রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আমাকে চিনেন?

কোর্টে একটা কেস চলতেছে। সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন এক দাদীমা। তাঁর বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা। যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে এবং জেরা শুরু করলেন।

উকিল: আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন?

দাদী মা : চিনিনা মানে? বিলক্ষণ চিনি। তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না! তুমি তো সবসময় মিছা কথা কও। তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাইয়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর। লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর।  তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছ ও না! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি। আরো কিছু বলব?

উকিল এই শুইন্যা পুরো ঘাবড়ায় গেলেন। গোটা কোর্টের লোকজন ও একদম হা হইয়া গেছে। কী করবে বুঝতে না পেরে এবার উকিল আসামি পক্ষের উকিল রে দেখায় বললেন-

উকিল: দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন?

দাদী-মা: আরে, আসলাম না? ওরে কেন চিনুম না। আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু। ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল। বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী। আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে। কার ও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না। এই জেলার সবথেকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম।
ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম। এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে। তার একটা তোমার বউ এর লগে!

এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন। এইবার বিচারক বললেন-

বিচারক- “মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন। আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝুলামু”
বিচারক দাদী-মা কে তাড়াতাড়ি বেকসুর খালাস দিল!!!
Aktar Faruque

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...