল থাকে না। এভাবে দেহ ও মনের নির্ভরশীলতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্নায়ু-বিজ্ঞানিরা। আসলে এত তত্ত্ব কথার মুল কারন হলো, আজ আমরা সমাজে যে সমস্ত নৈতিকতার মানদণ্ড নির্ধারণ করি তা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, চিন্তা ও মনন থেকে, নাকি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে?

যে কারণে আমরা এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি-

বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রের অনেক বিশেষজ্ঞ প্রকৃতিতে বিদ্যমান বুদ্ধিসম্পন্ন নকশা পর্যবেক্ষণ করেছে। তারা এইরকম চিন্তা করা অযৌক্তিক বলে মনে করেছে যে, সূক্ষ্ম জটিলতাসম্পন্ন জীবন পৃথিবীতে দৈবক্রমে এসেছে। তাই, বেশ কিছু সংখ্যক বিজ্ঞানী ও গবেষক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ যিহোবার সাক্ষি হয়েছে। তারা এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী যে, বাইবেলের ঈশ্বর হলেন এই আক্ষরিক নিখিলবিশ্বের নকশাবিদ ও নির্মাতা। কেন তারা এমন একটা উপসংহারে পোঁছেছে? সচেতন থাক! তাদের মধ্যে কয়েকজনকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। তাদের মন্তব্য হয়তো আপনার আগ্রহ জাগাবে।*

“জীবনের দুর্বোধ্য জটিলতা”

▪ ভল্ফ-ইকিহার্ড লনিগ
সংক্ষিপ্ত পরিচয়: বিগত ২৮ বছর ধরে আমি উদ্ভিদকোষের পরিব্যক্তি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই সময়ের মধ্যে ২১ বছর ধরে আমি জার্মানির কোলোনের ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যান্ট ব্রিডিং রিসার্চ-এ নিযুক্ত আছি। এ ছাড়া, প্রায় তিন দশক ধরে আমি যিহোবার সাক্ষিদের একটা মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবেও সেবা করছি।
বংশগতিবিদ্যা নিয়ে আমার পরীক্ষামূলক গবেষণা ও জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত পড়াশুনা, যেমন উদ্ভিদ ও প্রাণীর শারীরবিদ্যা এবং অঙ্গসংস্থানবিদ্যা আমাকে জীবনের বিস্তৃত ও প্রায়ই দুর্বোধ্য জটিলতার মুখোমুখি করেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশুনা আমার এই প্রত্যয়কে আরও পুনরুজ্জীবিত করেছে যে, এমনকি জীবনের একেবারে প্রাথমিক গঠনের শুরুরও নিশ্চয়ই এক বুদ্ধিমান উৎস রয়েছে। বৈজ্ঞানিকমহল, জীবনের জটিলতা সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তবে, এই বিস্ময়কর বিষয়গুলোকে সাধারণত বিবর্তনের আলোকে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। কিন্তু, আমার মতে বাইবেলের সৃষ্টির বিবরণকে ভুল প্রমাণ করার জন্য তর্কবিতর্কগুলো মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়, যখন তা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষার দ্বারা করা হয়। আমি এই রকম তর্কবিতর্ককে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা করেছি। সজীব বস্তু সম্পর্কে মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন এবং পৃথিবীতে যাতে জীবনের অস্তিত্ব থাকতে পারে সেইজন্য নিখিলবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণকারী আইনগুলো যে নিখুঁতভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলে মনে হয়, তা বিবেচনা করার পর আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি।

“আমার পর্যবেক্ষণ করা সবকিছুরই একটা কারণ রয়েছে”

▪ বায়রন লিওন মিডোস
সংক্ষিপ্ত পরিচয়: আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকি এবং ন্যাশনাল আ্যরোনটিকস্‌ আ্যন্ড স্পেস আ্যডমিনিসট্রেশন (নাসা) এর লেসার পদার্থবিদ্যা বিভাগে কাজ করি। বর্তমানে আমি আবহাওয়া, জলবায়ু ও গ্রহের অন্যান্য বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতিসাধনের কাজের সঙ্গে জড়িত আছি। আমি ভার্জিনিয়ার কিলমারনকে যিহোবার সাক্ষিদের একটা মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছি।
আমার গবেষণায় আমি প্রায়ই পদার্থবিদ্যার মূলনীতিগুলো নিয়ে কাজ করে থাকি। আমি বোঝার চেষ্টা করি যে, নির্দিষ্ট বিষয়গুলো কীভাবে ও কেন ঘটে থাকে। আমার গবেষণায় আমি স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি যে, আমার পর্যবেক্ষণ করা সবকিছুরই একটা কারণ রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রকৃতিতে বিদ্যমান সমস্ত বিষয়ের মূল কারণ যে ঈশ্বর, তা মেনে নেওয়া বৈজ্ঞানিকভাবে যুক্তিযুক্ত। প্রকৃতির নিয়মগুলো এতটাই স্থির যে, আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হই সেগুলো একজন সংগঠক অর্থাৎ একজন সৃষ্টিকর্তা স্থাপন করেছেন।

এই উপসংহার যদি এতটা স্পষ্ট হয়, তা হলে কেন অনেক বিজ্ঞানী বিবর্তনে বিশ্বাস করে? এমনটা কি হতে পারে যে, বিবর্তনবাদীরা তাদের প্রমাণকে আগে থেকে ঠিক বলে ধরে নেওয়া উপসংহারের ওপর ভিত্তি করে দেখে থাকে? বিজ্ঞানীদের মধ্যে এমনটা ঘটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কিন্তু পর্যবেক্ষণ, তা সেটা যতটাই দৃঢ়প্রত্যয় উৎপাদনকারীই হোক না কেন, কোনো সঠিক উপসংহারের নিশ্চয়তা দেয় না। উদাহরণস্বরূপ, লেসার পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করছেন এমন একজন ব্যক্তি জোর দিয়ে বলতে পারেন যে, শব্দের মতো আলোকও হচ্ছে এক তরঙ্গ কারণ আলো প্রায়ই শব্দের মতো বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে থাকে। কিন্তু, তার উপসংহার অসম্পূর্ণ থাকবে কারণ প্রমাণ এও দেখায় যে আলো কণাগুচ্ছের ন্যায় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, যা ফোটন নামে পরিচিত। একইভাবে, যারা বিবর্তনকে বাস্তব বলে দাবি করে তারা আংশিক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এই উপসংহারে আসে এবং তারা প্রমাণকে যেভাবে দেখে থাকে সেটাকে আগে থেকে ঠিক বলে ধরে নেওয়া তাদের উপসংহারের দ্বারা প্রভাবিত হতে দেয়।

কেউ যখন বিবর্তনবাদকে বাস্তব বলে মেনে নেয়, তখন আমার খুবই অবাক লাগে কারণ তথাকথিত বিবর্তনবাদী “বিশেষজ্ঞরাই” এটা কী করে সম্ভব সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কিছু বিশেষজ্ঞ বলে যে ২ আর ২ সমান সমান ৪ আর অন্য বিশেষজ্ঞরা বলে যে তারা এটার যোগফল ৩ অথবা ৬ বলে মনে করে, তা হলে আপনি কি অঙ্কশাস্ত্রকে একটা প্রমাণিত বিষয় বলে স্বীকার করবেন? বিজ্ঞান যদি শুধু সেই বিষয়গুলোকেই মেনে নেয়, যেগুলোকে প্রমাণ করা যায়, পরীক্ষা করা যায় এবং পুনরায় উৎপাদন করা যায়, তবে সমস্ত সজীব বস্তু শুধুমাত্র একজন পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে এই মতবাদ বিজ্ঞানসম্মতভাবে সঠিক নয়। (g ৯/০৬)

“অস্তিত্বহীন কিছু থেকে কোনোকিছুর উৎপত্তি হওয়া সম্ভব নয়”

▪ কেনেথ লয়িড টানাকা
সংক্ষিপ্ত পরিচয়: আমি একজন ভূতত্ত্ববিদ্‌, বর্তমানে আ্যরিজোনার ফ্লাগস্ট্যাফ শহরের ইউ. এস. জিওলজিক্যাল সার্ভে-তে কাজ করছি। প্রায় তিন দশক ধরে আমি ভূতত্ত্ববিদ্যার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নিয়েছি, যার অন্তর্ভুক্ত গ্রহ সম্বন্ধীয় ভূতত্ত্ববিদ্যা। আমার গবেষণার ওপর প্রচুর প্রবন্ধ ও মঙ্গল গ্রহের মানচিত্র বহুল পরিচিত বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একজন যিহোবার সাক্ষি হওয়ায় প্রতি মাসে আমি প্রায় ৭০ ঘন্টা বাইবেল পড়া বাড়ানোর জন্য ব্যয় করি।
আমাকে বিবর্তনে বিশ্বাস করতে শেখানো হয়েছিল কিন্তু আমি এই বিষয়টাকে মেনে নিতে পারিনি যে, নিখিলবিশ্ব গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অসীম শক্তি একজন শক্তিমান সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এমনি এমনি আসতে পারে। অস্তিত্বহীন কিছু থেকে কোনোকিছুর উৎপত্তি হওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া, একজন সৃষ্টিকর্তা যে আছেন, সেই বিষয়ে আমি স্বয়ং বাইবেলেই এক জোরালো যুক্তি খুঁজে পেয়েছি। এই বইটি আমার গবেষণা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উদাহরণ দেয়, যেমন, পৃথিবী গোলাকার এবং এটা “অবস্তুর উপরে” ঝুলছে। (ইয়োব ২৬:৭; যিশাইয় ৪০:২২) এই তথ্যগুলো মানুষের পরীক্ষানিরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হওয়ারও বহু আগে বাইবেলে লেখা হয়েছিল।

আমরা যেভাবে নির্মিত হয়েছি, তা একবার বিবেচনা করুন। আমাদের সংবেদনশীলতা, আত্মসচেতনতা, বুদ্ধিমত্তা, ভাববিনিময়ের ক্ষমতা এবং অনুভূতি রয়েছে। বিশেষ করে আমরা অভিজ্ঞতা লাভ করতে, উপলব্ধিবোধ দেখাতে ও প্রেম প্রদর্শন করতে পারি। এই চমৎকার মানব গুণগুলো কীভাবে এসেছে, তা বিবর্তন ব্যাখ্যা করতে পারে না।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন যে, ‘বিবর্তনের সপক্ষে দেওয়া তথ্যের উৎসগুলো কতটা নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য?’ ভূতত্ত্ববিদ্যার নথি অসম্পূর্ণ, জটিল ও বিভ্রান্তিকর। গবেষণাগারে বৈজ্ঞানিক সূত্রগুলো ব্যবহার করে বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনের প্রক্রিয়াকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর যদিও বিজ্ঞানীরা সাধারণত যখন উপাত্ত সংগ্রহের জন্য উন্নত গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে কিন্তু তাদের আবিষ্কারগুলো সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করার সময় প্রায়ই তারা স্বার্থপর উদ্দেশ্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। উপাত্ত যখন অপ্রামাণিক বা পরস্পরবিরোধী হয়ে থাকে, তখন বিজ্ঞানীরা সাধারণত তাদের নিজেদের ধারণা প্রচার করার জন্য পরিচিত। তাদের পেশা এবং নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে অনুভূতি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একজন বিজ্ঞানী ও বাইবেল ছাত্র হিসেবে, আমি সম্পূর্ণ সত্যের অনুসন্ধান করি, যা সবচেয়ে সঠিক বোধগম্যতা লাভ করতে সমস্ত জানা তথ্য ও মন্তব্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমার কাছে সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস করা সবচেয়ে বেশি অর্থপূর্ণ।

“কোষের মধ্যে স্পষ্ট নকশা প্রতীয়মান”

▪ পলা কিন্‌চেলো
সংক্ষিপ্ত পরিচয়: কোষ, আণবিক জীববিজ্ঞান এবং অণুজীবতত্ত্ব বিষয়ে গবেষণায় আমার বেশ কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বর্তমানে আমি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় এমরি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া আমি রুশ-ভাষী সমাজে স্বেচ্ছাসেবী বাইবেল শিক্ষক হিসেবেও কাজ করি।
আণবিক জীববিজ্ঞান আমার পড়াশোনার অংশ হওয়ায় আমি চার বছর শুধু কোষ ও এর উপাদানসমূহের ওপর গবেষণায় মনোযোগ দিয়েছি। আমি ডিএনএ, আরএনএ, প্রোটিন এবং বিপাকীয় পথসমূহ সম্বন্ধে যত বেশি শিখেছি, এর জটিলতা, গঠন, এবং এর সঙ্গে জড়িত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম নির্ভুলতা দেখে ততই আশ্চর্য হয়েছি। কোষ সম্পর্কে মানুষ কত কিছু শিখে ফেলেছে, তা জেনে যদিও আমি খুবই অভিভূত হয়ে গিয়েছি কিন্তু যে-বিষয়টা আমাকে আরও বেশি বিস্মিত করেছে, তা হল এখনও মানুষের আরও কত কিছু জানার বাকি আছে। কোষের মধ্যে এই স্পষ্ট প্রতীয়মান নকশা হল আমার জন্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করার পিছনে একটা কারণ।

আমার বাইবেল অধ্যয়ন প্রকাশ করেছে যে, সৃষ্টিকর্তা কে—মূলত, যিহোবা ঈশ্বর। আমি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি শুধু বুদ্ধিমান নকশাবিদই নন কিন্তু সেইসঙ্গে একজন সদয় ও প্রেমময় পিতা, যিনি আমার জন্য চিন্তা করেন। বাইবেল জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করে এবং এক সুখী ভবিষ্যতের আশা প্রদান করে।

যে-অল্পবয়সি ছেলেমেয়েদের স্কুলে বিবর্তনের বিষয়ে শেখানো হচ্ছে, তারা হয়তো কোনটা বিশ্বাস করবে, সেই বিষয়ে অনিশ্চিত হতে পারে। এটা তাদের জন্য বিভ্রান্তির সময় হতে পারে। যদি তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে, তা হলে এটা তাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা হয়। কিন্তু, তারা আমাদের চারপাশের প্রকৃতিতে বিদ্যমান প্রচুর বিস্ময়কর বস্তুগুলো পরীক্ষা করার এবং সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর গুণাবলি সম্বন্ধে ক্রমাগত জানার দ্বারা সফলভাবে এই পরীক্ষার মোকাবিলা করতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা করেছি এবং এই উপসংহারে এসেছি যে, বাইবেলে বলা সৃষ্টির বিবরণ হচ্ছে নিখুঁত এবং তা বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনোভাবে সংঘাত ঘটায় না।

“আইনগুলোর চমৎকার সরলতা”

▪ এনরিক আরনান্ডিস লেমুস
সংক্ষিপ্ত পরিচয়: আমি যিহোবার সাক্ষিদের একজন পূর্ণসময়ের পরিচারক। এ ছাড়া, আমি মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইউনিভারসিটি-তে কর্মরত একজন তত্ত্বীয় পদার্থবিদ। আমার বর্তমান কাজের অন্তর্ভুক্ত মহাকর্ষীয় তাপগতিবিজ্ঞান বিপর্যয় নামে পরিচিত বিষয়, যা হচ্ছে তারকার বৃদ্ধির এক গঠন, সেই বিষয়ে তাপগতিভিত্তিক কার্যকর একটা ব্যাখ্যা খুঁজে বের করা। এ ছাড়া, আমি ডিএনএ অনুক্রমের জটিলতা নিয়েও কাজ করেছি।
খোলাখুলিভাবে বললে জীবন এত জটিল যে, তা দৈবক্রমে উদ্ভব হতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, ডিএনএ অণুর মধ্যে যে বিশাল পরিমাণ তথ্য মজুত রয়েছে, তা বিবেচনা করুন। শুধুমাত্র একটা ক্রোমোজম দৈবক্রমে উদ্ভব হয়েছে, সেটার গাণিতিক সম্ভাবনা ৯ লক্ষ কোটির ১ ভাগেরও কম, অর্থাৎ তা এতটাই অনিশ্চিত যে, এটা ঘটা প্রায় অসম্ভব বলেই বিবেচিত হয়। বুদ্ধিহীন শক্তিগুলো শুধুমাত্র একটা ক্রোমোজোম নয় কিন্তু জীবিত বস্তুর সত্তার মধ্যে থাকা সমস্ত বিস্ময়কর জটিলতা সৃষ্টি করতে সক্ষম, এটা বিশ্বাস করা আমার কাছে মূর্খতা বলেই মনে হয়।

এ ছাড়া, যখন আমি কোনো পদার্থের আণুবীক্ষণিক স্তর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের গতিশীল বিশাল নীহারিকাসহ পদার্থের জটিল বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করি, তখন আমি গতি নিয়ন্ত্রণকারী আইনগুলোর চমৎকার সরলতা দেখে অভিভূত হয়ে যাই। আমার কাছে এই বিষয়টা একজন শ্রেষ্ঠ গণিতবিদের চেয়েও বেশি অর্থ রাখে—এগুলো হল একজন শ্রেষ্ঠ শিল্পীর স্বাক্ষরের মতো।

লোকেরা প্রায়ই অবাক হয়ে যায় যখন আমি তাদের বলি যে আমি একজন যিহোবার সাক্ষি। কখনো কখনো তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে যে আমার পক্ষে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা কী করে সম্ভব। তাদের এমন প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক কারণ বেশির ভাগ ধর্মই এর বিশ্বাসীদের যা শিক্ষা দেওয়া হয় সেই বিষয়ে কোনো প্রমাণ চাইতে বা তাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে গবেষণা করতে উৎসাহ দেয় না। কিন্তু, বাইবেল আমাদেরকে “পরিণামদর্শিতা” বা চিন্তা করার ক্ষমতা ব্যবহার করতে উৎসাহ দেয়। (হিতোপদেশ ৩:২১) প্রকৃতিতে বিদ্যমান সমস্ত বুদ্ধিসম্পন্ন নকশার প্রমাণ এবং সেইসঙ্গে বাইবেল থেকে প্রাপ্ত প্রমাণ আমাকে এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করে যে, ঈশ্বরের শুধুমাত্র অস্তিত্বই নেই কিন্তু একই সময়ে তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনার প্রতিও আগ্রহী।
-------------------

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...