বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিমন্ত্রণ পাওয়া কুকুরের গল্প

এক ভদ্রলোক বাড়িতে এক বিরাট ভোজের আয়োজন করেছিলেন। তাঁর এক বন্ধুকেও নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুর সাথে সাথে বন্ধুর কুকুরটাও এসে হাজির হ’ল সেই ভোজে। সেই ভদ্রলোকের নিজের কুকুর তখন মালিকের বন্ধুর কুকুরকে দেখে এগিয়ে এল। “এসো দোস্ত” বলল সে, “আমাদের সাথেই আজ খেয়ে নাও।” নিমন্ত্রণ পেয়ে সে কুকুরের ত মহা আনন্দ হল। ভোজের আয়োজন দেখে সে মনে মনে বলল, “বিরাট ব্যাপার, কোন সন্দেহ নেই এতে, সত্যি বলতে কি খুবই সৌভাগ্য আমার। যা যা মন চায় খাব আজকে, ভাল করে খেয়ে নেওয়া দরকার আজ রাতে, কে জানে কাল আবার কতটুকু খাবার জুটবে।” নিজের মনে এইসব ভাবনা ভাবতে ভাবতে মহা খুশীতে সে তার লেজ নাড়াতে থাকল। এক ফাঁকে নিজের বন্ধুর দিকে তাকিয়ে চতুর একটা হাসিও দিয়ে দিল সে। কিন্তু তার এই লেজ নাড়ানো পাচক মশায়ের নজরে পড়ে গেল। অচেনা অজানা এক কুকুর দেখে সে সোজা সেটার ঠ্যাং ধরে জানালা দিয়ে নীচের রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিল। মাটিতে পড়ার পর কঁকিয়ে উঠে সেই কুকুর রাস্তা ধরে হাঁটা দিল। তার আওয়াজ শুনে রাস্তা থেকে অন্যান্য কুকুররা ছুটে এল তার কাছে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল কেমন ভোজ খেল সে। “আমার মনে হয়,” বলল সে, একটা দুঃখের হাসি মুখে ঝুলিয়ে, “আসলে আমি ঠিক মত জানিই না, তরল পানীয়তে ডুবেছিলাম তো, কোথা দিয়ে কি ভাবে যে ও বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছি সেটা পর্যন্ত ধরতে পারিনি।”

প্রাচীন বচনঃ পিছনের দরজা দিয়ে যারা ঢুকে, জানালা দিয়ে তাদের ছুঁড়ে ফেলা হলে সেই নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ করা সাজে না।

ঈমানের পরীক্ষা।

ফেরাউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল একজন মহিলা। কোনো একদিন ফেরাউন কন্যার চুল আঁচড়ানোর সময় সহসা চিরুণি তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে গেল। তা ওঠাতে গিয়ে আনমনে তার মুখ থেকে বের হয়ে পড়ল,বিসমিল্লাহ্।আল্লাহু আকবর।

এ কথায় ফেরাউনের কন্যার সন্দেহ হলে জিজ্ঞেস করল, ফেরাউন ছাড়াও কি তোমার কোনো আল্লাহ আছে নাকি? দাসী জবাবে বলল, "আমার আল্লাহ সেই যে ফেরাউনেরও আল্লাহ।

শুধু ফেরাউন নয় সে আকাশ জমিনেরও আল্লাহ। তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নেই।

একথা শুনে রাগে ফেরাউনের কন্যা অগ্নিশর্মা হয়ে পিতার কাছে গিয়ে বলল, আব্বা আমার চুল বিন্যাসকারিণী বলে কি, আমার আল্লাহ সেই যে ফেরাউনেরও আল্লাহ, আসমান জমিনেরও আল্লাহ। তার কোনো শরীক নেই।

ফেরাউন বলল, এক্ষুণি তাকে হাজির কর'।
সাথে সাথে তাকে হাজির করা হলো।

সেও নির্ভয়ে হাজির হলো।
আজ তার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার ঈমানী পরীক্ষার দিন। এতে প্রাণ দিতে হলে দেবে। তারই ভালোবাসায় যদি জীবন দেওয়া যায় তবেই তো ধন্য।

ফেরাউন জিজ্ঞেস করল, তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কর? তিনি বললেন, "হ্যাঁ"।
ফেরাউন বলল, সে আল্লাহকে ছেড়ে এখনই আমার সামনে আমার আল্লাহয়ী স্বীকার কর'।
তিনি বললেন, "না কিয়ামত পর্যন্তও তা আমার দ্বারা সম্ভব হবে না"।

নির্দেশ দেওয়া হলো তাকে সিকল দিয়ে বেধে ফেলার। তৎক্ষণাৎ তাকে শুইয়ে তার হাতে ও পায়ে সিকল বাধা হলো। তারপর আল্লাহ ওয়ালাদেরকে কষ্ট দেওয়ার জন্য যে বিষাক্ত সাপ, বিচ্ছু রাখা হতো তাও এনে তার উপর ছেড়ে দেওয়া হলো।

বলা হলো, এখনো সময় আছে তোমার আল্লাহকে ছাড় নতুবা তোমাকে লাগাতার এ শাস্তি দেওয়া হবে'।তিনি বললেন, "তুমি আমাকে যত পার শাস্তি দিয়ে দেখ আল্লাহ্ প্রতি ভালোবাসা এক বিন্দুও কমবে না, বরং বাড়বে"।

ঈমানের অবস্থা এই রকম যে, যখন তার স্বাদ কোনো অন্তরে প্রবেশ করে তখন তা আর বের হয়না। হে ফেরাউন শুনে রাখ, তুমি যদি বছরের পর বছর আমাকে শাস্তি দিতে থাক তবুও আমি আমার মহান প্রভুকে পরিহার করব না।
এ নেক মহিলার পাঁচটি সন্তান ছিল একটি ছিল দুগ্ধপোষ্য। ফেরাউন তাকে উচিত শিক্ষা দিতে সন্তানদেরকে তার মায়ের সামনে এনে।প্রথমে বড় সন্তানকে গরম তেল এর পাতিলে ফেলে দেয়।

তারপর বলল, 'এখনও সুযোগ আছে নতুবা সব সন্তানকে হারাবে। তোমার দুগ্ধপোষ্য এ শিশুটিকেও হত্যা করা হবে। তিনি বললেন, "যদি তুমি যাই কর, তবুও আমি আমার আল্লাহকে ছাড়ব না।

একথা শুনে হুকুম দেওয়া হলো পর পর চারটি শিশুকে গরম তেল এ ফেলে দেওয়া হল। আর কিছুক্ষণ পরেই ভেসে উঠছিল তাদের হাড়গুলো। দুগ্ধপুষ্ট শিশু সন্তানটি মায়ের বুকের উপর চড়ে দুধ পান করছিল তাকেও টেনে হিছড়ে নিয়ে যেতে ধরল। এ অবস্থা দেখে মায়ের চোখে পানি আর ধরছিল না।

৬ মাসের এ শিশুর মুখ থেকে কথা বের হলো, বলল, মা কেন কাঁদ?

জান্নাত তোমার জন্য সুসজ্জিত করা হচ্ছে। মা জান্নাতে পৌঁছে আল্লাহর দীদার হাসিল হবে"।এখনো কথা বলতে পারে না এমন শিশুর মুখ থেকে একথা শুনে মা অবাক হলেন। ঈমান আরও মজবুত হলো।

জালিমরা শিশুটিকে হত্যা করল। এরপর তাকেও গরম তেল এ ফেলা হল।মা প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে চির জান্নাত বাসিনী হলেন। তাফসিরে দুররে মানসুরে আছে, রাসুল (সাঃ) যখন মেরাজে যাচ্ছিলেনa, বোরাক মিসরের কাছাকাছি এক ময়দানে পৌঁছল,তখন জান্নাতের খুশবু তিনি অনুভব করলেন।

বললেন, "খুব সুন্দর সুঘ্রাণ পাচ্ছি, মনে হয় এটা জান্নাতের সুঘ্রাণ।" জিবরাইল (আঃ) বললেন, জান্নাত তো অনেক দূরে, মনে হয়,ফেরাউন কন্যার কেশ বিন্যাসকারিণী মহিলার কবর থেকে এ সুঘ্রাণ আসছে।  সুবাহানআল্লাহ।

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

জীবন সত্যি বৈচিত্র্যময়...

কারো পাজারো গাড়ি থামছে রাতের গভীরে নিষিদ্ধ পল্লীতে, ঘরে অপেক্ষারত স্ত্রী দীর্ঘশ্বাস ফেলছে...! কেউ ভাঙা ঘরে থেকে স্ত্রীকে নিয়ে অবিরত স্বপ্নের জোয়ারে ভাসছে।

কেউ ভাবছে আর কয়েকটা দিন! ডিভোর্স পেপারে সাইন করলেই মুক্তি। কেউ একটা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধ করে চলছে।

কেউ সন্তান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছে। কেউ একটা সন্তানের জন্য সারাটা জীবন হাহাকার করছে!

কেউ বছরে কতোজন ভালবাসার মানুষ বদলে ফেলছে! কেউ শুধু একটা সত্যিকারের ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করে চলছে।

কেউ দামি শাড়ি হাতে পেয়ে তবু খুশি নয়! কেউ তাঁতের নতুন শাড়ির  বারবার গন্ধ শুঁকছে।

কেউ লাখ টাকার ডাইনিং টেবিলে বসেও তৃপ্তি সহকারে ভাত খেতে পারছেনা! কেউ পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কচলিয়ে গোগ্ৰাসে ভাত গিলছে।

কারো দামি খাটে শুয়েও আবার ঘুমের ওষুধ খেতে হচ্ছে! হিমেল হাওয়ায় কেউ অঘোরে ঘুমোচ্ছে।

কারো পড়ার টেবিলে নতুন বইয়ের সমারোহ কিন্তু পড়তে ইচ্ছে
করছেনা। কেউ পুরাতন বইয়ের দোকান চষে বেড়াচ্ছে, পকেট খালি বলে!

কেউ বিলাস বহুল গাড়িতে বসে চিন্তিত, সন্তানগুলো মানুষ হলোনা! এতো সম্পত্তি রাখতে পারবেতো? কেউ পায়ে হেঁটে পথ চলছে, মনে মনে ভাবছে... সন্তানতো মানুষ করতে পেরেছি! আল্লাহ চাইলে, ওরাই জীবনটা এখন গড়ে নিবে।

সত্যিই নানান রঙের মানুষ, নানান রঙের স্বপ্নের ঘুড়ি...! জীবনের নিজস্ব আলাপনে, বাস্তবতার হাত ধরে!! জীবন সত্যি বৈচিত্র্যময়.......
Collected

আহমদ ছফা এক বিরল প্রতিভা।

একবার খালেদা জিয়া আহমদ ছফাকে ফোন করে দাওয়াত করেছিলেন। তিনি বেগম জিয়াকে বলেছিলেন, যেতে পারি এক শর্তে। আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে রান্না করে খাইয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার রান্না করার সময়ও হয়নি, ছফা ও যেতে পারেননি।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছফা র আরেকবার ফোনালাপ হয়েছিল। উপলক্ষ ছিল এনজিও ব্যুরো থেকে ‘বাংলা-জার্মান সম্পীতি’র রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে। ছফা ই বেগম জিয়াকে ফোন করেছিলেন। ফোনটি ধরেছিলেন তাঁর পিএস। ছফা বিনয়ের সঙ্গে পিএসকে বলেছিলেন, ম্যাডামকে কি একটু দেয়া যাবে? আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই।

পিএস সাহেব জানতে চাইলেন, আপনি কে?

ছফার জবাব, আমি আহমদ ছফা।

পিএস সাহেব ফের জানতে চাইলেন, কোন আহমদ ছফা?

পিএস-এর কথায় ছফা ভয়ানক রকম খেপে গিয়েছিলেন। তিনি রাগলে সচরাচর যে গালটি তাঁর মুখ দিয়ে বা’র হত সেটি বেরিয়ে গিয়েছিল। তারপর তিনি কোন রকম ভূমিকা না করে বললেন, বাংলাদেশে আহমদ ছফা দু’জন আছে নাকি?

ছফা কথা না বাড়িয়ে রিসিভারটি ধপাস করে রেখে দিয়েছিলেন।

পিএস সাহেব ছফার এ অশোভন আচরণের কথা বেগম জিয়াকে জানিয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি। কিছুক্ষণ পরে বেগম জিয়া ফোন করেছিলেন। ছফা র কথার ঝাল তখনও থেকে গিয়েছিল। ফোন পেয়ে তিনি বেগম জিয়াকে বিরক্ত কণ্ঠে বলেছিলেন, ম্যাডাম, কী সব অশিক্ষিত পিএস টিএস রাখেন আহমদ ছফার নাম জানে না।

ছফা র কথায় বেগম জিয়া হেসে জবাব দিয়েছিলেন, আমি নিজে অশিক্ষিত; শিক্ষিত মানুষ পাব কোথায়। আপনারা কেউ তো এগিয়ে আসছেন না।

*বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় কলকাতার বই আসত।আহমদ ছফা এর বিরোধীতায় নামেন। তার বিরোধীতার ফলে কলকাতার বই আসা বন্ধ হয়। ছফা কাজটা করেছিলেন দেশের লেখকদের কল্যানের জন্য কিন্তু এদশেরই লেখক শওকত ওসমান তাকে বাজে লোক বলে মন্তব্য করেন। ছফা তাকে নিয়ে নিউমার্কেটের বইয়ের দোকানে দোকানে নিয়ে যান।গিয়ে জিজ্ঞেস করেন শওকত ওসমানের কোন বই আছে কিনা।কেউ লেখক কেই চিনতে পারল না।তখন কলকাতার একজন সাধারন মানের লেখকের নাম বলতেই অনেকগুলো বই বের করে দিল। আহমদ ছফা তখন শওকত ওসমানকে জিজ্ঞেস করলেন,

"" দেশটা আমরা বাল ছেঁড়ার জন্যে স্বাধীন করেছি?""

*শেখ মুজিবর রহমান একবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রদূত হওয়ার জন্য। কিন্ত তিনি যখন বললেন, শর্ত আছে।

তখন ছফা বলেছিলেন, শর্ত ছফার জন্য নয়, আপনি অন্য কাউকে দেখুন। এতে শেখ মুজিবর অত্যান্ত রুষ্ঠ হন। পরবর্তীতে তাকে অনুরোধ করেছিলেন, শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা হওয়ার জন্য জন্য।

আহমদ ছফা বলেছিলেন সম্ভব নয়। আমাকে ধারণ করার মতো শক্তি আপনার সরকার বা আপনার প্রশাসনের নেই।

হুমায়ূন আহমেদ সহ কয়েকজন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কেউ বিয়ে করবেন না।সবাই বিয়ে করেছিলো এক আহমদ ছফা ছাড়া।তিনি চিরকুমার ই ছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে এ পর্যন্ত যত প্রাবন্ধিক, লেখক এবং সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন তন্মধ্যে আহমদ ছফাই সবচেয়ে সাহসী, বুদ্ধিমান, কুশলী, বহুমুখী, সাধারণ এবং তেজময়। নির্লোভ মননশীলতা এবং সত্যসমৃদ্ধ স্পষ্টবাদিতার জন্য তাঁকে ভয় পেতেন সে সময়ের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিরা।

কেউ যদি কয়েক পৃষ্ঠার একটি প্রবন্ধ পড়ে কোনো বিষয়ে নিবিড় জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে তার জন্য সহজ ও বিচক্ষণ উপায় হচ্ছে আহমদ ছফার প্রবন্ধ পাঠ।

যিনি সব সময় সত্য কথা বলতে ভয় পেতেন না এবং সকল অন্যায় এর প্রতিবাদ করতেন । এই সেই ছফা যিনি স্বাধীনবাংলাদেশে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর পরিবারকে গৃহহীন করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

দুঃখ হয় কারন আহমদ ছফা'র খবর রাখে এমন মানুষ খুব বেশি নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে সমরেশ মজুমদার এর খবর যতজন রাখে তার সিকি ভাগ ও ছফা কে চেনে কিনা সন্দেহ।

২০০১ সালের ২৮ জুলাই অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থনে দাফন।

ওনার একটি উক্তি দিয়ে শেষ করছি-
“ কাউকে জ্ঞান বিতরণের আগে জেনে নিও যে তার মধ্যে সেই জ্ঞানের পিপাসা আছে কি-না। অন্যথায় এ ধরণের জ্ঞান বিতরণ করা হবে এক ধরণের জবরদস্তি। জন্তুর সাথে জবরদস্তি করা যায়, মানুষের সাথে নয়। হিউম্যান উইল রিভল্ট। ”

Collected : The Beauty of DU Campus

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

একশতটি কবীরা গুনাহ:

1. আল্লাহর সাথে শিরক করা
2. নামায পরিত্যাগ করা
3. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
4. অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
5. পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
6. যাদু-টোনা করা
7. এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
8. জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন
9. সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ
10. রোযা না রাখা
11. যাকাত আদায় না করা
12. ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
13. যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
14. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
15. অহংকার করা
16. চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
17. আত্মহত্যা করা
18. আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
19. অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
20. উপকার করে খোটা দান করা
21. মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
22. মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
23. জুয়া খেলা
24. তকদীর অস্বীকার করা
25. অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
26. গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
27. পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
28. রাসূল (সা:)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
29. মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
30. মিথ্যা কথা বলা
31. মিথ্যা কসম খাওয়া
32. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
33. জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
34. সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
35. মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
36. হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
37. যার জন্যে হিলা করা হয়
38. মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
39. মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
40. মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
41. মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
42. খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
43. কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
44. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
45. ওজনে কম দেয়া
46. ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
47. ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
48. জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
49. গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
50. দাঁত চিকন করা
51. সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
52. অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
53. পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
54. নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
55. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
56. কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
57. পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
58. পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
59. মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
60. ডাকাতি করা
61. চুরি করা
62. সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
63. ঘুষ লেন-দেন করা
64. গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
65. স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
66. জুলুম-অত্যাচার করা
67. অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
68. প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
69. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
70. স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
71. পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
72. সাহাবীদের গালি দেয়া
73. নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
74. মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
75. ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
76. পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
77. কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
78. আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
79. বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
80. যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
81. স্বামীর অবাধ্য হওয়া
82. স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
83. স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
84. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
85. বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
86. বিশ্বাস ঘাতকতা করা
87. অঙ্গীকার পূরণ না করা
88. আমানতের খিয়ানত করা
89. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
90. ঋণ পরিশোধ না করা
91. বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
92. তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
93. পরীক্ষায় নকল করা
94. ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
95. ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
96. আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
97. দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
98. কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
99. নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
100. আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া

পোস্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন ।
যাতে করে আপনার সকল বন্ধুরা আপনার কাছে থেকে শিখতে পারে ও জানতে পারে ।

রাসুল (সাঃ) বলেনঃ “তোমাদের উপরে দায়িত্ব দিচ্ছি-- তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি হাদিস হলেও তা প্রচার কর। তবে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার নামে মিথ্যা বলবে, তার আবাসস্থল হবে জাহান্নাম।”
[বুখারী]

আমাকে চিনেন?

কোর্টে একটা কেস চলতেছে। সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন এক দাদীমা। তাঁর বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা। যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে এবং জেরা শুরু করলেন।

উকিল: আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন?

দাদী মা : চিনিনা মানে? বিলক্ষণ চিনি। তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না! তুমি তো সবসময় মিছা কথা কও। তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাইয়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর। লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর।  তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছ ও না! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি। আরো কিছু বলব?

উকিল এই শুইন্যা পুরো ঘাবড়ায় গেলেন। গোটা কোর্টের লোকজন ও একদম হা হইয়া গেছে। কী করবে বুঝতে না পেরে এবার উকিল আসামি পক্ষের উকিল রে দেখায় বললেন-

উকিল: দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন?

দাদী-মা: আরে, আসলাম না? ওরে কেন চিনুম না। আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু। ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল। বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী। আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে। কার ও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না। এই জেলার সবথেকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম।
ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম। এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে। তার একটা তোমার বউ এর লগে!

এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন। এইবার বিচারক বললেন-

বিচারক- “মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন। আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝুলামু”
বিচারক দাদী-মা কে তাড়াতাড়ি বেকসুর খালাস দিল!!!
Aktar Faruque

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

PRL এবং LPR এর মধ্যে পার্থক্য।

PRL=Post Retirement Leave (অবসর-উত্তর ছুটি) যা বর্তমানে প্রচলিত।

পূর্বে এক বছর ছুটি ভোগের পর একজন সরকারি কর্মচারী পূর্ণ অবসর গ্রহণ করতেন আর বর্তমানে একজন সরকারি কর্মচারী অবসর গ্রহণের পর ০১ (এক) বছর ছুটি ভোগ করেন।

LPR থেকে পুনরায় চাকরীতে ব্যাক করার সুযোগ ছিল, কারন lPR অর্থ অবসর নয়, যার সুযোগ কেউ কেউ নিয়েছিল,৷ কারন অবসর নেয়ার জন্য সেটা ছিল প্রস্তুতি পর্ব কিন্তু এখন সেই প্রস্তুতি সময় বাতিল করে, নাম দেয়া হয়েছে PRL, যেখান থেকে কোন কায়দা কানুন করেও আর চাকরীতে পূনরায় ফেরার সুযোগ নেই।

………….

LPR = Leave Preparatory Retirement (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি): পূর্বে এটি প্রচলিত ছিলো যা এখন দ্বিতীয়টিতে রুপান্তর করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ছুটি জমা থাকা স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১ বছর ছুটি ও অবশিষ্ট ছুটির সর্বোচ্চ ১ বছর নগদায়নের সুযোগ ছিলো। এ পদ্ধতিতে এলপিআররত সময়ে অন্য কোন সরকারি চাকুরিতে যোগদানের/চুক্তিভিত্বিক পদায়নের সুযোগ ছিলো না।

PRL = Post Retirement Leave (অবসরোত্তর ছুটি): এটি বর্তমানে চালু রয়েছে। এ পদ্ধতিতে ছুটি জমা থাকা স্বাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১ বছরের ছুটি এবং সর্বোচ্চ ১৮ মাসের নগদায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। তাছাড়াও পিআরএল অবস্থায় অন্য যে কোন চাকুরিতে যোগদান বা সরকারি কোন পদে চুক্তিভিত্বিক পদায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে চুক্তিভিত্বিক নিয়োগে ছুটি বাতিল স্বাপেক্ষে যোগদান করতে হয়। উভয় ক্ষেত্রে ছুটি বলতে অর্জিত ছুটি বোঝানো হয়েছে।

১২ মাস মুল বেতন, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা পাবেন। যদি শিক্ষা ভাতা চালু থাকবে তাও পাবেন। আর ১৮ মাসের মুল বেতন এর সমপরিমাণ অর্থ গ্রহণ করা যায়।

পিআরএল এর সুবিধা হচ্ছে, আপনি পিআরএল চলাকালীন সময়ে অন্য চাকুরি ও তা হতে বেতনভাতা গ্রহণ করতে পারবেন, এমনকি ব্যবসাও করতে পারবেন। এলপিআর এ পারতো না।

পিআরএল সময়ে বেসরকারি পাসপোর্ট গ্রহণ করা যায়। এলপিআর সময়ে যেত না।

Managment!

স্ত্রী - বুঝলে, আজ রাতে আমি রান্না করছিনা, হোটেলে খাবো।
স্বামী - কোনও ব্যাপার না। Done!
স্বামী - হ্যাঁ, তো কোথায় খাবে ভাবছো ? একটা মাঝামাঝি রেস্টুরেন্টে গেলেই হবে, কি বলো ?
স্ত্রী - মোটেই না। আজ ক্যাণ্ডেল লাইট ডিনার করবো, রয়্যাল প্যালেস হোটেলে যাবো।
স্বামী - (একটুক্ষণ চুপ থাকার পর) ও, আচ্ছা। ঠিক আছে তবে। সন্ধ্যা সাতটায় যাবো তো ? তৈরী থেকো।
স্ত্রী - Sure
সন্ধ্যা ৬:৩০ মিঃ গাড়িতে করে যেতে যেতে ..
স্বামী - আজকাল ফুচকা ওয়ালার সংখ্যা এ রাস্তায় বেশ বেড়েছে। জানো তো, একবার আমি বন্ধুদের সঙ্গে বাজি রেখে ৩০ টা ফুচকা খেয়েছিলাম, আর বাজি জিতে গেছিলাম !
স্ত্রী - এ আর এমন কী বাহাদুরি !
স্বামী - বাহাদুরিই ! আমাকে আজ পর্যন্ত ফুচকা খাওয়াতে কেউ হারাতে পারেনি।
স্ত্রী - ছাড়ো তো! ফুচকা খাওয়াতে তোমাকে আমি গুনে গুনে হারাতে পারি।
স্বামী - তুমি !! হাসালে বন্ধু ! আমি ভালোমতোই জানি , তুমি গো হারা হারবে। গোটা বিশেক বড়জোর , তারপরই হাঃ হাঃ হাঃ
স্ত্রী - হয়ে যাক চ্যালেঞ্জ। দাঁড় করাও গাড়ি, এক্ষুণি-
........
স্বামী ৩০টা ফুচকা খেয়ে কৃত্রিম ঢেঁকুর তুলে খাওয়া বন্ধ করে দিল। পেট তো স্ত্রীরও ভরে গেছিলো, তবুও আরো একটা ফুচকা খেয়ে নিয়েই স্ত্রী খুশিতে, আনন্দে চেঁচিয়ে উঠলেন "জিতে গেছি, জিতে গেছি "।
স্বামী স্মিত হেসে হার স্বীকার করে নিলেন।
........
বিল এসেছিল ১২২ টাকা আর স্ত্রী যখন ঘরে ফিরেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন জেতার আনন্দে উৎফুল্ল ।

সারকথা :
Managment-এর মুখ্য উদ্দেশ্য এটাই --- Minimum বিনিয়োগের মাধ্যমে Maximum  Output এবং কর্মচারীদের সম্পূর্ণ সন্তুষ্টি !!!
(চয়িত)

নীলনদের প্রতি ওমর (রাঃ)-এর চিঠিঃ

২০ হিজরী সনে দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর শাসনামলে বিখ্যাত ছাহাবী আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর নেতৃত্বে সর্বপ্রথম মিসর বিজিত হয়। মিসরে তখন প্রবল খরা। নীলনদ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেনাপতি আমরের নিকট সেখানকার অধিবাসীরা অভিযোগ তুলল,

হে আমীর ! নীলনদ তো একটি নির্দিষ্ট নিয়ম পালন ছাড়া প্রবাহিত হয় না। তিনি বললেন, সেটা কি? তারা বলল, এ মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাযী করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোষাক পরিধান করানোর পর নীলনদে নিক্ষেপ করব।

আমর ইবনুল আছ তাদেরকে বললেন, ইসলামে এ কাজের কোন অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দেয়। অতঃপর তারা পর পর তিন মাস পানির অপেক্ষায় কাটিয়েদিল। কিন্তু নীলনদের পানিতে হরাস-বৃদ্ধি কিছুই পরিলক্ষিত হ’ল না। অতঃপর সেখানকার অধিবাসীরা দেশত্যাগের কথা চিন্তা করতে লাগল। এ দুর্যোগময় অবস্থা দৃষ্টে সেনাপতি আমর ইবনুল আছ খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে পত্র প্রেরণ করলেন।

উত্তরে ওমর (রাঃ) লিখলেন, হে আমর ! তুমি যা করেছ ঠিকই করেছ। আমি এ পত্রের মাঝে একটি পৃষ্ঠা প্রেরণ করলাম, যা তুমি নীলনদে নিক্ষেপ করবে।’ ওমরের পত্র যখন আমরের নিকটে পৌছাল, তখন তিনি পত্রটি খুলে তাতে এ বাক্যগুলি লিখিত দেখলেন,

‘আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর-এর পক্ষ থেকে মিসরের নীলনদের প্রতি। যদি তুমি নিজে নিজেই প্রবাহিত হয়ে থাক, তবে প্রবাহিত হয়ো না। আর যদি একক সত্তা, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তোমাকে প্রবাহিত করান, তবে আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি তোমাকে প্রবাহিত করেন’।

অতঃপর আমর (রাঃ) পত্রটি নীলনদে নিক্ষেপ করলেন। পর দিন শনিবার সকালে মিসরবাসী দেখল, আল্লাহ তা‘আলা এক রাত্রে নীলনদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত নীলনদ প্রবাহিতই রয়েছে। কখনো শুষ্ক হয়নি ।

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...