সোমবার, ২০ এপ্রিল, ২০২০

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ                                            (মহাকাব্যাংশ) -মাইকেল মধুসূদন দত্ত

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ                                            (মহাকাব্যাংশ)
-মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)

কবি পরিচিতি :
মাইকলে মধুসূদন দত্ত ১৮২৪  খ্রিস্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জনামগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা রাজনারায়ণ দত্ত এবং মাতা জাহ্ণবী দেবী।
তিনি কলকাতার লালবাজার গ্রামার স্কুল, হিন্দু কলেজ এবং পরবর্তে বিপশ কলেজে ভর্তি হন। এবং পরবর্তীতে ব্যারিস্টারি পড়ারর জন্য বিলাতে যান।
১৮৪৩  খ্রিস্টাব্দে তিনি খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেন।
প্রথম জীবনে তিনি আইন পেশায় জড়িত হলেও লেখালেখি করেই জীবিকা নির্বাহ করেন । বাংলা, ইংরেজি,সংস্কৃত, হিব্রু,গ্রিক, ল্যাটিন, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইতালিয়ান, তামিল ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
তিনি মাদ্রাজে বসবাসকালে রেবেকা টমসন নামে এক ইংরেজ মহিলাকে বিয়ে করেন (১৮৪৮)। পরে হেনরিয়েটা (মাদ্রাজ স্কুলের মদুসূনের এক সহকর্মীর মেয়ে )নামে অপর এক ইংরেজ মহিলাকে বিয়ে করেন (১৮৫৬)।
কাব্যগ্রন্থ: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, মেঘনাদবধ কাব্য (মহাকাব্য), ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী।
নাটক:শর্মিষ্ঠা,পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী, মায়াকানন।
প্রহসন: একেইকি বলে সভ্যতা, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ।
ইংরেজি নাটক ও নাটকের অনুবাদ : রিজিয়া, রত্নাবলি, শর্মিষ্ঠা, নীলদর্পন (অনুবাদ)।
বাংলায় সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখার প্রথম কৃতিত্ব তাঁর ।
১৮৭৩ খিস্টাব্দে ২৯ জুন তিনি পরলোক গমণ করেন। কলকাতার লেয়ার সার্কুলার রোডে তাঁকে সমাহিত কর হয়।

   শব্দার্থ:
................................
বিভীষণ- রাবণের কণিষ্ঠ সহোদর । রাম রাবণের যুদ্ধে স্বপক্ষ ত্যাগকারী রামের ভক্ত।

অরিন্দম-অরি বা শত্রুকে দমন করে যে । এখানে মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে ।

পশিল–প্রবেশ করলো ।

রক্ষপুরে–রাক্ষসদের পুরী বা নগরীতে । এখানে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে |

সহোদর-এক মায়ের গর্ভজাত ভাই ।

তাত-পিতা, এখানে পিতৃব্য অর্থে ।

নিকষা – রাবণের মা ।

শুলিশম্ভুনিভ-শূলপাণি মহাদেবের মতো ।
কুম্ভকর্ণ – রাবণের মধ্যম সহোদর ।

বাসববিজয়ী-বাসব (ইন্দ্র) কে জয় করেছে যে, এখানে মেঘনাদ ।

তস্কর – চোর ।

গঞ্জি- তিরস্কার করি ।

রামানুজ-এখানে রামের অনুজ অর্থাৎ লক্ষ্মণকে বুঝানো হয়েছে ।

শমণ ভবন- যমালয় ।

ভঞ্জিব আহবে-যুদ্ধ দ্বারা বিনষ্ট করবো ।

আহবে-যুদ্ধে ।

ধীমান-ধীসম্পন্ন  জ্ঞানী।

রাঘব- রঘু বংশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, এখানে রামচন্দ্রকে বুঝানো হয়েছে।

রাঘবদাস – রামচন্দ্রের আজ্ঞাবহ।

রাবণি – রাবণের পুত্র ।এখানে মেঘনাদকে বুঝানো হয়েছে।

স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণু ললাটে-বিধাতা চাঁদকে আকাশে নিশ্চল করে স্থাপন করেছেন।

বিধু-চাঁদ।

স্থাণু-নিশ্চল।

রক্ষোরথি-রক্ষকুলের বীর।

রথী-রথ চালক। রথ চালনার মাধ্যমে যুদ্ধ করে যে।

শৈবালদলের ধাম-পুকুর,বদ্ধজলাশয়।

শৈবাল -শ্যাওলা।

মৃগেন্দ্র কিশোরী- কেশরযুক্ত সিংহ।

মৃগেন্দ্র-পশুরাজ সিংহ।

কেশরী-কেশরযুক্ত প্রাণি, সিংহ।

মহারথী-মহাবীর, শ্রেষ্ঠ বীর।

সৌমিত্রি – লক্ষ্মণ । সুমিত্রার সন্তান বলে লক্ষ্মণের অপর নাম সৌমিত্রি।

নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার-লঙ্কাপুরীতে মেঘনাদের যজ্ঞাস্খান । এখানে যজ্ঞ করে মেঘনাদ যুদ্ধে যেত ।  ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’ যুদ্ধে যাত্রার প্রাক্কালে নিরস্ত্র মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা
বৈশ্বানর বা  অগ্নিদেবের পূজারত অবস্থায় লক্ষ্মণের হাতে অন্যায় যুদ্ধে নিহত হয়।

প্রগলভ-নির্ভিক চিত্তে ।

দম্ভী-দম্ভ করে যে, দাম্ভিক ।

নন্দনকানন-সর্গের উদ্যান।

মহামন্ত্র-বলে যথা নম্রশি:ফণী-মন্ত্রপুত সাপ যেমন মাথা নত করে ।

লক্ষি-লক্ষ করে।

মজাইলা –বিপদগ্রস্ত করলে।

বসুধা –পৃথিবী।

তেঁই –তজ্জন্য; সেহেতু।

রুষিলা-রাগণ্বিত হলো ।বাসবত্রাস-যে বাসব বা ইন্দ্রের ভয়ের কারণ; মেঘনাদ।

মন্ত্র-শব্দ,ধ্বনি।

জীমুতেন্দ্র – মেঘের ডাক বা আওয়াজ।

বলী-বলবান ; বীর।

জলাঞ্জলি – সম্পূর্ণ পরিত্যাগ।

শাস্ত্রে বলে ...পর পর সদা-শাস্ত্রমতে গুণহীন হলেও নির্গুণ স্বজনই শ্রেয়, কেননা গুণবান হলেও পর সর্বদা পরই থেকে যায়।

নীচ-হীন,নিকৃষ্ট।

ইতর: দুমর্তি-অসৎ বা মন্দ বুদ্ধি।

মূলবক্তব্য :
...............
আধুনিক বাংলা কবিতার প্রথম সার্থক কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত । বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশটুকু মাইকেল মধুসূদন দত্তের ’মেঘনাদবধকাব্য’ নামক মহাকাব্যের ‘বধো’ নামক ষষ্ঠ সর্গ থেকে নেয়া হয়েছে।
এ-কবিতায় মাতৃভূমির প্রতি রাবণের জ্যেষ্ঠ পুত্র মেঘনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং রাবণের ছোট ভাই বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার বিরুদ্ধে সুগভীর ঘৃণা প্রকাশিত হয়েছে ।
পররাজ্যলোভী রামচন্দ্র ও লক্ষ্মণ রাজা রাবণের স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করে । কর্মদোষ, ভাগ্যদোষ আর দেবতাদের বিরুপ মনোভাবের কারণে রাবন দিশেহারা হয়ে পড়েন। তিনি শতত্রুদের দৈব কৌশলের কাছে বারবার হেরে যেতে থাকেন ।
ছোটভাই বীর কুম্ভকর্ণ এবং প্রাণাধিক পুত্র বীরবাহু যুদ্ধে নিহত হবার পর রাজা রাবণ মারাত্মকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। এ-সময় রাজা রাবণের বড় ছেলে বীর মেঘনাদ পিতার কাছ থেকে সেনাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
(এখান থেকে কবিতার বিষবস্তু শুরু) বাসবত্রাস, লঙ্কার বীর যোদ্ধা মেঘনাদ যুদ্ধে জয়লাভ নিশ্চিত করতে পূজা করার সিদ্ধন্ত নেন । তিনি নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজায় নিমগ্ন হন । এসময় মায়াদেবীর আশির্বাদ নিয়ে রাবণের ছোট ভাই বিভীষণের সহায়তায় লক্ষ্মণ শ শ প্রহরীরর চোখ ফাঁকি দিয়ে যজ্ঞাগারের মূল দরোজায় পৌঁছে যায় । মেঘনাদকে হত্যার জন্য লঙ্কার শত্রু লক্ষ্মণকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে গৃহশত্রু বিভীষণ । পিতৃব্য বিভীষণকে দেখে মেঘনাদের বুঝতে বাকি থাকে না  বিভীষণই পথ দেখিয়ে লক্ষ্মণকে এখানে নিয়ে এসছে । বিভীষণকে লক্ষ্যকরে দেশপ্রেমিক নিরস্ত্র মেঘনাদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সে নাটকীয় ভাষাই ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাবাংশে সংকলিত হয়েছে।

* এ অংশে জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব ও জাতি সত্তার সংহতির গুরুত্বের কথা যেমন ব্যক্ত হয়েছে, তেমনি এর বিরুদ্ধে পরিচালিলত ষড়যন্ত্রকে নীচতা ও বর্বরতা বলে অভিহিত করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
................................................................
১। আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত কে ?

উ: আধুনিক বাংলা কবিতার অগ্রদূত মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

২।মাইকেল মদুসূদন দত্ত কোন জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ?
উ: মাইকেল মদুসূদন দত্ত যশোর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।
৩।বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটির উৎস কী ?
উ: বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে নেয়া হয়েছে ।
৪। ‘তস্কর’ শব্দের অর্থ কী?
উ: তস্কর শব্দের অর্থ চোর ।
৫।নন্দন কানন কী ?
উ: নন্দন কানন হলো স্বর্গের ইউদ্যান ।
৬।নিকষা কে ?
উ: নিকষা রাবণের মা ।
৭।‘বিধু’ শব্দের অর্থ কী?
উ: বিধু শব্দের অর্থ চাঁদ।
৮। ‘বৃথা এ সাধনা ধীমান’ এখানে ধীমান কে ?
উ: এখানে ধীমান মেঘনাদ ।
৯। রাঘব দাস কে ?
উ: রাঘব দাস বিভীষণ।
১০।বিভীষণ কার বিপক্ষে কাজ করতে অপারগ ?
উ: বিভীষণ রামের বিপক্ষে কাজ করতে অপরগ।
১১। কে অস্ত্রাগারে যেতে চায় ?
উ: মেঘনাদ অস্ত্রাগারে যেতে চায়।
১২।কুম্ভকর্ণ কে ?
উ: কুম্ভকর্ণ রাবণের মধ্যম সহোদের।
১৩।শমন-ভবন কী?
উ: শমন-ভবন  শব্দের অর্থ হচ্ছে যমালয়।
উ: অরিন্দম শব্দের অর্থ অরি বা শত্রুকে দমন করে যে । এখানে মেঘনাদ কে বোঝানো হয়েছে ।
১৫।লক্ষ্মণ কোথায় প্রবেশ করলো ?
উ: লক্ষ্মণ রক্ষ:পুরে প্রবেশ করলো।
১৬।নিজগৃহ পথ, তাতদেখাও  তস্করে ? -এখানে নিজগৃহ দ্বারা কী নির্দেশ করা হয়েছে?
উ:  নিজগৃহ পথ, তাত দেখাও  তস্করে ? -এখানে নিজগৃহ দ্বারা লঙ্কাপুরীকে বোঝানো হয়েছে।
১৭. গুরুজন তুমি পিতৃতুল্য’ – এখানে পিতৃতুল্য কে?
উ: গুরুজন তুমি পিতৃতুল্য’ – এখানে পিতৃতুল্য বিভীষণ।
১৮। লঙ্কার কি আজি ভঞ্জিব আহবে ?
উ: লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে।
১৯।‘হে পিতৃব্য’-এখানে পিতৃব্য কে?
উ: হে পিতৃব্য’-এখানে পিতৃব্য বিভীষণ।
২০।মজাইলা শব্দের অর্থ কী?
উ: মজাইলা শব্দের অর্থ বিপদগ্রস্ত হওয়া।
২১। বসুধা শব্দের অর্থ কী?
উ: বসুধা শব্দের অর্থ পৃথিবী।
২২।গঞ্জি শব্দের অর্থ কী?
উ: গঞ্জি শব্দের অর্থ তিরস্কার করি ।
২৩।নহি দোষী আমি –এখানে আমি কে?
উ: নহি দোষী আমি –এখানে আমি বিভীষণ।
২৪। সৌমিত্র কে ?
উ: সৌমিত্র লক্ষণ ।
২৫।মহারথি প্রথা কী?
উ: মহারথি প্রথা হলো শ্রেষ্ঠ বীরদের আচরণ প্রথা।
২৬।নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার কোথায় ?
উ: নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগার লঙ্কাপুরীতে।
২৭।প্রগলভ শব্দের অর্থ কী ?
উ: প্রগলভ শব্দের অর্থ নির্ভিক চিত্তে ।
২৮।অম্বর শব্দের অর্থ কি?
উ: অম্বর শব্দের অর্থ আকাশ ।
২৯।রুষিলা শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: রুষিলা শব্দের অর্থ রাগান্বিত।
৩০।হে রাক্ষস রাজানুজ- কে রাক্ষস রাজানুজ?
উ: রাক্ষস রাজানুজ-হচ্ছে  বিভীষণ  ।
৩১।জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতিত্ব –এ সকল বিসর্জন দিলো কে ?
উ: জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতিত্ব –এ সকল বিসর্জন দিলো বিভীষণ।
৩২। নিশথে মন্দ্রে জীমূতেন্দ্র কোপি । এখানে জীমূতেন্দ্র কী ?
উ: নিশথে মন্দ্রে জীমূতেন্দ্র কোপি - এখানে জীমূতেন্দ্র মেঘের ডাক।
৩৩।পরদোষে কে মজিতে চায় না ?
উ: পরদোষে বিভীষণ মজিতে চায় না।
৩৪।জলঞ্জলি শব্দের অর্থ কী ?
উ: জলাঞ্জলি শব্দের অর্থ সম্পূর্ণ পরিত্যাগ।
৩৫।দুর্মতি শব্দের অর্থ কী ?
উ: দুর্মতি শব্দের অর্থ মন্দ বুদ্ধি।
৩৬।বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতাটির শেষ চরণ লেখ ।
উ: বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতাটির শেষ চরণটি হলো-গতি যার নীচ সহ,নীচ সে দুমর্তি।

গুরুত্ব পূর্ণঅনুধাবন প্রশ্ন:
..................................
১।নিজ গৃহ পথ, তাত দেখাও তস্করে? এখানে ‘নিজ গৃহ পথ’ বলকে কী বোঝানো হয়েছে ?

২।চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে ? চরণটির ব্যাখ্যা কর।

৩। ‘পাঠাইবো রামনুজে শমনভবনে ’-কেন?

৪।‘বৃথা এ সাধনা, ধীমান’-এখানে কোন সাধনার কথা বলা হয়েছে ?

৫।‘লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে ।’ –ব্যাখ্যা কর।

৬। ‘কেমনে ও মুখে আনিলে একথা’-কোন কথা ? ব্যাখ্যা কর।

৭।‘মৃগেন্দ্র কেশরী, কবে হের বীর কেশরী’
সম্ভাষণে শৃগালে মিত্রভাবে ?-ব্যাখ্যা কর।

৮।মহারথি, একি মহারথি প্রথা তব ’- ব্যাখ্যা কর।

৯।‘ছাড়হ পথ, আসিব ফিরিয়া এখনি! ব্যাখা কর।

১০। নাহি শিশু লঙ্কপুর, শুনি না হাসিবে একথা!-এখানে কোন কথা বলা হয়েছে ?

১১। নাহি দোষী আমি, বৎসে বৃথা ভৎস মোরে তুমি ।‘ ব্যাখ্যা কর ।

১২।পরদোষে কে চাহে মজিতে ?’ ব্যাখ্যা কর।

১৩। কোন ধর্মমতে, কহ দাসে শুনি জ্ঞাতিত্ব, ভ্রতৃত্ব, জাতিত্ব –এসকল দিলা জ্লাঞ্জলি ?’ ব্যাখ্যা কর।

১৪।গুণবানর যদি পর জন, গুণহীণ স্বজন ,
তথাপি নির্গুণ  স্বজন শ্রেয়। - ব্যাখ্যা কর।

১৫।গতিযার নীচ সহ, নীচ সে দুমর্তি।- ব্যাখ্যা কর।

১৬।  ‘ এ শিক্ষা হে  রক্ষোবর,কোথায়
শিখিলে?’ কোন শিক্ষা? ব্যাখা কর।

১৭। ‘অস্ত্রহীন যোধে কি সে সম্বোধে সংগ্রামে?’ ব্যাখা  কর ।

১৮। রাঘব দাস আমি, কী প্রকার তাহার বিপক্ষে কাজ করিব? ব্যাখা কর।

১৯। স্থাপিলা  বিধুরে বিধি স্থানু ললাটে
পড়ি ভুতলে শশী যান গড়াগড়ি ধুলায়?-ব্যাখ্য কর।

২০।কে বা সে অধম রাম ? স্বচ্ছ সরোবরে করে কেলি রাজ হংস পঙ্কজ-কাননে
যায় কি সে কভু, প্রভু, পঙ্কিল সলিলে
শৈবাল দলের ধাম’  ব্যাখা কর।

1 টি মন্তব্য:

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...