বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

নিচে নামানোর জন্য উপরে তুলতে হয়!

“বনের রাজা সিংহ তার আন্ডাবাচ্চা নিয়া রোদ পোহাচ্ছিলো! 

এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে দু’টা ঝাকি দিলো!
সিংহ যতোটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হইলো বেশী!

বাঁদর একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিংহকে কয়েকটা ভেংচি কেটে হাসতে হাসতে চলে গেলো!

সিংহের বাচ্চা সিংহকে উদ্দেশ্য করে বললো, “এত্তোবড় বেয়াদবী! আর আপনি তাকে কিছুই বললেন না বাপজান !”

সিংহ বললো, বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! একটু সময় অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে!”

কয়েকদিন পর হঠাত করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়লো এবং এক থাপ্পরে তাকে শেষ করে দিলো সিংহ।

সিংহের বাচ্চা অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞেস করলোঃ
“বাপজান! সেদিন এতো অন্যায় করলো! কিন্তুু আপনি কিছুই বললেন না তাকে ! 

অথচ আজকে সে কিছুই করেনি! কিন্তু তাকে মে-রে ফেললেন ?

সিংহ জবাবে বললো, “ এটাই কৌশল বাবা ! সেদিনের পর বাঁদরটা ভালুক কে  লা-থি মেরেছে! হাতির শুড় ধরে দুলছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নাচছে! হায়নাকে সে কাতুকুতু দিয়েছে!
জিরাফকে থাপ্-পড় দিয়েছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে?”

“সেদিন ওরে মা-রলে সবাই আমাকে বলতো, ক্ষমতা দেখাইতেছি, স্বৈরাচারী এবং খু-নী আমি!
আজকে একটু পর দেখবি- সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ রাজা সাহেব!”

শোন মাঝে মাঝে লাই দিয়া মাথায় তুলতে হয়! যাতে শক্ত করে আছা-ড় দিলে বেশী ব্যথা পায় এবং সীমার বাহিরে যখন কোন কিছু করে তার জন্য একেবারে জীবন থেকে শিক্ষা পায় ও আপদও দূর হয়ে যায়। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...