অদ্ভুত কিছু ভালবাসায়
আমি তোমাকে একেঁছি,
সূর্যের লাল রঙটায় সাজিয়েছি
ভাল লাগার সব মুহূর্ত।।
মাঝে মাঝে নীল তুলির রঙে আর সবুজের খেলায় বানিয়েছি রঙধনু,
সেই রঙধনুতে এখনো লিখছি
তোমাকে নিয়ে ছন্দহীন সব কবিতা ।
গড়ছি নতুন সব স্বপ্ন-
আবারো পালাবো আমি তোমাকে নিয়ে- অনেক দূরে কোথাও অচীন কোন মায়াপুরীতে।
ভালবাসবো তোমাকে ভীষণভাবে-
একলাই আমার করে।।
আমি খুবি সাধারণ একজন। ভালবাসি বই পড়তে। ভালবাসি ভ্রমণ করতে। Mobile No- 0914139916, 01614139916 afaruque.faruque@gmail.com www.facebook.com/aktar.faruque.ctg
শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯
নতুন স্বপ্ন।
শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯
শুধু তুমি।
সব কবিতার শেষ লাইনে তুমি,
সব গল্পের শুরুতে তুমি।
ভোরের কুয়াশায় তুমি,
বিকেলের আবছা আলোয় তুমি।
সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায় তুমি,
রাতের নীরবতায় তুমি,
আমার সব মৌনতায় তুমি।
আমার সমস্ত অনুভূতি জুড়ে তুমি,
গভীর রাতের শিরোনাম তুমি!
আমার সবকিছুই তুমিময়-
সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯
ভালোবাসা কি?
সংজ্ঞা খুঁজে যাচ্ছি
ডিকশনারির পাতা ঘেটে শেষ করে ফেলেছি
নেট এ খুঁজে যাচ্ছি সেই কত কাল ধরে
এখনো জানতে পারি নি-
ভালোবাসা কি?
তোমার সাথে কথা না হলে যে কষ্ট হয় বুকে
তার নাম কি ভালোবাসা?
তোমায় না দেখলে মনটা যেমন উদাস হয়ে ওঠে
সে কি ভালোবাসা?
তুমি অভিমান করলে মনের মাঝে যে উথাল পাথাল ঝড় বয়ে যায়
তার নামই কি ভালোবাসা?
তোমায় খুঁজে না পেয়ে যে ছন্নছাড়া দিন কাটাই
তাকে কি ভালোবাসা বলে?
কি জানি!
কিছুতেই ভালোবাসার মানে বুঝতে পারি না।
কেউ বলে ভালোবাসা একটা অনুভুতি
যা চাইলেও পাওয়া যায় না,
আবার অনেক সময় না চাইতেও পাওয়া যায়।
কেউ কেউ এত বেশি পায় যে ভালোবাসার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায়;
যেমন তুমি।
আবার অনেকে ভালোবাসা না পেয়েও যন্ত্রণায় কাতরায়
ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকে
যেমন আমি।
তোমার ভালোবাসার পথ চেয়ে থাকি
আর ভালোবাসার মানে খুঁজে বেড়াই
শুধু তুমিই বুঝ না
কিংবা বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থাক
আমায় কষ্ট দিতে।
ভালোবাসা কি জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর?
ভালোবাসা কি কবিতার চেয়ে কষ্টের?
ভালোবাসা কি ফুলের সৌরভ?
ভালোবাসা কি সাগরের বিশালতা?
কিংবা নদীর বয়ে যাওয়া জল?
আমি বুঝতে পারি না
আমার কাছে ভালোবাসা মানে
তোমার বাড়ানো হাত আমায় কাছে টানার
কিংবা "শুধুই তুমি"।
আমি কষ্ট কষ্ট সুখ পেয়ে যাচ্ছি
তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে
তুমি যেন আবার কষ্ট কষ্ট দুঃখ পেয় না
ভালোবাসার নষ্ট খেলা খেলতে গিয়ে।
(আরিফ)
শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯
যাযাবর হবো
বুকের ভিতর এক চিলতে ব্যাথা নিয়ে আমি বোধহয় চিরকালই যাযাবর থেকে যাবো -
খোলা জানালায় জোছনা হয়ে আকাশ ছোয়া হবেনা আর বোধহয় আমার -
মধ্য দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে, আমার ঘরে ফেরা হবে না।
ব্যাথাভরা দু'চোখের মায়ায় সময় বাধা হয়তো আমার হবেনা কখনই।
তবুও আমি ক্ষণিক ভালোবাসার খোজে আবারো ফেরারী হবো-
উত্থাল পাতাল সমুদ্র পেরিয়ে আধার আকাশের নিঃসঙ্গ তারাই হবো হয়তো .....
শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯
ভালবাসা মানে কি?
ভারবাসা মানে কি ?
কারো জন্য মন খারাপ হওয়া ??
কাউকে বার বার মনে পড়া ???
কারো সংগে নিজের মতের মিল হওয়া !
নিজের রুচির মিল !! সখের মিল হওয়া !!!
"ভালবাসা" - শব্দটাতো ছোটই, কিন্তু বিষয়টি কি তেমনই সহজ এবং ছোট ! ভালবাসা ভিন্ন কিছু --অনেক বড় ও বিশাল কিছু। হয়তো ভালবাসা কখনো ভীষণ ঝড়ের মুখোমুখি একা দাঁড়িয়ে থাকা। হয়তো ভালবাসা কখনো কারো জন্য খামোখাই কষ্ট পাওয়া...... নাকি অন্য কিছু ? এতো বুঝিয়ে বলার বা লেখার মত কিছু নয়; এতো বোঝানোর বিষয় নয় ।
ভালোবাসাটা বোধহয় সব সময় একজনেরই আলাদা ব্যপার--একজনই ভালোবাসার নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে--দু'জনের মিলিত জীবনের পক্ষে ভালোবাসার মূল্য তেমন কিছু বেশি নয় । সেখানে কৃতজ্ঞতা, দায়িত্ববোধ এগুলোরই মূল্য বেশি।
জীবনে সব প্রতিজ্ঞা টেকে না, সব কথা রাখা যায় না, বুকের ভিতর রাখা মুখ বারবার ভেংগে গড়ে নিতে হয়। অতিসুক্ষ্ম, যে কোন মুহুর্তে হারাবার ভয়ই ভালবাসার রূপ এবং তা সত্যি হারিয়ে যায়, ভাংগে যায়। তারপরেও যা থাকে--তা ভালোবাসা নয় । জেদ, অতৃপ্ত অহংকার আর আহত পৌরষের মর্ম-বেদনা। চিরস্থায়ী ভালবাস নিছক একটা উপকথা।
ভালবাসার চেয়েও বোধহয় বড় নিছক বেঁচে থাকা, শরীরের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য, সামাজিক সম্মন এবং কৃতজ্ঞতাবোধ। ভালোবাসা কিছুতেই নিরাপত্তা চায় না, চায় সবকিছু ভাংতে ।
কবির ভাষায়ঃ
"এই খেদ আমার মনে
ভালবেসে মিটিল না আশ--
কুলাল না এ জীবনে।
হায়, জীবন এত ছোট কেনে ?
এ ভূবনে !"
একটি বিশেষ অনুভুতি ভালবাসার সংজ্ঞা ও কিছু কথা-
মানুষের জীবনে তিনটি অনুভূতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ।যার একটির ও অভাব থাকলে তার মধ্যে কোনো না কোনো ভাবে মূল্যবোধহীনতার বৈশিষ্ট্য ধরা পড়বেই !
(১)ভালবাসা;
(২)মর্যাদা/শ্রদ্ধা;
(৩)ভরসা/বিশ্বাস ।
এখানে মুলত ভালবাসার সংজ্ঞা ভাবসম্প্রসারিত করা হলো ।
অনেকেই সত্যিকার অর্থেই কাউকে ভালবেসে থাকলে ও ইহা আসলে কী জিনিস তা বোঝেনা ।
মানুষ এই প্থিবীতে যদি সব থেকে বেশী ভালবেসে থাকে তাহলে তা নিজেকেই বাসে । ধরুন কেউ সবচেয়ে বেশী ভালবাসে তার স্রষ্টাকে । সেটা নিজেকে স্ষ্টি করেছেন,প্রাণ এবং যাবতীয় সব দিয়েছেন সেই ক্তজঞতা থেকেই । ধরুন কেউ ভালবাসে তার জননীকে । সেটাও কিন্তু তার নিজের জননী বলেই । তাছাড়া কাউকে যদি তার ভাললাগে তাও কিন্তু নিজের পছন্দ বা চাহিদার মিল খুজে পাওয়া থেকেই প্রথম ভাললাগার অনুভুতি স্ষ্টি হয় ।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে "তাহলে দয়া কী জিনিস,মানুষ তাহলে কেন অপরের জন্য জীবন ত্যাগ করে?" এটা একটা সাময়িক মোহ । নিজের থেকেও অপর কোনো ব্যক্তি বা বিষয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার এই সাময়িক মোহটি কখনো ক্ষণস্থায়ী,কখোনো দীর্ঘস্থায়ী কখোনোও চিরজীবন স্থায়ী হয় । স্থায়ীত্ব কালের তারতম্য বিভিন্ন কারনের উপর নির্ভরশীল ।
ভালবাসা যুক্তি,তুলনা,সম্ভব,অসম্ভব,উচিত্,অনুচিত্ ইত্যাদির অতীত । অনেকে মনে করেন স্ষ্টিকর্তা হতে অন্য কাউকে বেশি ভালবাসা অসম্ভব ! অনেকে মনে করেন জন্মদাতা-দাত্রী হতে বেশি ভালবাসা অসম্ভব ! অনেকে মনে করেন মনের প্রিয়তম হতে বেশি ভালবাসা অসম্ভব !
আসলে কে কাকে কেমন ভালবাসবে তা ব্যক্তির মানসিকতার উপর নির্ভর করে ।
তা যদি না হতো তাহলে কোন মানব কোনদিন ধর্মের অন্বেষণে বংশ ত্যগ করতেন না । কোনো প্রেমিক পুরুষ/প্রেমিক নারী উত্তরাধিকার ও পূর্বসূত্র ছেড়ে চলে যেতন না ।
ভালবাসা আর বিশ্বাস সম্পূর্ণভাবে পরস্পরের পরিপূরক নয় । সেটা হলে কোনো পিতা-মাতা তাঁর অবিশ্বাসী সন্তানকে ভালবাসতেন না ।
তবে যাদেরকে ভালবাসা যায় তাদের প্রতি অবশ্যই কিছুটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। যার ফলে তাদের সফলতার প্রতি একটা আলাদা শ্রদ্ধা বা ভরসাবোধ কাজ করে ।
তবে বিশ্বাস ভরসা, শ্রদ্ধা, মর্যাদা অনেক ক্ষেত্রেই দ্বায়িত্ব, কর্তব্য ও কৃতজ্ঞতার মতো উচিত্ যুক্তি ও ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে । ভালবাসা নয়।
বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯
গণতন্ত্র কে চায়ে ভিজিয়ে চা পান করছি!-
আলোকিত হবার সব পথ অনির্দিষ্ট কালের
জন্য সিলগালা করে দেয়া হয়েছে.....।
আমরা অন্ধকারকে ভালবাসে ফেলেছি খুব বেশী
তাই অন্ধকারেই আমাদের নিয়তি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
সব আত্মত্যাগ, সব বিসর্জন, রসাতলে...!
জানতাম সৎ উদ্দেশ্যের কোন ত্যাগই নাকি বৃথা যায় না
কিন্তু আজ বিশ্বাস করি এসবই মিথ্যে! এসবই আবেগি পাগল বৃহৎ কলিজাধারণকারীদের নিজ স্বার্থে বলি দেবার প্রয়াস মাত্র।
এই বেশ ভালো আছি, গণতন্ত্র কে চায়ে ভিজিয়ে চা পান করছি!
সত্যিই বেশ ভালো আছি ...!!!!
# Aktar Faruque #
ভালোবাসাগুলো নির্জিব তোমাকে ছাড়া।
বিরান পথে একলা হেটে যাই,
হঠাৎ করেই মরুভুমির মাঝে গজিয়ে উঠা ক্যাক্টাসের বেগুনী ফুল দেখে
মনে হয় তোমাকে বড় দরকার।
কতদুর তুমি; তোমাকে ভাবতেই
ছুয়ে দেয়ার তৃষ্ণাটা বেড়েই যায়।
ঘুম ভেংগে চায়ের কাপটা হাতে নিতেই মনে হয় এই মূহুর্তে তোমাকে প্রয়োজন- অন্তহীন পথের যাত্রায় ক্ষয়ে যাওয়া জুতো জোড়া হাতে তুলে
সমুদ্র জলে পা ডুবাই।
চারপাশে সব হাসিখুশী প্রাণের মেলা আমার সব মুগ্ধতায় তোমাকে প্রয়োজনের চেয়েও বেশী করে চাই।
তুমি দুর প্রবাসে, তোমাকে বড় দরকার-
দেখা হবে হবে করেও আমাদের আজো দেখা হয়নি!
অথচ ঘুমালেই তোমার দুটি হাত
জড়িয়ে থাকার স্বপ্নটা তাড়া করে।
দেখা হয়নি কখনো তারপরো স্বপ্নের মাঝে তোমার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো স্থির ছবি হয়ে ভেসে থাকে।
চোখ ভরতি জলে ঘুম ভাংগে প্রতি প্রভাতেই।
রাতের পর রাত আমি জেগে থাকি তুমিহীনতার অস্থিরতায়।
হাজার মাইল দুরুত্বে
তোমার কন্ঠ ভেসে আসে মিনিট সেকেন্ড অথবা আধ মূহুর্তের জন্য।
আজন্ম তৃষ্ণা আমার বেড়েই চলে।
মুঠোফোনে কথা বললেই কি কষ্টগুলো দুরে সরে!
কষ্টগুলো হারায় না,
রাতের অন্ধকারের কালো মেঘেও কষ্টগুলো চুপটি করে হৃদয়ের দরজায়
কড়া নাড়ে।
ভালোবাসাগুলো নির্জিব তোমাকে ছাড়া। তাইতো খুজে বেড়াই পথের পর পথ হারিয়ে।।
জালাল উদ্দিন রুমির কয়েকটি জ্ঞানগর্ভ উক্তি -
১. আল্লাহ তোমাকে একটা অনুভূতি থেকে আরেকটা অনুভূতির দিকে ঘুরিয়ে দেন এবং এই বিপরীতধর্মী দুই অনুভূতি দিয়ে তোমাকে কিছু শেখাতে চান, যেন তুমি তোমার দু'টো ডানা দিয়ে উড়তে পারো, একটি দিয়ে নয়!
.
২. তোমার দু'টো চোখকেই বন্ধ করে দাও
যদি অন্য চোখটি দিয়ে দেখতে চাও।
.
৩. আমি আমার দুই চোখকে “বিরত” রেখেছি । এই পৃথিবী আর আখিরাতের অভিলাষ থেকে যা আমি মুহাম্মদ থেকে শিখেছি।
.
৪. আমি নীরব হলাম। হে আত্মা, এবার তুমি কথা বলো!
.
৫. যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে
তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।
.
৬. যখন কেউ তোমার সমালোচনা করে অথবা তোমার বিরোধিতা করে, তখন তোমার হৃদয়ে ছোট পিঁপড়ার সমান একটুখানি ঘৃণা আর শত্রুতার জন্ম হয়। তুমি যদি সাথে সাথে সেটাকে মেরে না ফেলো তবে সেটা একটা সাপে পরিণত হতে পারে, এমনকি আরো বড় দানবেও।
.
৭. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।
.
৮. দুঃখ করোনা, যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য
তুমি তা আবার ফিরে পাবে যা কিছু হারিয়েছো আরেকভাবে আরেক রুপে।
.
৯. মোমবাতি হওয়া সহজ কোন কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।
.
১০. এই জগতটা হল একটা স্বপ্ন, শুধু একজন ঘুমন্ত ব্যক্তিই একে বাস্তব মনে করে। এরপর ভোরের মত করে মৃত্যু অাসে; অার যা কিছুকে দুঃখ কষ্ট ভাবতে- তা নিয়ে হাসতে হাসতে তুমি জেগে ওঠো।
.
১১. যখনই মনে কোনো অভিযোগ আসবে --
বরং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো!
.
১২. প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটা নিদির্ষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে এবং প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে ।
.
১৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই, আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী। তাই, নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
.
১৪. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
.
১৫. আমাকে দেখতে অস্থির মনে হতে পারে, কিন্তু আমার গভীরে আমি শান্ত ও স্থির। গাছের শাখারা দুলতে থাকে কিন্তু তার শেকড় থাকে দৃঢ়।
.
১৬. তুমি যদি প্রকৃত ভারসাম্য অর্জন করতে না পারো তাহলে যে কেউ তোমাকে প্রতারিত করতে পারবে।
.
১৭. এই পথটা তোমার, তুমি পথ চলো একা,
তোমার চলার পথে হয়ত কেউ সঙ্গী হবে,
কিন্তু তোমার পথটা অন্য কেউ হেঁটে দিবে না।
.
১৮. আলোকিত মানবেরা অপেক্ষা করে শেষ দিবসের
কিন্তু পাপীর কাছে যে তা দিবস অপমানের।
নেই যে তার সূর্যালোকিত চেহারা,
সে তাই কেবলই করে আঁধারের প্রত্যাশা।
এত কাঁটার পর যদি না ফোটে কলি গোলাপের,
বসন্ত তার শত্রুই হবে, করে উন্মোচন নেকাবের।
কিন্তু আপাদমস্তক গোলাপ কিংবা পদ্ম যে মানুষ
বসন্ত তার জীবনে আনন্দ বয়ে আনুক!
.
১৯. মন খারাপ কোরো না! কারণ চরম নিরুপায় মুহুর্তেই খোদা আশার বাণী দেন। ভুলে যেও না যে, সবচে' অন্ধকার মেঘ থেকেই সবচে' ভারী বৃষ্টিটা আসে।
.
২০. বিপদ-সংকূল এই পথে ভালোবাসাই আমাদের পথপ্রদর্শক।
.
২১. যে কখনো বাড়ি ছাড়েনি, তার কাছ থেকে যাত্রার উপদেশ নিও না।
.
২২. এতদূর তোমাকে নিয়ে এসেছেন যিনি, অারও সামনে নিয়ে যাবেন তিনিই।
.
২৩. কড়া নাড়ো, তিনি তোমায় দরজা খুলে দেবেন।
বিলীন হয়ে যাও, তিনি তোমায় সূর্যের মত উজ্জল করবেন।
লুটিয়ে পড়ো, তিনি তোমায় বেহেশতে তুলে নেবেন।
নিজেকে রিক্ত করো, তিনি তোমায় সবকিছু দিয়ে পূর্ণ করবেন।
.
২৪. যখনই আবার দুঃখ আসবে
তাকে হাসির সাথেই বরণ করো।
বলো, "হে আমার সৃষ্টিকর্তা! আমাকে এর ক্ষতি থেকে বাঁচাও; তবে আমাকে এটার ভালো থেকে বঞ্চিত কোরো না"
প্রভু! আমাকে কৃতজ্ঞ হবার কথা মনে করিয়ে দিও!
যদি এর উপকার পাশ কাটিয়ে চলেও যায়, আমি যেন কোন অনুতাপ না করি।
.
২৫. প্রার্থনা কুয়াশা দূর করে অন্তরের শান্তি ফিরিয়ে আনে।
প্রতিটি সকাল আর সন্ধ্যায় হৃদয় দিয়ে গেয়ে ওঠো:
হে খোদা! তুমি ছাড়া কেউ নেই।
.
২৬. তোমার ভিতরে নমরুদের আগুন আছে,
কিন্তু ইব্রাহীম না হয়ে তাতে প্রবেশ কোরো না।
.
২৭. যেদিন আমি মরে যাব, আমার কফিন এগিয়ে যাবে
সেদিন ভেবো না আমার অন্তর এই ধরাধামে রয়ে গেছে!
তোমরা অযথা অশ্রু বিসর্জন দিও না, হাহুতাশ করো না
‘হায়রে লোকটা চলে গেল’ এই বলে বিলাপ করো না।
আমার সমাধিকে অশ্রুজলে কর্দমাক্ত করে দিও না।
আমিতো মহামিলনের মহাযাত্রার অভিযাত্রী।
আমায় কবরে শোয়ালে ‘বিদায়’ জানাবে না,
কবরতো ইহকাল-পরকালের মাঝে একটা পর্দা মাত্র
অনন্ত আশীর্বাদের ফোয়ারা।
তোমরা অবতরণ দেখেছ এবার চেয়ে দেখ আমার আরোহণ।
চন্দ্র-সূর্যের অস্তাগমন কি বিপজ্জনক?
তোমাদের কাছে যেটা অস্তাগমন, আসলে সেটাই উদয়ন।
.
২৮. আমার হৃদয়ের আকার তো ক্ষুদ্র, এতটাই ছোট যে তা প্রায় দেখাই যায় না। এত বিশাল পরিমাণ দুঃখ-বেদনা আমি কীভাবে ধারণ করবো এতে?
তিনি উত্তর দিলেন, "খেয়াল করে দেখো, তোমার চোখটাও তো অনেক ক্ষুদ্র। কিন্তু এই চোখে তো তুমি গোটা বিশ্বজগতকেই ধারণ করো।"
.
২৯. আমি বললাম: আমার চোখ দুটোর কী হবে?
তিনি বললেন: পথের উপর তাদের স্থির রাখো।
আমি বললাম: আমার কামনার কী হবে?
তিনি বললেন: ওদের পুড়তে দাও।
আমি বললাম: আমার হৃদয়ের ব্যাপারে বলুন?
তিনি বললেন: এর মাঝে কী আছে তা আমাকে বলো।
আমি বললাম: কষ্ট আর ব্যথা।
তিনি বললেন: এগুলো থাকুক তোমার হৃদয়েই।
ক্ষতগুলো তো এমনই স্থান যার ভেতর দিয়ে তোমার মাঝে আলো প্রবেশ করে।
.
৩০. মুহাম্মদের আলো কোন অগ্নিপুজারি বা ইহুদিকে পরিত্যাগ করে না। তাঁর সৌভাগ্যের ছায়া যেন সবার উপর উজ্জ্বল হয়! তিনি সুপথে নিয়ে আসেন যারা পথভ্রষ্ট হয়েছিল মরুভূমিতে।
.
৩১. সুফী হচ্ছে মোহাম্মদকে আবু বকর এর মত আকড়ে ধরা।
.
৩২. এই হচ্ছে মসনবী বই, এবং এটি (ইসলাম)ধর্মের মূলের মূলের মূল এবং এটি কোরআনের বর্ণনাকারী।
একুশের আক্ষেপানুরাগ
বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...

-
আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে ত্রিশোত্তর যুগের কবিদের মধ্যে জীবনান্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪) সর্বশ্রেষ্ঠ। মনন, মেধায়, চিন্তা-চেতনায়, চিত্রকল্প রচনা...
-
প্রমথ চৌধুরী বলে ছিলেন, "বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে".... চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে ব্যপারটা আসলেই চিন্তা...
-
"বুঝা" এবং "বোঝা" শব্দ দুইটি নিয়ে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আমরা অনেকেই "বুঝা" এর জায়গায় "বোঝা...