সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভাল লাগে-

সীমাশূন্য-অনিয়ন্ত্রিত ভালোবাসা..
কোটি কোটি স্বপ্ন..
লক্ষ লক্ষ অনুভূতি..
হাজার হাজার ভাবনা..
শত শত স্মৃতি..
সবই একজনকে ঘিরে..
ভাবতেই অবাক লাগে..
অবাক হবার পর ভালোও লাগে....

মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস।

শেষ হয়ে যাওয়া টুথপেষ্টের গলা টিপে টিপে যারা টুথপেষ্ট বের করতে পারে, তারা জীবন সংগ্রামে বাধার পাহাড় দেখে উল্টা পথে দৌঁড় দিতে জানে না। যে বাবা পেনশনের টাকা দিয়ে হাজারটা খরচের খাত থেকে একটা খাত বাছাই করে খরচ করে, সে বাবার সন্তানেরা নেশার গলিতে হারিয়ে যায় না। যে মা মাসের পর মাস ক্ষুধা নেই বলে, নিজের পেট খালি রেখে সন্তানদের খাওয়ায়, সেই মায়ের ফ্যামিলিতে ভাঙ্গন ধরে না।
:
যে ছেলেটা টিউশনির বেতন পেয়ে, অসুস্থ মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরে, সে ছেলে রাতে গেমস আর আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। যে মেয়েটা টাকা বাঁচাতে লুকিয়ে লুকিয়ে দুই গ্লাস পানি খেয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলে, সেই মেয়েটা বাবা মায়ের অসহায়ত্বের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে না। যেই ফ্যামিলিতে অর্থের যত অভাব, সেই ফ্যামিলির বন্ধন তত অটুট।

একটা মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির ভিত্তিই হলো স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস। যেখানে বাবা হচ্ছে স্ট্রাগলের কিং আর মা হচ্ছে সেক্রিফাইসের কুইন। মায়ের বিয়ের দিন থেকেই শুরু হয় সেক্রিফাইসের শোভাযাত্রা। নিজের চাওয়া পাওয়াকে আলমারিতে লুকিয়ে রেখেই শুরু করে দেয় ফ্যামিলি গড়ায় অবিরাম সেক্রিফাইস। পরিবারে সন্তান আসলেই সেই সেক্রিফাইসের হার দশগুণ বেড়ে যায়।

সেক্রিফাইসের আট ভাগ চলে যায় সন্তানের পিছনে। এক ভাগ স্বামীর পিছনে আর একবার ফ্যামিলির পিছনে। বোকা মহিলা নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য একভাগ সময়ও রাখে না। একজন মা-শিক্ষক হয়ে সন্তানকে পড়ান, বাবুর্চি হয়ে রান্না করেন, পার্সোনাল এসিষ্ট্যান্ট হয়ে সবকিছু ঠিক-ঠাক করেন, বডিগার্ড হয়ে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলে রাখেন, ভালবাসা দিয়ে দুঃখ-কষ্ট দূর করেন।

অন্যদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবার ষ্ট্রাগলের পরিমানটাও বাড়তে থাকে। রিটায়ার্ড করা একজন বাবার পক্ষে সংসারের খরচ মিটানো, ছেলে-মেয়ে কে মানুষ করানো যে, কত বড় সংগ্রাম সেটা বাবারাই শুধু বলতে পারেন। মা হচ্ছেন বাবার এই স্ট্রাগলের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

মিডেল ক্লাসের মেয়েরা অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে বাবার ফ্যামিলিতে, বাকী অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে স্বামীর ফ্যামিলিতে। আর মিডেল ক্লাসের ছেলেরা প্রেমিকার হাত ছেড়ে দিয়ে, এক বুক কষ্ট চেপে ধরে, নিজেকে স্টাবলিষ্ট করার নেভার ইন্ডিং যুদ্ধে নেমে পড়ে। এটাই জীবন, এটায় বাস্তবতা। এসব ছেলেদের পিছুটান থাকে বলে সবকিছু ইচ্ছে মতো করতে পারে না।

সত্যিকার অর্থে জীবন কে উপভোগ করে মধ্যবিত্তরা!

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭

দু'টি কবিতা।

০১.
ঝলমলে রঙ, চওড়া কাজল
অনেক রাতের কান্না ঢাকে,
বেশ্যাদেরও হয়তো কোথাও
একটা প্রথম প্রেমিক থাকে।।

০২.
তুমি চাইলে এ মৃত প্রেম   
আবারো নতুন জীবন পাবে,
ন‌ইলে আমার নিস্তব্ধ রাত
নীরবেই কেটে যাবে।

রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭

ক্ষমা করো প্রিয় কবি।

কার কাছে কি রকম মনে হয় জানিনা, তবে আমার কাছে সবসময়ই মনে হয় বাংলাদেশে কাজী নজরুলের প্রকৃত অবস্থান একজন রাষ্ট্রপতির মতোই। নামে মাত্র 'জাতীয় কবি'। কিন্তু ফোকাসটা সবসময় আরেকজনের দিকে!

মুসলিমদের পক্ষ নিয়ে কোন একটা লাইন না লেখার পরও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের মানুষের কাছে 'অসাম্প্রদায়িক' একজন ব্যক্তি।
অথচ হিন্দুদের নিয়ে শতশত শ্যামাসংগীত লেখা নজরুল একজন সাম্প্রদায়িক।
কারণ তিনি বলে দিয়েছিলেন- "মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।"
তাঁর 'হিন্দু না মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন" উক্তি মুসলিম আস্তিকতার আড়ালে চাপা পড়ে গেছে।

রবীন্দ্রনাথকে শুধু অসাম্প্রদায়িক না, অসাম্প্রদায়িক 'চেতনা'র প্রবাদ পুরুষ বলা হয় আমাদের দেশে।
যে ব্যক্তি সারাজীবন বজরায় বজরায় কাটিয়েছেন, যিনি কোন একদিনও হাজতবাস করেননি তাঁর নামের সাথে চেতনা যায়!

অথচ যে মানুষটা কৈশোর থেকেই সেনাবাহিনী আর বিদ্রোহের উপর, যে মানুষটার অনেকগুলো দিন কেটেছে নিপীড়ন-নির্যাতন-জেলে, তাঁর সাথে চেতনা যায়না!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্টার প্রত্যক্ষ বিরোধী ব্যক্তিকে নিয়ে খোঁদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই যতটা মাতামাতি, আমি হলফ করে বলতে পারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় শুয়ে থাকা জাতীয় কবিকে নিয়ে সে মাতামাতির পরিমাণ দশ ভাগের একভাগও না।

দুর্ভাগ্য নজরুলের না, দুর্ভাগ্য আমাদের।
আমরা এই মহান পুরুষকে সম্মান দিতে পারছিনা।

আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরোধী না। তিনি তাঁর অবস্থানে ঠিক ছিলেন। আমরা আমাদের অবস্থানে ঠিক নাই। জাতীয় কবির মান মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে কবিগুরুকে টানতে হলো।
দুঃখিত কবিগুরু!

নজরুল চলে যাওয়ার পর আর কোন নজরুল তৈরি হয়নি।একসময় কেউ কেউ হওয়ার চেষ্টা করেছে। সে চেষ্টাটাও এখন বিলুপ্ত।

'যবে উৎপীড়িতের রুল আকাশে বাতাসে ধ্বণিবেনা...'
উৎপীড়িতের রোল এখনো আছে।অত্যাচারীর খড়গ কৃপা কোনদিনও বন্ধ হয়নি। তারপরও নজরুলের মতো কেউ অশান্ত হয়নি। রক্ত জমে গেছে সবার।

এদেশের জন্মকালীন প্রসববেদনায় অনেকেই 'কারার ঐ লৌহ কপাট' ভেঙে লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। তরুণ ঈশানদের প্রলয় বিষাণ বাজানোর মতো শক্তি ছিল। এখন সবার মাঝেই ঝিম ঝিম অবস্থা। একটা ধ্বংস নিশান দেখলেই সবাই সন্ধাবেলার মুরগীর মতো ঘরে ঢুকে পড়ে।

'কে আছো জোয়ান, হও আগুয়ান আছে কার হিম্মত' লাইনগুলো এখন আর কোন মানবিক ডাকের সাথে যায়না।
কোথাও অবৈধ কোপাকুপির খেলায় এমন হিম্মৎওয়ালাদের অভাব পড়েনা!

'শিকল পরার ছল' এখন বাঙালীর রক্তে মিশে গেছে।
যৎসামান্য মানুষের পরানো শিকল পায়ে দিয়ে আমরা খুশি।
শিকল পরে মানুষ খুশি, শিকল পরিয়েও মানুষ খুশি।

আহা!
"মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই নহে কিছু মহীয়ান"-এজন্যই বোধহয় বিনা বিচারে রাস্তায় তিনটা মানুষ মারার জন্য ৫৪ টা গুলি করা হয়।
একটা গুলিতে তো কুকুরও মরে।মানুষের সম্মানে এতগুলো গুলি!

প্রিয় কবি, তুমি মহাত্মা গান্ধীর বিপক্ষেও দাঁড়াতে পেরেছিলে।
"দুধের শিশু চায়না স্বরাজ" বলে সমালোচনা করতে পেরেছিল।এখন আর সেদিন নেই।
চারপাশে শুধু তেল আর তেল।
নেতাকে তেলের সাগরে চুবানো হয় সকাল বিকাল।
দেশ অদ্ভূত "তেল চেইন" এ আবদ্ধ।

"চোখ ফেটে এল জল,
এমন করে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?"
-এরকম করে বলা আর একটা মানুষও কি অবশিষ্ট আছে?
কোন কালে কোন কবি অভুক্ত শিশুদের দেখে কি এতো মমতা নিয়ে বলতে পারবে-
"ওদের ফেলে ওগো ধণী ওগো দেশের রাজা,কেমন করে জোটে মুখে মন্ডা-মিটাই-খাজা?"

এই অদ্ভূত মমতা, এই অদ্ভূত মানবপ্রেম শুধু এই একটা মানুষের কলমেই ছিল।

প্রায় ৩০০০ গান লেখা নজরুলকে গীতিকার হিসাবে অনেকেই মূল্যায়ন দিতে চাননা। নজরুল গবেষকদের মতে নজরুলের গানে প্রায় ৮২ রকমের রাগ ব্যবহৃত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যা বিরল।

"আলগা করোগো খোঁপার বাঁধন", "প্রিয় এমনও রাত যেন যায়না বৃথায়", "শাওনও রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে", "লাইনি তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো আঁখি খোঁলো", "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ".........

একেকটা গান যেন একেকটা মুগ্ধতা।
নজরুল সব বাদ দিয়ে একজন গীতিকার হিসেবেই বিখ্যাত হতে পারতেন, সব বাদ দিয়ে একজন সুরকার হিসাবেই বিখ্যাত হতে পারতেন। কিন্তু---

"মম একহাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ তুর্য"...বাঁশের বাঁশরীর মাঝে নজরুলের আরেকটা সত্ত্বা প্রেম।

হয়তো তিনি জীবনান্দের মতো প্রেমের কবি হিসাবে স্বীকৃতি পাননি কিংবা আমরাই স্বীকৃতি দেইনি কিন্তু তাঁর কবিতার ভেতর যে একবার যাবে সে বুঝতে পারবে পরিশুদ্ধ প্রেম কাকে বলে।

"হারিয়ে গেছো অন্ধকারে পাইনি খুঁজে আর
তোমার আমার মাঝে এখন সপ্ত পারাবার"

"আজি বিদায়ের আগে,
তোমারে জানিতে আমারে জানাতে কত কি যে সাধ জাগে।"

"জানি মুখে মুখে হবেনা মোদের কোনদিনও জানাজানি,
বুকে বুকে শুধু বাজিবে বীণা বেদনার বীণাপাণি।"

বুক খালি করে দেয়া, মন উদাস করে দেয়া একেকটা কবিতা।
যে একবার 'চক্রবাক' পড়বে রোমান্টিকতার জন্য তার আর কোন কবিতার প্রয়োজন নেই।

কবির ছেলে যেদিন মারা যায় তার পরেরদিনই তিনি শিশুতোষ রম্য কবিতা লেখা শুরু করেন।

'লিচুচোর', 'খুকু ও কাঠবেড়ালী, "ঝিঙেফুল"....
কোথায় নেই এই কবি?

তবে একটা জায়গায় না গেলেই বোধহয় কবি ভালো করতেন।

"আমি যদি আরব হতাম মদিনার ঐ পথ
আমার উপর হেঁটে যেতেন নূর নবী হযরত।"
"ত্রিভূনের প্রিয় মুহাম্দ","তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে"-এই গানগুলো আমাদের তথাকথিত প্রগতিশীলদের চুলকানীর কারণ হয়েছে।
তারা আস্তে করে নজরুল থেকে সরে গেছেন। নিজের ছেলে বাদ দিয়ে সৎ ছেলেকে কোলে নিয়েছেন।

বৃটিশ আমলেই নীরব হয়েছেন কবি। নীরব অবস্থায় পেয়েছেন পিশাচ পাকিস্তানী শাসন। পেয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের কিছুটা সময়ও। কিন্তু কিছু বলতে পারেননি।

কবি যদি এখন পর্যন্ত বেঁচে থাকতেন এবং সুস্থ থাকতেন তবে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহারে কিভাবে জ্বলে ওঠতেন জানিনা,ফেলালীর ঝুলন্ত লাশ দেখে কি বলতেন জানিনা, বুদ্ধিজীবিদের কলম বিক্রিতে কি প্রতিক্রিয়া দেখাতেন জানিনা, স্বঘোষিত ইসলামবিদ্বেষীদের নোংরামী এবং তাদেরকে পৃষ্টপোষকতায় কতটা ক্ষুব্ধ হতেন জানিনা, নারীর অসম্মানে কতটা কি করতেন জানিনা......
তবে একটা জিনিস জানি তাঁকে বারবার জেলে যেতে হতো। বৃটিশ রাজ তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলাতে পারেনি। হয়তো তাঁকে ফাঁসিতেও ঝুলতে হতো।

৪০ বছর বয়সে অনেকের সাহিত্য জীবন শুরু হয়। সেই ৪৩ বছর বয়সেই নিভে গেলেন কবি।
শতাব্দির শ্রেষ্ট ক্ষণজন্মা মানুষটাকে ধরল একটা ক্ষণজন্মা অসুখ। কে জানে হয়তো তাতে ভালোই হয়েছে কিনা। নয়তো যা সম্মান অবশিষ্ট আছে হয়তো সেটাও থাকতো না।

কবিকে একটা পন্থী হতে হতো।মাঝামাঝি থাকতে পারতেন না।

"আমার যাবার সময় হলো দাও বিদায়"-বলা কবি এত দ্রুত কলমগজৎ থেকে বিদায় নেবেন কে জানতো?

কে জানতো আমাদের "বুলবুলি নীরব" হয়ে যাবেন অর্ধশতাব্দি আগেই।

আমরা যা পেয়েছি তার থেকে হারিয়েছি অনেক অনেক বেশি।

এই ক্ষণজন্মা মহান মানবকে এই স্টুপিড জাতি প্রকৃত মূল্যায়ন কখনোই দিতে পারবেনা।
একটা সম্মানসূচক সিল মেরেই এ জাতি তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে।

তবু নজরুল থাকবেন নজরুল হয়েই। আর কেউ নজরুল হতে পারবেনা এতে নজরুলের সম্মানহানী হচ্ছেনা, নজরুল ওঠে যাচ্ছেন সম্মানের চূড়ায়।

আজ তোমার কবিতাও আমাদের রক্ত গরম করতে পারেনা;
আমাদের রক্ত এতটা ফ্রিজ হয়ে গেছে;

"তোমায় বড় ভালোবাসি কবি
হৃদয়পটে তোমার রঙিন ছবি।"

মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৭

জীবন কখনো ব্যর্থ হয় না!

জীবন কখনো ব্যর্থ হয়না, বরং আমাদের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা , ব্যর্থ হয়। জীবনের সারিবদ্ধ সোপান ক্রমিকমান অনুযায়ী মাড়ানো হয়নি বলে যে জীবন ব্যর্থ, এই  ধারনা আরোপিত, স্বতঃসিদ্ধ নয়।জীবনের রেডিমেড পোষাকে নিজেকে দেখতে আমাদের দুর্বলতা, নমনীয়তা আমাদের ‘সাধারন’ হওয়ার প্রবনতা এনে দেয়। ‘আমি অতি সাধারন’ বোধের আত্বপ্রবঞ্চনা আমাদের কাছে মানবীয় উচ্চতার মান নিয়ন্ত্রক।

জীবনের ‘স্টেজ’ গুলো কৃত্রিম, এখানে সংযোজন, বিয়োজন প্রতিনিয়ত আবর্তিত হয় সময়ের চক্রিক সিড়ি বেয়ে। হতে পারে দ্বিমাত্রিক-ত্রিমাত্রিক। কিন্তু ছোখ আটকে যাওয়া কিংবা আপাতত অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধাজনক মনে হওয়া সিড়িতেই আমাদের জীবনের লক্ষ্য নিক্ষিপ্ত হওয়ায় সেই সিড়ি টপকানোর মধ্যেই জীবনে কিছু হওয়া বা না হওয়া নির্ধারন করা হয়।

আমরা সবাই জীবন কে ২+২ = ৪ করে হিসাব করে অভ্যস্থ। কিন্তু জীবনের এই হিসেব ১+১+১+১ বা ১+৩ কিংবা ৩+১ সমান চার হতে পারে, সে হিসেবে আমরা অনভ্যস্ত। আমরা অস্বস্তি বোধ করি।

জীবন কখনো কাউকে প্রতারিত করে না, বরং ব্যক্তির কাছেই জীবনই পরাজিত হয়। 

জীবন কোন সুনির্দিষ্ট পথে হাটার কথা নয়, যদিও আমরা টেনে হেছড়ে নিই। জীবনের ক্ষরণ হয়, এক সময় সেই পথে হাটার, দৌড়ানোর সক্ষমতা আসলেও সেটা হয় কেবল বাধিত হওয়ার সুখ, জীবন নিজে আনন্দিত হয় না।

জীবনের জঠিলতার কারনে কাংখিত পথে হাটা সম্ভব হয় না, কিন্তু তার মানে এই না যে, নিজের স্বকীয়তা বিলুপ্ত করে দিতে হবে, আটপৌড় হয়ে যেতে হবে। জীবন মানে অনির্দিষ্টতা, নির্দিষ্ট খাপে বাক্সে ভরে তাকে বয়ে নিতে হবে তার কোন মানে হয় না, আর যদি হয়ও, খাপ বা বাক্সের ভিতরের অস্তিত্যটা যেন নিজেই খাপ খাওয়াতে গিয়ে খাপের সাথে, বাক্সের মধ্যে একাকার হয়ে না যায়। বাক্সের মধ্যে জীবন আর বাক্সবন্ধি হওয়া এক কথা নয়।

জীবনের আনন্দ, সুখ, লোভ, পুন্য, দূঃখ, কষ্ট, সৌন্দর্যরূপ, কদর্যতা, নীচতা, হীনতা- সবই আপেক্ষিক।

আপেক্ষিকতা কে বড় করে দেখে তাকে জীবনের ‘স্টান্ডার্ড’ হিসেবে মেনে নেওয়ার কোনই যুক্তি নেই।
সুতরাং-
Have the Most of it, Just be Honest with yourself.

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৭

আগুনে আর কতটুকু পোড়ে?

"আগুন আর কতোটুকু পোড়ে?
সীমাবদ্ধ তার ক্ষয় সীমিত বিনাশ,
মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালী সন্ত্রাস।

আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে
কিছু থাকে,
হোক না তা ধূসর শ্যামল রঙ ছাই,
মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না
কিচ্ছু থাকে না,
খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।"

মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭

উপদেশ!

উপদেশ কেউই পছন্দ করে না। কারণ অধিকাংশ মানুষ যা কিছু শেখে, সবটাই ঠেকে শেখে কিংবা ঠকে শেখে, কখনো উপদেশ থেকে কেউ কিছু শেখে না। এই ঠেকে শিখতে গিয়ে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে জীবনে জ্ঞান লাভ করতে পারে সত্য কিন্তু অনেক সময় এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে এমন ভাবে পড়ে যায়, যেখান থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয় এবং জীবনের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়।

জীবন মানে-

পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে জীবনের অর্থ আলাদা। আমার জীবনের অর্থ যেমন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বদলায়, তেমনি আমার মনে হয় প্রত্যেকটি মানুষ তার জীবনকে ভিন্ন সময়ে ভিন্ন অর্থে খুঁজে পায়। কোন কোন মানুষের জন্য এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার নামই জীবন। আবার কেউ কেউ শুধু বাঁচাটাকে জীবনের অর্থ মনে করে না, তারা জীবনে সুখ খুঁজে পাওয়াটাকে মনে করে জীবন। কিছু মানুষ মনে করেন অনেক টাকা- পয়সা এবং সম্পত্তির মালিক হতে পারলেই জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আসলে জীবন হলঃ  একটি সুন্দর সকালের শুরু মানে জীবন। প্রতিটি মুহুর্তটিকে আনন্দের সাথে কাটানোর মানে জীবন।   আত্নসন্তুষ্টি লাভ করার মানে জীবন।   সবরকমের যন্ত্রণাকে লাঘব করার মানে জীবন। সব দুঃখ কষ্টকে জয় করে ... প্রতিটি বাধা- বিপত্তি পেরিয়ে বেচেঁ থাকার মাঝেই জীবন।  নিজের ইচ্ছায় চলা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াঁনোর মাঝেই জীবন।

গ্রামীন নোংরামি

গ্রামে এখনো কিছু নোংরামি থেকে গেছে, যেমন- কেউ যদি একটা ভাল চাকরি পায় অমনি শুরু হয়ে যাবে বদনাম করা, বলবে নিশ্চয় ঘুষ দিয়ে পেয়েছে!!  নিজের মেয়ের চেয়ে যদি পাশের বাড়ির মেয়েকে দেখতে আসা বরটি দেখতে ভাল, পজিশন ভাল হয় অমনি শুরু হয়ে যায় কীভাবে বিয়েটি ভেঙ্গে দেবে!!  পাশের বাসার বউটি যদি ভাল হয় অমনি বদনামের চেষ্টা শুরু হবে!! ভাল কিছু করতে চাইলেই সমালোচনার ঝড়!! উপকার করলে বলবে নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য আছে!!
গ্রামে উপরে তোলার চেষ্টার চেয়ে নিচে নামানুর প্রতিযোগিতা বেশী!! কত প্রতিভা সুযোগের অভাবে গ্রামে ঝরে যাচ্ছে তার কোন হিসেব নেই। এ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে না পারলে গ্রাম কখনো এগিয়ে যাবে না। আপনার সন্তান/পরিবারের কথাও একবার ভাবুন। আপনিও রেহায় পাবেন না কিন্তু!!

১৪৩টি গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি বানান এবং বানান মনে রাখার কৌশল

1. Lieutenant (লেফটেনেন্ট) ➫ সামরিক কর্মী। ✎ Lie u ten ant ➫ মিথ্যা তুমি দশ পিপড়া।
2. Psychological (সাইকোলজিক্যাল) ➫ মনস্তাত্ত্বিক। ✎ Psy cholo gi cal ➫ পিসি চলো যাই কাল।
3. Assassination (এ্যাসএ্যাসিনেশন) ➫ গুপ্তহত্যা। ✎ Ass ass i nation -গাধার উপরে গাধা, তার উপরে আমি, আমার উপরে জাতি।
4. Questionnaire ➫ প্রশ্নমালা। ✎ Question nai re ➫ কোশ্চেন নাই রে।
5. Assessment ➫ কর নির্ধারণ। ✎ Ass e ss men t ➫ গাধায় ই ডাবল ss মানুষেতে নাই।
6. Hallucination ➫ অমুলক / অলীক কিছু দেখা বা তাতে বিশ্বাস। ✎ Hall u ci nation-হলে তুমি! ছি জাতি।
7. Diarrhoea ➫ উদারাময়। ✎ Dia rr hoea ➫ ডায়াল করো ডাবল rr হোয়ে যাবে।
8. Bureaucracy ➫ আমলাতন্ত্র। ✎ Burea u cracy ➫ বুড়িয়া তুমি cracy.
9. Restaurant ➫ রেস্টুরেন্ট। ✎ Rest a u r ant ➫ বিশ্রাম এ তুমি আর পিপড়া।
10. Parallel ➫ সমান্তরাল। ✎ Par all e l ➫ পার করো সকলকে ই।
11. Illegitimate ➫ অবৈধ। ✎ Illeg i tim ate ➫ অসুস্থ পায় আমি টিম খেয়েছিলাম।
12. Miscellaneous ➫ বিবিধ। ✎ Mis cell an e o us-মিস করলে একটি সেলে ই ও আমাদের সাথে থাকবে। (cell-ক্ষুদ্র কক্ষ)।
কিছু প্রয়োজনীয় ইংরেজি বানানঃ
1) ☆ Accommodation(বাসস্থান)
2) ☆ Brilliant(মেধাবী)
3) ☆ Bulletin(বুলেটিন)
4) ☆ Burglar(চোর)
5) ☆ Challenge(চ্যালেন্জ)
6) ☆ Cigarette(সিগরেট)
7) ☆ Colonel(কর্নেল)
8) ☆ Commission(কমিশন)
9) ☆ Committee(কমিটি)
10) ☆ Guerrilla(গেরিলা যুদ্ধা)
11) ☆ Leisure(অবসর)
12) ☆ Maintenance(ভরণপোষণ)
13) ☆ Millennium(সহস্রাব্দ)
14) ☆ Misspell(ভুল বানান করা)
15) ☆ Questionnaire(প্রশ্নমালা)
কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি বানান,যেগুলো আমরা প্রায়ই ভুল করি.......
16) Aberration ➫ বিপদগামিতা/নীতিভ্রংশ
17) Accessory ➫ অপরাধের সহযোগী
18) Acclivity ➫ উর্ধ্বমুখী ঢাল/চড়াই
19) Amateur ➫ শৌখিন/অপেশাদার
20) Ammunition ➫ গোলা-বারুদের ভাণ্ডার
21) Anaemia ➫ রক্তাল্পতা
22) Anesthesia ➫ অনুভূতিবিলোপ/অবেদন
23) Apocalypse ➫ (জগতের ভবিষ্যত পরিণতি বিষয়ে) ঈশ্বরলব্ধ দিব্যজ্ঞান
24) Archipelago ➫ দ্বীপপুঞ্জ
25) Assassin ➫ গুপ্তঘাতক
26) Avaricious ➫ লোলুপ/লোভী
27) Besiege ➫ অবরোধ করা/চারিদিক থেকে আক্রমণ করা
28) Bourgeois ➫ সম্পদশালী/মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক
29) Camouflage ➫ ছদ্মবেশ/কপটবেশ
30) Celestial ➫ স্বর্গীয়/দিব্য
31) Cemetery ➫ সমাধিক্ষেত্র/গোরস্থান
32) Colonel ➫ উচ্চতর পদমর্যাদার সেনাপতি/কর্নেল
33) Commemoration ➫ স্মৃতিরক্ষার্থে অনুষ্ঠান
34) Commencement ➫ সূচনা/আরম্ভ
35) Commodity ➫ পণ্যদ্রব্য
36) Complaisant ➫ সৌজন্যপূর্ণ/সন্তোষ উৎপাদনে আগ্রহী
37) Contemporaneous ➫ সমকালীন/
সমসাময়িক
38) Contemptuous ➫ ঘৃণ্য/অবজ্ঞেয়
39) Councillor/Counsellor ➫ পরিষদের সদস্য/উপদেষ্টা
40) Counterfeit ➫ জাল/নকল
41) Curriculum ➫ পাঠ্যসূচি
42) Delinquency ➫ দুষ্কৃতি/অপকর্ম
43) Dilettante ➫ (কাব্য/সঙ্গীত বিষয়ে) অগভীর জ্ঞানসম্পন্ন
44) Disciplinarian ➫ কঠোর শাসক
45) Dyspepsia ➫ অজীর্ণ রোগ/বদহজম
46) Elephantiasis ➫ গোদ/পা ফোলা রোগ
47) Embarrassment ➫ অস্বস্তি/মানসিক দুশ্চিন্তা
48) Encyclopedia ➫ বিশ্বকোষ/জ্ঞানকোষ
49) Erroneous ➫ অশুদ্ধ/ভ্রান্ত
50) Etiquette ➫ শিষ্টাচার/নম্র আচরণ
51) Etiquette ➫ নম্র আচরণ/শিষ্টাচার
52) Exaggerate ➫ অতিরঞ্জিত করা
53) Factitious ➫ অস্বাভাবিক/কৃত্রিম
54) Flicker ➫ মিট মিট করা
55) Gargantuan ➫ প্রকাণ্ড/সুবিপুল/দানবীয়
56) Grandeur ➫ মহিমা/বিশালতা
57) Gymnasium ➫ শরীরচর্চা কেন্দ্র
58) Hereditary ➫ বংশানুক্রমিক/কৌলিক
59) Hippopotamus ➫ জলহস্তী
60) Homogeneous ➫ সমজাতীয়
61) Honorary ➫ অবৈতনিক/সম্মানসূচক
62) Humorous ➫ রসিকতাপূর্ণ
63) Hyacinth ➫ কচুরিপানা
64) Idiosyncrasy ➫ স্বভাব বৈশিষ্ট্য/আচরণ
65) Inapplicable ➫ অপ্রযোজ্য/অনুপযুক্ত
66) Incorrigible ➫ অশোধনীয়/অপ্রতিকার্য
67) Infinitesimal ➫ অতিক্ষুদ্র/অনীয়ান
68) Inheritance ➫ উত্তরাধিকার
69) Interruption ➫ ব্যাঘাত/বিঘ্ন/বাধা
70) Irreconcilable ➫ বিসঙ্গত/অসদৃশ
71) Irresponsible ➫ দায়িত্বহীন/বেপরোয়া
72) Irreversible ➫ অপরিবর্তনীয়
73) Itinerant ➫ পরিভ্রমী/ভ্রমণশীল
74) Jewelry ➫ রত্নখচিত অলঙ্কারাদির সমগ্র
75) Magniloquent ➫ বাগাড়ম্বরপূর্ণ/বড় বড় কথা বলে এমন
76) Malediction ➫ অভিশাপ
77) Manoeuvre ➫ কৌশল
78) Masquerade ➫ ভান বা ছদ্মবেশ ধারণ করা
79) Mediterranean ➫ ভূমধ্যসাগরীয়
80) Mellifluous ➫ সুমধুর/সুললিত
81) Mellifluous ➫ সুমধুর/সুললিত
82) Mercenary ➫ ভাড়াটে সৈনিক বা কর্মী
83) Millennium ➫ সহস্রাব্দ/বর্ষসহস্রক
84) Millionaire ➫ কোটিপতি/অতি ধনাঢ্য ব্যক্তি
85) Monotonous ➫ একঘেয়ে/বৈচিত্র্যহীন
86) Multifarious ➫ নানাবিধ/বিচিত্র
87) Nauseous ➫ বিতৃষ্ণাজনক
88) Omelet ➫ ডিম ভাজা/মামলেট
89) Omission ➫ বর্জন/বাতিল
90) Opprobrious ➫ অশোভন
91) Orthodoxy ➫ গোঁড়ামি
92) Oscillate ➫ দোলানো/আন্দোলিত করা
93) Palliate ➫ প্রশমন/লাঘব করা
94) Pedagogue ➫ স্কুলশিক্ষক/পণ্ডিতপ্রবর
95) Peevish ➫ বিরক্তিকর
96) Phthisis ➫ যক্ষ্মারোগ
97) Physique ➫ দৈহিক গঠন
98) Pomegranate ➫ ডালিম
99) Predecessor ➫ পূর্বসূরী
100) Procession ➫ মিছিল/শোভাযাত্রা
101) Prodigious ➫ অতিবৃহৎ
102) Prolegomenon ➫ গ্রন্থাভাষ/ভূমিকা
103) Pseudonym ➫ ছদ্মনাম
104) Pulchritude ➫ দৈহিক সৌন্দর্য
105) Questionnaire ➫ প্রশ্নাবলী
106) Receipt ➫ প্রাপ্তি
107) Recommendation ➫ সুপারিশ/পরামর্শ
108) Reconciliation ➫ সামঞ্জস্যবিধান/
মীমাংসা
109) Reconnaissance ➫ তথ্যসংক্রান্ত অভিযান
110) Referendum ➫ গণভোট
111) Regeneration ➫ আধ্যাত্মিক পুনর্জম্ম/
নবজন্মলাভ
112) Reminiscence ➫ স্মৃতিচারণ
113) Rendezvous ➫ মিলনস্থল
114) Rhinoceros ➫ গণ্ডার
115) Sanatorium ➫ স্বাস্থ্যকেন্দ্র
116) Scissors ➫ কাঁচি
117) Shaggy ➫ রুক্ষ/মোটা ও অপরিপাটি
118) Simultaneous ➫ যুগপৎ/সমকালীন
119) Sobriety ➫ আত্মনিয়ন্ত্রণ/সংযম
120) Souvenir ➫ স্মৃতিচিহ্ন
121) Stereotype ➫ গৎবাঁধা/অপরিবর্তনীয়
122) Successive ➫ ক্রমাগত/পারস্পরিক
123) Superiority ➫ শ্রেষ্ঠতা/উৎকৃষ্টতা
124) Superstition ➫ কুসংস্কার/অন্ধবিশ্বাস
125) Thesaurus ➫ ভাব-অভিধান
126) Transliterate ➫ ভিন্ন ভাষায় রূপান্তর করা
127) Unparalleled ➫ অতুলনীয়/অদ্বিতীয়
128) Vehement ➫ প্রবল/ব্যগ্র/উদ্দাম
129) Vendetta ➫ বংশানুক্রমিক প্রতিহিংসা
130) Veterinary ➫ পশুচিকিৎসক
131) Vicissitude ➫ উত্থানপতন/পরিবর্তন

সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পল্টিবাজ প্রেমিক/প্রেমিকা

রিলেশনের শুরুর দিকে ছেলেরা!!
১ .হ্যালো বাবু জানো কি হইছে? আমাকে না একটা পিঁপড়া কামড় দিছে!
- কি? তোমাকে পিঁপড়া কামড় দিছে? ওয়েট  করো তুমি, আমি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসতেছি! আর ওই পিঁপড়া কে মারতে কামান নিয়ে আসতেছি!
.
২.বাবু শোন! আমার না খিদা লাগছে! চলো  খাবো! আজকে বিল কিন্তু আমি দিবো!
- কি বলো বাবু খিদা লাগছে এতক্ষণ বলোনি কেন? চলো আমরা বুফে খাবো!
আর বিল তুমি দিবে মানে? আমি থাকতে তুমি বিল দিবে? এ কথা শুনার আগে আমার মরণ হলো না কেন?
.
৩.বাবু আমার একটা কল আসছে একটু রিসিভ করি? আর শোন আজ আমার একটা ফ্রেন্ড এর বার্থডে পার্টি তে যেতে হবে!
- আরে দ্রুত কল রিসিভ করো! আর ফ্রেন্ড এর পার্টি তে অবশ্যই যাবে সমস্যা নেই! আমি গিফট কিনে দি?

৪.বাবু আমার বাসায় না বিয়ের প্রপোজাল আসতেছে! আমি বলে দিয়েছি এখন বিয়ে টিয়ে করবো না! বাবু আমরা কবে বিয়ে করবো?
- কি বললে? চলো আজকেই বিয়ে করে ফেলি! তোমার বিয়ের কথা শুনলে আমার হার্টএ্যাটাক হয়ে যায়! আমি তোমাকেই বিয়ে করবো!

৫.বাবু তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো বলো তো!!
-- বাবু আমার জীবনের চেয়ে তোমাকে বেশি ভালোবাসি! তুমিই আমার সব! তোমাকে ছাড়া এক সেকেন্ডও আমার পক্ষে বাঁচা সম্ভব না!

(রিলেশনের শেষের দিকে!! )
১.হ্যালো বাবু জানো কি হইছে? আমাকে না একটা পিঁপড়া কামড় দিছে!
- পিঁপড়া কামড় দিছে তো কি হইছে? এমন ভাব করতেছো মনে হচ্ছে অজগর সাপ কামড় দিছে! ন্যাকামী বন্ধ করো!

২.বাবু শোন আমার না খিদা লাগছে!
-- তোমার এত ঘন ঘন খিদা লাগে কেন বুঝি না! এই মামা পাঁচ টাকার বাদাম দাও তো! শুনো আমার কাছে টাকা নাই তুমি পাঁচ টাকা দিয়ে দাও!

৩. বাবু শোন আমার একটা কল আসছে একটু পিক করি? আর শোন আমার ফ্রেন্ড এর বার্থডে পার্টি তে যেতে হবে আজ!
- তোমার কেন এত কল আসে? দুনিয়ার সবাই তোমাকে কল করে? আর কিসের এত বার্থডে পার্টি! দরকার নাই এত পার্টি মার্টিতে যাওয়ার!

৪.বাবু আমার বাসায় না বিয়ে প্রপোজাল আসতেছে! বাবু আমরা কবে বিয়ে করবো?
-- তোমার মুখে এই বিয়ে বিয়ে ছাড়া কোন শব্দ নাই? সবসময়ই ঘ্যান ঘ্যান! আমার পক্ষে আগামী পাঁচ বছরেও বিয়ে করা সম্ভব না!

৫.বাবু তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো বলো তো!!
--আরে রাখো তোমার লুতুপুতু ভালোবাসা! আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে
তোমার সাথে রিলেশন করা!
--------------------------

রিলেশনের শুরুতে মেয়েরা!!
১. বেবি তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো?
- বাবু বিশ্বাস করো আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি! গাড়ি বাড়ি কিচ্ছু দরকার নাই! স্বয়ং বিল গেটস এসেও যদি প্রপোজ করে আমি রাজি হবো না! আমি শুধু তোমাকে চাই!

২. তোমার বাবা মা যদি রাজি না হয়? তখন আমার সাথে পালিয়ে যেতে পারবে?
- কি যে বলো! আর আমার মা বাবা আমার পছন্দের বাইরে কিছু করবে না! তবুও যদি রাজি না হয় আমি তোমার হাত ধরে চলে যাবো! প্রয়োজনে গাছ তলায় থাকবো!

৩. কি বলছো জানো তুমি? তুমি ঘোরের মধ্যে আছো! এসব তোমার আবেগের কথা!
-  আমি ভেবেচিন্তেই বলছি! কোন মোহ বা ঘোরের মধ্যে থেকে নয়!

৪. আমাকে কেন ভালোবাসো বলোতো?
- তুমি অনেক কেয়ারিং, পারসোনালিটি ভালো, মেন্টালিটি খুব ব্রড এবং তুমি একজন ভালো মানুষ!

৫. আচ্ছা কি করলে বুঝবে যে আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি!
- সারাজীবন যদি পাশে থাকো, কখনো যদি ছেড়ে না যাও তাহলে বুঝবো তুমি আমাকে ভালোবাসো!

৬ আমাকে ছাড়া কখনো অন্য কাউকে বিয়ে করবে নাতো?
- দুনিয়া উল্টে যেতে পারে কিন্তু আমার কমিটমেন্ট এদিক ওদিক হবে না! তোমাকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করবো না!

( রিলেশনের শেষের দিকে মেয়েরা! )

১. বেবি তুমি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো?
- আসলে বাবু আমি তোমাকে ভালোবাসি তা ঠিকাছে কিন্তু আমাদের রিলেশন শুরুতে যতটা ইজি মনে করছিলাম আসলে ততটা ইজি না! তুমি এখনো স্টাবলিস্ট না! :( (এতকুটু শুধু মুখে বলে, আর মনে মনে যা বলে) না বুঝেই তোর প্রেমে পড়েছিলাম! এখন কোন দুঃখে তোমাকে ভালোবাসবো? কি আছে তোমার? ভালো ক্যারিয়ার? বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স?

২. তোমার বাবা মা যদি রাজি না হয় আমার সাথে পালিয়ে যেতে পারবে?
- আসলে আগে বুঝিনি আমার ফ্যামিলি রাজি হবে না! আমি কিভাবে মা বাবাকে কষ্ট দিবো বলো! বাবা হার্টএ্যাটাক করবে!
-- (মনে মনে যা বলে) হ্যাঁ ঠিকই বলছিস তোর মত ফকিরের সাথে আমার ফ্যামিলি
জীবনেও রাজি হবে না! আর আমি কি চোর যে তোর হাত ধরে পালিয়ে যাবো?

৩. আগের কথাগুলো তোমার আবেগের ছিলো? তুমি ঘোরের মধ্যে বলছিলা?
-- বাবু তুমি ঠিকই বলছো আমি আসলে রিলেশনের শুরুতে immatured ছিলাম কি বলতে কি বলে ফেলছি বুঝতে পারিনি!
-- (মনে মনে যা বলে) আরে ধুর আবেগে পড়ে কোন কালে কি বলছিলাম তা দিয়ে কি পানি খাবো? আবেগ দিয়ে দুনিয়া চলে না!

৪. আমাকে কেন ভালোবাসো বলোতো?
- বাবু তুমি অনেক ভালো ছেলে কিন্তু কি  করবো বলো, আসলে আমাদের ভাগ্যটাই  খারাপ!
- (মনে মনে যা বলে) কে বললো তোকে ভালোবাসি? তুই একটা খ্যাত, ন্যারো মাইন্ডেড! খবরদার আমাকে বেবি বলে ডাকবি না!

৫. আচ্ছা কি করলে বিশ্বাস করবে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি!
- বাবু তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে বাধা দিও না! ফ্যামিলির পছন্দমত বিয়ে করতে দাও! দেখবে তুমি আমার থেকে বেটার কাউকে ডিজার্ভ করো!( এখানেই শুধু মনের আর মুখের কথা একই হয়! এটাই ব্রেকআপ করার জাতীয় ডায়লগ)

৬. আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না বলেছিলে!!
-- বাবু আসলে একটা প্রবলেম হয়ে গেছে! আমি তো শুধু তোমাকেই বিয়ে করতে চাইতাম! কিন্তু হঠাৎ জোর করে আমার ফ্যামিলি অন্য ছেলের সাথে আমার engagement করিয়েছে! তোমার সাথে একটা বার যোগাযোগ করারও সুযোগ পাইনি! এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিলো না! স্যরি বাবু! তুমি বিয়েতে অবশ্যই আসবে আমাকে বিদায় দিতে!
--(মনে মনে ) আরে রাখ তোর বিয়ে, শালা ফকির! এতক্ষণ কি বললাম শুনিস নি? কোন দুঃখে তোকে বিয়ে করতে যাবো? আমার অলরেডি অন্য জায়গায় engagement হয়ে গেছে! এই নে আমার বিয়ের কার্ড! সুন্দর দেখে একটা গিফট নিয়ে এসে বিয়ে খেয়ে যাবি!

বিঃদ্রঃ এখানে শুধু মাত্র পল্টিবাজ প্রেমিক/প্রেমিকাদের কথা বলা হয়েছে! এই পোস্ট পড়ে পুরুষ/নারী সমাজ যদি আহত, নিহত মর্মাহত বা ক্ষুব্ধ হন তাহলে---
এডমিন দায়ী নয়!!!

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...