রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

ভালবাসা কী?

ভালোবাসা আসলে কী? কেউ কি ভেবে দেখেছেন ভালোবাসার সত্যিকারের সংজ্ঞা কী? ভালোবাসার আসলে কোনো সংজ্ঞা নেই। ভালোবাসার রয়েছে কিছু বৈশিষ্ট্য এবং সত্য। যে সত্যগুলো সকল সত্যিকারের ভালোবাসার মধ্যেই থাকে। কিন্তু আজকালের ঠুনকো ভালোবাসার অভিনয়ের কারণে এই সত্যগুলো কেউ মনে রাখে না। ভুলে যায় অনেকেই। সেকারণেই আজকাল ভালোবাসার দাম নেই মোটেই। চোখে পড়ে না আগেকার সেই সত্যিকারের ভালোবাসা।

১) ভালোবাসা সাধারনত জোর করে হয় না।
      যতোই ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, এই জিনিসটি মূলত কারোরই অজানা নয় যে জোর করে কখনো কাউকে ভালোবাসা যায় না। ভালোবাসা পুরোপুরি একজন মানুষের একান্ত ব্যাপার।

২) প্রেম ও ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
       জীবনে চলার সময় আমরা অনেক কিছুরই প্রেমে পড়ে যাই কিন্তু তাকে ভালোবাসা বলা চলে না। সুতরাং প্রেম এবং ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু এই সত্যটি আমরা অনেকেই মানতে চাই না।

৩) ভালোবাসা ধরে রাখতে করতে হয় অনেক কিছুই।
         ভালোবাসা ধরে রাখতে অনেক কিছুই করতে হয়। নতুবা সময়ের সাথে সাথে এই ভালোবাসার রঙ বদলে যেতে থাকে। এবং নিজেকে সেই রঙের সাথে মিলে গিয়েই ধরে রাখতে হয় ভালোবাসা।

৪) অন্যকে ভালোবাসার পূর্বে নিজেকে ভালোবাসা উচিত।
       আপনি যদি নিজেকে ভালোবাসতে না পারেন তবে অন্য কেউই আপনাকে ভালোবাসতে পারবেন না। এই সত্যি অনেকেই জানি। কিন্তু মানতে পারি না।

৫) ভালোবাসায় স্বার্থপরতা থাকে না।
          ভালোবাসা সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ একটি ব্যাপার। যখন এতে স্বার্থ জড়িত থাকে তখন তা আর ভালোবাসার পর্যায়ে পড়ে না।

৬) ভালোবাসা কখনো পারফেক্ট হয় না।
         একজন মানুষ যেমন কখনো পারফেক্ট হতে পারেন না তেমনই ভালোবাসা কখনো পারফেক্ট হবে না। অনেক খুঁত থাকবে এতে। কিন্তু তা মেনে নিয়ে চলার নামই ভালোবাসা।

৭) ভালোবাসার অর্থ অন্যের সবকিছুকে আপন করে নেয়া।
       একজন মানুষের ইম্পারফেকশনকে সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার নামই ভালোবাসা। অন্য আরেকটি মানুষের সব দোষ গুণ মেনে নেয়াই সত্যিকারের ভালোবাসা। তাকে পরিবর্তন করে নিতে চাইলে তা ভালোবাসা নয়।

৮) শুধু আকর্ষণই নয়, এতে থাকতে হয় সম্মান, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস।
        ভালোবাসা জিনিসটি শুধুমাত্র একে অপরের আকর্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয় না। এতে থাকতে হয় একেঅপরের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস।

৯) ভালোবাসা মানে প্রতিজ্ঞা।
       কাউকে ভালোবাসার অর্থ হচ্ছে তা প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া, যা আজকালের ভালোবাসায় একেবারেই দেখা যায় না।

১০) মেকি ভাবে থাকা ভালোবাসা নয়।
        নিজের স্বত্বাটাকে বদলে অন্য আরেকজনের মতো অভিনয় করে কারো সামনে থাকার নাম ভালোবাসা নয়। ভালোবাসায় কখনো মেকিভাব থাকতে পারে না।
------------------------------

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

তোমাকে চিঠি লিখব বলে-

তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
কতোবার দ্বারস্ত হয়েছি আমি
গীতিকবিতার,
কতোদিন মুখস্ত করেছি এই নদীর কল্লোল
কান পেতে শুনেছি ঝর্ণার গান,
বনে বনে ঘুরে আহরণ করেছি পাখির শিস্
উদ্ভিদের কাছে নিয়েছি শব্দের পাঠ;
তোমাকে লিখবো বলে একখানি চিঠি
সংগ্রহ করেছি আমি ভোরের শিশির,
তোমাকে লেখার মতো প্রাঞ্জল ভাষার জন্য
সবুজ বৃক্ষের কাছে জোড়হাতে দাঁড়িয়েছি আমি-
ঘুরে ঘুরে গুহাগাত্র থেকে নিবিড় উদ্ধৃতি সব
করেছি চয়ন;
তোমাকে লিখবো বলে জীবনের গূঢ়তম চিঠি
হাজার বছর দেখো কেমন রেখেছি খুলে বুক।

বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭

ফেসবুক ও আমাদের অভিপ্রায়।

ফেসবুক। নামটা শুনেই চাঙ্গা হয়ে বসলেন নাকি? আসলেই নগর জীবনে এমনকি এর বাইরেও এখন ফেসবুকের পরিধি ব্যপ্ত। উঠতে বসতে ফেসবুক। জ্যামে বসে ফেসবুক- “উফ্! ১ ঘণ্টা যাবত বসে আছি – একটা গাড়িও নড়ে না”; ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক- “গুড মর্নিং,  ব্রাশের ওপর পেস্ট লাগাচ্ছি”; মিটিং এ বসে ফেসবুক- “বোরিং মিটিং :(”; রেস্টুরেন্ট এ ঢুকে “চেক ইন” করা, কিছু করার না থাকলে ফেসবুকে গুঁতোগুঁতি, ফার্মভিল-ক্রিমিনাল কেস না খেললে তো “দোস্ত, তুই বাসায় গিয়ে করস টা কি?” ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার কেউ কেউ তো অনেক বেশি অ্যাক্টিভ, ফেসবুক এর মাধ্যমে দিন দুনিয়ার খবর রাখে। যেমন- “এই শুনেছিস? ফাহিম আর আনিকার ব্রেক আপ হয়ে গেসে?” “তোকে কে বলল? আমি তো কালকেই দেখলাম ইটস কমপ্লিকেটেড”, “আরে এটার মানেই তো ঐ ব্যাপার- পেজগি লাগসে বুঝছিস!” কেউ স্ট্যাটাস দিলো “এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি…”, ব্যস! অপরিচিত আগন্তুক এসে পোক করলো, আরেকজন মেসেজ দিলো “হাই, বন্ধু হবে? নাম্বার………” ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুক এর উপর লিখতে চাইলে অনেক বড় একটা গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়া যাবে। তাই আর ঐ বৃত্তান্তে না যাই।

ফেসবুকের অথবা সঠিকভাবে বলতে চাইলে এর ব্যবহারকারীদের মূল উদ্দেশ্য হল একে অপরের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা। তবে এর উন্নতি আর ব্যপ্তি সাথে সাথে আমাদের চাহিদামাফিক পরিবর্তনের জন্য অনেক কিছুই এখন করা সম্ভব। আমরাও আমাদের ব্যস্ত জীবনের সাথে তাল মেলানোর জন্য সহজ ও উপযোগী মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি ব্যবহার করি। ফেসবুক ভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, সংগঠন, ব্যাক্তিগত দল ইত্যাদি খুব সহজলভ্য। পক্ষান্তরে, এর বহুমুখী ব্যবহারের পাশাপাশি কিছু ছোটবড় দুর্ঘটনাও কিন্তু ঘটছে। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটনার প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

হিমাদ্রি। নামটাতে কেমন একটা কবি কবি ভাব আছে। তার নামের প্রেমেই অনেক মেয়ে স্বপ্নের জ্বাল বোনে। দেখতেও সে বেশ ভাল, আকর্ষণীয় বাক্তিত্ব। যাকে বলে প্রেম করার জন্য উপযুক্ত ছেলে। প্রতিদিন গোটা দশেক মেয়ে বন্ধু হবার আহ্বান জানায় তাকে ফেসবুকে। সে তাদের বন্ধু বানায়ও, তবে কি মনের মত একজন না হলে তো আর প্রেম করা যায় না। একদিন খুব মিষ্টি চেহারার এক মেয়ে তার বন্ধু হয়। এরপর শুরু হয় তাদের গল্প, হাসি, মনের ছন্দ মেলানো। খুব সুন্দর কাটছিল দিনগুলো। দুজনেই ছাত্র হওয়ায় জীবনের বাস্তবতা আর জটিলতা তাদের স্পর্শ করছিল না তেমন। হিমাদ্রি মনে মনে ভাবছিল, অনেক তো হল। এবার না হয় দেখা করা যাক, মনের ভেতরের সবটুকু অনুভুতি বলে ফেলা যাক তাকে।

প্রস্তাব পৌঁছল মিষ্টি মেয়ের কাছে- কিন্তু তার উত্তরটা ছিল অভাবিত। মেয়েটা বলল- দেখ হিমাদ্রি, আমরা কি শুধু বন্ধু থাকতে পারি না? এর চেয়ে বেশি কিছুর আগ্রহ আমার নেই।

হিমাদ্রি প্রথমে আহত হল- তাহলে এতদিনের সবকিছু কী ছিল! কিন্তু পরে সে দমে না গিয়ে সিদ্ধান্ত নিল যে দেখা করবে এবং ওকে বোঝাবে। হয়তোবা ও ভয় পাচ্ছে, হয়তোবা অন্য কোন সমস্যা। ফোনে কথা অবশ্য এর পরেও বন্ধ হয়নি, ফাঁকে ফাঁকে হিমাদ্রি জেনে নিল কোথায় থাকা হয়। কিন্তু কোনভাবেই মেয়েটা আর আগের মত মিশছে না। হিমাদ্রিও ছাড়ার পাত্র না। শেষমেশ একদিন মেয়েটা রাজি হল, বাসার ঠিকানায় আসার জন্য বলল। হিমাদ্রি যথারীতি সেই কাঙ্খিত দিনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিল এবং সময়মত গিয়ে হাজির হল তার স্বপ্নের নায়িকার বাড়িতে।

দরজা খুললেন একজন বয়স্কা ভদ্রমহিলা। খুলেই প্রশ্নঃ তুমিই হিমাদ্রি? হিমাদ্রি মনে মনে ভীষণ খুশি হল, তার সম্পর্কে তাহলে এই বাড়ির লোকজন জানে। সে হাসিমুখে হ্যাঁ-সূচক উত্তর দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো।

অপেক্ষা তো আর সইছেনা, ও কখন আসবে? বসার ঘরেই কি বসিয়ে রাখবে নাকি? হাতে কিছু নাস্তা নিয়ে ঐ ভদ্রমহিলা ঢুকলেন ঘরে। হিমাদ্রির চোখ খোঁজে অন্য আরেকজনকে। ইনি কী ওর মা?

“তোমার কথা শুনেছি। তোমরা দুজন অনেক ভালো বন্ধু না?” সে কী! উনার কণ্ঠটা পুরাই ওর মত। মা মেয়ের এত মিল! “জ্বি, ও কোথায়?” “তুমি তো কিছুই খাচ্ছনা দেখি! উত্তেজনার চোটে কি খাওয়াও বাদ দিলে নাকি? তোমার প্রিয় পায়েস তো রেঁধেছি!”

হিমাদ্রি কেমন থমকাল, উনি এত কিছু কিভাবে জানেন? আর ওই বা আসছেনা কেন? একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল, “জ্বি নিচ্ছি, ইয়ে মানে ওকে একটু ডেকে দিবেন প্লীজ?”

ভদ্রমহিলা কিছুক্ষণ চুপ হয়ে বসে রইলেন। তারপর আস্তে আস্তে বললেন, “তুমি কি এখনও কিছু বুঝতে পারছ না?”

“মানে?” হিমাদ্রি ওনার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে ওনার গালে।

“আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি হিমাদ্রি, তোমাকে ডেকে আনাটা আমার ঠিক হয়নি। কিন্তু তুমি যে কিছুতেই হাল ছাড়ার পাত্র নও!” মহিলার গলায় অভিমান!

সবকিছু এলোমেলো লাগছে এখন হিমাদ্রির কাছে। “আপনিই কি……?”

“তাহলে যার নাম নিয়ে কথা বলতেন সে কে?”

“কেউ না। আমি একা, নিঃসঙ্গ। সবাই থেকেও আমার কেউ নেই। কথা বলার ফুরসত কারও নেই আমার সাথে। তোমার সময় আছে, আমাকে সময় দিতে, আমি আবার সেই আগের দিন গুলোতে ফিরে গিয়েছিলাম!” বলেই হু হু করে কেঁদে ফেললেন মহিলা। হিমাদ্রি কি বলবে বুঝতে পারছেনা, বুকের ভেতরটা মোচড় দিচ্ছে। কেন আমার সাথে এরকম হল! কেন?!

সিলভি। খুব সহজ সরল একটা মেয়ে, সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে বসে। পরিচিত গণ্ডির যেই অনুরোধ জানায়, তাকেই বন্ধু বানিয়ে ফেলে। একদিন সে হোম পেজ দেখতে দেখতে একটা ছবির অ্যালবাম দেখতে পেল। অ্যাকাউন্টের মালিককে সে চেনেনা, কিন্তু কেন জানি ছবিগুলো পরিচিত লাগছে। অ্যালবাম এ ঢুকেই সে আশ্চর্য- এ ছবিগুলো তো তারই! অদ্ভুত তো!

“সমস্যা কি আপনার? আপনি আমার অনুমতি না নিয়ে আমার অ্যালবাম এর ছবি দিব্যি নিজের অ্যালবামে পোস্ট করে দিয়েছেন?” এরকম একটা মেসেজ পাঠাল সেই ছেলেটাকে।

উত্তর এলো, “আপনি এত উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? মানুষ কি অন্য মানুষের ছবি ব্যবহার করতে পারে না? তারকাদের ছবি তো সবাই ব্যবহার করে। তাতে কি কারো আসে যায়?”

সিলভি তো উত্তর পড়ে হতবাক! দুঃখিত হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো আমাকেই বোঝাচ্ছে? মানুষের কি বিবেকবোধ নেই হয়ে যাচ্ছে নাকি? লোকটাকে রিপোর্ট করল সে।

কয়েকদিন পর অবশ্য ঘটল আরেকটা ব্যাপার- সেই অ্যালবামের জন্যই কিনা কে জানে, সুদর্শন প্রোফাইল পিকধারী এক ছেলে তার বন্ধু হল। মনে মনে সিলভি অনেক খুশি হল ঠিকই, কিন্তু ভাব নিল এমন যেন ঐ ছেলের প্রতি তার কোন আগ্রহ নেই। এর পরও কয়েকদিন কথা হল। তার সাথে কথা বলতে সিলভির মন আনচান করত। এভাবে চলছিল। ফোনেও কথা হতে লাগল। সিলভি স্বপ্নে ভাবে এমন সুন্দর একজন জীবনসঙ্গী যদি সারাজীবন তার সাথে থাকত! ইশ! জীবনটাই ধন্য!

তো একদিন সেই ছেলে তাকে বলল- আমার আরেকটা অ্যাকাউন্ট আছে, আমি তোমাকে সেখান থেকেও রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি। সেরকম কোন অ্যাকাউন্ট থেকে কোন রিকোয়েস্ট সিলভি খুঁজে পেল না। তবে একই নামে ভিন্ন প্রোফাইল পিকবিশিষ্ট আরেকজনের রিকোয়েস্ট দেখল সে। ছেলেটাকে ব্যাপারটা বলতেই সে যা বলল তা সিলভির বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। এটাই ঐ “সুদর্শন যুবকের” আসল চেহারা। আর যার ছবি তার আগের অ্যাকাউন্টে দেওয়া, সে একজন বিদেশী মডেল। নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে মেয়েদের সে আকৃষ্ট করতে পারত না। তাই এই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ আর কি! সিলভির সাথে কথা বলে তার মনে হয়েছে যে তাকে বিশ্বাস করা যায় তাই সে তাকে সত্যি কথাটা জানিয়েছে।

সিলভি আর কথা বাড়ায় নি। ওখানেই তার স্বপ্নের ক্ষান্ত দিয়েছে।

আচ্ছা, নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, কেন এসব ঘটনা ঘটছে? ফেসবুক এমন একটা জিনিস- অন্য প্রায় সবকিছুর মত যাকে আমি চাইলে গঠনমূলক, ভাল কাজে ব্যবহার করতে পারি। আবার চাইলে নেতিবাচক বা খারাপ কাজেও করতে পারি। এর পেছনে মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে আমার “উদ্দেশ্য”। ফেসবুকের ইতিবাচক দিক অনেক, কিন্তু এর কয়েকটা নেতিবাচক দিকের প্রতিও না তাকালেই নয়। যেমন- কথায় কথায় মানুষের সমালোচনা করা, অন্য কারো দোষ খুঁজে বেড়ানো, অন্যকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলা, অকারণে কষ্ট দেয়া, সম্মান না করা, নিজের বড়াই করা, গীবত করা, নিজের স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে প্রতারণা, মিথ্যা কথা বলা, অশ্লীল কথা বলে তাকে “প্রাপ্তবয়স্কদের কৌতুক” হিসেবে নাম দেয়া ইত্যাদি দিন দিন কেমন যেন একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা হয়ত অনেকে বুঝতেও পারছিনা যে এগুলো সাধারণ নৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। এর কোনটার জন্যই ফেসবুক প্রত্যক্ষভাবে দায়ী নয়, দায়ী ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায়।

চলুন, প্রথমে আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি এগুলোর সাথে জড়িত? আমি কি মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছি? আমার আচরণে কি অন্য কেউ কষ্ট পাচ্ছে?

“মুনাফেক নর-নারী সবারই গতিবিধি একরকম; শেখায় মন্দ কথা, ভাল কথা থেকে বারণ করে এবং নিজ মুঠো বন্ধ করে (কৃপণতা প্রদর্শন করে)। আল্লাহ্‌কে ভুলে গেছে তারা, কাজেই তিনিও তাদের ভুলে গেছেন…।”(১)

“তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে তোমরা গোপন করো না।”(২)

দেখুন, আমরা অনেকেই মুসলিম। কিন্তু মুসলিম নামধারী হয়ে নিজের নামের কলঙ্ক বাড়াচ্ছি নাতো? আল্লাহ যে আমাকে সতর্ক করে দিলেন? বারবার ভুলে যাই। কিন্তু বারবার মনেও তো করা যায় তাই না? চলুন না আমি আপনি মিলে একটু চেষ্টা করি। একদিন দেখব ইন শা আল্লাহ আমি ঠিকই পারব। আপনিও পারবেন। শুধু শুধু এই জীবন আর মৃত্যু পরবর্তী জীবনের বোঝা বাড়িয়ে লাভ আছে কি?

কেউ হয়ত বলবেন, “আরে ভাই এসব মুখেই বলা যায়, এত কিছু করতে গেলে তো জীবনে কিছু করতেই পারব না। খালি আফসোস করব আর মানুষ আমাকে বেচে খাবে। আর আমার জীবনে কি সাধ আহ্লাদ বলে কিছু নাই?” কিন্তু তাই যদি হয়, তাহলে যখন কেউ আমার ক্ষতি করে বা আমার নামে বাজে কথা বলে তখন তাকে কিছু বলার, এমনকি কষ্ট পাওয়ারও অধিকার আমার আছে কি? তখন কেন আমার সব বিবেক বোধ জাগ্রত হয়? কারণ তখন আমি ভুক্তভোগী, আসামী না। আর কেন ভাবছেন যে এসব না করলে জীবনে সুখের স্বাদ পাওয়া যায় না! এটুকু বলতে পারি যে রাতে আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন, আর যদি কিছু নাও পারেন। সুস্থ নৈতিকতা আর মূল্যবোধের অনির্বচনীয় এক ধরণের প্রশান্তি আছে। দ্বিতীয়ত, জীবন সম্পর্কে আমাদের পরিপ্রেক্ষিত আসলে কিরকম হওয়া উচিত?

“তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়াকৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটো হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়।”(৩)

আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে কি? আপনি স্বয়ং আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পাচ্ছেন। কাজেই আপনাকে আহবান জানাই আমার এই প্রচেষ্টায়। আমি চেষ্টা করছি, আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখছি- কারণ তাঁর সাহায্য ছাড়া আমি অসহায়। সাড়া দেবেন কি? অপেক্ষায় রইলাম। মনে রাখবেনঃ

“তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে, আপনার পালনকর্তা তা জানেন।”(৪)

***

ফুটনোটঃ
১. সূরা আত-তাওবাহ, ৯:৬৭
২. সূরা বাকারাহ, ২:৪২
৩. সূরা হাদীদ, ৫৭:২০
৪. সূরা আল-কাসাস, ২৮:৬৯

অ-সভ্য!

সভ্যতা এখন লুটোপুটি খায় মৃত্যুপথে,
কখন কে যায়, যাচ্ছে-
কোন পথে কার সংশয় জীবন
তা এখন জোনাকির আবছায়া
আলোয় বড়ই ধূসর,
রাতের নির্জনে দুঃখগুলো
এখন শাটারের শব্দের মতোই
ককিয়ে ওঠে নীরব আর্তনাদে ।
জমিনের আঙিনায় আগাছার বাড়বাড়ন্ত
উম্মাদ শকুনেরা ছিঁড়ে খায়
শরীরের মাংস ।

দৃষ্টির বৃষ্টি।

তুমি চলার পথে আমার চোখে
                দৃষ্টি কেন থামাও?
হঠাৎ রোদ-দুপুরে আমার ভিতর
                বৃষ্টি কেন নামাও?
তোমার দৃষ্টি যখন বৃষ্টি হয়ে
            ভিজায় আমার মন
তখন ইচ্ছে করে তোমার পাশে
                 দাঁড়াই কিছুক্ষণ।।

বাবা তোমাকে খুব মিস করি।

কলেজ লাইফে একবার স্যান্ডেল কেনার জন্য বাবার কাছে ১৫০০ টাকা চেয়েছিলাম। অনেকগুলো কথা বলেছিল বাবা, আমাদের জামানায় আমরা এই করছি, খালি পায়ে স্কুলে গেছি, বাবার টাকায় খাও এজন্যে গায়ে লাগেনা, নিজে ইনকাম করবি যখন তখন বুঝবি। আমি মুখের উপর কিছু বলিনি, আব্বুকে একটু ভয় ই পেতাম, তবে মনে মনে খুব রাগ হচ্ছিল। মাত্র ১৫০০ টাকার জন্যে এতগুলো কথা শোনা লাগে? ইচ্ছে হচ্ছিল বাসা থেকেই চলে যাই। তবে বকাবকি শেষে ঠিক ই মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে হাতে ধরিয়ে বলেছিলেন, ভালো দেখে কিনিস, স্যান্ডেলের টাকা আবার ফোনে ভরিস না....

মাস্টার্সে ভর্তি হবার পর সেই ১৫০০ টাকার জন্যেই সপ্তাহে ৪ দিন খেয়ে না খেয়ে স্টুডেন্টের বাসায় ছুটতে হয়, মাঝে মাঝে রাতের ঘুম নষ্ট করে নোট ও বানিয়ে দেয়া লাগে। তখন বাবার ওই কথা গুলোই মনে পড়ে বারবার, আর কতটা কষ্ট করার পর টাকা টা আসে এটাও বুঝতে পারি। তখন আপনা আপনি শ্রদ্ধায় মাথা টা নিচু হয়ে যায়। আর মানুষটার জন্যে কিছু করতে ইচ্ছে করে।
আজ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয় পৃথিবীতে সবথেকে সহজ কাজ কি? তবে আমি নির্দিধায় বলব, বাপের টাকা ওড়ানো। আসলেই বাবার পরিশ্রমের টাকা ওড়ানো টাই সবথেকে সহজ কাজ, তবে সেই ওড়ানো টাকা নিজে ইনকাম করে বাবার পকেটে ফেরত পাঠানো টা কঠিন, অনেক বেশি কঠিন....

সোনার_বাংলার_আদিকথা। এসো সবাই জেনে নিই।

"হিন্দু কবি সাহিত্যিকগণ মুসলমানদের ম্লেচ্ছ, যবন, নেড়ে, পাষন্ড, পাপিষ্ঠ, পাপাত্মা, দুরাত্মা, দুরাশয়, নরাধম, নরপিশাচ, পাতকী, বানর, এঁড়ে, দেড়ে, ধেড়ে, অজ্ঞান, অকৃতজ্ঞ, ইতর এ জাতীয় কোনো গালি দিতে কার্পণ্য করেনি। বঙ্কিম চন্দ্রের ‘মৃণালীনী’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘রাজ সিংহ’ ও ‘কবিতা পুস্তক’, ইশ্বর গুপ্তের ‘কবিতা সংগ্রহ’ দামোদর মুখোপাধ্যয়ের ‘প্রতাপসিংহ’ যজ্ঞেশ্বর মুখোপাধ্যয়ের বঙ্গানুবাদিত ‘রাজস্থান’ দীন বন্ধু মিত্রের ‘জামাই বারিক’ ইত্যাদি ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৯০৩ খ্রি.) কাব্যসজ্জায় সুস্পষ্ট মুসলমান বিদ্বেষ পাওয়া যায় ।

"হেমচন্দ্র তাঁর বীরবাহুতে (১৮৬৪ খ্রি.) লিখেছে – আরে রে নিষ্ঠুর জাতি পাষণ্ড বর্বর পুরাব যবন-রক্তে শমন-খর্পর’। [ডক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, আধুনিক বাংলা কাব্যে হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক,  প্রথম প্রকাশ, ঢাকা, বাংলা একাডেমী, ১৯৭০]।

"বহু কাল থেকেই বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন হিন্দু কবি সাহিত্যিকদের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িকতা ও চরম বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন মুসলমানরা। রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮২৭-৮৭ খ্রি.) পদ্মিনী উপাখ্যানে (১৮৫৮ খ্রি.) স্বাধীনতার কামনা, পরাধীনতার বেদনা, দেশপ্রীতি এবং বিদেশাগত মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের ভাব প্রকাশিত হয়েছে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৯ তে প্রকাশিত অশ্রুমতী নাটক উৎসর্গ করেন অনুজ রবীন্দ্রনাথকে। এবং উক্ত নাটক ছিল মুসলিম বিদ্বেষে পরিপূর্ণ। উক্ত নাটকের সৈন্যগণ বলছে, “আজ আমরা যুদ্ধে প্রাণ দেব, চিতোরের গৌরব রক্ষা করব, মুসলমান রক্তে আমাদের অসির জ্বলন্ত পিপাসা শান্ত করব”… (অশ্রুমতী : জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নাটক সমগ্র, সাহিত্য সংসদ,২০০২, পৃষ্ঠা ১১৩।)]।

"ইংরেজদের সাথে যুদ্ধরত মুসলমানদের মৃত্যুতে খুশী হয়ে ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত রচনা করেছিলেন;

একেবারে মারা যায় যত চাঁপদেড়ে (দাড়িওয়ালা)

হাঁসফাঁস করে যত প্যাঁজ (পিঁয়াজ) খোর নেড়ে

বিশেষত: পাকা দাড়ি পেট মোটাভূড়ে

রোদ্র গিয়া পেটে ঢোকে নেড়া মাথা ফূড়ে

কাজি কোল্লা মিয়া মোল্লা দাঁড়িপাল্লা ধরি

কাছা খোল্লা তোবাতাল্লা বলে আল্লা মরি

এই কবিতায় চরম মুসলিম বিদ্বেষ প্রকাশ পেয়েছে। শুধু তাই নয় ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত স্পষ্টতই ব্রিটিশদের দালাল ছিলেন। তাইতো তিনি লিখেছিলেনঃ
'ভারতের প্রিয় পুত্র হিন্দু সমুদয়
মুক্তমুখে বল সবে ব্রিটিশের জয়!  (দিল্লীর যুদ্ধ : গ্রন্থাবলী,পৃ. ১৯১)।]

"বঙ্কিমচন্দ্র তার শেখা প্রায় সবকটি গালি ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করেছে। ‘ম্লেচ্ছ’ হতে শুরু করে ‘যবন’ পর্যন্ত। এমনকি প্রাচীনকালে বৌদ্ধদের দেয়া ‘নেড়ে’ গালিটাকেও সে দিতে বাদ রাখেনি। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর ‘আনন্দ মঠ’ (১৮৮২) উপন্যাসে এক মন্তব্যে বলেন, ‘‘ধর্ম গেল, জাত গেল, মান গেল, কূল গেল, এখনতো প্রাণ পর্যন্ত যায়। এ নেড়েদের (মুসলমানদের) না তাড়াইলে আর কি হিন্দুয়ানি থাকে’’। এমনকি গল্পের মাধ্যমে মসজিদ ভেঙে মন্দির গড়ার ইচ্ছাও প্রকাশ পেয়েছে এ উপন্যাসে; “ভাই, এমন দিন কি হইবে, মসজিদ ভাঙ্গিয়া রাধা মাধবের মন্দির গড়িব?” [আনন্দমঠ, তৃতীয় খন্ড, অষ্টম পরিচ্

"শুধু তাই নয়, “তিনি ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এ দানেশ খাঁকে দিয়ে মুসলমানদেরকে ‘শুয়ার’ বলে গালি দিয়েছেন। ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসে কতিপয় স্ত্রীলোককে দিয়ে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মুখে লাথি মারার ব্যবস্থা করেছেন। ‘মৃণালিনী’তে বখতিয়ার খিলজীকে ‘অরণ্য নর’ বলেছেন। কবিতা পুস্তকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আসে আসুক না আরবী বানর – আসে আসুক না পারসী পামর’’। (আফজাল চৌধুরীর শেষ কবিতা: মুকুল চৌধুরী, দৈনিক সংগ্রাম,ঈদসংখ্যা-২০১২)।

"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বলেছিলেন, ‘মুসলমানরা একমাত্র বেয়াদব যাহারা হিন্দু পরিচয় স্বীকার করিবে না’। (বণিক বার্তা)

"রবীন্দ্রনাথ তার ‘রীতিমত নভেল’ নামক ছোটগল্পে মুসলিম চরিত্র হরণ করেছে এভাবে-ঃ
'আল্লা হো আকবর’ শব্দে রণভূমি প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। একদিকে তিনলক্ষ যবনসেনা, অন্যদিকে তিনসহস্র আর্যসৈন্য। হর হর বোম্‌ বোম্‌! পাঠক বলিতে পার, কে ঐ দৃপ্ত যুবা পঁয়ত্রিশজন মাত্র অনুচর লইয়া মুক্ত অসি হস্তে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর করনিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শত্রুসৈন্যের উপরে আসিয়া  পতিত  হইল?  বলিতে  পার,  কাহার  প্রতাপে  এই অগণিত  যবনসৈন্য  প্রচণ্ড  বাত্যাহত অরণ্যানীর  ন্যায়  বিক্ষুব্ধ  হইয়া  উঠিল?—  কাহার বজ্রমন্দ্রিত  ‘হর  হর  বোম্‌  বোম্‌’ শব্দে  তিনলক্ষ ম্লেচ্ছকণ্ঠের  ‘আল্লা  হো  আকবর’   ধ্বনি  নিমগ্ন  হইয়া  গেল? ইনিই সেই ললিতসিংহ। কাঞ্চীর সেনাপতি। ভারত-ইতিহাসের ধ্রুব নক্ষত্র। (যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা, পৃষ্ঠা ৫৬)
             
"ঐ প্রবন্ধে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মুসলমানদের পাণ্ডা বলে সম্ভোদন করেন। বলেন; “হিন্দুস্থান হিন্দুর দেশ। হিন্দু-মুসলমান-মিলন একটা গালভরা শব্দ। বস্তুতঃ, মুসলমান যদি কখনও বলে—হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আর কি হইতে পারে, ভাবিয়া পাওয়া কঠিন। একদিন মুসলমান লুণ্ঠনের জন্যই ভারতে প্রবেশ করিয়াছিল, রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য আসে নাই। সেদিন কেবল লুঠ করিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, মন্দির ধ্বংস করিয়াছে, প্রতিমা চূর্ণ করিয়াছে, নারীর সতীত্ব হানি করিয়াছে, বস্তুতঃ অপরের ধর্ম ও মনুষ্যত্বের উপরে যতখানি আঘাত ও অপমান করা যায়, কোথাও কোন সঙ্কোচ মানে নাই।” (বিস্তারিত দেখুনঃ হিন্দু-মুসলমান সমস্যাঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাম্প্রদায়িক চেহারা– সম্পাদক) ]

"কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেহেতু বিশ্ব কবি, একটি স্বতন্ত্র পর্ব লিখে এই বিষয়ে ইতি টানার  আশা পোষণ করছি। তথ্যসংগ্রহ করা এবং আঙুল টিপে লিখা আমার জন্য একটু সাধ্য ব্যাপার..! তারপর..শুধু আপনাদের সহযোগিতা কাম্য!
চলবে.........  ইনশাহ আল্লাহ।

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...