হিন্দু ধর্মে স্বামী-স্ত্রী *** করার পর গোসল আবশ্যিক নয়। কাপড় চেঞ্জ করলেই যথেষ্ট। কই কোনদিন তো কোন মুসলমান গর্ব বা অহংকার করে বলেনি তোমরা আবর্জনার মত নোংরা জাতি!
ভারতের অঘোরি তান্ত্রিক সাধুরা মৃত হিন্দু নারীর সাথে সেক্স করেন! কোন মুসলমান আজ পর্যন্ত কোন মৃত মুসলমান নারীর সাথে এই কাজ করার সাহস পায়নি! নাভীর নিচে চুল যাকে মেডিকেল ভাষায় বলা হয় পিউবিক হেয়ার, বাংলা ভাষায় চুল, হিন্দি ভাষায় বাল বলা হয়! হিন্দু নর-নারীরা এটাকে পরিষ্কার না করেই কয়েক বছর কাটিয়ে দেন। এক বছরে ১২ বার মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল বা ঋতুচক্র হয় এতটা অপরিষ্কার থাকে তারা অন্যদিকে মুসলমানদের ৪০ দিনের মধ্যে এটা ছেটে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে! কই কখনো কোন মুসলিম বলেছে তোমরা পশুর মত জাতি?
ছেলেদের যৌনাঙ্গের মাথায় এক্সট্রা চামড়া থাকে যাকে মেডিকেল ভাষায় বলা হয় প্রোপিউস! এটা মুসলিম'রা সুন্নতে খাৎনার মধ্য দিয়ে কেটে ফেলে! অন্যদিকে হিন্দুরা এটা রেখে দেয়, রেখে দেয় বলেই এর মধ্যে ময়লা জমে। প্রত্যেক মুসলিম দিনে বা রাতে যখন'ই ইউরিন আউটপুট (প্রস্রাব) করে তারা পানি দিয়ে ধৌত করে নেয়। কিন্তু হিন্দুরা? তারা করে না। কই কোনদিন কোন মুসলমান হিন্দুদের তাচ্ছিল্য করে বলেনি যে~ তোমরা তো পশুর সমতূল্য কারণ পশুরা প্রস্রাব করে পানি নেয় না!!
একটা মুসলিম মারা গেলে তাকে অত্যন্ত আদর যত্ন করে গোসল করানো হয়, সাদা কাপড় পরিধান করে আতর সুগন্ধি দিয়ে কবরে রাখা হয় অন্যদিকে একজন হিন্দু মারা গেলে নেই কোন গোসল নেই কোন পরিচ্ছন্নতা। সোজা শশ্মান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে কাক টয়লেট করে মাঝে মাঝে বিড়াল ও টয়লেট করে। পরিবেশ দূষণ করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানুষের মত একটা মৃতদেহকে পোড়ানো হয়। কেউ কোনদিন অহংকার করেছে এটা নিয়ে? না করেনি।
যেখানে মুসলিম'রা গরুর মাংস এবং দুধ সেবন করে সেখানে এই হিন্দু জাতি গরুর মূত্র এবং গোবর সেবন করে! এটা নিয়েও কোন মুসলমান আজো হামলা করেনি। কোর'বানি আসলেই হিন্দুদের হাহাকারের বন্য বয়ে যায়! ইসস আহারে কি অমানুষ মুসলিম'রা। কত পাশবিক ভাবে জবাই করে। কিন্তু অন্যদিকে হিন্দুরা লালশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি কুচি কুচি করে কেটে যখন জবাই করে তখন? তখন কি কথা বলতে যাই? মা কালীর সামনে এক কোপে পাঠাকে বলি দিলে বুঝি পাঠার কষ্ট হয় না?
বেশ্যা পাড়া অর্থাৎ~ পতীতাপল্লীর মাটি দিয়ে দূর্গাপূজার মূর্তি তৈরি করা হয়, আজ পর্যন্ত কোন মুসলিম পতীতাপল্লীতে গিয়ে সিজদাহ দিয়েছে? নামায পড়েছে? এইসব বিষয় নিয়ে দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালারা মন্তব্য করেছে? করেনি। ১২ মাসে প্রায় ৩৬ টা পূজা, সেই পূজায় আগুনের ধোয়া, মন্ডপে গিয়ে মদ্যপান করা, ঢোলের তীব্র শব্দে শব্দ দুষণ! কই বছরে মাত্র দুইটা ঈদ। দুই ঈদে কোন আগুনের ধোয়া নেই, শব্দ দূষণ নেই। ঈদগাহ মাঠে কোন মদ্যপান করার সাহস আজ পর্যন্ত কারো হয়নি।
ইন্ধিরা গান্ধী পারমাণবিক বোমা ফুটালে ওয়াও গুড গুড বলে চিৎকার দিয়ে বলা হয়~ এটা হিন্দুস্থানের জয়। সামরিক শক্তির জয়। কোন মুসলমান তো এসবের ভিতরে নাক গলায় না। কিন্তু পাকিস্থানের কাদির খান পারমাণবিক বোমা ফুটালে.. অহ্নো অহ্নো এরা সন্ত্রাসী, এরা ইসলামিক বোমা বানাইছে বলে চিৎকার কেন করা হয়?
সর্বশেষঃ-
********
উপরোক্ত ঘটনা বিবেচনা করে, এতটা নোংরা আবর্জনায় ডুবে থাকা জাতিকে আমরা ভাই বলি।
আমরা বোন বলি। কিন্তু এই হনুমানের জাতির বাসায় কোন মুসলমান গেলে তারা গোবর দিয়ে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয়~ মোল্লা, কাঠমোল্লা, মুসলমান আসলে গরুর গোবরের চেয়েও নিকৃষ্ট জাতি। তবুও আমাদের সমস্যা নেই।
[২]
তাহলে সমস্যা কোথায়? পুরো বিশ্বে জঙ্গী হামলা হলে মুসলিম'রা ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ করে। আজ ভারতে জঙ্গী হামলা, প্রকাশ্য হামলা হচ্ছে। তো বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠন যেমন- ইসকন, হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ কেন ব্যানার নিয়ে ভারতের হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে না? কেন? কারণ আমরা যাদেরকে ভাই বলে ডাকি এরা আসলে ওদের'ই শাখা। আজ ওরাই মুসলমানের হাতে তসবিহ উঠিয়ে দিয়ে নিজেরা বন্দুক হাতে নিয়েছে। ওরা বন্দুকের গুলি ফুটাবে আর মুসলমান তসবিহ হাতে তামাশা দেখবে??
তবুও কিন্তু সমস্যা নেই। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
যেখানে মূল সমস্যাঃ-
******************
হিন্দুরা মসজিদে আগুন দেয় আর ইসলাম ধর্ম মন্দির রক্ষা করতে শেখায়। ব্যস! কিছু সুশীল, কিছু প্রগতিশীলরা এই বাণী আজ মুসলমানের পানিতে গুলিয়ে খাওয়াচ্ছে। এর অর্থ হলো.. ওরা আগুন দিয়ে আল্লাহর কোর'আন , আল্লাহর ঘর আগুন দিয়ে পুড়াবে আর মুসলমান নিজের ধর্ম নিয়ে প্রাউন্ড ফিল করবে। সুশীল'রা আজ মাঠে নেমে তাদের বাণী প্রসব করছে এই বলে যে~ খবরদার মুসলমান কুকুর পায়ে কামড় দিলে তুমি কিন্তু দিও না। কিন্তু মুসলমান জানে কুকুরের পায়ে কামড় দিবো না, কিন্তু ঠিকই কুকুরের জন্য মুগুরের ব্যবস্থা আছে। মুগুর না দিলে এরা কামড়াতেই থাকবে জন্ম থেকে জন্মান্তরের।
এইসব সুশীল'রা হলো মিচকা শয়তানের মত। মিচকা শয়তান নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন~ যার রাগ নেই সে মিচকা শয়তান। এইসব শয়তানদের পাছায় লাথি দিলেও লাথি খেয়ে মুচকি হেসে বলবে ~ লাথিটা বার্গারের মত ছিলো। মিচকা শয়তান'রা জিহাদের বাসনা জাগ্রত করতে দেয় না। কারণ এইসব সুশীল'রা জানে এরা সেই জাতি যারা চারশো সৈন্য নিয়ে বদর, উহুদ, খন্দকের যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
এইসব সুশীল'রা এই বাণী প্রসব করছে কিন্তু মুসলমান ঠিকই জানে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় রাজত্বকারী মহামানব মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে ২৭ টি যুদ্ধ করেছেন। সো খেলা মাত্র শুরু যার শেষ পরিণতি হবে গাজাওয়াতুল হিন্দের মধ্য দিয়ে।
কপি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন