মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এতো হারাই-

একটা চাওয়া পাওয়া হলে
শত চাওয়া আসে,
এত হারায় তবুও হৃদয়
পাওয়ার স্রোতে ভাসে।

নিরাশার অন্তরালে
বন্ধি এখন হিয়া,
সেখানে ও আসে আশা
নতুন বার্তা নিয়া।

ব্যর্থ পথে যাব না বলে
হাজারো করি পণ,
নতুন আশায় পড়ে আবার
ভাঙ্গে শপত মন।

এত দূঃখ কে ভুলায় আমায়
এত ব্যাথ্যা তাড়ায়,
এত আশা কে জাগায় মনে
এত সাধকে বাড়ায়?
--------------------

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রুটি

তুমি কি দেখেছো কভু,
রুটি কিভাবে হয়?
আটার নরমে, তাওয়ার গরমে,
ফুলে ফুলে রুটি হয়।।
আমি তো দেখেছি কত না রুটি,
পুড়ে পুড়ে ছাই হয়।
বেলুনির চাপে কারো কারো রুটি,
মানচিত্রও হয়।
ভাজি রুটিগুলো টানার চোটে,
ছিড়ে ফানা ফানা হয়।
আটার নরমে, তাওয়ার গরমে,
ফুলে ফুলে রুটি হয়,
ফুলে ফুলে রুটি হয়।
প্রতিদিন কত রুটি আসে যে
টেবিলে থালা ভরে,
রুটি বানানোর ইতিহাসটুকু
রয়ে যায় অগোচরে।
কেউতো জানেনা রুটি তৈরী তে
কত ঘাম ঝরে যায়,
সুখী মানুষেরা রেডিমেড পেয়ে
আরামে বসে খায়।
পাশাপাশি প্লেটে রুটি-গোশত
কেউ বুঝি কারো নয়।।
আটার নরমে তাওয়ার গরমে
ফুলে ফুলে রুটি হয়।।"

কালেক্টেড

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জীবনটা দিন শেষে একটা বই!

মুখস্ত একটা মোবাইল নাম্বার ভুলতে ক'দিন লাগে? এক্সেপশন্যাল ব্রেন না হলে একটা নাম্বার আপনি ভুলে যাবেন সহজেই...!! একদিন যে নাম্বারটা পাবার জন্যব্যাকুল হয়ে চেষ্টা করেছিলেন, যে নাম্বারে ডায়ালকরে ফোন দিতেন বিশেষ কাউকে, দেখবেন সেটাও ভুলে যাবেন যদি দীর্ঘসময় সেই নাম্বারে ডায়াল নাকরেন! মানুষ ভুলে যায়, ভুলে যাবে; এটাই নিয়ম। চোখের আড়াল হলে, মনেরও আড়াল হতেবেশি সময় লাগে না। আউট অফ সাইড, আউট অফ মাইন্ড। তবে দাগ থেকে যায়। সকালে হকার দৈনিক পত্রিকা দরজার নিচ দিয়ে দিয়ে যায় সেটা টানটান কাগজ...!! পত্রিকাটি পড়ার পর সেটা আবার ভাজকরে আগের মতন করার চেষ্টা করুণ, পারবেন না, আগের মত হবে না...!! পত্রিকাটি কেউ ভাজ খুলে পড়েছিল কিনা সেটা বোঝা যায়...!! নতুন কেনা মোটা বই আপনি কতদূর পড়েছেন, সেটা বই বন্ধ রাখলেও আপনি বুঝবেন। যে পাতাগুলো পড়েছেন, সেগুলো আলাদা বোঝা যাবে বন্ধ অবস্থায় সাইড থেকে তাকালে...!!কাগজে পেন্সিলের লিখা রাবার দিয়ে মুছে দিতে পারেন, লিখা মুছে যাবে কিন্তু কাগজে ঘষাঘষি হয়েছে সেটা বোঝা যাবে অর্থাৎ কাগজটা আর আগের মত থাকে না। হাঁ, সেই কাগজে আবার হয়ত নতুন কিছু লিখবেন কিন্তু কোনো কিছুই আর আগের মতন থাকবে না। জীবন এমনই! প্রতিটা দিন, প্রতিটা সময়, প্রতিটা ঘটনা আপনাকে বদলে দিচ্ছে, আপনি মানিয়ে নিচ্ছেন। বাবা মা মারা গেলেও দুইমাস কাঁদবেন বা ধরুন এক বছর, কিন্তু এরপর? এরপর ভুলে যাবেন। সময়ের সাথেসাথে সবাই ভুলে যায়। যে প্রেমিকা/প্রেমিক মনে করে, একে অপরকে ছাড়া তাদের জীবন অসম্ভব, তারা জানে এগুলো মিথ্যে কথা...!! মানুষের জীবনে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। প্রতিদিনই নতুন নতুন পৃষ্ঠা শুরু হয়। জীবনটা দিনশেষে একটা বই। আপনার জীবন যতবড়, বইটাও তত মোটা। লিখতে লিখতে যেমন হাত পাকা হয়, তেমনি সময়ের সাথে মানুষ অভিজ্ঞ হয়। ম্যাচুয়রিটি আসে, আর এটা অনেক অনেক মুল্যবান...!

আপনি কি জানেন ভালোবাসার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী?

‘ভালবাসা!
রসের খেলা! সব রসের খেলা!
আহারে বেচারা হরমোন! রসায়ন! রসায়নিক পদার্থ! নিউরোট্রান্সমিটার! আর মিস্টার ডোপামিন! এবং মিস্টার সেরেটোনিন!!

আচ্ছা অনেক ঠাট্রা হলো। এবার একটু সিরিয়াস হই!
বিজ্ঞানের ভাষায়, প্রেম বা ভালবাসা হলো আমাদের মস্তিষ্কের থ্যালামাসের একধরনের রাসায়নিক অবস্থা | যার জন্য একাধারে দায়ী আমাদের জিন। প্রেমের প্রথমদিকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, গাল – কান লাল হয়ে যাওয়া, হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার উপসর্গ গুলো দেখা যায়; বিজ্ঞানীদের মতে সেসবের পেছনে দায়ী হলো ডোপামিন, নরেপিনেফ্রিন হরমোন।
মাঝে মাঝে দেখা যায় কারো কারো প্রেমের আবেগ কমে যায়। তার কারণ মস্তিষ্ক থেকে ওই হরমোনগুলো নিঃসৃত হয় না। আবার এও দেখা গেছে যে কোনো মানুষের শরীরে কৃত্রিমভাবে এই হরমোন রসায়ন প্রয়োগ করা হলে তাদের মাঝে সেই প্রেমের অনুভূতি হয়। প্রেম ভালবাসা যাই বলি না কেন স্বর্গীয় ফরগীয় যাই বলি না কেন রে ভাই সবই রসায়নের রসের খেলা!

ডাঃ. মোহিত কামালের দারুণ একটা বই আছে “মানব মনের গতি প্রকৃতি”। ওখানে দারুণ করে ভালবাসা সহ মনের অন্যান্য রাসায়নিক ব্যাবচ্ছেদ করা হয়েছে’।

তো শ্রাবণের রসায়ন থেকে ঘুরে আসা যাক আরো গভীরে। দেখা যাক প্রেম ভালোবাসা নিয়ে শ্রদ্দেয় অভিজিৎ রায় তাঁর ‘ভালোবাসা কারে কয়’ বইতে কী বলেছেন।

দুই প্রেমিক প্রেমিকার সদা ঘোর লাগা অবস্থার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? এ নিয়ে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ হেলেন ফিশার এবং স্নায়ুচিকিৎসক লুসি ব্রাউন, আর্থার অ্যারোন প্রমুখ বিজ্ঞানীরা প্রায় ৪০ জন প্রেমে পড়া ছাত্রছাত্রীদের উপর এক গবেষণা চালান। তাদের গবেষণার ধরনটি ছিলো এরকমের। প্রেমিক- প্রেমিকাদের সামনে তাদের ভালবাসার মানুষটির ছবি রাখা হল, এবং তাদের মস্তিষ্কের ফাংশনাল এমআরআই (fMRI) করা হলো। দেখা গেলো, এ সময় তাদের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল এবং কডেট অংশ উদ্দিপ্ত হচ্ছে, আর সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিন নামক এক রাসয়ায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটছে। অবশ্য কারো দেহে ডোপামিন বেশি পাওয়া গেলেই যে সে প্রেমে পড়েছে তা নাও হতে পারে। আসলে নন-রোমান্টিক অন্যান্য কারণেও কিন্তু ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়তে পারে। যেমন, গাঁজা কিংবা কোকেইন সেবন করলে। সেজন্যই আমরা অনেক সময়ই দেখি ভালবাসায় আক্রান্ত মানুষদের আচরণও
অনেকটা কোকেইনসেবী ঘোরলাগা অবস্থার মতোই টালমাটাল হয় অনেক সময়ই।

তবে ভালবাসার এই রসায়নে কেবল ডোপামিনই নয় সেই সাথে জড়িত থাকে অক্সিটাইসিন, ভেসোপ্রেসিনসহ নানা ধরনের বিতিকিচ্ছিরি নামের কিছু হরমোন। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই হরমোনগুলো নাকি ‘ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে’ মানে প্রেমিক প্রেমিকার বন্ধন দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে। এমনকি বিজ্ঞানীরা এও বলেন কেউ মনোগামী হবে না বহুগামী হবে – তা অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করছে এই হরমোনগুলোর তারতম্যের উপর। দেখা গেছে রিসেপটর বা গ্রাহক জিনে ভেসোপ্রেসিন হরমোনের আধিক্য থাকলে তা পুরুষের একগামী মনোবৃত্তিকে ত্বরান্বিত করে। বিজ্ঞানীরা প্রেইরি ভোলস আর মোন্টেইন ভোলস নামক দুই ধরনের ইঁদুরের উপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন, একগামিতা এবং বহুগামিতার মত ব্যাপারগুলো অনেকাংশেই হরমোনের ক্রিয়াশীলতার উপর নির্ভরশীল। এমনকি বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপায়ে ভেসোপ্রেসিনের প্রবাহকে আটকে দিয়ে একগামী ইদুঁরকে
বহুগামী, কিংবা অতিরিক্ত ভেসোপ্রেসিন প্রবেশ করিয়ে বহুগামী ইঁদুরকে একগামী করে ফেলতে সমর্থ হয়েছেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে তীব্র প্রেমের সময়গুলোতে কেন দ্বিগবিদ্বিগশুন্য নেশার ঘোর লাগা ভাবের উদয় হয়, কেন বুদ্ধিশুদ্ধি একেবারেই লোপ পায়? কেনই বা ভয়ভীতি উবে যায় রাতারাতি?
এ সময় বন্ধুদের পরামর্শও মাথায় ঢোকে না। যদি কেউ কুদ্দুসকে বলতো ‘ঐ ব্যাটা কুদ্দুস – সিমির পিছে অযথা ঘুইরা লাভ নাই, ওর জগৎ আর তোর জগৎ আলাদা…’ কুদ্দুসের মাথার দেওয়াল সেই তথ্য পৌঁছুবেই না। কিন্তু কেউ যদি আবার উলটো বলে যে,‘সিমি আজকে তোর সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিলো …’ সাথে সাথেই কুদ্দুসের মনে হবে এ যেন ‘মক্কা বিজয়’! আসলে তীব্রপ্রেমের সময়গুলোতে কেন মানুষজনের বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পায় তার একটা ভালো ব্যাখ্যা আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। আমাদের মস্তিস্কে অ্যামাগডালা বলে একটি বাদাম আকৃতির প্রত্যঙ্গ আছে। সেটা এবং মস্তিস্কের কর্টেক্সের কিছু
এলাকা আমাদের ভয়-ভীতি নিয়ন্ত্রণ করে, অকস্ম্যাৎ বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসলে আমাদের আগাম সতর্ক করে দিতে পারে। দেখা গেছে প্রেমের রোমাঞ্চকর এবং উত্তাল সময়গুলোতে মস্তিকের এ এলাকাগুলোর কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভয় ভীতি কিংবা ‘ক্রিটিকালি’ চিন্তাকরার ব্যাপার স্যাপারগুলো পুরোপুরি লোপ পায় তখন। দুর্মুখেরা বলে, বেশি পরিমাণে গাঁজাভাঙ খেলেও নাকি ঠিক এমনটিই হয়’।
আজকে এই পর্যন্তই থাক-

কিছু বাণী

🍂১। কথা বলার সময় জিভকে কাবু ও আয়ত্তে রেখে কথা বলুন। এমন কথা বলবেন না, যার ফলে আপনাকে জাহান্নাম যেতে হতে পারে।

   🍂২। কথা বললে ভালো ও উপকারী কথা বলুন, নচেৎ চুপ থাকুন। চুপ থাকাতে অনেক নিরাপত্তা আছে। অবশ্য প্রয়োজনে হক কথা বলতে চুপ থাকবেন না। সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দিতে ক্ষমতা থাকলে চুপ থাকবেন না। জেনে রাখুন যে, একটি ভালো কথা সদকার সমতুল্য। অতএব ভালো কথা বলতে কার্পণ্য করবেন না।

   🍂৩। যথাসম্ভব কম কথা বলুন। গপেদের গপবাজিতে জড়িয়ে যাবেন না। লোকেদের ‘কি-কেন’-তে সময় নষ্ট করবেন না। জেনে রাখুন যে, আপনার প্রত্যেক কথা নোট করার জন্য তৎপর প্রহরী আপনার কাছেই মজুদ রয়েছেন।

   🍂৪। কারো গীবত বা পরচর্চা করবেন না। গীবত জাহান্নামের আগুন। গীবত সংসারের আগুন। গীবতকারীর জিভেও আগুন। এ সকল আগুন থেকে সাবধান হন!

   🍂৫। কারো চুগোলখোরী করবেন না বা কেউ কারো বিরুদ্ধে কথা বললে সেই কথা তার বিপক্ষকে লাগিয়ে দেবেন না। তাতেও লেলিহান আগুন আছে।

   🍂৬। কানে যা শুনবেন তাই বিবেক-বিচার না করে অপরের কাছে বলবেন না। উড়ো কথা প্রচার করবেন না। কারণ সে কথা মিথ্যা হলে, আপনিও একজন মিথ্যাবাদী হয়ে যাবেন।

   🍂৭। গুজবে থাকবেন না, গুজবে কান দেবেন না। গুজব রটাবেন না, রটা কথায় বিশ্বাস করবেন না। সন্দিগ্ধ কথা বর্ণনা করবেন না।

   🍂৮। ঠাট্টাছলেও মিথ্যা বলবেন না। মিথ্যাবাদিতা একটি কদর্য চরিত্র। মিথ্যা বলা অভ্যাস হলে আপনার সত্য কথাও কেউ বিশ্বাস করবে না।

   🍂৯। কথায় কথায় গালাগালি করবেন না, অশ্লীল বলবেন না। অকথ্য বলা ভালো লোকের পরিচয় নয়। জিহ্বা দ্বারা ব্যভিচার করবেন না।

  🍂১০। আপনি হকের উপর থাকলেও তর্ক করবেন না। তর্কে মঙ্গল নেই। প্রয়োজন হলে সৌজন্য সহকারে নিয়ম-নীতি মেনে করুন।

   🍂১১। তকদীর ও কুরআন বিষয়ক কোন তর্ক-বিবাদ করবেন না। বিতর্কের সময় অশ্লীল বলবেন না।

   🍂১২। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলে, হাস্য উদ্রেককর কথা বলে লোককে হাসাবার চেষ্টা করবেন না। উপহাস করতে পারেন, কিন্তু তার কথা ও বিষয় সত্য হওয়া চাই।

   🍂১৩। কথা বলার সময় আপনার থেকে বড়কে কথা বলতে দেবেন।

   🍂১৪। কেউ আপনাকে কথা বলার সময় এদিক-ওদিক তাকালে জেনে নেবেন সে কথা আপনাকে দেওয়া একটি আমানত ও ভেদ। অতএব সে আমানতের খেয়ানত এবং সে ভেদ প্রচার করবেন না।

   🍂১৫। কেউ কথা বললে, তার কথা কাটবেন না। তার কথা বলা শেষ হলে, তবে আপনি কথা বলবেন।

   🍂১৬। বড়দের মুখের উপর মুখ দেবেন না। বড়দের সাথে; যেমনঃ আলেম ও শিক্ষকের সাথে, স্বামী ও আব্বা-আম্মার সাথে কথা বললে জোর গলায় বলবেন না।

   🍂১৭। কর্কশ ভাষায় কাউকে কথা বলবেন না। বরং নরম ও মিষ্টি করে কথা বলবেন। মহিলা বেগানার সাথে (পর্দার আড়ালে অথবা ফোনে) কথা বলার সময় এমন স্বর, সুর ও ভঙ্গিমায় বলবে না, যাতে রোগা মনের মানুষদের হৃদয়ে তার প্রতি আসক্তির অঙ্কুর গজিয়ে ওঠে।

   🍂১৮। কথা বলার সময় বড় উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, সবচাইতে ঘৃণিত শব্দ হল গাধার শব্দ।[1]

   🍂১৯। কথা বলার সময় ধীরে ধীরে বলুন। তাড়াহুড়ো করে কোন কথা বলবেন না।

   🍂২০। কথায় কথায় কসম খাবেন না। আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম খাবেন না। ব্যবসায় কসম খাবেন না। মিথ্যা কসম খাবেন না।

   🍂২১। বিনা ইল্মে ফতোয়া দিবেন না, কোন মাসআলা বলবেন না, কোন সমাধান দেবেন না, দ্বীনের কোন দাওয়াত দেবেন না।

   🍂২২। বিপদে আল্লাহ ছাড়া গায়রুল্লাহকে আহবান করবেন না।

   🍂২৩। আপনার কথায় কোন প্রকার গর্ব ও অহংকার প্রকাশ করবেন না।

   🍂২৪। কোন গণককে ভাগ্য-ভবিষ্যৎ জিজ্ঞাসা করবেন না।

   🍂২৫। ছেলে-মেয়ে বা পশু-পক্ষীকে অভিশাপ করবেন না, বদ্দুআ দেবেন না।

   🍂২৬। ঝড়-বৃষ্টি, মেঘ-বন্যা, রোগ, প্রকৃতি ও যুগকে গালি দেবেন না।

   🍂২৭। বিজাতির মাবূদ এবং কারো মা-বাপকে গালি দেবেন না।

   🍂২৮। মা-বাপের কথায় ‘উঃ’ বলবেন না। তাঁদের জন্য নরম কথা বলবেন।

   🍂২৯। মিথ্যা অঙ্গীকার করবেন না। অঙ্গীকার ও চুক্তি ভঙ্গ করবেন না।

   🍂৩০। স্বপ্ন বানিয়ে বলবেন না। দুঃস্বপ্ন কাউকে বলবেন না।

   🍂৩১। কাউকে অপবাদ দেবেন না। কারো চরিত্রে কলঙ্ক দেবেন না।

   🍂৩২। কাউকে মিথ্যা দোষারোপ করবেন না। নিজের করা ভুল অপরের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবেন না।

   🍂৩৩। নিজের বা অন্য কারো ভেদ ও রহস্য প্রকাশ করবেন না।

   🍂৩৪। নিজ পাপ-রহস্য প্রকাশ ও প্রচার করবেন না।

   🍂৩৫। স্বামী-স্ত্রীর মিলন রহস্য প্রকাশ করবেন না।

   🍂৩৬। পরস্ত্রীর সৌন্দর্য স্বামীর নিকট প্রকাশ করবেন না।

   🍂৩৭। দু’ মুখে কথা বলবেন না।

   🍂৩৮। অযথা কারো কান ভাঙ্গাবেন না।

   🍂৩৯। কারো সাথে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করবেন না।

   🍂৪০। কাউকে মন্দ খেতাবে ডাকবেন না।

   🍂৪১। অশ্লীল ও বাজে গান গাইবেন না।

   🍂৪২। অশ্লীল ও বাজে কবিতা ও গজল গাইবেন না।

   🍂৪৩। মিথ্যা ঠাট-বাট ও জাঁক-জমক প্রকাশ করবেন না।

   🍂৪৪। দারিদ্রের ভান করবেন না।

   🍂৪৫। কথার মাধ্যমে নিজের সম্ভ্রম ও আত্মমর্যাদা হারাবেন না।

[1]. সূরা লুক্বমান ১৯
.
Collected..

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাংলা বিজয় টাইপিং

বাংলা টাইপিং এ যারা দুর্বল তাদের কাজে লাগবে।
ক্ষ = ক্+ষ
ষ্ণ = ষ্+ণ
জ্ঞ = জ্+ঞ
ঞ্জ = ঞ্+জ
হ্ম = হ্+ম
ঞ্চ = ঞ্+চ
ঙ্গ = ঙ্+গ
ঙ্ক = ঙ্+ক
ট্ট = ট্+ট
ক্ষ্ম = ক্ষ্+ম = ‍ক্+ষ্+ম
হ্ন = হ্+ন
হ্ণ = হ্+ণ
ব্ধ = ব্+ধ
ক্র = ক্+র
গ্ধ = গ্+ধ
ত্র = ত্+র
ক্ত = ক+ত
ক্স = ক্+স
ত্থ = ত্+থ (উদাহরণ: উত্থান,
উত্থাপন)
ত্ত = ত্+ত (উদাহরণ: উত্তম, উত্তর,
সত্তর)
ত্ম = ত্+ম (উদাহরণ: মাহাত্ম্য)
নিচের যুক্তবর্ণের
তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে
লিখতে সহায়ক হতে পারে।
এখানে বাংলায় ব্যবহৃত
কিছু  যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর
বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায়
প্রচলিত নয়।
ক্ক = ক্ + ক   আক্কেল, টেক্কা
ক্ট = ক্ + ট    ডক্টর (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক্ + ট্ + র   অক্ট্রয়
ক্ত = ক্ + ত   রক্ত
ক্ত্র = ক্ + ত + র   বক্ত্র
ক্ব = ক্ + ব   পক্ব, ক্বণ
ক্ম = ক্ + ম  রুক্মিণী
ক্য = ক্ + য  বাক্য
ক্র = ক্ + র   চক্র
ক্ল = ক্ + ল   ক্লান্তি
ক্ষ = ক্ + ষ   পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক্ + ষ্ + ণ   তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ব = ক্ + ষ্ + ব   ইক্ষ্বাকু
ক্ষ্ম = ক্ + ষ্ + ম   লক্ষ্মী
ক্ষ্ম্য = ক্ + ষ্ + ম্ + য  সৌক্ষ্ম্য
ক্ষ্য = ক্ + ষ্ + য  লক্ষ্য
ক্স = ক্ + স   বাক্স
খ্য = খ্ + য  সখ্য
খ্র = খ্ + র   খ্রিস্টান
গ্ণ = গ্ + ণ   রুগ্ণ
গ্ধ = গ্ + ধ   মুগ্ধ
গ্ধ্য = গ্ + ধ্ + য   বৈদগ্ধ্য
গ্ধ্র = গ্ + ধ্ + র   দোগ্ধ্রী
গ্ন = গ্ + ন  ভগ্ন
গ্ন্য = গ্ + ন্ + য   অগ্ন্যাস্ত্র,
অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়
গ্ব = গ্ + ব  দিগ্বিজয়ী
গ্ম = গ্ + ম   যুগ্ম
গ্য = গ্ + য   ভাগ্য
গ্র = গ্ + র  গ্রাম
গ্র্য = গ্ + র্ + য   ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য,
গ্র্যাজুয়েট
গ্ল = গ্ + ল    গ্লানি
ঘ্ন = ঘ্ + ন   কৃতঘ্ন
ঘ্য = ঘ্ + য  অশ্লাঘ্য
ঘ্র = ঘ্ + র  ঘ্রাণ
ঙ্ক = ঙ্ + ক  অঙ্ক
ঙ্ক্ত = ঙ্ + ক্ + ত    পঙ্ক্তি
ঙ্ক্য = ঙ্ + ক্ + য   অঙ্ক্য
ঙ্ক্ষ = ঙ্ + ক্ + ষ    আকাঙ্ক্ষা
ঙ্খ = ঙ্ + খ  শঙ্খ
ঙ্গ = ঙ্ + গ   অঙ্গ
ঙ্গ্য = ঙ্ + গ্ + য   ব্যঙ্গ্যার্থ,
ব্যঙ্গ্যোক্তি
ঙ্ঘ = ঙ্ + ঘ   সঙ্ঘ
ঙ্ঘ্য = ঙ্ + ঘ্ + য  দুর্লঙ্ঘ্য
ঙ্ঘ্র = ঙ্ + ঘ্ + র  অঙ্ঘ্রি
ঙ্ম = ঙ্ + ম   বাঙ্ময়
চ্চ = চ্ + চ   বাচ্চা
চ্ছ = চ্ + ছ   ইচ্ছা
চ্ছ্ব = চ্ + ছ্ + ব  জলোচ্ছ্বাস
চ্ছ্র = চ্ + ছ্ + র   উচ্ছ্রায়
চ্ঞ = চ্ + ঞ  যাচ্ঞা
চ্ব = চ্ + ব  চ্বী
চ্য = চ্ + য  প্রাচ্য
জ্জ = জ্ + জ   বিপজ্জনক
জ্জ্ব = জ্ + জ্ + ব   উজ্জ্বল
জ্ঝ = জ্ + ঝ   কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ = জ্ + ঞ    জ্ঞান
জ্ব = জ্ + ব    জ্বর
জ্য = জ্ + য   রাজ্য
জ্র = জ্ + র    বজ্র
ঞ্চ = ঞ্ + চ     অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ্ + ছ   লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ্ + জ   কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ্ + ঝ  ঝঞ্ঝাল
ট্ট = ট্ + ট   চট্টগ্রাম
ট্ব = ট্ + ব  খট্বা
ট্ম = ট্ + ম   কুট্মল
ট্য = ট্ + য  নাট্য
ট্র = ট্ + র   ট্রেন (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড্ + ড   আড্ডা
ড্ব = ড্ + ব   অন্ড্বান
ড্য = ড্ + য   জাড্য
ড্র = ড্ + র    ড্রাইভার, ড্রাম
(মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড়্গ = ড়্ + গ   খড়্গ
ঢ্য = ঢ্ + য   ধনাঢ্য
ঢ্র = ঢ্ + র   মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য:
অত্যন্ত বিরল)
ণ্ট = ণ্ + ট  যেমন- ঘণ্টা
ণ্ঠ = ণ্ + ঠ   কণ্ঠ
ণ্ঠ্য = ণ্ + ঠ্ + য  যেমন- কণ্ঠ্য
ণ্ড = ণ্ + ড  গণ্ডগোল
ণ্ড্য = ণৃ + ড্ + য   পাণ্ড্য
ণ্ড্র = ণ্ + ড্ + র  পুণ্ড্র
ণ্ঢ = ণ্ + ঢ   ষণ্ঢ
ণ্ণ = ণ্ + ণ   বিষণ্ণ
ণ্ব = ণ্ + ব   স্হাণ্বীশ্বর
ণ্ম = ণ্ + ম  চিণ্ময়
ণ্য = ণ্ + য  পূণ্য
ৎক = ত্ + ক  উৎকট
ত্ত = তৃ + ত   উত্তর
ত্ত্ব = ত্ + ত + ব  সত্ত্ব
ত্ত্য = ত্ + ত + য    উত্ত্যক্ত
ত্থ = ত্ + থ    অশ্বত্থ
ত্ন = ত্ + ন     যত্ন
ত্ব = ত্ + ব     রাজত্ব
ত্ম = ত্ + ম     আত্মা
ত্ম্য = ত্ + ম্ + য   দৌরাত্ম্য
ত্য = ত্ + য  সত্য
ত্র = ত্ + র    ত্রিশ, ত্রাণ
ত্র্য = ত্ + র্ + য   বৈচিত্র্য
ৎল = ত্ + ল  কাৎলা
ৎস = ত্ + স  বৎসর, উৎসব
থ্ব = থ্ + ব    পৃথ্বী
থ্য = থ্ + য   পথ্য
থ্র = থ্ + র    থ্রি (three) (মন্তব্য: এই
যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ্ + গ   উদ্গম
দ্ঘ = দ্ + ঘ   উদ্ঘাটন
দ্দ = দ্ + দ    উদ্দেশ্য
দ্দ্ব = দ্+দ্+ব

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...