বিজ্ঞানের ইতিহাসে কালজয়ী স্মরণীয় বরণীয় অদ্বিতীয় একটি নাম 'স্যার আইজ্যাক নিউটন'। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে এই মহা বিজ্ঞানী কি আস্তিক ছিলেন নাকি নাস্তিক? সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তিনি কি ধারণা পোষণ করতেন?
বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করার পূর্বে প্রথমেই আমরা নিউটন এবং তাঁর বন্ধুর একটি গল্প বলব। গল্পটি হচ্ছে, নিউটন একদিন তার টেবিলে খুব সুন্দর করে সৌরজগতের একটি মডেল তৈরি করে রেখেছিলেন। তাতে একটি সূর্য ছিল এবং অন্যান্য গ্রহ-গুলো তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। টেবিলের নিচে একটি দণ্ড ছিল,
দণ্ডটি ঘোরালে গ্রহ-গুলোও সূর্যকে কেন্দ্র করে তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে সুন্দরভাবে ঘুরতে থাকে এবং উপগ্রহ-গুলো নির্দিষ্ট গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। একদিন এক নাস্তিক বন্ধু এসে নিউটনকে জিজ্ঞেস করল, “বাহ্, মডেলটি তো খুব সুন্দর! তুমি এটি কোথায় পেলে?”
নিউটন বললেন, “একদিন আমি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম, ফিরে আসার পর হঠাৎ এটা আমার সামনে উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “দয়া করে কৌতুক করোনা, আমি সত্যিই এ ব্যাপারে জানতে চাই।” নিউটন বললেন, “বিশ্বাস করো, আমিও সত্যি বলছি- এটা এখানে ছিলনা। কিন্তু দরজা খুলতেই হঠাৎ এটি উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “না না, তুমি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছ।” তখন নিউটন গম্ভীরভাবে বললেন, “বন্ধু, এই ছোট্ট সৌরমণ্ডলটি যে আকস্মিকভাবে তৈরি হয়েছে তা তুমি বিশ্বাস করছ না। কিন্তু এটা জোর দিয়ে বিশ্বাস করছ যে, প্রকৃত সৌরমণ্ডল কোনো বুদ্ধিমান সত্তা ছাড়াই আপনা থেকে এবং আকস্মিকভাবে উদ্ভূত হয়েছে।” সুতরাং এটা ভাবার বিষয়।
মনে করুন, একদিন আপনি সমুদ্রের তীরে হাঁটছেন, হঠাৎ খুব দামি একটি ঘড়ি আপনার চোখে পড়ল। তখন আপনি কি বলবেন যে, সমুদ্রের ঢেউ এসে তীরের বালি উত্তপ্ত করে এবং সেখানে আকস্মিকভাবে এই ঘড়িটি সৃষ্টি হয়?
অনেক নাস্তিক বন্ধু হয়তো অভিযোগ করে বলতে পারেন, গল্পটি আমার মনগড়া। আচ্ছা গল্পটির কথা বাদ দেন। তাদের সংশয় দূর করার জন্য এবার আমরা মূল আলোচনায় ঢু মারি।
বিজ্ঞানের A',B'C',D, শুরু হয় নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। যেমন গতির সূত্র এবং সর্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র- নিউটনের সেরা দুইটি আবিষ্কার। কিন্তু মহাকর্ষ সূত্রের ব্যবহার সম্পর্কে উনি সবসময়ই বিশেষ সতর্ক ছিলেন। আর এই তত্ত্বদ্বয়ের আশ্রয় নিয়ে মহাবিশ্বকে শুধুমাত্র একটি যন্ত্র আখ্যা দেয়া এবং একটি মহামহিম ঘড়ির নিয়ন্ত্রণে এর বিকাশকে ব্যাখ্যা করার ঘোর বিরোধী ছিলেন।
এবিষয়ে তিনি বলেছিলেনঃ-
"অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলো। স্রষ্টা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব সবই তিনি জানেন।"
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিউটন ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে কখনোই আলাদা করে দেখতেন না। নিউটনের মতে ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর করা পরীক্ষণগুলো একই।
সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।
তাই, আমার মতো অনেকেই হয়তো ভাবতে পারে! আমি যদি নিউটনের মতো একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমার চিন্তাগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি! আমি যদি নিউটনের মতো একজন ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন।
আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয়নি। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালীদের মাঝে এত বিজ্ঞানমনস্ক লোক, অথচ নিউটনের মত এমন একজন মানুষকে নিয়ে বাংলা ভাষায় বিস্তারিত কোনো লেখা-ই নেই। নিশ্চয়ই এটা এ জাতির দুর্ভাগ্য!
বাঙালীরা নিউটনকে চিনে শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানী হিসাবে। অথচ তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি একজন ধর্মীয় স্কলার। নিউটনের মতো এত বড় একজন ধর্মীয় স্কলার বর্তমান যুগেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্রষ্টার অস্তিত্ব, ক্ষমতা, সৃষ্টি ও ধর্ম নিয়ে নিউটন বিস্তর গবেষণা করেছিলেন। এমনকি, বিজ্ঞানের চেয়েও তাঁর জীবনে বেশী সময় দিয়েছেন তিনি সৃষ্টিকর্তার আরাধনায় ও ধর্ম গবেষণায়। বিশ্বাস না হলে একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
গণিত ও বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করার জন্য নিউটন সারাজীবনে মাত্র ১ মিলিয়ন শব্দ লিখেছিলেন, অথচ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা হাজির করার জন্য বাইবেল এবং স্রষ্টা সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন প্রায় ৩ মিলিয়ন শব্দের পান্ডুলিপি! যেমন, পদার্থের গতির অবস্থা বোঝানোর জন্যে নিউটন দিয়েছিলেন ৩টি সূত্র। কিন্তু ঈসা (আঃ)-কে সঠিকভাবে বুঝানোর জন্যে তাঁকে দিতে হয়েছিল ১২টি সূত্র।
ঈসা (আঃ) যে স্বয়ং স্রষ্টা নয়, বরং স্রষ্টার বান্দা ও রাসূল, এটা খ্রিস্টানদেরকে বুঝানোর জন্যে নিউটন খ্রিস্টান পাদ্রী ও পোপদের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংগ্রাম করেছিলেন। তাই তাঁকে ধর্ম নিয়ে হাজার-হাজার পৃষ্ঠা লিখতে হয়েছিল। খ্রিষ্টান ধর্ম যখন সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেল, যখন ইঞ্জিলকে পরিবর্তন করে ফেলা হলো, যখন ঈসা (আঃ)-কে স্রষ্টা হিসাবে উপাসনা না করলে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হত। ঠিক সে-সময় নিউটন খ্রিস্টান ধর্মের আদি, বিশুদ্ধ ও পবিত্র রূপটি ফিরিয়ে আনার জন্যে দিনরাত ধর্মীয় গ্রন্থগুলো নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। অথচ দুঃখের বিষয়,পাঠ্যবইয়ে এবং বাঙালী বিজ্ঞানমনস্কদের লেখায় আমি এসব কোনো কিছুই পাইনি।
আবার তিনি আবিষ্কার করেছিলেন গাণিতিক ক্রম অনুসারে বাইবেল পড়ার পদ্ধতি। তিনি ছিলেন খ্রিস্টীয় "Holy Trinity' অর্থাৎ, ত্রিতত্ত্ববাদ এবং রোমান ক্যাথলিক কর্তৃক পরিচালিত চার্চ তথা পোপ প্রথার ঘোর বিরোধী। বাইবেলের 'Holy Trinity' 'ত্রিতত্ত্ববাদ' বিষয়টি তিনি কখনোই মেনে নেননি। নিউটন বললেন স্রষ্টা একজনই। ঈসা (আঃ) স্রষ্টার একজন দূত কোনোভাবেই স্রষ্টা হতে পারেন না। আর মহান স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি হজরত ঈসা আঃ কে স্রষ্টার পুত্র হিসেবে বিশ্বাস করতেন না। তার মতে হজরত ঈসা (আঃ) কে স্রষ্টা হিসেবে উপাসনা করা মূর্তিপূজার শামিল এবং অমার্জনীয় অপরাধ।
তৎকালীন সময়ে ' 'Holy Trinity' অর্থাৎ, 'ত্রিতত্ত্ববাদে' অবিশ্বাসকে এক গর্হিত অপরাধ হিসেবে ধরা হতো। এই কারণে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় নিউটন তার ধর্মীয় গবেষণা বিষয়ক পান্ডুলিপি তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই প্রকাশ করেননি!
এজন্য নিউটনের মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বছর পর তার রেখে যাওয়া এই পান্ডুলিপি এখন জনসম্মুখে উম্মোচিত হয়েছে। আপনারা অনেকেই হয়তো নিউজ চ্যানেলে দেখেছেন বর্তমানে ‘The Newton Project’ নামে একটি আন্তদেশীয় প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই পান্ডুলিপির উপর তাঁরা গবেষণা করছেন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই মহাবিজ্ঞানী নিউটনও ধার্মিক ছিলেন! তার মতো প্রতিভাবান, প্রজ্ঞাময়, চৌকস বিজ্ঞানীও সৃষ্টিকর্তায় এবং ধর্মে বিশ্বাস করতেন। তার ধর্মীয় বিশ্বাস এতটাই চমকপ্রদ ছিল যে, তিনি ১৬৭০ সাল থেকে ১৭২৭ সাল অর্থাৎ মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৭ বছর তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করেছেন।
সৃষ্টিকর্তা এবং ঈসা (আঃ) কে নিয়ে নিউটনের যে ১২টি সূত্রের কথা উল্লেখ করেছিলাম:-
সূত্র–১। আল্লাহ এক, চিরঞ্জীব প্রতিপালক, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান এবং আসমান ও জমিনের স্রষ্টা। আল্লাহ ও মানবের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী মানুষ হলেন- নবী ঈসা (আঃ)।
সূত্র–২। আল্লাহ তায়ালা হলেন অদৃশ্য, কোনো দৃষ্টি তাকে দেখে না, অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য যা কিছু আছে তা দৃশ্যমান হয়।
সূত্র–৩। আল্লাহ নিজেই নিজের মধ্যে জীবন্ত এবং তাঁর নিজ হতে বান্দাদের জীবন দান করেন।
সূত্র–৪। আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তাঁর অন্তরে মূলত সকল জ্ঞান রয়েছে। তিনি ঈসা নবীর কাছে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান প্রেরণ করেন। নবী-রাসূলগণ ব্যতীত আসমানে বা জমিনে অথবা জমিনের নিচে এমন কেউ নেই যে সরাসরি আল্লাহ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর, এ কারণেই ঈসা (আঃ)- এর সাক্ষ্য নবুয়তের স্পৃহা এবং তিনি হলেন আল্লাহর বাণী বা রূহুল্লাহ বা আল্লাহর নবী।
সূত্র–৫। আল্লাহ অবিচল। কোনো স্থান-ই তাঁর অনুপস্থিতিতে শূন্য বা উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে সক্ষম নয়। তাঁর উপস্থিতি-ই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সকল সত্ত্বা এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচল করে।
সূত্র–৬। সকল ইবাদাত যেমন সালাত, জিকির বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, সব কিছু ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেও কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল, এখনো তেমনি কেবল আল্লাহর জন্যেই। ঈসা (আঃ) তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদাত হ্রাস করার জন্যে আগমন করেননি।
সূত্র–৭। আল্লাহর উদ্দেশ্যে নবীর নাম দিয়ে দোয়া করলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।
সূত্র–৮। আমাদের সৃষ্টি, আমাদের প্রদত্ত খাদ্য, পরিধেয় বস্ত্র এবং এই জীবনের অন্যান্য কল্যাণ প্রদানের জন্য আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। কারণ, নবীর নামের সাহায্যে আমরা যা কিছুই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ তা আমাদের দান করেন।
সূত্র–৯। আমাদের জন্য সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ঈসা (আ)-এর নিকট আমাদের প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই। আমরা যদি আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে প্রার্থনা করি, তাহলে তিনিই আমাদের জন্যে সুপারিশ করবেন।
সূত্র–১০। পরিত্রাণের জন্য নবীর নাম নিয়ে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো নিকট প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই।
সূত্র–১১। কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর গুণবাচক উপাধিতে ভূষিত করলে তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে যায় না। কিন্তু, কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর মত ইবাদাত করলে, তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। প্রথম আদেশের অর্থ হলো- “তোমরা আমি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না”।
সূত্র–১২। আমাদের নিকট আল্লাহ হলেন এক ও একক। তিনি আমাদের ও সকল বস্তুর প্রভু। তিনি নবী ঈসা (আ)-এরও প্রভু। এ কারনে, সর্বশক্তিমান প্রভু হিসাবে আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই ইবাদাত করি।
তথ্যসূত্রঃ-
[1] Isaac Newton, Keynes Ms. 8, King’s College, Cambridge, UK
এখন যদি কোনো প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীকে আমরা প্রশ্ন করি নিউটনের এ ১২টি সূত্রের কথা শুনেছেন কিনা? আমি নিশ্চিত, এ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই বলতে পারবেন না। আর এটাই হলো আমাদের আধুনিক শিক্ষিতদের বিজ্ঞানমনস্কতা!!
উল্লেখ্য নিউটনের সব-গুলো সূত্র পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৭১নং আয়াতের সাথে অসাধারণভাবে মিলে গেছে। জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের জন্য সূত্র-গুলো আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেয়া হলো:
হে কিতাবিগণ! তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর সম্পর্কে সত্য ব্যতীত কোনো কথা বলো না। [সূত্র–২, ৩]
নিশ্চয় মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ হলেন আল্লাহর রাসূল ও তাঁর বাণী। আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে মরিয়মের নিকট রূহ ও তাঁর বানী প্রেরণ করেন। [সূত্র–৪]
অতএব, তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর। [সূত্র-১, ৯]
আর, তোমরা একথা বলো না যে, আল্লাহ হলেন তিনজন। [সূত্র-১১]
যদি একথা পরিহার কর, তবে তোমাদের মঙ্গল হবে। [সূত্র-৭, ৮]
নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। [সূত্র–৬, ১২]
আসমানে ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তার। [সূত্র–৫, ৪]
আর, অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।” [সূত্র–৯, ১০]
[সূরা ৪/নিসা–১৭১]
©®