রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

৯০টি_সমার্থক_শব্দ

1. অগ্নি ➟ অনল, পাবক, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

2. অন্ধকার ➟ আঁধার, তমঃ, তমিস্রা, তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম

3. অখন্ড ➟ সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।

4. অবকাশ ➟ সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।

5. অক্লান্ত ➟ ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।

6. অপূর্ব ➟ অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।

7. অক্ষয় ➟ চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।

8. অঙ্গ ➟ দেহ, শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র, বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি, দেহাংশ।

9. অবস্থা ➟ দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।

10. আইন ➟ বিধান, কানুন, বিহিতক, অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি, ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।

11. আসল ➟ খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।

12. আনন্দ ➟ হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।

13. আদি ➟ প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব, প্রাচীন, মূল।

14. অতনু ➟ মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প

15. আকাশ ➟ আসমান, অম্বর, গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ

16. আলোক ➟ আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা

17. ইচ্ছা ➟ আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

18. আল্লাহ্ ➟ আল্লাহ্ ,ঈশ্বর, খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ, অমরেশ, পরেশ,লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক , ভগবান, ধাতা।

19. উঁচু ➟ উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।

20. উদাহরণ ➟ দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।

21. উত্তম ➟ প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।

22. উত্তর ➟ জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।

23. একতা ➟ ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।

24. কপাল ➟ ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

25. কোকিল ➟ পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

26. কষ্ট ➟ মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।

27. কুল ➟ বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।

28. খ্যাতি ➟ যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।

29. কন্যা ➟ মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

30. গরু ➟ গো, গাভী, ধেনু

31. ঘোড়া ➟ অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

32. মেঘ ➟ ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।

33. চাঁদ ➟ সুধাকর, শশী, শশধর, দ্বিজরাজ, বিধু, সোম, নিশাপতি, সুধানিধি, রাকেশ, সুধাময়, ইন্দু, তারানাথ।

34. চতুর ➟ বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, চালাক, সপ্রতিভ।

35. ঘর ➟ গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

36. চক্ষু ➟ চোখ, আঁখি, অক্ষি, লোচন, নেত্র, নয়ন, দর্শনেন্দ্রিয়

37. চন্দ্র ➟ চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

38. চুল ➟ চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক,

39. জননী ➟ মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী,

40. দিন ➟ দিবা, দিবস, দিনমান

41. দেবতা ➟ অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর

42. দ্বন্দ্ব ➟ বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

43. তীর ➟ কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা

44. নারী ➟ রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী

45. নদী ➟ তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

46. নৌকা ➟ নাও, তরণী, জলযান, তরী

47. পণ্ডিত ➟ বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

48. পদ্ম ➟ কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ

49. পৃথিবী ➟ ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল

50. পর্বত ➟ শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

51. পানি ➟ জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

52. পুত্র ➟ তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন

53. পত্নী ➟ জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী

54. পাখি ➟ পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

55. ফুল ➟ পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

56. বৃক্ষ ➟ গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

57. বন ➟ অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন

58. বায়ু ➟ বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

59. বিদ্যুত ➟ বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

60. মানুষ ➟ মানব, মনুষ্য, লোক, জন, নৃ, নর,

61. মাটি ➟ ক্ষিতি, মৃত্তিকা,

62. দখল ➟ অধিকার, আয়ত্ত, জ্ঞান, কতৃত্ব, অধীনতা, পটুতা।

63. নারী ➟ রমণী, রামা, বামা, অবলা, মহিলা, স্ত্রী, মেয়ে, মেয়েমানুষ, ললনা, মানবী, মানবিকা, কামিনী, আওরত,জেনানা, যোষা, জনি, বালা, বনিতা, ভামিনী, শর্বরী।

64. বাতাস ➟ বায়ু, পবন, সমীর, অনিল, মারুত, বাত, বায়, আশুগ, পবমান, সদাগতি, শব্দবহ, অগ্নিশখ, বহ্নিসখ, হাওয়া।

65. মৃত্যু ➟ মরা, ইন্তেকাল, বিনাশ, মরণ, নাশ, নিধন, নিপাত, প্রয়ান, লোকান্তরপ্রাপ্তি, চিরবিদায়, প্রাণত্যাগ, জীবননাশ, দেহান্ত, লোকান্তর, , মারা যাওয়া, পটল তোলা, মহাপ্রয়াণ।

66. সমুদ্র ➟ সাগর, সায়ব, অর্ণব, সিন্ধু, দরিয়া, জলধি, পাথার, পারাবার, প্রচেতা, অকূল, জলধর, নদীকান্ত, নীরধি, তোয়াধি, পয়োধি, বারিধর, বারীন্দ্র, ইরাবান, দ্বীপী।

67. স্বর্ণ ➟ সোনা, কাঞ্চন, কনক, হেম, হিরণ্য, মহাধাতু, গোল্ড।

68. সম ➟ সমান, তুল্য, সদৃশ, যুদ্ন, অনুরূপ।

69. দিন ➟ দিবস, দিবা, অহ, বার, রোজ, বাসর, দিনরাত্রি, দিনরজনী, সাবন, অষ্টপ্রহর, আটপ্রহর।

70. নিদ্রা ➟ ঘুম, তন্দ্রা, নিদ, সুপ্তি, গাঢ়ঘুম, নিষুপ্তি।

71. ছাত্র ➟ শিষ্য, শিক্ষানবিশ, পড়ুয়া।

72. জটিল ➟ জড়ানো, কঠিন, শক্ত, খটমট, জটাযুক্ত।

73. ধরা ➟ পৃথিবী, ধারণ করা, হাত দেয়া, ছোঁয়া, স্পশর্, ধরণি, ধরিত্রী, পাকড়ানো।

74. কবুতর ➟ পারাবত, কপোত, পায়রা, নোটন, লোটন, প্রাসাদকুক্কুট।

75. দক্ষ ➟ নিপুণ, পটু, পারদশী, কর্মঠ, সুনিপুন, কামিল।

76. রাত্রি ➟ রাত, রাত্তির, নিশি, নিশীথ, রাত, রজনী, যামিনী, যামী, যামিকা, শমনী, বিভাবরী, ক্ষণদা, নক্ত, তামসী, অসুরা।

77. মেঘ ➟ জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

78. রাজা ➟ নরপতি, নৃপতি, ভূপতি, বাদশাহ

79. রাত ➟ রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

80. শরীর ➟ দেহ, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ, অবয়ব

81. সর্প ➟ সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক

82. স্ত্রী ➟ পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ,

83. স্বর্ণ ➟ সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

84. স্বর্গ ➟ দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

85. সাহসী ➟ অভীক, নির্ভীক,

86. সাগর ➟ সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, পারাবার, বারীন্দ্র, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

87. সূর্য ➟ রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

88. হাত ➟ কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

89. হস্তী ➟ হাতি, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর,

90. লাল ➟ লোহিত

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০

স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস।

শেষ হয়ে যাওয়া টুথপেষ্টের গলা টিপে টিপে যারা টুথপেষ্ট বের করতে পারে, তারা জীবন সংগ্রামে বাধার পাহাড় দেখে উল্টা পথে দৌঁড় দিতে জানে না। যে বাবা পেনশনের টাকা দিয়ে হাজারটা খরচের খাত থেকে একটা খাত বাছাই করে খরচ করে, সে বাবার সন্তানেরা নেশার গলিতে হারিয়ে যায় না। যে মা মাসের পর মাস ক্ষুধা নেই বলে, নিজের পেট খালি রেখে সন্তানদের খাওয়ায়, সেই মায়ের ফ্যামিলিতে ভাঙ্গন ধরে না।

:

যে ছেলেটা টিউশনির বেতন পেয়ে, অসুস্থ মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরে, সে ছেলে রাতে গেমস আর আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। যে মেয়েটা টাকা বাঁচাতে লুকিয়ে লুকিয়ে দুই গ্লাস পানি খেয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলে, সেই মেয়েটা বাবা মায়ের অসহায়ত্বের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে না। যেই ফ্যামিলিতে অর্থের যত অভাব, সেই ফ্যামিলির বন্ধন তত অটুট।


একটা মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির ভিত্তিই হলো স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস। যেখানে বাবা হচ্ছে স্ট্রাগলের কিং আর মা হচ্ছে সেক্রিফাইসের কুইন। মায়ের বিয়ের দিন থেকেই শুরু হয় সেক্রিফাইসের শোভাযাত্রা। নিজের চাওয়া পাওয়াকে আলমারিতে লুকিয়ে রেখেই শুরু করে দেয় ফ্যামিলি গড়ায় অবিরাম সেক্রিফাইস। পরিবারে সন্তান আসলেই সেই সেক্রিফাইসের হার দশগুণ বেড়ে যায়। 


সেক্রিফাইসের আট ভাগ চলে যায় সন্তানের পিছনে। এক ভাগ স্বামীর পিছনে আর একবার ফ্যামিলির পিছনে। বোকা মহিলা নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য একভাগ সময়ও রাখে না। একজন মা-শিক্ষক হয়ে সন্তানকে পড়ান, বাবুর্চি হয়ে রান্না করেন, পার্সোনাল এসিষ্ট্যান্ট হয়ে সবকিছু ঠিক-ঠাক করেন, বডিগার্ড হয়ে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলে রাখেন, ভালবাসা দিয়ে দুঃখ-কষ্ট দূর করেন।


অন্যদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবার ষ্ট্রাগলের পরিমানটাও বাড়তে থাকে। রিটায়ার্ড করা একজন বাবার পক্ষে সংসারের খরচ মিটানো, ছেলে-মেয়ে কে মানুষ করানো যে, কত বড় সংগ্রাম সেটা বাবারাই শুধু বলতে পারেন। মা হচ্ছেন বাবার এই স্ট্রাগলের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।


মিডেল ক্লাসের মেয়েরা অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে বাবার ফ্যামিলিতে, বাকী অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে স্বামীর ফ্যামিলিতে। আর মিডেল ক্লাসের ছেলেরা প্রেমিকার হাত ছেড়ে দিয়ে, এক বুক কষ্ট চেপে ধরে, নিজেকে স্টাবলিষ্ট করার নেভার ইন্ডিং যুদ্ধে নেমে পড়ে। এটাই জীবন, এটায় বাস্তবতা। এসব ছেলেদের পিছুটান থাকে বলে সবকিছু ইচ্ছে মতো করতে পারে না।


সত্যিকার অর্থে জীবন কে উপভোগ করে মধ্যবিত্তরা!

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

বিশ্ব নবী (সঃ)-র জন্ম ও ওফাত দিবস।

গোটা বিশ্বের জন্য রহমত হয়ে এসেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কবে তিনি এ বিশ্বে তাশরিফ এনেছেন? এ বিষয়ে মতভেদ দেখা যায়।

প্রসিদ্ধ অভিমত হলো, মহানবী (সা.) ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেছেন। হাদিসবিশারদ ও ঐতিহাসিকদের কাছে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য অভিমত হলো, আবরাহার হস্তীবাহিনীর বিনাশপ্রাপ্তির ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর রাসুল (সা.) ৮ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় আবু তালিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), জুবাইর ইবনে মুতঈম (রা.), আল্লামা ইবনুল জাওজি, কুতুবউদ্দীন কাসতালানি (রহ.)সহ বেশির ভাগ মুহাদ্দিস ও জীবনীকার এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। [সিরাতে মুস্তফা (বাংলা) : ১/৬৩-৬৪, ইদ্রিস কান্ধলবী, জুরকানি : ১/১৩০-৩১]

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মদ সুলাইমান মানসুরপুরী ও মাহমুদ পাশার অনুসন্ধানি অভিমত হলো, রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখ ৯ রবিউল আউয়াল। ইংরেজি পঞ্জিকা মতে, তারিখটি ছিল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২০ অথবা ২২ এপ্রিল। (মাহমুদ পাশা, তারিখে খুজরি, প্রথম খণ্ড, পৃ. ৬২, সুলাইমান মানসুরপুরী, রাহমাতুল্লিল আলামিন, প্রথম খণ্ড, পৃ. ৩৮-৩৯)

মহানবী (সা.) যে যুগে জন্মগ্রহণ করেছেন, সে যুগে জন্ম তারিখ রেজিস্ট্রি করে রাখার প্রথা ছিল না। সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোতেও এ রেওয়াজ ছিল না। সে হিসেবে রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখও কোথাও লিপিবদ্ধ ছিল না। তাই তাঁর জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

তবে ১২ রবিউল আউয়াল রাসুল (সা.)-এর ওফাত হওয়ার ব্যাপারে কারো মতবিরোধ নেই। কেননা তত দিনে তিনি বিশ্বনবী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন। গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে তাঁর ওফাত দিবসের তারিখ স্মরণে রেখেছে। সুতরাং যদি মেনে নেওয়া হয় যে ১২ তারিখ রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখ, তাহলে দেখা যায় ওই দিনই তাঁর ওফাত দিবস। কাজেই এই দিন একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার।

যদি জন্ম তারিখের দিকে থাকাই, তাহলে এটা খুশির দিন। আবার রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালও যেহেতু এই দিনে, সে হিসেবে দিনটি দুঃখেরও দিন।

প্রশ্ন হলো, আমরা দিনটি কিভাবে পালন করব? আমরা দেখতে পাই, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেইনের যুগে তাঁরা খুশির দিবস হিসেবেও পালন করেননি, শোক দিবস হিসেবেও পালন করেননি।

বরং আমরা দেখতে পাই, মহানবী (সা.) জন্ম তারিখ নয়, জন্ম বার বা জন্মের দিন পালন করতেন। কিন্তু সে পালনও কোনো উৎসব, মিছিল বা ভোজনরসিকতার মাধ্যমে নয়। মহানবী (সা.) তাঁর জন্মের দিন সোমবার রোজা রাখতেন।সপ্তাহেরর প্রতি সোমবার রোজাররাখতেন।  হাদিসবিশারদরা লিখেছেন, মহানবী (সা.)-এর জন্মের কারণে প্রতি সোমবার রোজা রাখা মুস্তাহাব। হজরত আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.)-কে সোমবার রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি। ওই দিনই আমি নবুয়ত লাভ করেছি বা আমার ওপর ওহি অবতীর্ণ হয়...। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

প্রিয় পাঠক! আসুন আমরা মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করি। তাঁর আদর্শ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করি।

সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন।

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

বিজ্ঞানী নিউটনের ঈশ্বর বিশ্বাস: এবং সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিশ্বাসে তাঁর ১২টি সূত্র..!!


বিজ্ঞানের ইতিহাসে কালজয়ী স্মরণীয় বরণীয় অদ্বিতীয় একটি নাম 'স্যার আইজ্যাক নিউটন'। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে এই মহা বিজ্ঞানী কি আস্তিক ছিলেন নাকি নাস্তিক? সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তিনি কি ধারণা পোষণ করতেন?


বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করার পূর্বে প্রথমেই আমরা নিউটন এবং তাঁর বন্ধুর একটি গল্প বলব। গল্পটি হচ্ছে, নিউটন একদিন তার টেবিলে খুব সুন্দর করে সৌরজগতের একটি মডেল তৈরি করে রেখেছিলেন। তাতে একটি সূর্য ছিল এবং অন্যান্য গ্রহ-গুলো তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। টেবিলের নিচে একটি দণ্ড ছিল,

দণ্ডটি ঘোরালে গ্রহ-গুলোও সূর্যকে কেন্দ্র করে তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে সুন্দরভাবে ঘুরতে থাকে এবং উপগ্রহ-গুলো নির্দিষ্ট গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। একদিন এক নাস্তিক বন্ধু এসে নিউটনকে জিজ্ঞেস করল, “বাহ্, মডেলটি তো খুব সুন্দর! তুমি এটি কোথায় পেলে?” 


নিউটন বললেন, “একদিন আমি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম, ফিরে আসার পর হঠাৎ এটা আমার সামনে উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “দয়া করে কৌতুক করোনা, আমি সত্যিই এ ব্যাপারে জানতে চাই।” নিউটন বললেন, “বিশ্বাস করো, আমিও সত্যি বলছি- এটা এখানে ছিলনা। কিন্তু দরজা খুলতেই হঠাৎ এটি উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “না না, তুমি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছ।” তখন নিউটন গম্ভীরভাবে বললেন, “বন্ধু, এই ছোট্ট সৌরমণ্ডলটি যে আকস্মিকভাবে তৈরি হয়েছে তা তুমি বিশ্বাস করছ না। কিন্তু এটা জোর দিয়ে বিশ্বাস করছ যে, প্রকৃত সৌরমণ্ডল কোনো বুদ্ধিমান সত্তা ছাড়াই আপনা থেকে এবং আকস্মিকভাবে উদ্ভূত হয়েছে।” সুতরাং এটা ভাবার বিষয়। 

মনে করুন, একদিন আপনি সমুদ্রের তীরে হাঁটছেন, হঠাৎ খুব দামি একটি ঘড়ি আপনার চোখে পড়ল। তখন আপনি কি বলবেন যে, সমুদ্রের ঢেউ এসে তীরের বালি উত্তপ্ত করে এবং সেখানে আকস্মিকভাবে এই ঘড়িটি সৃষ্টি হয়? 

অনেক নাস্তিক বন্ধু হয়তো অভিযোগ করে বলতে পারেন, গল্পটি আমার মনগড়া। আচ্ছা গল্পটির কথা বাদ দেন। তাদের সংশয় দূর করার জন্য এবার আমরা মূল আলোচনায় ঢু মারি।


বিজ্ঞানের  A',B'C',D, শুরু হয় নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। যেমন গতির সূত্র এবং সর্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র- নিউটনের সেরা দুইটি আবিষ্কার। কিন্তু মহাকর্ষ সূত্রের ব্যবহার সম্পর্কে উনি সবসময়ই বিশেষ সতর্ক ছিলেন। আর এই তত্ত্বদ্বয়ের আশ্রয় নিয়ে মহাবিশ্বকে শুধুমাত্র একটি যন্ত্র আখ্যা দেয়া এবং একটি মহামহিম ঘড়ির নিয়ন্ত্রণে এর বিকাশকে ব্যাখ্যা করার ঘোর বিরোধী ছিলেন।


এবিষয়ে তিনি বলেছিলেনঃ-

"অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলো। স্রষ্টা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব সবই তিনি জানেন।"


তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিউটন ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে কখনোই আলাদা করে দেখতেন না। নিউটনের মতে ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর করা পরীক্ষণগুলো একই।

সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।


তাই, আমার মতো অনেকেই হয়তো ভাবতে পারে! আমি যদি নিউটনের মতো একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমার চিন্তাগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি! আমি যদি নিউটনের মতো একজন ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন। 


আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয়নি। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালীদের মাঝে এত বিজ্ঞানমনস্ক লোক, অথচ নিউটনের মত এমন একজন মানুষকে নিয়ে বাংলা ভাষায় বিস্তারিত কোনো লেখা-ই নেই। নিশ্চয়ই এটা এ জাতির দুর্ভাগ্য!


বাঙালীরা নিউটনকে চিনে শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানী হিসাবে। অথচ তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি একজন ধর্মীয় স্কলার। নিউটনের মতো এত বড় একজন ধর্মীয় স্কলার বর্তমান যুগেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্রষ্টার অস্তিত্ব, ক্ষমতা, সৃষ্টি ও ধর্ম নিয়ে নিউটন বিস্তর গবেষণা করেছিলেন। এমনকি, বিজ্ঞানের চেয়েও তাঁর জীবনে বেশী সময় দিয়েছেন তিনি সৃষ্টিকর্তার আরাধনায় ও ধর্ম গবেষণায়। বিশ্বাস না হলে একটি উদাহরণ দিচ্ছি। 


গণিত ও বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করার জন্য নিউটন সারাজীবনে মাত্র ১ মিলিয়ন শব্দ লিখেছিলেন, অথচ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা হাজির করার  জন্য বাইবেল এবং স্রষ্টা সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন প্রায় ৩ মিলিয়ন শব্দের পান্ডুলিপি! যেমন, পদার্থের গতির অবস্থা বোঝানোর জন্যে নিউটন দিয়েছিলেন ৩টি সূত্র। কিন্তু ঈসা (আঃ)-কে সঠিকভাবে বুঝানোর জন্যে তাঁকে দিতে হয়েছিল ১২টি সূত্র। 

ঈসা (আঃ) যে স্বয়ং স্রষ্টা নয়, বরং স্রষ্টার বান্দা ও রাসূল, এটা খ্রিস্টানদেরকে বুঝানোর জন্যে নিউটন খ্রিস্টান পাদ্রী ও পোপদের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংগ্রাম করেছিলেন। তাই তাঁকে ধর্ম নিয়ে হাজার-হাজার পৃষ্ঠা লিখতে হয়েছিল। খ্রিষ্টান ধর্ম যখন সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেল, যখন ইঞ্জিলকে পরিবর্তন করে ফেলা হলো, যখন ঈসা (আঃ)-কে স্রষ্টা হিসাবে উপাসনা না করলে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হত। ঠিক সে-সময় নিউটন খ্রিস্টান ধর্মের আদি, বিশুদ্ধ ও পবিত্র রূপটি ফিরিয়ে আনার জন্যে দিনরাত ধর্মীয় গ্রন্থগুলো নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। অথচ দুঃখের বিষয়,পাঠ্যবইয়ে এবং বাঙালী বিজ্ঞানমনস্কদের লেখায় আমি এসব কোনো কিছুই পাইনি।


আবার তিনি আবিষ্কার করেছিলেন গাণিতিক ক্রম অনুসারে বাইবেল পড়ার পদ্ধতি। তিনি ছিলেন খ্রিস্টীয় "Holy Trinity' অর্থাৎ, ত্রিতত্ত্ববাদ এবং রোমান ক্যাথলিক কর্তৃক পরিচালিত চার্চ তথা পোপ প্রথার ঘোর বিরোধী। বাইবেলের 'Holy Trinity' 'ত্রিতত্ত্ববাদ' বিষয়টি তিনি কখনোই মেনে নেননি। নিউটন বললেন স্রষ্টা একজনই। ঈসা (আঃ) স্রষ্টার একজন দূত কোনোভাবেই স্রষ্টা হতে পারেন না। আর মহান স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি হজরত ঈসা আঃ কে স্রষ্টার পুত্র হিসেবে বিশ্বাস করতেন না। তার মতে হজরত ঈসা (আঃ) কে স্রষ্টা হিসেবে উপাসনা করা মূর্তিপূজার শামিল এবং অমার্জনীয় অপরাধ।

তৎকালীন সময়ে ' 'Holy Trinity' অর্থাৎ, 'ত্রিতত্ত্ববাদে' অবিশ্বাসকে এক গর্হিত অপরাধ হিসেবে ধরা হতো। এই কারণে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় নিউটন তার ধর্মীয় গবেষণা বিষয়ক পান্ডুলিপি তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই প্রকাশ করেননি!


এজন্য নিউটনের মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বছর পর তার রেখে যাওয়া এই পান্ডুলিপি এখন জনসম্মুখে উম্মোচিত হয়েছে। আপনারা অনেকেই হয়তো নিউজ চ্যানেলে দেখেছেন বর্তমানে ‘The Newton Project’ নামে একটি আন্তদেশীয় প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই পান্ডুলিপির উপর তাঁরা গবেষণা করছেন।

তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই মহাবিজ্ঞানী নিউটনও ধার্মিক ছিলেন! তার মতো প্রতিভাবান, প্রজ্ঞাময়, চৌকস বিজ্ঞানীও সৃষ্টিকর্তায় এবং ধর্মে বিশ্বাস করতেন। তার ধর্মীয় বিশ্বাস এতটাই চমকপ্রদ ছিল যে, তিনি ১৬৭০ সাল থেকে ১৭২৭ সাল অর্থাৎ মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৭ বছর তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করেছেন। 


সৃষ্টিকর্তা এবং ঈসা (আঃ) কে নিয়ে নিউটনের যে ১২টি সূত্রের কথা উল্লেখ করেছিলাম:-


সূত্র–১। আল্লাহ এক, চিরঞ্জীব প্রতিপালক, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান এবং আসমান ও জমিনের স্রষ্টা। আল্লাহ ও মানবের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী মানুষ হলেন- নবী ঈসা (আঃ)।


সূত্র–২। আল্লাহ তায়ালা হলেন অদৃশ্য, কোনো দৃষ্টি তাকে দেখে না, অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য যা কিছু আছে তা দৃশ্যমান হয়।


সূত্র–৩। আল্লাহ নিজেই নিজের মধ্যে জীবন্ত এবং তাঁর নিজ হতে বান্দাদের জীবন দান করেন।


সূত্র–৪। আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তাঁর অন্তরে মূলত সকল জ্ঞান রয়েছে। তিনি ঈসা নবীর কাছে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান প্রেরণ করেন। নবী-রাসূলগণ ব্যতীত আসমানে বা জমিনে অথবা জমিনের নিচে এমন কেউ নেই যে সরাসরি আল্লাহ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর, এ কারণেই ঈসা (আঃ)- এর সাক্ষ্য নবুয়তের স্পৃহা এবং তিনি হলেন আল্লাহর বাণী বা রূহুল্লাহ বা আল্লাহর নবী।


সূত্র–৫। আল্লাহ অবিচল। কোনো স্থান-ই তাঁর অনুপস্থিতিতে শূন্য বা উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে সক্ষম নয়। তাঁর উপস্থিতি-ই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সকল সত্ত্বা এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচল করে।


সূত্র–৬। সকল ইবাদাত যেমন সালাত, জিকির বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, সব কিছু ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেও কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল, এখনো তেমনি কেবল আল্লাহর জন্যেই। ঈসা (আঃ) তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদাত হ্রাস করার জন্যে আগমন করেননি।


সূত্র–৭। আল্লাহর উদ্দেশ্যে নবীর নাম দিয়ে দোয়া করলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।


সূত্র–৮। আমাদের সৃষ্টি, আমাদের প্রদত্ত খাদ্য, পরিধেয় বস্ত্র এবং এই জীবনের অন্যান্য কল্যাণ প্রদানের জন্য আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। কারণ, নবীর নামের সাহায্যে আমরা যা কিছুই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ তা আমাদের দান করেন।


সূত্র–৯। আমাদের জন্য সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ঈসা (আ)-এর নিকট আমাদের প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই। আমরা যদি আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে প্রার্থনা করি, তাহলে তিনিই আমাদের জন্যে সুপারিশ করবেন।


সূত্র–১০। পরিত্রাণের জন্য নবীর নাম নিয়ে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো নিকট প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই।


সূত্র–১১। কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর গুণবাচক উপাধিতে ভূষিত করলে তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে যায় না। কিন্তু, কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর মত ইবাদাত করলে, তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। প্রথম আদেশের অর্থ হলো- “তোমরা আমি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না”।


সূত্র–১২। আমাদের নিকট আল্লাহ হলেন এক ও একক। তিনি আমাদের ও সকল বস্তুর প্রভু। তিনি নবী ঈসা (আ)-এরও প্রভু। এ কারনে, সর্বশক্তিমান প্রভু হিসাবে আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই ইবাদাত করি।

তথ্যসূত্রঃ-

[1] Isaac Newton, Keynes Ms. 8, King’s College, Cambridge, UK


এখন যদি কোনো প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীকে আমরা প্রশ্ন করি নিউটনের এ ১২টি সূত্রের কথা শুনেছেন কিনা? আমি নিশ্চিত, এ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই বলতে পারবেন না। আর এটাই হলো আমাদের আধুনিক শিক্ষিতদের বিজ্ঞানমনস্কতা!!


উল্লেখ্য নিউটনের সব-গুলো সূত্র পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৭১নং আয়াতের সাথে অসাধারণভাবে মিলে গেছে। জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের জন্য সূত্র-গুলো আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেয়া হলো:


হে কিতাবিগণ! তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর সম্পর্কে সত্য ব্যতীত কোনো কথা বলো না। [সূত্র–২, ৩]


নিশ্চয় মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ হলেন আল্লাহর রাসূল ও তাঁর বাণী। আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে মরিয়মের নিকট রূহ ও তাঁর বানী প্রেরণ করেন। [সূত্র–৪]


অতএব, তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর। [সূত্র-১, ৯]

আর, তোমরা একথা বলো না যে, আল্লাহ হলেন তিনজন। [সূত্র-১১]


যদি একথা পরিহার কর, তবে তোমাদের মঙ্গল হবে। [সূত্র-৭, ৮]


নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। [সূত্র–৬, ১২]


আসমানে ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তার। [সূত্র–৫, ৪]


আর, অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।” [সূত্র–৯, ১০]


[সূরা ৪/নিসা–১৭১]


©®

শনিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২০

ফাতেহা-ই-দোয়াজ দাহম ও ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম কি?

ফাতেহা-ই-দোয়াজ দাহম :
----------------------------------
ইসলামী দুনিয়ায় রবিউল আউয়ালের বারো তারিখটি ফাতেহা দোয়াজ দাহম নামে বিশেষভাবে পরিচিত। ফাতেহা  এর অর্থ দোয়া করা, সাওয়াব রেসানী করা, মোনাজাত করা ইত্যাদি। আর দোয়াজ দাহম এর অর্থ হচ্ছে বারো। সুতরাং ফাতেহা দোয়াজ দাহম এর সম্মিলিত অর্থ হচ্ছে, বার তারিখের দোয়া, মোনাজাত বা সাওয়াব রেসানী। প্রকাশ থাকে যে, এখানে বারো বলতে রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখকে বুঝানো হয়েছে।

আরবি ভাষায় ‘রবিউন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে বসন্ত, সঞ্জীবনী, সবুজের সমারোহ। রবিউল আউয়াল বলতে প্রথম সঞ্জীবনের মাস বুঝায়। কারণ মক্কার কাফের কোরাইশ সম্প্রদায় অনাবৃষ্টি ও অভাবের কালে কঠিন বিপদের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছিল। যে বছর রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  মা আমেনার গর্ভে তাশরীফ আনয়ন করলেন, সেই বছর মক্কার উষ্ক শুষ্ক মরুভূমি সঞ্জীবিত হয়ে উঠল। শুষ্কবৃক্ষ তরতাজা ও ফুল-ফলে ভরে গেল। চতুর্দিকে একটা শান্তির অমীয় বাণী ও আনন্দের ধারা বয়ে যেতে লাগল। মক্কার কোরাইশেরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে এ বছরকে নাম দিয়েছিল খুশি, আনন্দ এবং সঞ্জীবনের বছর। সর্বোপরি রবিউল আউয়ালের সে সঞ্জীবনের ধারা নিয়ে পৃথিবীর বক্ষে আবির্ভূত হয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । সঙ্গত কারণেই মুসলমানদের নিকট ফাতেহা দোয়াজ দাহম  প্রিয় ও সম্মানিত দিন। এ দিবসটি সম্মানিত ঠিক, কিন্তু এটাকে ইবাদাত বলে এ উপলক্ষে বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাছাড়া তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। অনেকে রবিউল আউয়ালের বারো তারিখকে অস্বীকার করেন। আর জন্ম তারিখ নিয়ে মতবিরোধ না থাকলেও ‘জন্মদিবস’ পালন করা শরীয়ত কর্তৃক অনুমোদিত নয়; বরং বছরের যেকোনো দিন নবীজির জীবনী আলোচনা করা যায়।

ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম:
---------------------------------
রবিউস সানীর এগার তারিখে অনেককে ফাতেহা ইয়াজদহম (এগার তারিখের ফাতেহা) বা শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রাহ.-এর ওফাত দিবস পালন করতে দেখা যায়। এ উপলক্ষে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয় এবং মাহফিল-মজলিসের আয়োজন করা হয়।

এটা একটা কু-রসম। ইসলামী শরীয়তে জন্মদিবস ও মৃত্যুদিবস পালনের নিয়ম নেই। নবী-রাসূল, খোলাফায়ে রাশেদীন ও   সাহাবায়ে কেরাম আমাদের জন্য আদর্শ। তাঁদের কারোরই জন্মদিবস-মৃত্যুদিবস পালন করার কথা শরীয়তে নেই। তাদের জন্ম বা মৃত্যুদিবস পালন করতে হলে তো বছরের প্রতিদিনই পালন করতে হবে। অথচ নবী-রাসূল ও সাহাবায়ে কেরাম তো সকল ওলি-বুযুর্গেরও আদর্শ। আর এজন্যই বুযুর্গানে দ্বীন নিজেদের জন্মদিবস পালন করেননি বা অনুসারীদেরকে জন্মদিবস ও মৃত্যুদিবস পালনের আদেশ করেননি। পরবর্তী যুগের লোকেরা তা উদ্ভাবন করেছে।

ফাতিহা ইয়াজদাহম সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যে তারিখে ‘ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম’পালন করা হয় অর্থাৎ এগার রবিউস সানী তা ঐতিহাসিকভাবে শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রাহ.-এর মৃত্যুদিবস হিসেবে প্রমাণিতও নয়।

কারণ তাঁর মৃত্যুর তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।

তাঁর জীবনীগ্রন্থ ‘তাফরীহুল খাতির ফী মানাকিবিশ শায়খ আবদুল কাদির’-এ এ সম্পর্কে কয়েকটি মত উল্লেখ করা হয়েছে : রবিউস সানীর নয় তারিখ, দশ তারিখ, সতের তারিখ, আঠার তারিখ, তের তারিখ, সাত তারিখ ও এগার তারিখ। আবার কারো কারো মতে রবিউল আউয়ালের দশ তারিখ। এই আটটি মত উল্লেখ করার পর গ্রন্থকার দশই রবিউস সানীকে প্রাধান্য দিয়েছেন। (দেখুন : ফাতাওয়া রহীমিয়া ২/৭৬-৭৭)

বিখ্যাত ইতিহাসবিদ আল্লামা হাফেয যাহাবী রাহ. (৭৪৮ হি.)ও বলেছেন-

توفي في عاشر ربيع الآخر سنة إحدى وستين، وله تسعون سنة

‘তিনি নববই বছর বয়সে ৫৬১ হিজরীর রবিউস সানীর দশ তারিখে ইন্তেকাল করেন।’ (তারীখুল ইসলাম ২৯/৬০)

এছাড়া ইতিহাস ও আসমাউর রিজালের অন্যান্য কিতাবেও আট, নয় ও দশ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এগার তারিখ নয়।

আর মৃত্যুর তারিখ নিয়ে মতবিরোধ না থাকলেও ‘মৃত্যুদিবস’ পালন করা শরীয়ত কর্তৃক অনুমোদিত নয়; বরং বছরের যেকোনো দিন নেককার বুযুর্গদের জীবনী আলোচনা করা যায় এবং তাঁদের জন্য ঈসালে ছওয়াব করা যায়। তা না করে নির্দিষ্ট একটি দিনে জায়েয-নাজায়েয বিভিন্ন রকমের কাজকর্মের মাধ্যমে দিবস উৎযাপন করা রসম ও বিদআত ছাড়া আর কিছু নয়।

এই ধরনের বিদআত ও রসম পালনের মাধ্যমে খোদ শায়খ আবদুল কাদের জীলানী রহ.-এর মতো বুযুর্গ ওলিদের অবমাননাই করা হয়। আর আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টিসহ বিদআতের অন্যান্য শাস্তি তো রয়েছেই।

শান্তি, বিশ্বাস, ভালবাসা ও আশা।

একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো।

প্রথম মোমবাতি টি বললো, 'আমি শান্তি'। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারে না বেশিক্ষণ। আমি হুট করে নিভে যাই।' তার কিছুক্ষণ পর সেটি হুট করে নিভে গেলো।

দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, 'আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন নিভে যাবো'। কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো।

তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো,
আমি ভালবাসা। "শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমিও বেশিক্ষণ টিকতে পারবো না। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।" কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো।

কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি শিশু প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে শিশুটি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন? তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। দেখো চারপাশটা কেমন অন্ধকার, আমারতো ভয় করছে। তারপর শিশুটি ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করলো।
এবার চার নম্বর মোমবাতি টি মুখ খুলল। 'ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবার বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা। ' শিশুটি আশা নামের মোমবাতিটি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো জ্বালালো। সমস্ত রুম টা আবারো উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।

গল্পটি রূপক। হাজারো হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলোটিকে কখনোই নিভতে দেয়া উচিৎ নয়। কারণ আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
(সংগ্রহীত এবং পরিমার্জিত)

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০২০

৫ টি প্যারাগ্রাফ শিখে – লিখুন ১২৭ টি প্যারাগ্রাফ!

ইমারজেন্সি পরিস্থিতির জন্য অর্থাৎ পরীক্ষায় প্যারাগ্রাফ কমন না পরলে তখন কাজে আসবে। তাছাড়া স্টুডেন্টরা সাধারণত প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করে।এই প্যারাগ্রাফ গুলো শিখে নিজ থেকে বানায় লেখার চেষ্টা করবে।

প্যারাগ্রাফের নাম সমূহঃ
1. Copying in the examination
2. Environment Pollution
3. Air pollution
4. Terrorism in the campus
5. Terrorism
6. Black marketing
7. Unadult marriage
8. Traffic jam
9.Load-shedding
10. Hartal day
11. Road accident
12. Drug addiction
13. Dangerous of smoking
14. Arsenic Pollution
15. Brain-drain
16. Gambling
17. Dacoity
18. Anarchy
19. Bribery
20. Black money
21. Child labour
22. Deforestation
23. Acid throwing
24. Superstition
25. Corruption
26. Political chaos
27. Women & child trafficking /torturing
28. Toll-extortion
29. Population problem
30. Conspiracy

➫ [ TOPIC ] is a great and harmful problem. It is not only a common matter for our own country but also for the other countries too. ➫ [ TOPIC ] destroying our social peach and happiness. Day by day it is going out of our control which is very alarming. Keeping this problem we can not imagine our peace and happy life. Though ➫ [ TOPIC ] is very tough to remove this problem totally from the society but we have to try at any cost. Without removing this acute problem people can’t get relief. Everybody wants a good solution for this problem. Beside govt. should come forward to overcome this problem. The law forces agencies should arrest them who are creating this kind of problem. ➫[ TOPIC ] is possible to remove by creating public awareness. So we should be more active to get better solution.

প্যারাগ্রাফের নামসমূহঃ
1. Bravity
2.Value of time
3.Honesty
4.Discipline
5.Perseverance
6.Confidence
7.Politeness
8.Ambition
9.Glorious mind
10.Optimism
11.Hopefulness
12.Talent
13.Self-help
14.Truthfulness
15.Courtesy
16.Friendship
17.Labour
18.Education
19.Patriotism
20.Character
21.Good manner
22.Popularity
23.Dignity
24.Love
25.Integrity
26.Punctuality
27.Kindness
28.Liberty
29.Dutifulness
30.Self-reliance
31.Obedience
31.Faithfulness
32.Modesty
33.Industry
34.Co-operation
35.Personality
36.Intellectuality
37.Humanity
38.Gratitude
39.Moral courage
40.Contentment
41.Common sense
42.Charity
43.Diligence
44.Tolerance
45.Self-criticism
46.Self-reliance
47.Civic-sence
48.Cleanliness

➫ [ TOPIC ] is the most valuable and powerful element of our success in life. It enriches self-confidence of our
running life. If we want to reach of our aim we must attain such quality. It is need to have for mental faculty. ➫[ TOPIC ] can bring out reward for human beings. It is important to have ➫ [ TOPIC ] to retain the existence of
human beings. Without ➫ [ TOPIC ]
anybody can not achieve anything great and glorious. A man can lose his
prestigious life for its absence. Most of the greatest persons have gained success by it. ➫[ TOPIC ] is a kind
of knowledge which thing no training can teach. ➫ [ TOPIC ] broadens our outlook. Therefore we should have this quality at any cost.

প্যারাগ্রাফের নামসমূহঃ
1. Dish Antenna
2. Satellite
3. Mobile
Phone
4. Cellular Phone
5. Internet
6. Computer
7. E-mail/Fax
8. Electricity
9. Credit Card
10. Money Gram
11. Aeroplane

We live in the age of science and
technology. With the help of science and technology we have invented many wonderful things. ➫ [ TOPIC ] is one of them. It is the blessing of science for the world. Today we can enjoy various objectives of the world through ➫ [ TOPIC ] . It brought the remotest places of the world on hand. It has some exceptional power. We should use this technology properly. We can widen our knowledge by it in different fields. ➫ [ TOPIC ] gives us lot of opportunities and it mainly influence more on young generation. As every things has its both negative and positive side so ➫ [ TOPIC ] has also two sides and we should use only positive sides which provide us useful knowledge.

প্যারাগ্রাফের নামসমূহঃ
1. Writing poem
2. Singing song
3. Keeping a diary
4. Catching fish
5. Jogging
6. A boat race
7. Collecting stamps
8. Traveling
9. Swimming
10. Gardening
11. Fishing
12. Boating
13. Reading habit
14. Playing chess
15. Jocking
16. Writing letter
17. Painting
18. Buying things
19. Flying kite
20. Early rising
21. Morning walk
22. Amusement
23. Buying books

➫ [ TOPIC ] is an interesting habit for stubborn life. By this kind of habit we can get rid of boring life. Everyone
should have any kind of hobby. ➫[ TOPIC ] is the shadow of life which gives us vast amusement. It can be a part and parcel of education and entertainment.Someone uses it for passing time. ➫[ TOPIC ] causes
some problems sometimes if we are not concern on working. ➫ [ TOPIC ] refreshes us not only physically but
also mentally. To sum up we should have any kind of hobby. It can be entertainment or education for us.

প্যারাগ্রাফের নামসমূহঃ
1. Hazrat Muhammad (sm)
2. Sheikh Mujib
3. A Virtuous Man
4. Rabindranath Tagore
5. Nazrul Islam
6. Mothr Teresa
7. Influence of a great man
8. Your favourite player
9. Moulana Bhashini
10. Your favourite person/Friend
11. Your Mother/Father/Grandmother/
Grandfather
12. A great Politician
13. The teacher you like most
14. Your ideal man
15. My pride/friend

➫ [ TOPIC ] is considered as an ideal in my life. I like most him because of his wonderful activities beside his clear-cut and embedded character. His embedded personality could be impressed my heart.For this reason he is my favorite person. His views on society, love of humanity and duty to the every steps attract one a lot.His clarity of mind, uprightness of thought,glorious,ideals and simplicity of life make one his fan. I respect his creativity, speech and his responsibility. Man like ➫[ TOPIC ] is very necessary for the state.Everyone should try to build up character, morality and personality like him. It is impossible to be a real person without responsibility, morality, embedded character and lofty ideals. For the peace and happiness we should follow him.
Aktar Faruque
Nasrin Rahman Tahmin

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

মরে যায় কেবল স্বপ্নগুলো!

ছেলেটা কথা দিয়েছিলো বিয়ের পর অফিস থেকে আসার সময় প্রতিদিন মেয়েটার জন্য বেলি ফুলের মালা নিয়ে আসবে। বেলি ফুল মেয়েটার খুব প্রিয় !!

মেয়েটা বলেছিলো, সে আর কখনো চুল ছোট করবে না,  লম্বা চুলে খোপা করবে।  সেই খোপাতে অফিস ফেরত ছেলেটা যখন ফুলের মালা গুঁজে দিবে, মেয়েটা খুব ব্যস্ততার ভান করে রান্না ঘরে যেতে যেতে বলবেঃ "অ্যাই !! ছাড়ো তো ... চুলায় তরকারি পুড়ে যাচ্ছে !!"

তরকারির পোড়া গন্ধ আর বেলি ফুলের ঘ্রাণ যখন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে ঘরটা জুড়ে, ছেলেটা আর মেয়েটা তখন শক্ত করে একজন আরেক জন কে ধরে রাখবে !!

মেয়েটা ঠিক করে রেখেছিলো তাদের একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তান হলে তার নাম কী রাখবে কাগজে লিখে রেখেছিলো, সপ্তাহের কোন দিন কে মশারি টানাবে আর কে মশারি গুজবে !!

বসন্তের কোন এক বিকেলে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে শক্ত করে হাতটা ধরে তারা ঠিক করেছিলো, জোছনা রাতে তাদের বিয়ে হবে ... চোখ বুজে ছেলেটা ভাবতোঃ বিয়ের রাতে জানালা দিয়ে চাঁদের আলো যখন মুখে এসে পড়বে, লাল টুকটুকে শাড়িতে মেয়েটাকে তখন পরীর মত লাগবে !!

... জোছনা রাতেই মেয়েটার বিয়ে হয়েছিলো ... ছেলে "৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, নিজের বাড়ি আছে, অমুক ভার্সিটি থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট, হ্যান্ডসাম, অমুক কোম্পানির সিইও, হাই ফাই ফ্যামিলি" - নামক কয়েকটা শব্দের সাথে মেয়েটার বিয়ে হয়েছিলো! বাবা-মা এর পছন্দে !!

মেয়েটা এখন বেঁচে আছে ...
হয়তো ভালোই আছে ... শুধু তরকারি রান্নার সময় যখন কলিং বেল বেজে ওঠে, নিজের অজান্তেই কেঁপে ওঠে মেয়েটা।  লম্বা চুলে খোপা করার সময় তার হাত কাঁপতে থাকে শুধু।  রাস্তার পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখলে তার চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসে কেন জানি ... বেলি ফুল তার সহ্য হয় না এখন ... একদমই সহ্য হয় না!!

ছেলেটা এখন কোথায় আছে? কেমন আছে? কেউ জানে না ... হয়তো ভালোই আছে! শুধু বসন্তের বিকেলে তার বুকের ভেতরটায় খুব যন্ত্রণা হয় ... শুধু জোছনা রাতে তার চোখে অমাবস্যা থাকে ... ঘোর অমাবস্যা থাকে !! "সব তোর ভালোর জন্যই" - কথাটাকে বিশ্বাস করে বাবা-মা এর কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলো মেয়েটা ... সব ভালো সবসময় সহ্য হয় না ... তথাকথিত "ভালো" এর জন্য অসহ্য কষ্ট বুকে পুষে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব না ... মানুষ ঠিকই বেঁচে থাকে ... মরে যায় কেবল স্বপ্নগুলো !!"

বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০

ন্যাচারাল ল অভ রিটার্ন।

"ন্যাচারাল ল অভ রিটার্ন" বলে ইংরেজীতে একটি কথা আছে। অর্থাৎ আপনি যা করবেন, তা একদিন ফেরত পাবেন।
সে রাতে ফিলাডেলফিয়াতে প্রচন্ড ঝড় উঠেছিলো, মুষলধারে টানা বৃষ্টিও ঝরছিলো। মধ্য বয়স্ক মানুষ টি এই ঝড়ের রাত্রে স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় আশ্রয় নিবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। বহুক্ষণ খোজাখুজির পর ছোট্ট একটা হোটেলের সন্ধান পাওয়া গেলো।
রিসেপশনে গিয়ে রুম পাওয়া যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করতেই হোটেলের তরুণ ম্যানেজার মাথা নেড়ে না করতে গিয়েও কিছুক্ষণ সময় নিলো। তারপর মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটিয়ে মধ্যবয়স্ক দম্পতির দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো-
"স্যার, আমাদের সব ক'টি রুম ইতিমধ্যেই বুকড হয়ে গেছে। কিন্তু এত চমৎকার একটি দম্পতিকে এই ঝড়ের রাতে বাইরেও যেতে দিতে পারিনা। যদি আপত্তি না থাকে আপনারা আমার রুমে রাতটা কাটাতে পারেন। রুমটা হয়তো পছন্দ হবেনা, কিন্তু রাতটা কাটানোর জন্য একেবারে মন্দও না !"
ম্যানেজার কোথায় ঘুমাবে ভেবে স্বামী ভদ্রলোক টি রাজী না হওয়াতে তরুণ ছেলেটা তাকে আশ্বস্ত করলো, তার জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবেনা। সে কোনো সমস্যা ছাড়াই রিসিপশনে বসে রাতটা কাটিয়ে দিতে পারবে। এবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রাজী হলেন।
পরদিন সকালে বিল দেবার সময় স্বামী ভদ্রলোক টি ম্যানেজার কে বললেন, "তোমার মত একজন ম্যানেজারের সবচেয়ে ভাল একটি হোটেলের বস হওয়া উচিৎ। একদিন আমিই হয়তো তোমার জন্য সেই হোটেল টা বানাবো"।
তরুণ ম্যানেজার স্বামী টির দিকে তাকিয়ে হাসতে শুরু করলো। তার সাথে স্বামী-স্ত্রীও হাসিতে যোগ দিলো। তিনজন মিলে বেশ একচোট হাসির পর্ব শেষ করে স্বামী-স্ত্রী বিদায় নিলেন।
এরপর দুই বছর পার হয়ে গেছে। হোটেলের ম্যানেজার সেই ঝড়ের রাতে তার রুমে রাত কাটানো সেই দম্পতির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলো। ম্যানেজারের ঠিকানায় একটি চিঠি আসলো। চিঠির মধ্যে রিটার্ন টিকেট সহ নিউইয়র্কগামী প্লেনের একটি টিকেট। সেই ভদ্রলোক চিঠিতে লিখেছেন, ঝড়ো রাতের উপকারের কথা তিনি ভুলেন নি। যদি সম্ভব হয়, ম্যানেজার যেন অবশ্যই নিউইয়র্কে তার সাথে একটু দেখা করে আসেন।
তরুণ ম্যানেজার প্লেন থেকে নামতেই ভদ্রলোক রিসিভ করলেন। তারপর গাড়িতে করে নিউইয়র্কের ফিফথ এভিনিউ এর থার্টি ফোর্থ স্ট্রিটে সদ্য গজিয়ে ওঠা ঝকঝকে বিশাল এক বিল্ডিং এর দিকে আঙ্গুল তুলে ভদ্রলোকটি কে বললেন, "এটাই সেই হোটেল যেটা আমি তোমার বস হবার জন্য বানিয়েছি।"
- আপনি নিশ্চয়ই মজা করছেন! তরুণ ম্যানেজার হতভম্ব। বাকরুদ্ধ!
- নিশ্চিত থাকো ইয়াং ম্যান, আমি মজা করছি না। ভদ্রলোকের মুখে আত্নবিশ্বাসের হাসি।
...ভদ্রলোক টি ছিলেন উইলিয়াম ওয়ালডর্ফ এ্যাস্টার, এবং সেই ঝকঝকা বিল্ডিং টিই আজকের সেই বিখ্যাত ওয়ালডর্ফ-এ্যাস্টরিয়া হোটেল।
সেই তরুণ ম্যানেজার কখনো কল্পনাও করেনি সে রাতের ছোট্ট ওইটুকু উপকার তাকে মামুলি এক ছোট্ট হোটেলের ম্যানেজার থেকে পৃথিবীর গ্ল্যামারাস হোটেল গুলোর একটার ম্যানেজার বানিয়ে দেবে!
...এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, আজকাল কাউকে উপকার করলে প্রতিদানে অপকার টাই ভাগ্যে বেশি মিলে। তারপরও, কেউ মনে না রাখুক, উপরওয়ালা ঠিকই মনে রাখেন এবং একদিন সেই প্রতিদান ঠিকই ফিরিয়ে দেন। এটাই ন্যাচারাল ল অভ রিটার্ন।
হাদিস শরীফে আছে, এক পতিতা মহিলা তৃষ্ণার্ত এক কুকুর কে পানি পান করিয়েছিলো। সেই প্রতিদানে আল্লাহ তার সকল পাপ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
সেজন্য যখনই কারো কোনো উপকার করার সুযোগ পাবেন, তা যত ছোট কিংবা ক্ষুদ্রই হোক না কেন - সুযোগ টি হেলায় হারাবেন না।
কে জানে, ঐ ছোট্ট উপকার টুকুর মাধ্যমে কার হৃদয় কে আপনি ছুঁয়ে দিচ্ছেন! কে জানে, ঐ ছোট্ট উপকার টুকু আপনার অবস্থান কে একদিন কোথায় নিয়ে যাবে!
-----------------------------

শান্ত মনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বর্তমানের সমস্যা গুলো নিয়ে চিন্তা করুন, ফলাফল দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।।

এক ব্যক্তি তার বাড়ির পেছনের প্রশস্থ গোলাঘরে হাতঘড়ি হারিয়ে ফেললো। ওটা কোনো সাধারণ ঘড়ি নয়, মৃতা স্ত্রীর রেখে যাওয়া স্মৃতি। অনেক বছর আগে কোনো এক বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী উপহার দিয়েছিল। সারাদিন ভর অনেক খোজাখুজির পর ক্লান্ত হয়ে লোকটি হাল ছেড়ে দিল। গোলাঘরের পাশেই কিছু ছোট বাচ্চা খেলা করছিল, লোকটি ওদের ডেকে ঘড়িটি খুজে দিতে সাহায্য করতে বলল। যে পাবে তাকে পুরষ্কার দেবার ঘোষণাও দিল।
পুরষ্কারের কথা শুনে ছোট বাচ্চা গুলো দল বেধে গোলাঘরের মধ্যে ঢুকে খোজাখুজি আরম্ভ করে দিল, কিন্তু অনেকক্ষণ খোজাখুজির পরও বাচ্চাগুলো ব্যর্থ হল। লোকটি হাল ছেড়ে দিতে যাবে এমন ছোট একটি ছেলে এসে আরেকবার খোজার অনুমতি চাইলো।
ছেলেটির আন্তরিকতা দেখে লোকটি অনুমতি দিল। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি হাতে ঘড়ি নিয়ে গোলাঘর থেকে বেরিয়ে এলো। সাধের ঘড়িটি হাতে পেয়ে লোকটি আনন্দে কেঁদে ফেললো। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে লোকটি ছোট বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলো- সবাই যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে ও কিভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে সফল হলো! ছেলেটি উত্তর দিল, ‘আমি তেমন কিছুই করিনি। গোলাঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর সবকিছু নীরব হয়ে গেলে ঘড়িটার টিকটিক আওয়াজ শুনে কিছুক্ষণ খুজতেই পেয়ে গেলাম!’
অস্থির এবং অশান্ত মনের চেয়ে স্থির এবং শান্ত মনের ক্ষমতা এবং কার্যকারীতা অনেক বেশি। জীবনের সংকটময় মূহুর্তগুলোতে অশান্ত এবং অস্থির না হয়ে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে মনটাকে শান্ত এবং স্থির করুন, সংকট থেকে উত্তরণের জন্য উপায় পেয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণে। প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন, এ সময়টা নিরিবিলি থাকুন এবং শান্ত মনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বর্তমানের সমস্যা গুলো নিয়ে চিন্তা করুন, ফলাফল দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।।

আমেরিকার নির্বাচন; কিছু কঠিন প্রশ্ন


বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রার্থী সবসময় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, বিষয়টি আমেরিকায় তা নয়। জনগণের সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না। ইলেকটোরাল কলেজ নামে পরিচিত এক দল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কলেজ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায় যারা নির্বাচকের ভূমিকা পালন করেন। তাদের সবার কাজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা।

▪  জয় পরাজয় কীভাবে নির্ধারিত হয়?

অন্য অনেক দেশের নির্বাচনেই দেখা যায় - যে প্রার্থী বেশি ভোট পান তিনিই প্রেসিডেন্ট হন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সব সময় তা নাও হতে পারে। কারণ মার্কিন নির্বাচনী পদ্ধতিকে বলা যায় 'পরোক্ষ' ভোট ব্যবস্থা - যা একটু জটিল মনে হতে পারে।

এখানে একজন ভোটার যখন তার পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন, তখন তিনি আসলে ভোট দিচ্ছেন তার অঙ্গরাজ্য-ভিত্তিক নির্বাচনী লড়াইয়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে আসলে দু'ধরণের ভোট জিততে হয়,

-  'পপুলার' ভোট বা সাধারণ ভোটারদের ভোট এবং

-  'ইলেকটোরাল কলেজ' নামে নির্বাচকমন্ডলীর ভোট।

নির্বাচনের প্রার্থীরা আসলে এই ইলেকটোরাল ভোট জেতার জন্যই লড়াই করেন। এই নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ নিখুঁত নয় - তবু যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতিকে ব্যাপক সম্মানের চোখে দেখা হয়, কারণ এর সাথে দেশটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের সংযোগ আছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই পদ্ধতি হলো পরোক্ষ। প্রথমে জনগণ ভোট দিয়ে ইলেক্ট্রোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নির্বাচিত করেন। ব্যালট পেপারে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নাম লেখা থাকে। একেক রাজ্যের নিয়ম অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলীর নাম উল্লেখ্য থাকতেও পারে, নাও পারে।

জনগণ কোনো নির্দিষ্ট প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অর্থ হল তার দলের ইলেকট্রোরাল কলেজ মনোনীত করা। পরবর্তীতে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন জনগণের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে।

▪ কীভাবে কাজ করে ইলকেটোরাল কলেজ?

ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। এই পদ্ধতিতে প্রত্যেকটি রাজ্যের হাতে থাকে কিছু ভোট। কোনো রাজ্যের কতজন ইলেকটোর বা নির্বাচক থাকবে সেটা নির্ভর করে ওই রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর। সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে। ফলে এই রাজ্যে ইলেকটোরাল সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫৫। ছোট ছোট কিছু রাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার আছে তিনটি করে ভোট। আলাস্কা এবং নর্থ ড্যাকোটা রাজ্যের হাতে তিনটি করে ভোট।

কোনো একটি রাজ্যে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাবেন তিনি ওই রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, টেক্সাস রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী যদি ৫০.১% ভোট পান, তাহলে ওই রাজ্যের ৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটোর সবই তাদের পকেটেই যাবে।

মাইন ও নেব্রাসকা এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তারও বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।নেব্রাস্কা ও মাইন রাজ্যে বিজয়ী প্রার্থী সব ইলেক্ট্রোরাল ভোট একাই পান না, বরং সেটা পপুলার ভোট বিজয়ী ও কংগ্রেশনাল জেলায় বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।

আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে একক কোনো নির্বাচন না বলে বরং ৫০ টি রাজ্য ও একটি জেলা কলাম্বিয়ার আলাদা আলাদা নির্বাচনের ফলাফলের যোগফল বলা যায়। কারণ প্রতিটি রাজ্য থেকে নির্বাচিত ইলেকটোরালদের ভোটে চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচিত করা হয় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। তারা নিজ নিজ স্টেইটের রাজধানীতে এসে প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে যান ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

▪ ইলেকটোরাল কলেজ কি জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য?

ফেডারেল আইন অনুসারে নির্বাচকমণ্ডলী জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য নন। অর্থাৎ নির্বাচক মণ্ডলী চাইলেও দলের বাইরে গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

তবে ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২৪টি রাজ্যের আইনে এই ধরণের “বিশ্বাসঘাতকতা” অপরাধ হিসাবে গন্য হয়। তবে বর্তমানে সচরাচর কোনো নির্বাচককে নিজ দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্য কাউকে ভোট দিতে দেখা যায় না। তাই বলা যায় জনগণ যে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীর নির্বাচকমণ্ডলীদের ভোট দেবে তিনিই ঐ রাজ্যের সবগুলো ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যাবেন।

▪ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই জটিল প্রক্রিয়াটি কেন বেছে নেয়া হয়েছে?

এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে আমেরিকার সংবিধানে। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় সেটি একক কোন দেশ ছিল না বরং সেটা ছিল অনেকগুলো স্বাধীন রাজ্যের একটি সমন্বিত জোট। তাই এখনও আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যের আইন পরস্পরের থেকে আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।
আমেরিকার গোড়া পত্তনের সময় নিউজার্সির মত ছোট ছোট রাজ্যগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভার্জিনিয়া কিংবা নিউইয়র্কের মত জনবহুল রাষ্ট্রগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্যের ভয়ে প্রচলিত প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের পথে যেতে চায়নি। জাতীয় নির্বাচনে ছোট বড় সব রাজ্যের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতেই এই ইলেক্ট্রোরাল কলেজ ব্যবস্থার অবতারণা। এছাড়া আম জনগণ সরাসরি ভোট দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এবং মানের চেয়ে সংখ্যার আধিপত্যে প্রতিষ্ঠা হয়ে যেতে পারে এইসব আশঙ্কায় মার্কিন জাতির জনকরা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের বদলে পরোক্ষ গণতন্ত্রকেই বেছে নিয়েছিলেন।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় দেশটির বিশাল আকার ও বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগ কঠিন হওয়ার কারণেও জাতীয়ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব ছিল।

▪ ভোট দেবার আগে পরিচয়পত্র দেখানো নিয়ে বিতর্ক কেন?

প্রায় ক্ষেত্রেই এসমস্ত আইন করেছে রিপাবলিকানরা, এবং তাদের যুক্তি হলো, ভোট জালিয়াতি ঠেকাতে এসব আইন দরকার। ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করেছে যে ভোটারদের দমনের জন্য এসব আইন ব্যবহার করা হয়, কারণ প্রায়ই দরিদ্র বা সংখ্যালঘুরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।

▪ এ নির্বাচন কি শুধু প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা ঠিক করার জন্যই?

না। যদিও সংবাদ মাধ্যমের বেশি মনোযোগ ট্রাম্প-বাইডেন লড়াইয়ের দিকেই, কিন্তু একই সাথে ভোটাররা মার্কিন কংগ্রেসের নতুন সদস্য নির্বাচনের জন্যও ভোট দেবেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভাকে বলে কংগ্রেস। এটি দুই কক্ষবিশিষ্ট -
১. নিম্নকক্ষকে বলে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদ, প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হন দুই বছরের জন্য।বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা

২. উচ্চকক্ষকে বলে সেনেট
সেনেট সদস্যদের মেয়াদ ছয় বছরের এবং তারা তিন ভাগে বিভক্ত। ফলে দু'বছর পরপর সেনেটের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেন রিপাবলিকানরা।

▪প্রার্থী পরিচিতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি অন্য অনেক দেশের চাইতে বেশ আলাদা। এখানে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে প্রভাবশালী দল মাত্র দুটি। কাজেই প্রেসিডেন্ট প্রায় সব সময়ই এই দুটি দলের কোন একটি থেকে আসেন। ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দল - যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রীন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি - তারাও কখনো কখনো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে।

▪ রিপাবলিকান পার্টি

বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী - যা একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল। মি. ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাসীন হয়েছেন এবং পুননির্বাচিত হবার লড়াইয়ে নেমেছেন। রিপাবলিকান পার্টি 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি' নামেও পরিচিত। সাম্প্রতিককালে রিপাবলিকান পার্টির নীতি ছিল
- করের হার কমানো,
- বন্দুক রাখার অধিকার এবং
- অভিবাসনের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে।

সাধারণভাবে দেখা যায়, আমেরিকার অপেক্ষাকৃত গ্রামীণ এলাকাগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থন বেশি জোরালো।

▪ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হচ্ছে উদারনৈতিক রাজৗনৈতিক দল। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং বারাক ওবামা যখন আট বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন মি. বাইডেনই ছিলেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পরিচিত
- নাগরিক অধিকার
- অভিবাসন এবং
- জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে তার উদারনৈতিক অবস্থান
- স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ দিয়ে জনগণের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের আরো বড় ভূমিকা পালন

আমেরিকার শহর অঞ্চলে ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থন জোরালো দেখা যায়।

▪ কেউ দুবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন না কেন?

ওবামা, জর্জ বুশ কিংবা বিল ক্লিনটন কেউই আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার যোগ্য নন। মূলত আমেরিকার স্থপতি এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। তিনি পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, তৃতীয়বার শতভাগ সম্ভাবনা থাকার পরও অন্যদের সুযোগ দিতে আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেননি।

▪ব্যতিক্রমী কিছু ফলাফল

২০১৬: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০৬টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন।

২০০০: রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ ২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোর পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

১৮২৪ সালে ইলেকটোরাল ভোটগুলো চারজন প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। তাদের সবাই সংখ্যগারিষ্ঠ ভোট পেতে ব্যর্থ হন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী এন্ড্রু জ্যাকসনের পক্ষে ছিল সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট, পপুলার ভোটও তিনি বেশি পেয়েছিলেন। ফলে ধারণা করা হয়েছিল যে তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। কিন্তু চতুর্থ স্থানে যিনি ছিলেন সেই স্পিকার হেনরি ক্লে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জন কুইন্সি অ্যাডামসকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে হাউজকে প্রভাবিত করেন। অবশেষে মি. অ্যাডামসই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

▪ ভোটাররা কেন ভোট দিতে কম আগ্রহী?

২০১৬ সালে ২৪ কোটি ৫০ লাখ লোক ভোটদানের উপযুক্ত ছিলেন, কিন্তু আসলে ভোট পড়েছিল ১৪ কোটিরও কম।২০১৬ সালে মোট ভোটের ২১ শতাংশই দেয়া হয়েছিল ডাকযোগে। অনেক রাজ্যেই ফলাফল কী হবে সেটা আগে থেকে নিশ্চিত করে বোঝা যায়। ফলে অনেকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে তাদের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া ভোটের দিন কোনো ছুটি থাকে না।

▪ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কোন অঙ্গরাজ্যগুলো?

ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয় এবং নিউ ইয়র্ক ডেমোক্র্যাটের এবং টেক্সাস রিপাবলিকানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত মিশিগান, পেনসালভেনিয়া, ওহিও। আর ডিসাইডিং স্টেট হিসেবে পরিচিতি ফ্লোরিডা।

▪ নির্বাচন কবে হবে?

আমেরিকায় নির্বাচন হয়ে থাকে প্রতি চার বছর পরপর, এবং সেই বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর যে মঙ্গলবার পড়ে - সেদিনই হয় ভোটগ্রহণ। সবসময়ই এভাবেই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়ে আসছে এবং সেই হিসেবে এবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩রা নভেম্বর।

| মেহেদী হাসান তামিম (সম্পাদনা)

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...