উৎসর্গ: বন্ধু নাছরিন রহমান তাহমিন কে।
কোন এক পড়ন্ত বর্ষার ক্লান্ত বিকেল ছিল-
আমার রঙ হীন ধূসর মৌনমগ্ন ক্যাম্ভাস
পড়ে ছিল নিঃসঙ্গ বিষন্নতায় গণনাহীন সময় জুড়ে।
আমার নির্বিকার প্রতিটি দিন-রাত
প্রতিটি ক্ষণই রচনা করতো এক ভাবনাময় কষ্ট গল্প...!
আমার সুন্দর স্বপ্নজুড়ে কেবল ধূলো জমে-
আমার সৃষ্টিশীল হাত ছিল স্থির-
স্থির ছিল আমার সময় গুলোও।।
অথচ, তুমি আমায় হঠাৎ সম্ভোধন করলে ‘কল্পনার সেই বন্ধু’ বলে।
নিজেকে কখনো এতোটা দামি স্থানে ভাবিনি আমি!
তোমার নান্দনিক কথা-আচরণ-সব শৈল্পিক উপাদান
আমার জীবনে নিয়ে এলো এক নতুন ভূবন।।
আমার দীর্ঘ নিরবতা তোমাকে ভাবিয়েছে জানি-
আমি মগ্ন ছিলাম অন্যকিছু ভেবে.....
অথচ, অবাধ্য সময় আমায় ডিঙ্গিয়ে চলে গেছে বহুদূর!
নীরব সময়গুলোর প্রতিটি পরত জুড়ে
খোঁজেছিলাম নিজেকে, নিজের সত্তাকে
আবেগ আর সত্যিকারের রূপকে।।
বেশিরভাগ সম্পর্কেরই কোন নাম হয় না।
যেমন তোমার আমার সম্পর্ক!!!
কখনো ভাবি বন্ধু, কখনো ভাবি হৃদয় সর্বস্ব একজন
কখনো ভাবি তুমি কেউ নও-
এ কথাই ভেবেছি অহর্নিশ বয়ে যাওয়া সময় জুড়ে।।
অবাধ্য সময় জুড়ে একবারও মনে হয়নি
কোন সুশীতল স্বপ্নের কথা,
একবারও মৌন ক্যানভাস করে উঠেনি
কোন প্রাণবন্ত রঙ্গের ঘ্ঙ্গুুর নাচন শব্দ।
কেবল অনুভবে ছিল একটা আত্মপ্রত্যয়ের স্বপ্ন।।
দূঃখ-স্বপ্ন-দৃঢ়তা আমার সমস্ত আমিত্ব কা^ঁপিয়ে যায়,
আমার অহংকারি সত্তাকে বিচলিত করে-
জেগে উঠি আমি নতুন ভাবে, নতুনরূপে।
এভাবেই কি মুছে যায় সব সম্পর্ক?
তবে কি এ নিস্তব্ধতা ভাল নয়?
জীবনে একজন সত্যিকারের বন্ধুর খুব প্রয়োজন-
অথচ আমি চকোরীর জোছনা বিলাসের মতো
একজন হৃদয় সর্বস্ব বন্ধুর জন্যে পেরিয়ে যাই
যোজন যোজন মাইল একলা পথে...
তারপর, তুমি ভোরের আকাশ, নব দিগন্ত।
অনেক কথার কোন উপযুক্ত শব্দ হয় না,
তাই হয়েতো তোমার কোন বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।।
জীবনটাকে আমি দেখিছি বাহির থেকে
তার ভিতরে ঢোকার সাধ-সাধ্য কোনটায় আমার নেই।
সাধটাকে মেরেছে অন্য কেউ আর সাধ্যটাকে আমি-
তারপরও সেই দূবোর্ধ জীবনকে আঁকড়ে ধরে
বয়ে যাচ্ছে তরঙ্গহীন ¯্রােত।
বাধ্য বালকের মতো তোমার মমতা-ভালবাসা জড়ানো আদেশ মেনে নিয়ে
হাত বাড়িয়েছি সৃষ্টিশীল কাজে, ভুলেছি কলংকিত অতীত।
তোমার কথা ভেবে ভাবিনি অতিত আর মৃত্যুর কথা।
কিন্তু একদম যে মাথাচাড়া দেয়নি তা নয়...।।
বন্ধু আবেগকে পশ্রয় দেইনি একবারের জন্যও
যেখানে আবেগ রুক্ষ বাস্তবতার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে,
অকপটে মেনে নিয়েছি নিজের হার!
সরে এসেছি সে অম্লমধুর জাল থেকে।
কিন্তু তোমার বেলায়-
তোমার মতো করে কে অত বোঝে আমায়?
হোক না তা অল্প সময়ের পরিচয়-
কাকে আর বলতে পারি হৃদয়ের গভীরে লুকায়িত থাকা
কষ্টের অবগাহন কিংবা আনন্দের ফুলঝুরি।
সভ্যতা আর বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগে
তেমন আর মাটির মানুষ কই?
আর তথাকথিত বন্ধুরা-
সেতো কেবল লৌকিকতা।।
হয়তো তোমার প্রতি কিছুটা অভিমান ছিল-
বার বার তোমায় প্রশ্ন করেছি-
‘আমার জন্য তোমার এতো ভালবাসা, আমি কে হই তোমার?’
কিংবা তুমি যে আমায় ভালবাস বল না কেন বার বার?
তুমি কথার ছলে এড়িয়ে গেছো...
মেনে নিয়েছি এজীবন, জীবনের অপার-অসীম বিস্ময়তা!
সত্যিইতো সব হারানোর মাঝে
মন হারানোর ইতিকথা নিয়ে কি খুব বেশী লিখা যায়?
চলার পথের শত ক্রুরতা, অবিশ্বাস নিস্প্রেম নিয়েইতো
বেঁচে আছি আমি, বেঁচে থাকতে হবে...
কিছুই হয়না পাওয়া, কিছুই হয়না ছোঁয়া
ফেরারী সময় পালিয়ে যায় বর্ষ-যুগ শতাব্দির অন্তরালে।
ভালো থেকো- এক শুভ্র সকালের সতেজ ঘ্রাণের মতো-
কেননা, তোমাকে ভাল থাকতেই হবে ,
আমার জন্য- আমাদের জন্য।।
-----------------------------------
কোন এক পড়ন্ত বর্ষার ক্লান্ত বিকেল ছিল-
আমার রঙ হীন ধূসর মৌনমগ্ন ক্যাম্ভাস
পড়ে ছিল নিঃসঙ্গ বিষন্নতায় গণনাহীন সময় জুড়ে।
আমার নির্বিকার প্রতিটি দিন-রাত
প্রতিটি ক্ষণই রচনা করতো এক ভাবনাময় কষ্ট গল্প...!
আমার সুন্দর স্বপ্নজুড়ে কেবল ধূলো জমে-
আমার সৃষ্টিশীল হাত ছিল স্থির-
স্থির ছিল আমার সময় গুলোও।।
অথচ, তুমি আমায় হঠাৎ সম্ভোধন করলে ‘কল্পনার সেই বন্ধু’ বলে।
নিজেকে কখনো এতোটা দামি স্থানে ভাবিনি আমি!
তোমার নান্দনিক কথা-আচরণ-সব শৈল্পিক উপাদান
আমার জীবনে নিয়ে এলো এক নতুন ভূবন।।
আমার দীর্ঘ নিরবতা তোমাকে ভাবিয়েছে জানি-
আমি মগ্ন ছিলাম অন্যকিছু ভেবে.....
অথচ, অবাধ্য সময় আমায় ডিঙ্গিয়ে চলে গেছে বহুদূর!
নীরব সময়গুলোর প্রতিটি পরত জুড়ে
খোঁজেছিলাম নিজেকে, নিজের সত্তাকে
আবেগ আর সত্যিকারের রূপকে।।
বেশিরভাগ সম্পর্কেরই কোন নাম হয় না।
যেমন তোমার আমার সম্পর্ক!!!
কখনো ভাবি বন্ধু, কখনো ভাবি হৃদয় সর্বস্ব একজন
কখনো ভাবি তুমি কেউ নও-
এ কথাই ভেবেছি অহর্নিশ বয়ে যাওয়া সময় জুড়ে।।
অবাধ্য সময় জুড়ে একবারও মনে হয়নি
কোন সুশীতল স্বপ্নের কথা,
একবারও মৌন ক্যানভাস করে উঠেনি
কোন প্রাণবন্ত রঙ্গের ঘ্ঙ্গুুর নাচন শব্দ।
কেবল অনুভবে ছিল একটা আত্মপ্রত্যয়ের স্বপ্ন।।
দূঃখ-স্বপ্ন-দৃঢ়তা আমার সমস্ত আমিত্ব কা^ঁপিয়ে যায়,
আমার অহংকারি সত্তাকে বিচলিত করে-
জেগে উঠি আমি নতুন ভাবে, নতুনরূপে।
এভাবেই কি মুছে যায় সব সম্পর্ক?
তবে কি এ নিস্তব্ধতা ভাল নয়?
জীবনে একজন সত্যিকারের বন্ধুর খুব প্রয়োজন-
অথচ আমি চকোরীর জোছনা বিলাসের মতো
একজন হৃদয় সর্বস্ব বন্ধুর জন্যে পেরিয়ে যাই
যোজন যোজন মাইল একলা পথে...
তারপর, তুমি ভোরের আকাশ, নব দিগন্ত।
অনেক কথার কোন উপযুক্ত শব্দ হয় না,
তাই হয়েতো তোমার কোন বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।।
জীবনটাকে আমি দেখিছি বাহির থেকে
তার ভিতরে ঢোকার সাধ-সাধ্য কোনটায় আমার নেই।
সাধটাকে মেরেছে অন্য কেউ আর সাধ্যটাকে আমি-
তারপরও সেই দূবোর্ধ জীবনকে আঁকড়ে ধরে
বয়ে যাচ্ছে তরঙ্গহীন ¯্রােত।
বাধ্য বালকের মতো তোমার মমতা-ভালবাসা জড়ানো আদেশ মেনে নিয়ে
হাত বাড়িয়েছি সৃষ্টিশীল কাজে, ভুলেছি কলংকিত অতীত।
তোমার কথা ভেবে ভাবিনি অতিত আর মৃত্যুর কথা।
কিন্তু একদম যে মাথাচাড়া দেয়নি তা নয়...।।
বন্ধু আবেগকে পশ্রয় দেইনি একবারের জন্যও
যেখানে আবেগ রুক্ষ বাস্তবতার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে,
অকপটে মেনে নিয়েছি নিজের হার!
সরে এসেছি সে অম্লমধুর জাল থেকে।
কিন্তু তোমার বেলায়-
তোমার মতো করে কে অত বোঝে আমায়?
হোক না তা অল্প সময়ের পরিচয়-
কাকে আর বলতে পারি হৃদয়ের গভীরে লুকায়িত থাকা
কষ্টের অবগাহন কিংবা আনন্দের ফুলঝুরি।
সভ্যতা আর বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগে
তেমন আর মাটির মানুষ কই?
আর তথাকথিত বন্ধুরা-
সেতো কেবল লৌকিকতা।।
হয়তো তোমার প্রতি কিছুটা অভিমান ছিল-
বার বার তোমায় প্রশ্ন করেছি-
‘আমার জন্য তোমার এতো ভালবাসা, আমি কে হই তোমার?’
কিংবা তুমি যে আমায় ভালবাস বল না কেন বার বার?
তুমি কথার ছলে এড়িয়ে গেছো...
মেনে নিয়েছি এজীবন, জীবনের অপার-অসীম বিস্ময়তা!
সত্যিইতো সব হারানোর মাঝে
মন হারানোর ইতিকথা নিয়ে কি খুব বেশী লিখা যায়?
চলার পথের শত ক্রুরতা, অবিশ্বাস নিস্প্রেম নিয়েইতো
বেঁচে আছি আমি, বেঁচে থাকতে হবে...
কিছুই হয়না পাওয়া, কিছুই হয়না ছোঁয়া
ফেরারী সময় পালিয়ে যায় বর্ষ-যুগ শতাব্দির অন্তরালে।
ভালো থেকো- এক শুভ্র সকালের সতেজ ঘ্রাণের মতো-
কেননা, তোমাকে ভাল থাকতেই হবে ,
আমার জন্য- আমাদের জন্য।।
-----------------------------------
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন