ক্লাসে শিক্ষক পড়া নিচ্ছেন। প্রথমেই সামনে বসা একজন ছাত্রের নিকট একটি প্রশ্ন করলেন। ছাত্রটি শিক্ষকের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এমন সময় উত্তর দেওয়া শেষ হবার আগেই মাঝপথে শিক্ষক বলে উঠলেন, "হচ্ছে না"।
ছাত্রটি আর কোনও কথা বলতে পারলো না।
শিক্ষক এবারে পেছনের আরেকজন ছাত্রের নিকট একই প্রশ্ন করলেন।
এবারে সেই ছাত্রটিও উত্তর দিচ্ছে এমন সময় মাঝ পথে শিক্ষক তাকেও বললেন, "হচ্ছে না"।
কিন্তু ছাত্রটি তখন থেমে না যেয়ে নতুন করে আবার উত্তর দেওয়া শুরু করলো এবং শেষ পর্যন্ত বলে গেলো। এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "হ্যাঁ, হয়েছে"।
এবারে প্রথম সেই সামনে বসা ছাত্রটি বলে উঠলো, "মাফ করবেন স্যার, কিন্তু আমিও তো এই উত্তরগুলোই দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি তো আমার উত্তরগুলো শেষ পর্যন্ত শুনলেন না"!
এবারে শিক্ষক জবাব দিলেন, "তুমি তোমার উত্তরের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলে না ! তাই আমি তোমাকে থামানো মাত্রই তুমি থেমে গিয়েছিলে, অথচ তুমি যদি থেমে না যেয়ে তোমার উত্তরের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে তবে অবশ্যই তোমার উত্তর বলা চালিয়ে যেতে।"
শিক্ষক এবারে সকল ছাত্রদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "এই ব্যাপারটা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তোমাকে যখনই কেউ থামাতে আসবে তখনই নিজেকে প্রমান করবে - "আমিও পারি"।
কিন্তু অন্যের কথামত থেমে যাওয়ার অর্থই হল নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া।
শিক্ষক আরও বললেন, "তোমরা অনেকবার এমন কিছু কথা শুনবে-
"না,তুমি পারবে না।"
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে "আমি পারবো"।
তোমাকে অনেকে বলবে, "হতে পারবে না"।
তখনই তোমাকে প্রমান দিতে হবে, "আমি হয়ে দেখিয়েছি "।
"মনে রাখবে, মানুষ সর্বদা তোমাদেরকে থামাতে চাইবে, কিন্তু তুমি যদি জানো যে তুমি ঠিক করছ তাহলে অবশ্যই সে অনুপাতে কাজ করে তার প্রমান দিতে হবে। আর যদি প্রমান দিতে না পারো তাহলে বুঝতে হবে "তুমি শুধুই বাকপটু, এছাড়া কোনও গুন নেই"।
-আখতার ফারুক।
আমি খুবি সাধারণ একজন। ভালবাসি বই পড়তে। ভালবাসি ভ্রমণ করতে। Mobile No- 0914139916, 01614139916 afaruque.faruque@gmail.com www.facebook.com/aktar.faruque.ctg
মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০
আমিও পারি, আমিও পারবো- (শিক্ষামূলক)
রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০
কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর A to Z
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯)
খ্রি:) চুরুলিয়া গ্রাম, আসানসোল, বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গ।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুলের পিতার নাম কী?
উত্তরঃ কাজী ফকির আহমদ।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার
বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ দশ বছর বয়সে গ্রামের মক্তব থেকে নিম্ন
প্রাইমারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (১৯০৯) হন্ এরপর
১৯১৪ সালের ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে, ১৯১৫
সালে পশ্চিমবঙ্গের রানীগঞ্জ শিয়ারশোল
রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এই স্কুল
থেকে ১৯১৭ সালে দশম শ্রেণী প্রি-টেস্ট পরীক্ষার
সময় লেখাপড়া অসমাপ্ত
রেখে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
প্রশ্নঃ বার বছর বয়সে তিনি কোথায় যোগ দেন?
উত্তরঃ লেটোর দলে এবং দলে ‘পালা গান’
রচনা করেন।
প্রশ্নঃ নজরুল বাংলা সাহিত্যে কী নামে পরিচিত?
উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল বাংলাদেশের কোন সঙ্গীতের
রচয়িতা?
উত্তরঃ রণসঙ্গীত।
প্রশ্নঃ রণসঙ্গীত হিসাবে মূল কবিতাটির কত চরণ
গৃহীত?
উত্তরঃ ২১ চরণ।
প্রশ্নঃ রণসঙ্গীত কী শিরোনামে সর্বপ্রথম কোন
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ নতুনের গান শিরোনামে ঢাকার
শিখা পত্রিকায় ১৯২৮ (১৩৩৫ বঙ্গাব্দে) বার্ষিক
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুলের কোন গ্রন্থে এই সঙ্গীত
অন্তর্ভুক্ত আছে?
উত্তরঃ সন্ধ্যা কাব্য গ্রন্থে।
প্রশ্নঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রথম কোথায়
প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ‘সাপ্তাহিক বিজলী’র ২২ পৌষ (১৩২৮)
সংখ্যায়।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল কোন দৈনিক পত্রিকার যুগ্ম
সম্পাদক ছিলেন?
উত্তরঃ ‘সান্ধ্য দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০)-এর।
প্রশ্নঃ এই পত্রিকার সঙ্গে আর কোন দুজন
রাজনৈতিক নেতা যুক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ কমরেড মুজাফফর আহমদ ও
শেরে বাংলা ফজলুল হক।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুলের সম্পদনায় কোন
অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা বের হত?
উত্তরঃ ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)।
প্রশ্নঃ ধূমকেতু পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের কোন
বাণী ছাপা হয়?
উত্তরঃ ‘আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু/আঁধারে বাঁধ
অগ্নিসেতু-’।
প্রশ্নঃ কোন কবিতা প্রকাশিত
হলে তিনি গ্রেফতার হন?
উত্তরঃ ধূমকেতু’র পূজা সংখ্যায় (১৯২২)
‘আনন্দময়ীর আগমনে’।
প্রশ্নঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁর কোন গীতিনাট্য
নজরুলকে উৎসর্গ করেন?
উত্তরঃ বসন্ত।
প্রশ্নঃ হুগলি জেলে কর্মকর্তাদের অন্যায় আচরণের
বিরুদ্ধে নজরুল অনশন করলে রবীন্দ্রনাথ
নজরুলকে কী লিখে টেলিগ্রাফ পাঠান?
উত্তরঃ Give up hunger strike. Our
literature claims you.
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল জেল থেকে মুক্তি পান কবে?
উত্তরঃ ১৯২৩-এর ১৫ অক্টোবর।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কংগ্রেসের
রাজনীতিতে যোগ দেন কখন?
উত্তরঃ ১৯২৫-এ ফরিদপুর কংগ্রেসের প্রাদেশিক
সম্মেলনে।
প্রশ্নঃ নজরুল সম্পাদিত ‘লাঙ্গল’ পত্রিকার
প্রকাশকাল কত?
উত্তরঃ ১৯২৫ সাল।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুলকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়
কোথায় এবং কখন?
উত্তরঃ ১৯২৯-এর ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার
অ্যালবার্ট হলে।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম
কী?
উত্তরঃ ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত রচনার নাম কী?
উত্তরঃ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ
১৩২৬; সওগাত)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম কী?
উত্তরঃ মুক্তি (প্রকাশ: শ্রাবণ ১৩২৬)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম কী?
উত্তরঃ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী (প্রকাশ: জ্যৈষ্ঠ
১৩২৬)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের
নাম কী?
উত্তরঃ ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের
নাম কী?
উত্তরঃ অগ্নি-বীণা (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম
কি?
উত্তরঃ বাঁধনহারা (১৯২৭)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধের নাম
কী?
উত্তরঃ তুর্কমহিলার ঘোমটা খোলা (প্রকাশ:
কার্তিক ১৩২৬)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ কোনটি?
উত্তরঃ যুগবাণী (অক্টোবর ১৯২২)।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম কী?
উত্তরঃ ঝিলিমিলি (১৩৩৪, নওরোজ)।
প্রশ্নঃ প্রথম প্রকাশিত নাট্য গ্রন্থ কী?
উত্তরঃ ঝিলিমিলি (১৩৩৭)। এই গ্রন্থে মোট
তিনটি নাটক আছে।
প্রশ্নঃ নজরুলের প্রথম বাজেয়াপ্ত গ্রন্থের নাম
কী?
উত্তরঃ বিষের বাঁশী (প্রকাশ: আগষ্ট ১৯২৪/
বাজেয়াপ্ত: ২৪ অক্টোবর ১৯২৪)।
প্রশ্নঃ নজরুলের মোট কয়টি গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত হয়,
কী কী?
উত্তরঃ ৫টি। বিশের বাঁশী, ভাঙার গান, প্রলয় শিখা,
চন্দ্রবিন্দু, যুগবাণী।
প্রশ্নঃ জেলে বসে লেখা জবানবন্দির নাম কী?
উত্তরঃ রাজবন্দির জবানবন্দি। রচনার তারিখ:
৭/১/১৯২৩
প্রশ্নঃ ‘দারিদ্র্য’ কবিতাটি নজরুল ইসলামের কোন
কাব্যের অন্তর্গত?
উত্তরঃ সিন্ধু হিন্দোল কাব্যের।
প্রশ্নঃ কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল
ইসলামের ‘অগ্নিবীনা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
উত্তরঃ রক্তাম্বরধারিনীমা।
প্রশ্নঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের
কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তরঃ অগ্নি-বীণা।
প্রশ্নঃ অগ্নি-বীণা কাকে উৎসর্গ করা হয়?
উত্তরঃ বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে।
প্রশ্নঃ অগ্নি-বীণার প্রথম কবিতা কোনটি?
উত্তরঃ প্রলয়োল্লাস।
প্রশ্নঃ নজরুলের কোনটি পত্রোপন্যাসের
পর্যায়ভুক্ত।
উত্তরঃ বাঁধনহারা।
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয়
অতিথি হিসেবে নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকায়
আনায়ন করা হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৭২-এর ২৪ মে।
প্রশ্নঃ কবির বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোকী কী?
উত্তরঃ ‘অগ্নি-বীণা’ (১৯২২), বিষের বাঁশি (১৯২৪),
ভাঙার গান (১৯২৪), সাম্যবাদী (১৯২৫),
সর্বহারা (১৯২৬), ফণি-মনসা (১৯২৭), জিঞ্জির
(১৯২৮), সন্ধ্যা (১৯২৯), প্রলয় শিখা (১৯৩০)
ইত্যাদি।
প্রশ্নঃজবিনী কাব্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ ‘চিত্তনামা’ (১৯২৫) ও মরু-ভাস্কর (১৯৫০)।
প্রশ্নঃ চিত্তনামা ও মরু-ভাস্কর কার
জীবনভিত্তিক কাব্য?
উত্তরঃ চিত্তনামা : দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ:
মরু-ভাস্কর: হয়রত মুহম্মদ।
প্রশ্নঃ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবনী গ্রন্থ
কোনটি?
উত্তরঃ মরু ভাস্কর।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাসগুলোর নাম
উল্লেখ কর।
উত্তরঃ ‘বাঁধনহারা’ (১৯২৭), মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০) ও
কুহেলিকা (১৯৩১)।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত
গল্পগ্রন্থগুলোরনাম কর।
উত্তরঃ ব্যথার দান (১৯২২), রিক্তের বেদন (১৯২৫),
শিউলিমালা (১৯৩১)।
প্রশ্নঃ সংগীত বিষয়ক গ্রন্থাবলীর উল্লেখ কর।
উত্তরঃ চোখের চাতক, নজরুল গীতিকা, সুর সাকী,
বনগীতি প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত
সরকার কর্তৃক কোন কোন পদক দেয়া হয়?
উত্তরঃ যথাক্রমে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৪৫) ও
পদ্মভূষণ (১৯৬০) পদক দেয়া হয়।
প্রশ্নঃ ডি-লিট পদক ‘রবীন্দ্রভারতী ও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কখন দেয়া হয়?
উত্তরঃ যথাক্রমে ১৯৬৯ সাল ও ১৯৭৪ সালে।
বাংলাদেশ সরকার ‘একুশে পদক’ দেন ১৯৭৬ সালে।
প্রশ্নঃ বিবিসির বাংলা বিভাগ কর্তৃক জরিপকৃত
(২০০৪) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায়
নজরুলের স্থান কত?
উত্তরঃ তৃতীয়।
প্রশ্নঃ বাল্যকাল তিনি কী নামে পরিচিত ছিলেন?
উত্তরঃ দুখু মিয়া।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কী নামে খ্যাত?
উত্তরঃ বিদ্রোহী কবি।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় কে প্রথম ইসলামী গান ও
গজল রচনা করেন?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম ১৯১৭ সালে কত
নং বাঙালি পল্টনে যোগ দেন।
উত্তরঃ ৪৯ নং
প্রশ্নঃ আদালতে প্রদত্ত কবি নজরুলের রচনার নাম
কী?
উত্তরঃ রাজবন্দীর জবানবন্দি
প্রশ্নঃ ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত ‘বিষের বাঁশী’
কাব্যগ্রন্থ কার নামে উৎসর্গ করেন।
উত্তরঃ মিসেস এম রহমান
প্রশ্নঃ ‘চন্দ্রবিন্দু’ কাজী নজরুল ইসলামের কোন
ধরনের রচনা?
উত্তরঃ গল্প
প্রশ্নঃ ‘ভাঙ্গার গান’ কাজী নজরুল ইসলামের কোন
ধরনের রচনা?
উত্তরঃ কাব্যগ্রন্থ।
প্রশ্নঃ আবুল মনসুর আহমদ এর কোন
গ্রন্থে কাজী নজরুল ইসলাম ভূমিকা রচনা করেছেন?
উত্তরঃ আয়না
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত
তিনটি পত্রিকার নাম কী?
উত্তরঃ ধূমকেতু (১৯২২), লাঙ্গল (১৯২৫), দৈনিক
নবযুগ (১৯৪১)
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের তিনটি নাটকের নাম
করুন।
উত্তরঃ ঝিলমিলি, আলেয়া, পুতুলের বিয়ে
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নি-বীণা’
কাব্যের প্রথম কবিতাটি কোনটি?
উত্তরঃ প্রলয়োল্লাস।
প্রশ্নঃ ১৯৩০ সালে কোন কবিতার জন্য নজরুল
ইসলাম ৬ মাসের জন্য কারাবরণ করেন?
উত্তরঃ প্রলয় শিখা
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমমূলক
রচনা কোনটি?
উত্তরঃ শিউলীমালা
প্রশ্নঃ ‘সাম্যবাদী’ কাজী নজরুলের কোন জাতীয়
রচনা? কত সালে কোথায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ কবিতা, ১৩৩২ বঙ্গাব্দে ১লা পৌষ ‘লাঙ্গল’
পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ ‘আমি সৈনিক’ রচনাটি কবি নজরুল ইসলামের
কোন গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত।
উত্তরঃ দুর্দিনের যাত্রী।
প্রশ্নঃ কত সলে কবি নজরুলকে বাংলাদেশের
নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থের
নাম কী এবং কত সালে প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ অগ্নিবীণা, ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের দুটি অনুবাদ গ্রন্থের
নাম করুন।
উত্তরঃ রুবাইয়াৎ-ই-হাফিজ (১৯৩০) ও রুবাইয়াৎ-ই-
ওমর খৈয়াম (১৯৬০)।
প্রশ্নঃ এ পর্যন্ত কাজী নজরুল ইসলামের প্রকাশিত
গ্রন্থের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৫১টি
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরকে কোন গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন?
উত্তরঃ সঞ্চিতা।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুলের ‘সাম্যবাদী’ কবিতাটি প্রথম
কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ লাঙ্গল।
প্রশ্নঃ নজরুল সাহিত্যের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ সংস্কার ও বন্ধন মুক্তি
প্রশ্নঃ কত সালে কাজী নজরুল ইসলাম
আশালতা সেন গুপ্তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ
হন?
উত্তরঃ ১৯২৪ সালে
প্রশ্নঃ ১৯২২ সালে ধূমকেতুর শারদীয় সংখ্যায়
কী কী প্রকাশের জন্য কাজী নজরুল ইসলামকে এক
বৎসর কারাবণ করতে হয়?
উত্তরঃ আনন্দময়ীর
আগমনে কবিতা এবং ‘বিদ্রোহীর কৈফিয়াৎ’
প্রকাশের জন্য।
প্রশ্নঃ কত সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কবি নজরুলকে ডক্টরেট উপাধি প্রদান করে?
উত্তরঃ ১৯৭৪ সালে
প্রশ্নঃ নজরুল ইসলামের কবিতা সর্বপ্রথম কোন
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
উত্তরঃ বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য পত্রিকায়।
প্রশ্নঃ বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে দুটি বৃক্ষ আছে।
তার একটি রবীন্দ্রনাথের নামে অপরটি কার নামে?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলামের নামে।
প্রশ্নঃ নজরুলকে দিয়ে কবিতা লিখিয়ে তা
পত্রিকায়
প্রকাশ করে সুবিধা আদায় করতে চেয়েছিল কে?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ ‘যাকে হাত দিয়ে মালা দিতে পার নি’- এই
বিখ্যাত গানের চরণটি নজরুল কাকে উদ্দেশ্য
করে রচনা করেছেন?
উত্তরঃ নার্গিসকে।
প্রশ্নঃ নার্গিসের বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ কুমিল্লা জেলার দৌলতপুরে।
প্রশ্নঃ নজরুল ইসলামের রচনা দুটো ঐতিহ্য একই
মিলন মোহনায় এসে মিসেছে। ঐতিহ্য দুটো কী?
উত্তরঃ মুসলিম ঐতিহ্য এবং হিন্দু ঐতিহ্য।
প্রশ্নঃ মুসলিম ও হিন্দু এতিহ্যকে একীভূত করার
উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ছেলের নাম কী রাখেন?
উত্তরঃ কৃষ্ণ-মোহাম্মদ
প্রশ্নঃ নজরুল মায়ের মত সম্মান করতো কোন
মহিলাকে?
উত্তরঃ বিরজা সুন্দরী নামে কুমিল্লার এক হিন্দু
মহিলাকে।
প্রশ্নঃ তিনি মৃত্যুবরণ করেন কবে?
উত্তরঃ ২৯ আগষ্ট, ১৯৭৬; ১২ ভাদ্র ১৩৮৩
বঙ্গাব্দ।
বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০
নিজের সন্তানকে একটু সময় দিন।
ছোট্ট একটা গল্প বলবো আজ। এই গল্পে স্থান বিষয়টা সম্পূর্ণ আপেক্ষিক। হতে পারে গল্পটা অ্যামেরিকার, অথবা অস্ট্রেলিয়ার, আবার হতে পারে গল্পটা আমাদের বাংলাদেশের কোন এক পরিবারের। গল্পটা হয়তো মিথ্যা, আবার হয়তো-বা সত্য।
এই গল্পের চরিত্র মাত্র দুইটি। এক বাবা আর তার এক সন্তান। অন্য কোন চরিত্রের কোনরকম প্রয়োজন নেই এই গল্পে। তাহলে শুরু করি।
গল্পের খাতিরে ধরে নেই, সন্তানের নাম 'জিমি'। জিমির বয়স কতো আর হবে, হয়তো ৬ বছর, আবার হয়তো-বা ৭ বছর। কোন এক রাতে জিমি তার রুম থেকে তার বাবার রুমে আসলো। তার বাবা তখন অফিসের কোন একটা প্রজেক্টের হিসাব করতে ব্যস্ত।
- বাবা, কি করছো তুমি?
--- এইতো জিমি, আমি একটু ব্যস্ত। কিছু বলবে?
- বাবা, কাল ছুটির দিন। কালকে তুমি আমাকে একটু ঘুরতে নিয়ে যাবে, অনেকদিন চিড়িয়াখানা যাই না, আমাদের বাসা থেকে তো খুব কাছেই।
--- না, কালকে সারা সকাল আমার কাজ আছে, বিকালে পার্টি আছে। তুমি এখন যাও, ঘুমাও।
জিমি চুপ করে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকলো। জিমি দাঁড়িয়ে আছে দেখে তার বাবা কাজ থামিয়ে আবার বললো,
--- দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর কিছু বলবে?
- একটা প্রশ্ন করি, বাবা। হোমওয়ার্ক এর একটা অংক মেলাতে পারছি না। অংকটা এরকম, ধরা যাক, তোমার বেতন মাসে ৪,০০০ ডলার। তুমি মাসে ২০০ ঘন্টা কাজ করলে, তাহলে তোমার ঘন্টা প্রতি আয় কতো?
--- খুবই সহজ অংক। ২০ ডলার।
- বাবা, আর একটা কথা বলি। তুমি আমাকে ১০ ডলার দিবে? রং-পেন্সিল কিনতাম। আমার রং-পেন্সিল শেষ হয়ে গেছে।
--- জিমি, তুমি ইদানিং অমনোযোগী হয়ে গেছো। সাধারণ একটা অংক আজকাল তুমি করতে পারো না। তুমি পড়তে যাও। তোমাকে আমি রং-পেন্সিল কিনে দিবো না।
পরের দিন বিকাল বেলা। আজ ছুটির দিন। জিমির বাবা এখন পার্টিতে যাবেন। প্রতি ছুটির দিনে বিকালে তিনি তার ফ্রেন্ড-সার্কেল নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দেন। যাওয়ার আগে কি যেন মনে করে তিনি একবার জিমির রুমে গেলেন। দেখে বিছানায় জিমি চুপচাপ শুয়ে আছে।
--- জিমি, এই নাও ১০ ডলার, রং-পেন্সিল কিনে নিও। আমি এখন বাইরে যাচ্ছি।
- ১মিনিট বাবা।
জিমি বাবার হাত থেকে ১০ ডলারের নোট-টা নিলো। এরপর দৌড়ে গিয়ে তার ড্রয়ার থেকে কি যেন নিয়ে আবার তার বাবার কাছে আসলো।
- বাবা, স্কুলের টিফিনের পয়সা জমিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১০ ডলার জমা করেছি, আর তোমার দেয়া এই ১০ ডলার নিয়ে আমার কাছে এখন মোট ২০ ডলার আছে। এই নাও ২০ ডলার, তোমার মাত্র এক ঘন্টার ইনকাম। বাবা, তুমি কি আমাকে একটা ঘন্টা সময় দিবে ... অনেকদিন তোমাকে কাছে পাই না ... অনেকদিন তোমার সাথে ঠিকমতো গল্প করা হয় না...
(প্লিজ প্রতিদিন কিছু সময় সন্তানদের জন্য রাখুন)
সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০
এক চিলতে হাসি।
আমি নোনা জলে সিক্ত ঠোটে
একচিলতে হাসি চাই,
আমি সমুদ্রতীরে গোধূলী লগ্নে
নগ্ন পায়ে হাটতে চাই।
আমি পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলতে চাই- ভালোবাসি!
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায়।
শুধু তোমার জন্য-
আমি আর একবার হাসতে চাই,
আর একবার প্রানখুলে বাচতে চাই। আর একবার নিশ্বাস ভরা বুকে
বলতে চাই- ভালোবাসি!
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায়!
প্রত্যেক পুরুষের সফলতার পিছনে একজন নারীর হাত আছে”.
থাইল্যাণ্ডের একটি কুমিরের খামারে একটি কোম্পানির বার্ষিক বনভোজন চলাকালীন কোম্পানীর চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন যে, _কোনও কর্মচারী যদি কুমিরে ভরা এই পুকুর সাঁতরে এপার থেকে ওপারে রজ জীবন নিয়ে বেঁচে উঠতে পারে তবে সে ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার পাবে আর যদি সে মারা যায় তবে তাঁর পরিবার ২ মিলিয়ন ডলার পাবে।_
দীর্ঘক্ষণ ধরে কেউই চ্যালেঞ্জ নিতে সাহস করেনি। তারপর হঠাৎ একজন ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তার জীবনহানির কথা ভেবে পাড়ে দাঁড়ানো সবাই আফশোষ করতে থাকে।
তবে সৌভাগ্যক্রমে সে অক্ষত অবস্থায় পুকুরটি পার হতে সক্ষম হয়। হাঁপাতে হাঁপাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর কোম্পানির চেয়ারম্যান মিলিওনেয়ার ব্যাংক চেক সেই কর্মচারীটির হাতে তুলে দেয়। কিন্তু সে কর্মচারীটি চেঁচিয়ে বলতে থাকে, “আমাকে কে ধাক্কা দিয়েছিল?” দুর্ভাগ্যক্রমে পরে জানতে পারলো, কাজটি তার স্ত্রীই করেছিলেন।
এবং সেই দিন থেকে এই প্রবাদটির সৃষ্টি হয় যে, _"প্রত্যেক পুরুষের সফলতার পিছনে একজন নারীর হাত আছে”...
😂🤣😂
রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০
ভারত গাজওয়াতুল হিন্দের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
হিন্দু ধর্মে স্বামী-স্ত্রী *** করার পর গোসল আবশ্যিক নয়। কাপড় চেঞ্জ করলেই যথেষ্ট। কই কোনদিন তো কোন মুসলমান গর্ব বা অহংকার করে বলেনি তোমরা আবর্জনার মত নোংরা জাতি!
ভারতের অঘোরি তান্ত্রিক সাধুরা মৃত হিন্দু নারীর সাথে সেক্স করেন! কোন মুসলমান আজ পর্যন্ত কোন মৃত মুসলমান নারীর সাথে এই কাজ করার সাহস পায়নি! নাভীর নিচে চুল যাকে মেডিকেল ভাষায় বলা হয় পিউবিক হেয়ার, বাংলা ভাষায় চুল, হিন্দি ভাষায় বাল বলা হয়! হিন্দু নর-নারীরা এটাকে পরিষ্কার না করেই কয়েক বছর কাটিয়ে দেন। এক বছরে ১২ বার মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল বা ঋতুচক্র হয় এতটা অপরিষ্কার থাকে তারা অন্যদিকে মুসলমানদের ৪০ দিনের মধ্যে এটা ছেটে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে! কই কখনো কোন মুসলিম বলেছে তোমরা পশুর মত জাতি?
ছেলেদের যৌনাঙ্গের মাথায় এক্সট্রা চামড়া থাকে যাকে মেডিকেল ভাষায় বলা হয় প্রোপিউস! এটা মুসলিম'রা সুন্নতে খাৎনার মধ্য দিয়ে কেটে ফেলে! অন্যদিকে হিন্দুরা এটা রেখে দেয়, রেখে দেয় বলেই এর মধ্যে ময়লা জমে। প্রত্যেক মুসলিম দিনে বা রাতে যখন'ই ইউরিন আউটপুট (প্রস্রাব) করে তারা পানি দিয়ে ধৌত করে নেয়। কিন্তু হিন্দুরা? তারা করে না। কই কোনদিন কোন মুসলমান হিন্দুদের তাচ্ছিল্য করে বলেনি যে~ তোমরা তো পশুর সমতূল্য কারণ পশুরা প্রস্রাব করে পানি নেয় না!!
একটা মুসলিম মারা গেলে তাকে অত্যন্ত আদর যত্ন করে গোসল করানো হয়, সাদা কাপড় পরিধান করে আতর সুগন্ধি দিয়ে কবরে রাখা হয় অন্যদিকে একজন হিন্দু মারা গেলে নেই কোন গোসল নেই কোন পরিচ্ছন্নতা। সোজা শশ্মান ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে কাক টয়লেট করে মাঝে মাঝে বিড়াল ও টয়লেট করে। পরিবেশ দূষণ করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানুষের মত একটা মৃতদেহকে পোড়ানো হয়। কেউ কোনদিন অহংকার করেছে এটা নিয়ে? না করেনি।
যেখানে মুসলিম'রা গরুর মাংস এবং দুধ সেবন করে সেখানে এই হিন্দু জাতি গরুর মূত্র এবং গোবর সেবন করে! এটা নিয়েও কোন মুসলমান আজো হামলা করেনি। কোর'বানি আসলেই হিন্দুদের হাহাকারের বন্য বয়ে যায়! ইসস আহারে কি অমানুষ মুসলিম'রা। কত পাশবিক ভাবে জবাই করে। কিন্তু অন্যদিকে হিন্দুরা লালশাক, পালংশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক ইত্যাদি কুচি কুচি করে কেটে যখন জবাই করে তখন? তখন কি কথা বলতে যাই? মা কালীর সামনে এক কোপে পাঠাকে বলি দিলে বুঝি পাঠার কষ্ট হয় না?
বেশ্যা পাড়া অর্থাৎ~ পতীতাপল্লীর মাটি দিয়ে দূর্গাপূজার মূর্তি তৈরি করা হয়, আজ পর্যন্ত কোন মুসলিম পতীতাপল্লীতে গিয়ে সিজদাহ দিয়েছে? নামায পড়েছে? এইসব বিষয় নিয়ে দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালারা মন্তব্য করেছে? করেনি। ১২ মাসে প্রায় ৩৬ টা পূজা, সেই পূজায় আগুনের ধোয়া, মন্ডপে গিয়ে মদ্যপান করা, ঢোলের তীব্র শব্দে শব্দ দুষণ! কই বছরে মাত্র দুইটা ঈদ। দুই ঈদে কোন আগুনের ধোয়া নেই, শব্দ দূষণ নেই। ঈদগাহ মাঠে কোন মদ্যপান করার সাহস আজ পর্যন্ত কারো হয়নি।
ইন্ধিরা গান্ধী পারমাণবিক বোমা ফুটালে ওয়াও গুড গুড বলে চিৎকার দিয়ে বলা হয়~ এটা হিন্দুস্থানের জয়। সামরিক শক্তির জয়। কোন মুসলমান তো এসবের ভিতরে নাক গলায় না। কিন্তু পাকিস্থানের কাদির খান পারমাণবিক বোমা ফুটালে.. অহ্নো অহ্নো এরা সন্ত্রাসী, এরা ইসলামিক বোমা বানাইছে বলে চিৎকার কেন করা হয়?
সর্বশেষঃ-
********
উপরোক্ত ঘটনা বিবেচনা করে, এতটা নোংরা আবর্জনায় ডুবে থাকা জাতিকে আমরা ভাই বলি।
আমরা বোন বলি। কিন্তু এই হনুমানের জাতির বাসায় কোন মুসলমান গেলে তারা গোবর দিয়ে পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয়~ মোল্লা, কাঠমোল্লা, মুসলমান আসলে গরুর গোবরের চেয়েও নিকৃষ্ট জাতি। তবুও আমাদের সমস্যা নেই।
[২]
তাহলে সমস্যা কোথায়? পুরো বিশ্বে জঙ্গী হামলা হলে মুসলিম'রা ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ করে। আজ ভারতে জঙ্গী হামলা, প্রকাশ্য হামলা হচ্ছে। তো বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠন যেমন- ইসকন, হিন্দু খ্রিস্টান বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ কেন ব্যানার নিয়ে ভারতের হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে না? কেন? কারণ আমরা যাদেরকে ভাই বলে ডাকি এরা আসলে ওদের'ই শাখা। আজ ওরাই মুসলমানের হাতে তসবিহ উঠিয়ে দিয়ে নিজেরা বন্দুক হাতে নিয়েছে। ওরা বন্দুকের গুলি ফুটাবে আর মুসলমান তসবিহ হাতে তামাশা দেখবে??
তবুও কিন্তু সমস্যা নেই। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
যেখানে মূল সমস্যাঃ-
******************
হিন্দুরা মসজিদে আগুন দেয় আর ইসলাম ধর্ম মন্দির রক্ষা করতে শেখায়। ব্যস! কিছু সুশীল, কিছু প্রগতিশীলরা এই বাণী আজ মুসলমানের পানিতে গুলিয়ে খাওয়াচ্ছে। এর অর্থ হলো.. ওরা আগুন দিয়ে আল্লাহর কোর'আন , আল্লাহর ঘর আগুন দিয়ে পুড়াবে আর মুসলমান নিজের ধর্ম নিয়ে প্রাউন্ড ফিল করবে। সুশীল'রা আজ মাঠে নেমে তাদের বাণী প্রসব করছে এই বলে যে~ খবরদার মুসলমান কুকুর পায়ে কামড় দিলে তুমি কিন্তু দিও না। কিন্তু মুসলমান জানে কুকুরের পায়ে কামড় দিবো না, কিন্তু ঠিকই কুকুরের জন্য মুগুরের ব্যবস্থা আছে। মুগুর না দিলে এরা কামড়াতেই থাকবে জন্ম থেকে জন্মান্তরের।
এইসব সুশীল'রা হলো মিচকা শয়তানের মত। মিচকা শয়তান নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন~ যার রাগ নেই সে মিচকা শয়তান। এইসব শয়তানদের পাছায় লাথি দিলেও লাথি খেয়ে মুচকি হেসে বলবে ~ লাথিটা বার্গারের মত ছিলো। মিচকা শয়তান'রা জিহাদের বাসনা জাগ্রত করতে দেয় না। কারণ এইসব সুশীল'রা জানে এরা সেই জাতি যারা চারশো সৈন্য নিয়ে বদর, উহুদ, খন্দকের যুদ্ধে জয়লাভ করেছে।
এইসব সুশীল'রা এই বাণী প্রসব করছে কিন্তু মুসলমান ঠিকই জানে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় রাজত্বকারী মহামানব মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে ২৭ টি যুদ্ধ করেছেন। সো খেলা মাত্র শুরু যার শেষ পরিণতি হবে গাজাওয়াতুল হিন্দের মধ্য দিয়ে।
কপি
একুশের আক্ষেপানুরাগ
বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...

-
আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে ত্রিশোত্তর যুগের কবিদের মধ্যে জীবনান্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) সর্বশ্রেষ্ঠ। মনন, মেধায়, চিন্তা-চেতনায়, চিত্রকল্প রচনা...
-
প্রমথ চৌধুরী বলে ছিলেন, "বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে".... চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে ব্যপারটা আসলেই চিন্তা...
-
"বুঝা" এবং "বোঝা" শব্দ দুইটি নিয়ে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আমরা অনেকেই "বুঝা" এর জায়গায় "বোঝা...