শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২০

বাংলা বানান সমস্যা ও স্বরূপ।

বাংলা নিয়ে মাতামাতি আর চেতনার বহিঃপ্রকাশ কেবল এই ভাষার মাস এলেই দেখতে পাওয়া যায়। অতএব সচেতনতা গেলানোরও মোক্ষম সময় এই ফেব্রুয়ারি।

বাংলা নিয়ে আগেও অনেক চেঁচিয়েছি, এবার আর সেসব ভূমিকা টানব না। সরাসরি সমস্যা নিয়ে আলাপ করব। একজন শিক্ষিত লোক যদি বানান লিখতে ভুল করে তবে সেটা কি লজ্জার নয়?

লজ্জার এই কারণে যে, শিক্ষার অপর নাম সচেতনতা, সার্টিফিকেট নয়। আপনি কী লিখছেন সে সম্পর্কে সচেতন নন। এই আপনি শিক্ষিত? আপনি রসায়ন পড়েছেন, ইংরেজিতে পড়েছেন তাই বলে এটা হতেই পারে না যে আপনি আপনার মাতৃভাষায় ভুল করবেন।

যুক্তির অত অবকাশও নেই, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত, এবং লজ্জার কারণে হলেও আপনার এবার বানানের প্রতি অন্তত যত্নবান হওয়া উচিত।

আমাদের বানানে ভুল হওয়ার কারণগুলো কী?

প্রথম কারণ আমাদের উচ্চারণ। আমরা মনে মনে যা উচ্চারণ করি সেটাই তো লিখি। এখন আপনি যদি "রিশকা" উচ্চারণে অভ্যস্ত হন, আপনি বানান জানা সত্ত্বেও লেখার সময় "রিশকা"ই লিখবেন।
আঞ্চলিক উচ্চারণে অনেককেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। চট্টগ্রামের অনেকে মনের অজান্তেই কোথায়'কে "কুতাই" লিখে ফেলেন, "তারে" বা তাকে লেখার জায়গায় লিখে বসেন থার বা থাকে! এটা কেবলই উচ্চারণ প্রবণতার দোষ।

সংশোধনটা আপনাদের হাতে।

আমাদের বানান ভুল হবার দ্বিতীয় কারণ হল, আমরা পড়ার সময় ঠিকভাবে অক্ষর বা শব্দগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখি না। লেখার সময় আমরা যেমন মনে মনে লেখ্যকে আউড়াই, তেমনই শব্দটাকে কল্পনাও করি। আমরা যাই বলি বা লিখি তার একটা ছবি আমাদের মস্তিষ্কে সংরক্ষিত থাকে। বলার বা লেখার সময় সেখান থেকে মস্তিষ্ক review করে। আপনি যখন অবস্তুবাচক কোন শব্দ লিখতে চাইবেন, ধরুন, লিখতে চান আমার, তখন খেয়াল করে দেখবেন আপনার মনে ভেসে উঠবে আমার শব্দটির লিখিত রূপ। আপনি নিরীহ লিখতে গিয়ে যদি নীরিহ লিখে বসেন, আপনাআপনিই আপনার মনটা খচ্ করে উঠবে। কারণ এরকম শব্দ আপনার মস্তিষ্কে নেই বলেই আপনার কাছে শব্দটি বেমানান লাগছে।

তাহলে আপনাকে যেটা করতে হবে, যখন কিছু পড়বেন, শব্দগুলোর ছবিও মনে গেঁথে নেবার চেষ্টা করবেন। কাজটা মোটেও কঠিন বা কষ্টের কিছু নয়।

আমি জানি আপনারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত। এবং শিক্ষিত মানুষের ঘরে একটি বইও থাকবে না এটা অসম্ভব। আর আমি যে ঘরেই বই দেখি, বিশেষ করে বইয়ের সংগ্রহ দেখি, সে ঘরেই আমার চোখ প্রথম খুঁজতে থাকে একটি বাংলা অভিধান। যার ঘরে পাই না, সেই ঘরের পাঠক কর্তাটির প্রতি আমার আর শ্রদ্ধা থাকে না। কেননা তখন আমি নিশ্চিত জানি যে এই লোকটা বানানে প্রতিনিয়ত অজস্র ভুল করে।

আবারও বলি, আপনার ঘরে টলস্টয় বা বোদলেয়ার থাক বা না থাক, একটি অভিধান থাকা আপনার রুচি এবং সচেতনতা প্রকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

অনেকেই গা বাঁচাতে বলেন, বাংলা খুব কঠিন ভাষা। তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলি, ইংরেজি ভাষার article এবং preposition কতটা কঠিন, ভেবেছেন? জার্মান ভাষার প্রত্যেকটি শব্দের জন্য তার article এবং gender জানা জরুরি। ফ্রেঞ্চ ভাষার কঠিনতম অধ্যায় হচ্ছে pronoun; আর এ দুটি ভাষাতে উচ্চারণের ব্যাপক ঝামেলা তো আছেই। আপনি লিখবেন একটা, সেটাকে পড়া হবে অন্য একটা! লেখা এবং উচ্চারণে আকাশ পাতাল পার্থক্য! সে অর্থে আমাদের বাংলা লক্ষগুণে সহজ, কেবল আপনি এই ভাষাটির প্রতি যত্নবান ছিলেন না কোন দিন।
আর হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তার মাতৃভাষায় দক্ষ নয়, তার পক্ষে অন্য ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা অসম্ভব।

সমস্যা আপনার, নিজের ভুলকে সংশোধন করার দায়িত্বও আপনার। নইলে আপনারই ব্যক্তিত্বে ত্রুটি থেকে যাবে।

বানানের ভুল সম্পর্কে আরেকটু বলি, আপনারা অনেকেই "ই" এবং "য়" এর পার্থক্যটা বোঝেন না। কারণটা কী?

যায় এবং যাই, খায় এবং খাই ইত্যাদির পার্থক্য কি আপনারা একদমই বোঝেন না??

জিজ্ঞেস করা হল, তুমি কোথায়?
উত্তর এল, বাসাই।

"যাই" বললে যে আমার যাওয়া বোঝায়, "খাই" বললে যে আমার খাওয়া বুঝায় এবং একইভাবে "যায়" "খায়" বলতে যে অন্য কারো যাওয়া খাওয়া বুঝায় এটা কি আপনারা ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছেন না?
(উদা: আমি যাই। সে যায়।)

"য়" এর উচ্চারণ সংক্ষিপ্ত "এ" ধ্বনির মতো। বাসায় লিখলে অনেকটা বাসাএর মতো শোনায়, সেখানে "সায়" উচ্চারণের বদলে "সাই" উচ্চারণটা কীভাবে আপনার মস্তিষ্ক সমর্থন করে আমি ভেবে পাই না!

চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিশুশিক্ষার পর্যায় হতেই গলদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শিশুর মস্তিষ্কে। সেখানে "ও" কে উচ্চারণ করা হয় "উ", "ঔ" কে উচ্চারণ করা হয় "আউ"। "স্বরে অ" কে পড়া হয় "স্বর-উ"!

স্বরপাঠে ও এবং ল লিখলে উচ্চারণ কী হয়, প্রশ্ন করলে উত্তর আসে উল!
ভুল তো ওখান থেকেই গিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সমস্ত শিক্ষকের উচ্চারণ শুদ্ধতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

আলোচনার প্রসঙ্গ এবার একটু অন্য দিকে নেব।
বাংলা বানানে বৈচিত্র্য বিস্তর। এই বৈচিত্র্য শুরু হয়েছে সেই প্রাচীন কাল হতেই। একেক কবি বা লিপিকার শব্দের বানান তখন থেকেই একেক রকম লিখে আসছেন। সেই যে প্রভেদ, তা আজ পর্যন্ত সমাধান করা যায়নি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী এবং অধুনা আমাদের বাংলা একাডেমি বানান প্রমিতকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক অবদান রেখেছে। আমরা সম্প্রতি বানানের একাধিক রূপকে বর্জন করে সহজ এবং সমর্থনযোগ্য রূপগুলোকে বিধেয় করেছেন। এটি অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
তবে এটাকে আমি এক অর্থে "ছাড় দেওয়া" বলে অভিযুক্ত করি। মুখে তুলে খাইয়ে দেয়ার মতো ভাষাকে যথাসম্ভব সহজ করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে কারণ আমরা আমাদের ভাষার প্রতি এতই অনাগ্রহী! ছাড় না দিয়ে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হলে যত কঠিনই হোক, আমরা আমাদের ভাষা যথাযথভাবে শিখতে বাধ্য হতাম। এই ছাড়টা দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি।

বাংলা একাডেমি ই কার এবং ঈ কারের মধ্যকার একটি প্রভেদ দেখিয়েছে, ঈ কার কেবলই সংস্কৃতের জন্য। তদ্ভব, দেশি এবং বিদেশি শব্দের বেলায় ঈ হবে না।

অনেক অংশের মতো আমার এই অংশেও আপত্তি আছে। দেশি শব্দে ঈ নেই সত্যি, কিন্তু বিদেশি শব্দে অনেক ক্ষেত্রেই ঈ অপরিহার্য, যেমন: আ'মীন। আমিন বলা হলে অর্থ পাল্টে যাচ্ছে। ঈদ কে ইদ লেখা হলে তাতে আর আনন্দ থাকে না। Sea কে শুধু সি লিখলে কি মানাবে? Mean কে মীন না লিখে মিন লেখা হলে মানায় কি?

বাংলা একাডেমিকে এটা আবারও ভাবতে হবে।
(নেট থেকে)

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

অ্যালেক্সান্ডারের শেষ ইচ্ছা ও একটি অমূল্য শিক্ষা।

কিংবদন্তি সম্রাট অ্যালেক্সান্ডার তার মৃত্যুশয্যায় সামরিক বাহীনির সকল জেনারেলদের কে ডেকেতার তিনটি শেষ ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে বলেছিলেন তোমরা আমার এই ইচ্ছা গুলোর কথা লিখে রাখবে আর আমার মৃত্যুর পর তা যথাযথ ভাবে পালন করবে।

তার শেষ তিনটি ইচ্ছা ছিলঃ
১. রাজ্যের সেরা চিকিৎসকেরা আমার কফিন বহন করবে।
২. আমার সকল ধন- সম্পদ (নগদ অর্থ, সোনা-রূপা, রত্নালঙ্কার) আমার কফিনের সাথে কবরস্থানেনিয়ে যাবে। আমাকে কবরস্ত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যু শোভাযাত্রায় অংশ- কারীদেরকে খোলা ময়দানে এসব সম্পদরাজি ছড়িয়ে- ছিটিয়ে, খুলে- মেলে দেখাবে!
৩. আমার হাত দুটি উন্মুক্ত অবস্থায় কফিনের বাহিরে বের করে রাখবে, যাতে সকলেই আমার দুটি শূন্য হাত দেখতে পায়!
অ্যালেক্সান্ডারের অতীত চিন্তা, কর্ম, লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সাথে বিপরীত ধরণের ইচ্ছার কথা শুনে একজনজেনারেল অতি কৌতূহলে প্রশ্ন করলেন, এই আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি কি আমাদের কাছে ব্যাখ্যা করবেন?
মহামতি অ্যালেক্সান্ডার তার উত্তরে বললেন-
১. সেরা চিকিৎসকেরা লাশের কফিন বহন করার অর্থ হল, “মানুষ বুঝতে পারুক মৃত্যুই মানুষের অমোঘ নিয়তি । দুনিয়ার কোন শক্তি, কোন চিকিৎসা ব্যবস্থাই মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে পারে না” ।
২. অর্জিত সম্পদ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে, খুলে- মেলে দেখানোর অর্থ হল, “সবাই দেখুক, আমি পুরো দুনিয়া জুড়ে অভিযান চালিয়ে যে বিপুল সম্পদ আরোহণ করেছিলাম মৃত্যুকালে সে সম্পদের কিছুই আমার সাথে যায়নি, সমুদয় সম্পদরাজি পৃথিবীতেই থেকে গেছে”!
৩. কফিনের বাইরে দুটি শূন্য হাত প্রদর্শনের অর্থ হল মানুষ দেখুক, “শূন্য হাতে এই পৃথিবীতে আমার আগমন হয়েছিল এবং শূন্য হাতেই বিদায় নিচ্ছি, বিপুল সম্পদরাজি আমার করতলগত ছিল কিন্তুএইসব আপাত মূল্যবান উপকরণের কোনটাই সম্পদ নয়। দুনিয়ার প্রকৃত সম্পদ হল ‘সময়’! কারনসময় সীমিত! চেষ্টার মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানো যায় কিন্তু কোন ভাবেই সময় বাড়ানো যায় না ! কারো জন্য যদি কিছুটা সময় ব্যয় করা হয়, তাহলে জীবনের একটি অংশকে তার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়, যেটা আর কোনদিন ফিরে পাওয়া যায় না ! সময় হল সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এটাই আমাদের জীবন।
সংগৃহীত

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

প্রথম আয়!

মার্ক টোয়েনের ছেলেবেলার একটি কাহিনী। তখন স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
স্কুলের নিয়ম ছিল কোনো ছাত্র যদি স্কুলের টেবিলে দাগটাগ দেয়, তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। এক রকম শাস্তি সে বেছে নিতে পারে-সবার সামনে বেত খেতে হবে অথবা পাঁচ ডলার জরিমানা দিতে হবে।

মার্ক টোয়েন একদিন টেবিলে দাগটাগ দিয়ে ফেললেন, ধরাও পড়লেন। মাস্টারমশাই বললেন, ‘কোন শাস্তি চাও? সবার সামনে বেত খাবে, না পাঁচ ডলার জরিমানা দেবে? কাল এসে বলবে।’

বাড়িতে এসে বাবাকে সব কথা খুলে বললেন মার্ক টোয়েন। বাবা হয়তো সবার সামনে বাচ্চা ছেলের বেত খাওয়াটা পছন্দ করলেন না। তিনি মার্ক টোয়েনের হাতে পাঁচ ডলার দিলেন।

সে সময়ে পাঁচ ডলারের অনেক দাম, কিন্তু সবার সামনে বেতটেত খাওয়া এমন কিছু সাংঘাতিক ব্যাপার নয়। সুতরাং জীবনে মার্ক টোয়েন সেই প্রথম রোজগার করলেন-পাঁচ ডলার।
=============================Aktar Faruque

হাল ছেড়ো না!

একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায় পড়ে গেলো। গাধাটা করুণ সুরে কেঁদে কৃষকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে লাগলো। কৃষক ভাবলো যেহেতু গাধাটা বৃদ্ধ হয়ে গেছে, কাজেই একে উদ্ধারের ঝামেলায় না গিয়ে মাটি ফেলে কুয়ার মাঝেই কবর দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কাজেই কৃষক শাবল দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো গাধার উপর। প্রথমে গাধা ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার করে গলা ফাঁটিয়ে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সব শান্ত হয়ে গেলো। কৃষক এই নিরবতার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে কুয়ার ভিতর উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলো।
প্রতিবার যেই গাধাটার উপর মাটি ফেলা হয়েছে, সে তা পিঠ ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সেই মাটিকে ধাপ বানিয়ে একধাপ একধাপ করে বেশ খানিকটা উপরে ওঠে এসেছে। এটা দেখে কৃষক আরো মাটি ফেললো এবং পরিশেষে গাধাটা বের হয়ে আসলো কুয়া থেকে।

জীবন আপনার উপর শাবল ভর্তি মাটি ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার কাজ হচ্ছে সেই চাপা দেয়ার মাটিকেই কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা। প্রতিটি সমস্যাই আসলে সমাধানের একটি করে ধাপ, যদি আপনি তা কাজে লাগানোর মতো ইতিবাচক হয়ে থাকেন। যেকোন সুগভীর কুয়া থেকেই মুক্তিলাভ সম্ভব, যদি না আপনি হাল ছেড়ে দেন।
-----------------------------

সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিন।

একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটি ব্যাঙ রেখে পানি গরম করা শুরু করা হল।
পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটিও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে
সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করল যদিও সে চাইলেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত
কিন্তু সে লাফ দেয় না,,, । সে সহ্য করতে থাকে,,, ।
আস্তে আস্তে তাপমাত্রা যখন আরও বাড়িয়ে ফুটন্ত গরম করা হয়
তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দেওয়ার
কিন্তু তখন আর তার লাফ দেওয়ার মত শক্তি তার থাকে না,,,।
পানি আরও গরম হতে থাকে যার ফলে সে গরম পানিতে ফুটে একটা সময় মারা যায় ,,,।

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙটি কিভাবে মারা গেছে ??
তাহলে অধিকাংশ মানুষই বলবেন গরম পানির কারনে মারা গেছে,,, ।
কিন্তু না সে গরম পানির জন্য মারা যায়নি
সে মারা গেছে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ার কারনে,,,।
ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে
একেকটা বিষয়ে সহ্য করার ক্ষমতা থাকে কিন্তু
আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও
আমাদের বুঝতে হবে কখন সরে যাওয়া উচিত অর্থাৎ
সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নেওয়া উচিত ,,,।
আবেগ ভালবাসা দেখিয়ে দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না ,,,।

”””So Let us decide when to jump,,,!
Let's jump while we still have the strength...,,,”””

ইন্টারভিউ!

চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব—
প্র.: কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেন, কিন্তু ফাটবে না—কীভাবে করবেন এটা?
উ.: কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্ত, ফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই!
প্র.: একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগে, চারজন মানুষের কত সময় লাগবে?
উ.: কোনো সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে!
প্র.: আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল ও চারটি কমলা থাকে, আর আরেকটি হাতে থাকে চারটি আপেল ও তিনটি কমলা; তাহলে কী পেলেন আপনি?
উ.: বিশাল বড় হাত।
প্র.: এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন?
উ.: এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না!
প্র.: একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
উ.: কোনো সমস্যা নেই, সে রাতে ঘুমাবে!
প্র.: নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেন, কী হবে?
উ.: যা হওয়ার তা-ই, পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে।
প্র.: কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো?
উ.: আপেলের বাকি অর্ধেকটি।
প্র.: ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি?
উ.: ডিনার।
প্র.: বে অব বেঙ্গল কোন স্টেটে অবস্থিত?
উ.: লিকুইড।
পয়লা ধাক্কায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেল তরুণ। শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘আপনাকে আমি ১০টি পানির মতো সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা প্রশ্ন করব লোহার মতো কঠিন। উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোন অপশন বেছে নেবেন আপনি।’ তরুণ কিছুক্ষণ ভাবনার চৌবাচ্চায় সাঁতার কাটল। তারপর বলল, ‘কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।’ প্রশ্নকর্তা হেসে বললেন, ‘ভালো, শুভকামনা আপনার জন্য। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে—দিন না রাত?’
তরুণের বুকে ঢাকের বাড়ি। কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তার। এই প্রশ্নের উত্তরেই ঝুলে আছে তার চাকরিটা। এবার ভাবনার সাগরে ডুব দিল সে। উত্তরে বলল, ‘দিন প্রথমে আসে, স্যার!’
‘কীভাবে?’ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন।
‘দুঃখিত, স্যার, আপনি ওয়াদা করেছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!’
চাকরি পাকা হয়ে গেল তরুণের!

বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

স্ত্রৈণ এর বিপরীত শব্দ!!

সৈয়দ মুজতবা আলীকে ইংরেজী সাহিত্যের এক অধ্যাপক জিজ্ঞেস করেছিলেন,

- আচ্ছা, যে পুরুষ স্ত্রীর কথামতো চলে তাকে এক কথায় ‘স্ত্রৈণ’ বলে কিন্তু যদি উল্টো হয় অর্থাৎ যে স্ত্রী স্বামীর কথায় চলে তাকে এক কথায় কী বলে?

সৈয়দ মুজতবা হেসে বলেছিলেন, এরকম স্ত্রী দুনিয়াতে নেই তাই অভিধানে শব্দও নেই!

স্বাধীনতার যুগ বলে কথা!

এক দেশে ছিল এক রাজা। তাঁর খুব প্রিয় একটা গান ছিল। গানটির নাম ‘ট্রা-লা-লা-লা’। তবে ‘ট্রু-লু-লু-লু’ নামের অন্য একটি গান তিনি সহ্যই করতে পারতেন না। যারা ‘ট্রু-লু-লু-লু’ গাইত, তাদের সবার গর্দান নেওয়ার নির্দেশ তিনি দিয়েই রেখেছিলেন।
ব্যাপারটা পছন্দ ছিল না অনেকেরই। একদিন এক লোক বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন রাজার বিরুদ্ধে। তারপর তাঁকে গদিচ্যুত করে নিজেই আসীন হলেন সেটায়।
নতুন এই রাজা ‘ট্রু-লু-লু-লু’ গাইতে বড়ই পছন্দ করেন। গানটি এখন গাইতে পারে যে কেউ। স্বাধীনতার যুগ বলে কথা! তবে ‘ট্রা-লা-লা-লা’ গায় যারা, এখন তাদের গর্দান নেওয়া হয়।।
ভবিষ্যতে হয়তো ট্রু-লু-লু-লু গাইলে গর্দান যাওয়ার সময় আসবে!

কাঁকড়ার চরিত্র!

একবার আমেরিকায় বিভিন্ন দেশ থেকে কাঁকড়া পাঠানো হলো। বাংলাদেশ থেকেও এক ঝুড়ি কাঁকড়া গেছে। বিমান থেকে বিভিন্ন দেশের কাঁকড়ার ঝুড়ি নামিয়ে রাখা হয় একটা খোলা জায়গায়। শুধু একটা ঝুড়ি ছাড়া আর সব কটি ঝুড়িতে ঢাকনা দেওয়া।
যিনি ঝুড়ি চেক করছিলেন, তিনি বলে উঠলেন, ‘কী ব্যাপার, এটা খোলা কেন?’
একজন বলে উঠল, ‘স্যার, ওটা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, এ জন্য খোলা।’
‘মানে কী, সব কটি কাঁকড়া তো ওপরে উঠে বেরিয়ে যাবে।’ বললেন ভদ্রলোক।
‘না স্যার, এতক্ষণ ধরে দেখেছি একটা কাঁকড়া যদি ওপরে ওঠার চেষ্টা করে, বাকিরা টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে।’

মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২০

ছাগল নিয়োগ!

“রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞাস করলেন-

: আমি মৎস শিকারে যেতে চাই , আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ?

সে বল্লো -
: আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিচিন্তে যেতে পারেন ।

রাজা বের হলেন । রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন , সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো , সে বললো-

: মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে  যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে !

রাজা রেগে বল্লেন -
: বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কি জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস!  আমি খবর জেনে তবেই এসেছি ।

রাজা সাগরে গেলেন , কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন,  তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে  মহা বিপদে!  সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না!  রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বল্লো-

: মহারাজ আমাকে যেতে দিন!  আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না।

রাজা বল্লো -
: তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগে চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি !

জেলে উত্তর দিল ,
: মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে !

তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সেই থেকেই বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...