বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

আমেরিকার নির্বাচন; কিছু কঠিন প্রশ্ন


বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রার্থী সবসময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, বিষয়টি আমেরিকায় তা নয়। জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ইলেকটোরাল কলেজ নামে পরিচিত এক দল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কলেজ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবার কাজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা।

▪  জয় পরাজয় কীভাবে নির্ধারিত হয়?

অন্য অনেক দেশের নির্বাচনেই দেখা যায় - যে প্রার্থী বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব সময় তা নাও হতে পারে। কারণ মার্কিন নির্বাচনী পদ্ধতিকে বলা যায় 'পরোক্ষ' ভোট ব্যবস্থা - যা একটু জটিল মনে হতে পারে।

এখানে একজন ভোটার যখন তার পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তখন তিনি আসলে ভোট দিচ্ছেন তার অঙ্গরাজ্য-ভিত্তিক নির্বাচনী লড়াইয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে আসলে দু'ধরণের ভোট জিততে হয়,

-  'পপুলার' ভোট বা সাধারণ ভোটারদের ভোট এবং

-  'ইলেকটোরাল কলেজ' নামে নির্বাচকমন্ডলীর ভোট।

নির্বাচনের প্রার্থীরা আসলে এই ইলেকটোরাল ভোট জেতার জন্যই লড়াই করেন। এই নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিখুঁত নয় - তবু যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিকে ব্যাপক সম্মানের চোখে দেখা হয়, কারণ এর সাথে দেশটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সংযোগ আছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই পদ্ধতি হলো পরোক্ষ। প্রথমে জনগণ ভোট দিয়ে ইলেক্ট্রোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নির্বাচিত করেন। ব্যালট পেপারে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নাম লেখা থাকে। একেক রাজ্যের নিয়ম অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলীর নাম উল্লেখ্য থাকতেও পারে, নাও পারে।

জনগণ কোনো নির্দিষ্ট প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অর্থ হল তার দলের ইলেকট্রোরাল কলেজ মনোনীত করা। পরবর্তীতে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন জনগণের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে।

▪ কীভাবে কাজ করে ইলকেটোরাল কলেজ?

ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোনো রাজ্যের কতজন ইলেকটোর বা নির্বাচক থাকবে সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। ফলে এই রাজ্যে ইলেকটোরাল সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৫। ছোট ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট। আলাস্কা এবং নর্থ ড্যাকোটা রাজ্যের হাতে তিনটি করে ভোট।

কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটোর সবই তাদের পকেটেই যাবে।

মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।নেব্রাস্কা ও মাইন রাজ্যে বিজয়ী প্রার্থী সব ইলেক্ট্রোরাল ভোট একাই পান না, বরং সেটা পপুলার ভোট বিজয়ী ও কংগ্রেশনাল জেলায় বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে একক কোনো নির্বাচন না বলে বরং ৫০ টি রাজ্য ও একটি জেলা কলাম্বিয়ার আলাদা আলাদা নির্বাচনের ফলাফলের যোগফল বলা যায়। কারণ প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত ইলেকটোরালদের ভোটে চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচিত করা হয় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। তারা নিজ নিজ স্টেইটের রাজধানীতে এসে প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে যান ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

▪ ইলেকটোরাল কলেজ কি জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য?

ফেডারেল আইন অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলী জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য নন। অর্থাৎ নির্বাচক মণ্ডলী চাইলেও দলের বাইরে গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

তবে ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২৪টি রাজ্যের আইনে এই ধরণের “বিশ্বাসঘাতকতা” অপরাধ হিসাবে গন্য হয়। তবে বর্তমানে সচরাচর কোনো নির্বাচককে নিজ দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্য কাউকে ভোট দিতে দেখা যায় না। তাই বলা যায় জনগণ যে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীর নির্বাচকমণ্ডলীদের ভোট দেবে তিনিই ঐ রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।

▪ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই জটিল প্রক্রিয়াটি কেন বেছে নেয়া হয়েছে?

এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আমেরিকার সংবিধানে। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় সেটি একক কোন দেশ ছিল না বরং সেটা ছিল অনেকগুলো স্বাধীন রাজ্যের একটি সমন্বিত জোট। তাই এখনও আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যের আইন পরস্পরের থেকে আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।
আমেরিকার গোড়া পত্তনের সময় নিউজার্সির মত ছোট ছোট রাজ্যগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভার্জিনিয়া কিংবা নিউইয়র্কের মত জনবহুল রাষ্ট্রগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্যের ভয়ে প্রচলিত প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের পথে যেতে চায়নি। জাতীয় নির্বাচনে ছোট বড় সব রাজ্যের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতেই এই ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ব্যবস্থার অবতারণা। এছাড়া আম জনগণ সরাসরি ভোট দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এবং মানের চেয়ে সংখ্যার আধিপত্যে প্রতিষ্ঠা হয়ে যেতে পারে এইসব আশঙ্কায় মার্কিন জাতির জনকরা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের বদলে পরোক্ষ গণতন্ত্রকেই বেছে নিয়েছিলেন।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় দেশটির বিশাল আকার ও বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ কঠিন হওয়ার কারণেও জাতীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব ছিল।

▪ ভোট দেবার আগে পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে বিতর্ক কেন?

প্রায় ক্ষেত্রেই এসমস্ত আইন করেছে রিপাবলিকানরা, এবং তাদের যুক্তি হলো, ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে এসব আইন দরকার। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছে যে ভোটারদের দমনের জন্য এসব আইন ব্যবহার করা হয়, কারণ প্রায়ই দরিদ্র বা সংখ্যালঘুরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।

▪ এ নির্বাচন কি শুধু প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা ঠিক করার জন্যই?

না। যদিও সংবাদ মাধ্যমের বেশি মনোযোগ ট্রাম্প-বাইডেন লড়াইয়ের দিকেই, কিন্তু একই সাথে ভোটাররা মার্কিন কংগ্রেসের নতুন সদস্য নির্বাচনের জন্যও ভোট দেবেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভাকে বলে কংগ্রেস। এটি দুই কক্ষবিশিষ্ট -
১. নিম্নকক্ষকে বলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদ, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য।বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা

২. উচ্চকক্ষকে বলে সেনেট
সেনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছরের এবং তারা তিন ভাগে বিভক্ত। ফলে দু'বছর পরপর সেনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেন রিপাবলিকানরা।

▪প্রার্থী পরিচিতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি অন্য অনেক দেশের চাইতে বেশ আলাদা। এখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে প্রভাবশালী দল মাত্র দুটি। কাজেই প্রেসিডেন্ট প্রায় সব সময়ই এই দুটি দলের কোন একটি থেকে আসেন। ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দল - যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি - তারাও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে।

▪ রিপাবলিকান পার্টি

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী - যা একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। মি. ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হয়েছেন এবং পুননির্বাচিত হবার লড়াইয়ে নেমেছেন। রিপাবলিকান পার্টি 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি' নামেও পরিচিত। সাম্প্রতিককালে রিপাবলিকান পার্টির নীতি ছিল
- করের হার কমানো,
- বন্দুক রাখার অধিকার এবং
- অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে।

সাধারণভাবে দেখা যায়, আমেরিকার অপেক্ষাকৃত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থন বেশি জোরালো।

▪ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হচ্ছে উদারনৈতিক রাজৗনৈতিক দল। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং বারাক ওবামা যখন আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন মি. বাইডেনই ছিলেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরিচিত
- নাগরিক অধিকার
- অভিবাসন এবং
- জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে তার উদারনৈতিক অবস্থান
- স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ দিয়ে জনগণের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের আরো বড় ভূমিকা পালন

আমেরিকার শহর অঞ্চলে ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থন জোরালো দেখা যায়।

▪ কেউ দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না কেন?

ওবামা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিনটন কেউই আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্য নন। মূলত আমেরিকার স্থপতি এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। তিনি পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, তৃতীয়বার শতভাগ সম্ভাবনা থাকার পরও অন্যদের সুযোগ দিতে আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি।

▪ব্যতিক্রমী কিছু ফলাফল

২০১৬: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন।

২০০০: রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ ২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোর পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

১৮২৪ সালে ইলেকটোরাল ভোটগুলো চারজন প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তাদের সবাই সংখ্যগারিষ্ঠ ভোট পেতে ব্যর্থ হন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এন্ড্রু জ্যাকসনের পক্ষে ছিল সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট, পপুলার ভোটও তিনি বেশি পেয়েছিলেন। ফলে ধারণা করা হয়েছিল যে তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু চতুর্থ স্থানে যিনি ছিলেন সেই স্পিকার হেনরি ক্লে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জন কুইন্সি অ্যাডামসকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে হাউজকে প্রভাবিত করেন। অবশেষে মি. অ্যাডামসই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

▪ ভোটাররা কেন ভোট দিতে কম আগ্রহী?

২০১৬ সালে ২৪ কোটি ৫০ লাখ লোক ভোটদানের উপযুক্ত ছিলেন, কিন্তু আসলে ভোট পড়েছিল ১৪ কোটিরও কম।২০১৬ সালে মোট ভোটের ২১ শতাংশই দেয়া হয়েছিল ডাকযোগে। অনেক রাজ্যেই ফলাফল কী হবে সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করে বোঝা যায়। ফলে অনেকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে তাদের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া ভোটের দিন কোনো ছুটি থাকে না।

▪ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোন অঙ্গরাজ্যগুলো?

ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয় এবং নিউ ইয়র্ক ডেমোক্র্যাটের এবং টেক্সাস রিপাবলিকানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত মিশিগান, পেনসালভেনিয়া, ওহিও। আর ডিসাইডিং স্টেট হিসেবে পরিচিতি ফ্লোরিডা।

▪ নির্বাচন কবে হবে?

আমেরিকায় নির্বাচন হয়ে থাকে প্রতি চার বছর পরপর, এবং সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর যে মঙ্গলবার পড়ে - সেদিনই হয় ভোটগ্রহণ। সবসময়ই এভাবেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়ে আসছে এবং সেই হিসেবে এবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩রা নভেম্বর।

| মেহেদী হাসান তামিম (সম্পাদনা)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...