মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

একুশের আক্ষেপানুরাগ


বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস্টুন, সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

এরকম অঙ্গীকার প্রতি বছর হয় আর প্রতি বছর ভুলে যায়।
পাশের ফ্লাইটের ছোট বাবুটা অনর্গল হিন্দি বলে যাচ্ছে। সে নাকি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। বাচ্চার মাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপু আপনার বাবুটার কি বাংলা বলতে পারেনা? জবাবে আপু বললেন- না ওকে আপাতত বাংলা শিখাচ্ছি না! ও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র। আমরাও ওর সাথে ইংরেজীতে কথা বলি। ও আচ্ছা কিন্তু আপনার বাবুটা তো হিন্দিতে ভাল কথা বলতে পারে। আর বলবেন না ভাই সারাক্ষণ হিন্দি চ্যানেল দেখে দেখে হিন্দি ভাষা শিখে ফেলেছে।
এই হচ্ছে আমাদের বাংলা ভাষার প্রতি অগাধ অনুরাগ আর ভালোবাসা! আমরা প্রতি বছর একদিন বাংলাতে কথা বলার চেষ্টা করি আর সারা বছর থাকি ইংলিশ মিডিয়াম আর হিন্দি চ্যানেল নিয়ে।
সে যাইহোক, আসুন সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলা ভাষা কে ভালোবাসি। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা, সালাম। আর তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।।

বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

নিচে নামানোর জন্য উপরে তুলতে হয়!

“বনের রাজা সিংহ তার আন্ডাবাচ্চা নিয়া রোদ পোহাচ্ছিলো! 

এমন সময় বাঁদর এসে তার লেজ ধরে দু’টা ঝাকি দিলো!
সিংহ যতোটা না অবাক হলো, তার চেয়ে বিরক্ত হইলো বেশী!

বাঁদর একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিংহকে কয়েকটা ভেংচি কেটে হাসতে হাসতে চলে গেলো!

সিংহের বাচ্চা সিংহকে উদ্দেশ্য করে বললো, “এত্তোবড় বেয়াদবী! আর আপনি তাকে কিছুই বললেন না বাপজান !”

সিংহ বললো, বলার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি! একটু সময় অপেক্ষা করো, সবকিছু দেখতে পাবে!”

কয়েকদিন পর হঠাত করেই বাঁদর সিংহের সামনে পড়লো এবং এক থাপ্পরে তাকে শেষ করে দিলো সিংহ।

সিংহের বাচ্চা অবাক হয়ে সিংহকে জিজ্ঞেস করলোঃ
“বাপজান! সেদিন এতো অন্যায় করলো! কিন্তুু আপনি কিছুই বললেন না তাকে ! 

অথচ আজকে সে কিছুই করেনি! কিন্তু তাকে মে-রে ফেললেন ?

সিংহ জবাবে বললো, “ এটাই কৌশল বাবা ! সেদিনের পর বাঁদরটা ভালুক কে  লা-থি মেরেছে! হাতির শুড় ধরে দুলছে! গন্ডারের পিঠে চড়ে নাচছে! হায়নাকে সে কাতুকুতু দিয়েছে!
জিরাফকে থাপ্-পড় দিয়েছে! আর সবাইকেই বলছে, রাজাকেই আমি মানি না! সেখানে তুমি কে?”

“সেদিন ওরে মা-রলে সবাই আমাকে বলতো, ক্ষমতা দেখাইতেছি, স্বৈরাচারী এবং খু-নী আমি!
আজকে একটু পর দেখবি- সবাই এসে বলবে, থ্যাংক ইউ রাজা সাহেব!”

শোন মাঝে মাঝে লাই দিয়া মাথায় তুলতে হয়! যাতে শক্ত করে আছা-ড় দিলে বেশী ব্যথা পায় এবং সীমার বাহিরে যখন কোন কিছু করে তার জন্য একেবারে জীবন থেকে শিক্ষা পায় ও আপদও দূর হয়ে যায়। 

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১

মজায় মজায় ইংরেজী।

 ডিম আর আপেল পাশাপাশি রাখুন, দেখবেন বেগুন হয়ে গেছে।

Egg : ডিম।

Apple : আপেল।

Eggapple : বেগুন।


মহিলার পাশে আংগুল রাখুন, দেখবেন ঢেঁড়শ হয়ে গেছে।

Lady's : মহিলা।

Finger : আঙ্গুল।

Lady'sfinger : ঢেঁড়শ।


শক্ত খুঁটির সারি দিয়ে কিভাবে চড়ুই পাখি হয় দেখুন।

Spar : শক্ত খুঁটি। 

Row : সারি।

Sparrow : চড়ুই পাখি।


সাথে দাঁড়ালে কিভাবে প্রতিরোধ হয় দেখুন।

With : সাথে।

Stand : দাঁড়ানো।

Withstand : প্রতিরোধ করা।


কাজ আর দোকান মিলে কিভাবে কারখানা হয় দেখুন।

Work : কাজ। 

Shop : দোকান।

Workshop : কারখানা।


হাত ও কিছু দিয়ে সুদর্শন বানাতে চান তাহলে :

Hand : হাত।

Some : কিছু।

Handsome  সুদর্শন।


কথা আর খেলা মিলে কিভাবে বুদ্ধিদীপ্ত হয় দেখুন।

Word : কথা। 

Play : খেলা।

Wordplay : বুদ্ধিদীপ্ত।


পৃথিবী আর পোকা মিলে কিভাবে নীচব্যক্তি হয় দেখুন।

Earth : পৃথিবী।

Worm : পোকা।

Earthworm : নীচব্যক্তি।


কৌশল ও তার সমন্বয়ে কিভাবে পাখির পালক হয় দেখুন।

Feat : কৌশল।

Her : তার।

Feather : পাখির পলক।


দেখ ও একটি পাশাপাশি বসে কিভাবে ঋণ হলো।

Lo : দেখ।

An : একটি।

Loan : ঋণ।


বাহির আর প্রবণতা মিলে কিভাবে সমাজচ্যুত হয় দেখুন।

Out : বাহির।

Cast : প্রবণতা। 

Outcast : সমাজচ্যুত।


বাহিরের সাধারণ দক্ষতা দিয়ে কিভাবে উৎপাদন হয় দেখুন।

Out : বাহির। 

Turn : সাধারন দক্ষতা।

Outturn : উৎপাদন।


বাইরে খ্যাতি দিয়ে কিভাবে অসাধারণ হয় দেখুন।

Out : বাইরে।

Standing : খ্যাতি।

Outstanding : অসাধারণ।


ভালো আচরণ বাইরে প্রকাশ পেলে সেটাই হয় সাজসজ্জা।

Turn : ভালো আচরণ।

Out : বাহির। 

Turnout : সাজসজ্জা।


ততক্ষণে দৃষ্টির সীমা কিভাবে নিদর্শন সৃষ্টি করলো দেখুন।

To : ততক্ষণে। 

Ken : দৃষ্টিসীমা।

Token : নিদর্শন।


কাঠেরখন্ড ও মাথা একসাথে মিলে কিভাবে নির্বোধ হয় দেখুন।

Block : কাঠের খোদাই। 

Head : মাথা।

Blockhead : নির্বোধ।


দশ ও পিঁপড়া মিলে কিভাবে ভাড়াটিয়া হয় দেখুন।

Ten : দশ। 

Ant : পিঁপড়া।

Tenant : ভাড়াটিয়া।


তার কৌশল মিলেমিশে কিভাবে হৃৎপিণ্ড হয় দেখুন।

He : তার। 

Art : কৌশল।

Heart : হৃৎপিণ্ড।


অনুসন্ধান আর মানুষ মিলে কিভাবে পাহারাদার হয় দেখুন।

Watch : অনুসন্ধান। 

Man : মানুষ।

Watchman : পাহারাদার।


অধীনে ও স্থায়ী পাশাপাশি হলে কিভাবে সহানুভূতিশীল হয়, দেখুন।

Under : অধীনে।

Standing : স্থায়ী।

Understanding : সহানুভূতিশীল।


তরুণ বন্ধুদের সাথে একটু মজা করলাম। ত্রুটি হলে অনুগ্রহ করে সংশোধন করে দিবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।


সংগৃহীত।

রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

৯০টি_সমার্থক_শব্দ

1. অগ্নি ➟ অনল, পাবক, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

2. অন্ধকার ➟ আঁধার, তমঃ, তমিস্রা, তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম

3. অখন্ড ➟ সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।

4. অবকাশ ➟ সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।

5. অক্লান্ত ➟ ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।

6. অপূর্ব ➟ অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।

7. অক্ষয় ➟ চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।

8. অঙ্গ ➟ দেহ, শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র, বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি, দেহাংশ।

9. অবস্থা ➟ দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।

10. আইন ➟ বিধান, কানুন, বিহিতক, অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি, ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।

11. আসল ➟ খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।

12. আনন্দ ➟ হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।

13. আদি ➟ প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব, প্রাচীন, মূল।

14. অতনু ➟ মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প

15. আকাশ ➟ আসমান, অম্বর, গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ

16. আলোক ➟ আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা

17. ইচ্ছা ➟ আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

18. আল্লাহ্ ➟ আল্লাহ্ ,ঈশ্বর, খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ, অমরেশ, পরেশ,লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক , ভগবান, ধাতা।

19. উঁচু ➟ উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।

20. উদাহরণ ➟ দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।

21. উত্তম ➟ প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।

22. উত্তর ➟ জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।

23. একতা ➟ ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।

24. কপাল ➟ ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

25. কোকিল ➟ পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

26. কষ্ট ➟ মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।

27. কুল ➟ বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।

28. খ্যাতি ➟ যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।

29. কন্যা ➟ মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

30. গরু ➟ গো, গাভী, ধেনু

31. ঘোড়া ➟ অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

32. মেঘ ➟ ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।

33. চাঁদ ➟ সুধাকর, শশী, শশধর, দ্বিজরাজ, বিধু, সোম, নিশাপতি, সুধানিধি, রাকেশ, সুধাময়, ইন্দু, তারানাথ।

34. চতুর ➟ বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, চালাক, সপ্রতিভ।

35. ঘর ➟ গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

36. চক্ষু ➟ চোখ, আঁখি, অক্ষি, লোচন, নেত্র, নয়ন, দর্শনেন্দ্রিয়

37. চন্দ্র ➟ চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

38. চুল ➟ চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক,

39. জননী ➟ মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী,

40. দিন ➟ দিবা, দিবস, দিনমান

41. দেবতা ➟ অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর

42. দ্বন্দ্ব ➟ বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

43. তীর ➟ কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা

44. নারী ➟ রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী

45. নদী ➟ তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

46. নৌকা ➟ নাও, তরণী, জলযান, তরী

47. পণ্ডিত ➟ বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

48. পদ্ম ➟ কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ

49. পৃথিবী ➟ ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল

50. পর্বত ➟ শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

51. পানি ➟ জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

52. পুত্র ➟ তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন

53. পত্নী ➟ জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী

54. পাখি ➟ পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

55. ফুল ➟ পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

56. বৃক্ষ ➟ গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

57. বন ➟ অরণ্য, জঙ্গল, কানন, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহন

58. বায়ু ➟ বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

59. বিদ্যুত ➟ বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

60. মানুষ ➟ মানব, মনুষ্য, লোক, জন, নৃ, নর,

61. মাটি ➟ ক্ষিতি, মৃত্তিকা,

62. দখল ➟ অধিকার, আয়ত্ত, জ্ঞান, কতৃত্ব, অধীনতা, পটুতা।

63. নারী ➟ রমণী, রামা, বামা, অবলা, মহিলা, স্ত্রী, মেয়ে, মেয়েমানুষ, ললনা, মানবী, মানবিকা, কামিনী, আওরত,জেনানা, যোষা, জনি, বালা, বনিতা, ভামিনী, শর্বরী।

64. বাতাস ➟ বায়ু, পবন, সমীর, অনিল, মারুত, বাত, বায়, আশুগ, পবমান, সদাগতি, শব্দবহ, অগ্নিশখ, বহ্নিসখ, হাওয়া।

65. মৃত্যু ➟ মরা, ইন্তেকাল, বিনাশ, মরণ, নাশ, নিধন, নিপাত, প্রয়ান, লোকান্তরপ্রাপ্তি, চিরবিদায়, প্রাণত্যাগ, জীবননাশ, দেহান্ত, লোকান্তর, , মারা যাওয়া, পটল তোলা, মহাপ্রয়াণ।

66. সমুদ্র ➟ সাগর, সায়ব, অর্ণব, সিন্ধু, দরিয়া, জলধি, পাথার, পারাবার, প্রচেতা, অকূল, জলধর, নদীকান্ত, নীরধি, তোয়াধি, পয়োধি, বারিধর, বারীন্দ্র, ইরাবান, দ্বীপী।

67. স্বর্ণ ➟ সোনা, কাঞ্চন, কনক, হেম, হিরণ্য, মহাধাতু, গোল্ড।

68. সম ➟ সমান, তুল্য, সদৃশ, যুদ্ন, অনুরূপ।

69. দিন ➟ দিবস, দিবা, অহ, বার, রোজ, বাসর, দিনরাত্রি, দিনরজনী, সাবন, অষ্টপ্রহর, আটপ্রহর।

70. নিদ্রা ➟ ঘুম, তন্দ্রা, নিদ, সুপ্তি, গাঢ়ঘুম, নিষুপ্তি।

71. ছাত্র ➟ শিষ্য, শিক্ষানবিশ, পড়ুয়া।

72. জটিল ➟ জড়ানো, কঠিন, শক্ত, খটমট, জটাযুক্ত।

73. ধরা ➟ পৃথিবী, ধারণ করা, হাত দেয়া, ছোঁয়া, স্পশর্, ধরণি, ধরিত্রী, পাকড়ানো।

74. কবুতর ➟ পারাবত, কপোত, পায়রা, নোটন, লোটন, প্রাসাদকুক্কুট।

75. দক্ষ ➟ নিপুণ, পটু, পারদশী, কর্মঠ, সুনিপুন, কামিল।

76. রাত্রি ➟ রাত, রাত্তির, নিশি, নিশীথ, রাত, রজনী, যামিনী, যামী, যামিকা, শমনী, বিভাবরী, ক্ষণদা, নক্ত, তামসী, অসুরা।

77. মেঘ ➟ জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

78. রাজা ➟ নরপতি, নৃপতি, ভূপতি, বাদশাহ

79. রাত ➟ রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

80. শরীর ➟ দেহ, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ, অবয়ব

81. সর্প ➟ সাপ, অহি, আশীবিষ, উরহ, নাগ, নাগিনী, ভুজঙ্গ, ভুজগ, ভুজঙ্গম, সরীসৃপ, ফণী, ফণাধর, বিষধর, বায়ুভুক

82. স্ত্রী ➟ পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ,

83. স্বর্ণ ➟ সোনা, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

84. স্বর্গ ➟ দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

85. সাহসী ➟ অভীক, নির্ভীক,

86. সাগর ➟ সমুদ্র, সিন্ধু, অর্ণব, জলধি, জলনিধি, বারিধি, পারাবার, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, পারাবার, বারীন্দ্র, পাথার, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

87. সূর্য ➟ রবি, সবিতা, দিবাকর, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, ভানু, তপন, আদিত্য, ভাস্কর, মার্তণ্ড, অংশু, প্রভাকর, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

88. হাত ➟ কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

89. হস্তী ➟ হাতি, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর,

90. লাল ➟ লোহিত

শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০

স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস।

শেষ হয়ে যাওয়া টুথপেষ্টের গলা টিপে টিপে যারা টুথপেষ্ট বের করতে পারে, তারা জীবন সংগ্রামে বাধার পাহাড় দেখে উল্টা পথে দৌঁড় দিতে জানে না। যে বাবা পেনশনের টাকা দিয়ে হাজারটা খরচের খাত থেকে একটা খাত বাছাই করে খরচ করে, সে বাবার সন্তানেরা নেশার গলিতে হারিয়ে যায় না। যে মা মাসের পর মাস ক্ষুধা নেই বলে, নিজের পেট খালি রেখে সন্তানদের খাওয়ায়, সেই মায়ের ফ্যামিলিতে ভাঙ্গন ধরে না।

:

যে ছেলেটা টিউশনির বেতন পেয়ে, অসুস্থ মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরে, সে ছেলে রাতে গেমস আর আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। যে মেয়েটা টাকা বাঁচাতে লুকিয়ে লুকিয়ে দুই গ্লাস পানি খেয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলে, সেই মেয়েটা বাবা মায়ের অসহায়ত্বের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে না। যেই ফ্যামিলিতে অর্থের যত অভাব, সেই ফ্যামিলির বন্ধন তত অটুট।


একটা মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির ভিত্তিই হলো স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস। যেখানে বাবা হচ্ছে স্ট্রাগলের কিং আর মা হচ্ছে সেক্রিফাইসের কুইন। মায়ের বিয়ের দিন থেকেই শুরু হয় সেক্রিফাইসের শোভাযাত্রা। নিজের চাওয়া পাওয়াকে আলমারিতে লুকিয়ে রেখেই শুরু করে দেয় ফ্যামিলি গড়ায় অবিরাম সেক্রিফাইস। পরিবারে সন্তান আসলেই সেই সেক্রিফাইসের হার দশগুণ বেড়ে যায়। 


সেক্রিফাইসের আট ভাগ চলে যায় সন্তানের পিছনে। এক ভাগ স্বামীর পিছনে আর একবার ফ্যামিলির পিছনে। বোকা মহিলা নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য একভাগ সময়ও রাখে না। একজন মা-শিক্ষক হয়ে সন্তানকে পড়ান, বাবুর্চি হয়ে রান্না করেন, পার্সোনাল এসিষ্ট্যান্ট হয়ে সবকিছু ঠিক-ঠাক করেন, বডিগার্ড হয়ে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলে রাখেন, ভালবাসা দিয়ে দুঃখ-কষ্ট দূর করেন।


অন্যদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবার ষ্ট্রাগলের পরিমানটাও বাড়তে থাকে। রিটায়ার্ড করা একজন বাবার পক্ষে সংসারের খরচ মিটানো, ছেলে-মেয়ে কে মানুষ করানো যে, কত বড় সংগ্রাম সেটা বাবারাই শুধু বলতে পারেন। মা হচ্ছেন বাবার এই স্ট্রাগলের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।


মিডেল ক্লাসের মেয়েরা অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে বাবার ফ্যামিলিতে, বাকী অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে স্বামীর ফ্যামিলিতে। আর মিডেল ক্লাসের ছেলেরা প্রেমিকার হাত ছেড়ে দিয়ে, এক বুক কষ্ট চেপে ধরে, নিজেকে স্টাবলিষ্ট করার নেভার ইন্ডিং যুদ্ধে নেমে পড়ে। এটাই জীবন, এটায় বাস্তবতা। এসব ছেলেদের পিছুটান থাকে বলে সবকিছু ইচ্ছে মতো করতে পারে না।


সত্যিকার অর্থে জীবন কে উপভোগ করে মধ্যবিত্তরা!

বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

বিশ্ব নবী (সঃ)-র জন্ম ও ওফাত দিবস।

গোটা বিশ্বের জন্য রহমত হয়ে এসেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কবে তিনি এ বিশ্বে তাশরিফ এনেছেন? এ বিষয়ে মতভেদ দেখা যায়।

প্রসিদ্ধ অভিমত হলো, মহানবী (সা.) ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেছেন। হাদিসবিশারদ ও ঐতিহাসিকদের কাছে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য অভিমত হলো, আবরাহার হস্তীবাহিনীর বিনাশপ্রাপ্তির ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর রাসুল (সা.) ৮ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় আবু তালিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.), জুবাইর ইবনে মুতঈম (রা.), আল্লামা ইবনুল জাওজি, কুতুবউদ্দীন কাসতালানি (রহ.)সহ বেশির ভাগ মুহাদ্দিস ও জীবনীকার এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। [সিরাতে মুস্তফা (বাংলা) : ১/৬৩-৬৪, ইদ্রিস কান্ধলবী, জুরকানি : ১/১৩০-৩১]

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক মুহাম্মদ সুলাইমান মানসুরপুরী ও মাহমুদ পাশার অনুসন্ধানি অভিমত হলো, রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখ ৯ রবিউল আউয়াল। ইংরেজি পঞ্জিকা মতে, তারিখটি ছিল ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ২০ অথবা ২২ এপ্রিল। (মাহমুদ পাশা, তারিখে খুজরি, প্রথম খণ্ড, পৃ. ৬২, সুলাইমান মানসুরপুরী, রাহমাতুল্লিল আলামিন, প্রথম খণ্ড, পৃ. ৩৮-৩৯)

মহানবী (সা.) যে যুগে জন্মগ্রহণ করেছেন, সে যুগে জন্ম তারিখ রেজিস্ট্রি করে রাখার প্রথা ছিল না। সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোতেও এ রেওয়াজ ছিল না। সে হিসেবে রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখও কোথাও লিপিবদ্ধ ছিল না। তাই তাঁর জন্ম তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল কি না, তা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

তবে ১২ রবিউল আউয়াল রাসুল (সা.)-এর ওফাত হওয়ার ব্যাপারে কারো মতবিরোধ নেই। কেননা তত দিনে তিনি বিশ্বনবী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে ফেলেছেন। গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ গুরুত্বের সঙ্গে তাঁর ওফাত দিবসের তারিখ স্মরণে রেখেছে। সুতরাং যদি মেনে নেওয়া হয় যে ১২ তারিখ রাসুল (সা.)-এর জন্ম তারিখ, তাহলে দেখা যায় ওই দিনই তাঁর ওফাত দিবস। কাজেই এই দিন একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার।

যদি জন্ম তারিখের দিকে থাকাই, তাহলে এটা খুশির দিন। আবার রাসুল (সা.)-এর ইন্তেকালও যেহেতু এই দিনে, সে হিসেবে দিনটি দুঃখেরও দিন।

প্রশ্ন হলো, আমরা দিনটি কিভাবে পালন করব? আমরা দেখতে পাই, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেইনের যুগে তাঁরা খুশির দিবস হিসেবেও পালন করেননি, শোক দিবস হিসেবেও পালন করেননি।

বরং আমরা দেখতে পাই, মহানবী (সা.) জন্ম তারিখ নয়, জন্ম বার বা জন্মের দিন পালন করতেন। কিন্তু সে পালনও কোনো উৎসব, মিছিল বা ভোজনরসিকতার মাধ্যমে নয়। মহানবী (সা.) তাঁর জন্মের দিন সোমবার রোজা রাখতেন।সপ্তাহেরর প্রতি সোমবার রোজাররাখতেন।  হাদিসবিশারদরা লিখেছেন, মহানবী (সা.)-এর জন্মের কারণে প্রতি সোমবার রোজা রাখা মুস্তাহাব। হজরত আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.)-কে সোমবার রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ওই দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি। ওই দিনই আমি নবুয়ত লাভ করেছি বা আমার ওপর ওহি অবতীর্ণ হয়...। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

প্রিয় পাঠক! আসুন আমরা মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করি। তাঁর আদর্শ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করি।

সবাই কে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন।

শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০

বিজ্ঞানী নিউটনের ঈশ্বর বিশ্বাস: এবং সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিশ্বাসে তাঁর ১২টি সূত্র..!!


বিজ্ঞানের ইতিহাসে কালজয়ী স্মরণীয় বরণীয় অদ্বিতীয় একটি নাম 'স্যার আইজ্যাক নিউটন'। অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে এই মহা বিজ্ঞানী কি আস্তিক ছিলেন নাকি নাস্তিক? সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে তিনি কি ধারণা পোষণ করতেন?


বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করার পূর্বে প্রথমেই আমরা নিউটন এবং তাঁর বন্ধুর একটি গল্প বলব। গল্পটি হচ্ছে, নিউটন একদিন তার টেবিলে খুব সুন্দর করে সৌরজগতের একটি মডেল তৈরি করে রেখেছিলেন। তাতে একটি সূর্য ছিল এবং অন্যান্য গ্রহ-গুলো তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। টেবিলের নিচে একটি দণ্ড ছিল,

দণ্ডটি ঘোরালে গ্রহ-গুলোও সূর্যকে কেন্দ্র করে তাদের নিজ নিজ কক্ষপথে সুন্দরভাবে ঘুরতে থাকে এবং উপগ্রহ-গুলো নির্দিষ্ট গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। একদিন এক নাস্তিক বন্ধু এসে নিউটনকে জিজ্ঞেস করল, “বাহ্, মডেলটি তো খুব সুন্দর! তুমি এটি কোথায় পেলে?” 


নিউটন বললেন, “একদিন আমি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলাম, ফিরে আসার পর হঠাৎ এটা আমার সামনে উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “দয়া করে কৌতুক করোনা, আমি সত্যিই এ ব্যাপারে জানতে চাই।” নিউটন বললেন, “বিশ্বাস করো, আমিও সত্যি বলছি- এটা এখানে ছিলনা। কিন্তু দরজা খুলতেই হঠাৎ এটি উদ্ভূত হলো।” বন্ধু বলল, “না না, তুমি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছ।” তখন নিউটন গম্ভীরভাবে বললেন, “বন্ধু, এই ছোট্ট সৌরমণ্ডলটি যে আকস্মিকভাবে তৈরি হয়েছে তা তুমি বিশ্বাস করছ না। কিন্তু এটা জোর দিয়ে বিশ্বাস করছ যে, প্রকৃত সৌরমণ্ডল কোনো বুদ্ধিমান সত্তা ছাড়াই আপনা থেকে এবং আকস্মিকভাবে উদ্ভূত হয়েছে।” সুতরাং এটা ভাবার বিষয়। 

মনে করুন, একদিন আপনি সমুদ্রের তীরে হাঁটছেন, হঠাৎ খুব দামি একটি ঘড়ি আপনার চোখে পড়ল। তখন আপনি কি বলবেন যে, সমুদ্রের ঢেউ এসে তীরের বালি উত্তপ্ত করে এবং সেখানে আকস্মিকভাবে এই ঘড়িটি সৃষ্টি হয়? 

অনেক নাস্তিক বন্ধু হয়তো অভিযোগ করে বলতে পারেন, গল্পটি আমার মনগড়া। আচ্ছা গল্পটির কথা বাদ দেন। তাদের সংশয় দূর করার জন্য এবার আমরা মূল আলোচনায় ঢু মারি।


বিজ্ঞানের  A',B'C',D, শুরু হয় নিউটনের সূত্রগুলো মুখস্থ করার মাধ্যমে। যেমন গতির সূত্র এবং সর্বজনীন মহাকর্ষ সূত্র- নিউটনের সেরা দুইটি আবিষ্কার। কিন্তু মহাকর্ষ সূত্রের ব্যবহার সম্পর্কে উনি সবসময়ই বিশেষ সতর্ক ছিলেন। আর এই তত্ত্বদ্বয়ের আশ্রয় নিয়ে মহাবিশ্বকে শুধুমাত্র একটি যন্ত্র আখ্যা দেয়া এবং একটি মহামহিম ঘড়ির নিয়ন্ত্রণে এর বিকাশকে ব্যাখ্যা করার ঘোর বিরোধী ছিলেন।


এবিষয়ে তিনি বলেছিলেনঃ-

"অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারেনা কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলো। স্রষ্টা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব সবই তিনি জানেন।"


তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিউটন ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে কখনোই আলাদা করে দেখতেন না। নিউটনের মতে ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর করা পরীক্ষণগুলো একই।

সর্বজনীন মহাকর্ষ ও গতির তিনটি সূত্র আবিষ্কার করার কারণে নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী।


তাই, আমার মতো অনেকেই হয়তো ভাবতে পারে! আমি যদি নিউটনের মতো একজন বড় বিজ্ঞানী হতে পারতাম। কিন্তু, সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমার চিন্তাগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়। এখন ভাবি! আমি যদি নিউটনের মতো একজন ধর্মীয় স্কলার হতে পারতাম। আপনি হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবেন, নিউটন আবার ধর্মীয় স্কলার হলেন কবে? খুবই ভালো প্রশ্ন। 


আসলে, নিউটন সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। কারণ, আমাদের পাঠ্য বইয়ে নিউটন সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা-ই দেয়া হয়নি। পাঠ্য বইয়ের কথা বাদ দিন, বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত নিউটনের সামগ্রিক জীবন নিয়ে কোনো কিছু লেখা হয়নি। বাঙালীদের মাঝে এত বিজ্ঞানমনস্ক লোক, অথচ নিউটনের মত এমন একজন মানুষকে নিয়ে বাংলা ভাষায় বিস্তারিত কোনো লেখা-ই নেই। নিশ্চয়ই এটা এ জাতির দুর্ভাগ্য!


বাঙালীরা নিউটনকে চিনে শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানী হিসাবে। অথচ তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, তিনি একজন ধর্মীয় স্কলার। নিউটনের মতো এত বড় একজন ধর্মীয় স্কলার বর্তমান যুগেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। স্রষ্টার অস্তিত্ব, ক্ষমতা, সৃষ্টি ও ধর্ম নিয়ে নিউটন বিস্তর গবেষণা করেছিলেন। এমনকি, বিজ্ঞানের চেয়েও তাঁর জীবনে বেশী সময় দিয়েছেন তিনি সৃষ্টিকর্তার আরাধনায় ও ধর্ম গবেষণায়। বিশ্বাস না হলে একটি উদাহরণ দিচ্ছি। 


গণিত ও বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করার জন্য নিউটন সারাজীবনে মাত্র ১ মিলিয়ন শব্দ লিখেছিলেন, অথচ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা হাজির করার  জন্য বাইবেল এবং স্রষ্টা সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন প্রায় ৩ মিলিয়ন শব্দের পান্ডুলিপি! যেমন, পদার্থের গতির অবস্থা বোঝানোর জন্যে নিউটন দিয়েছিলেন ৩টি সূত্র। কিন্তু ঈসা (আঃ)-কে সঠিকভাবে বুঝানোর জন্যে তাঁকে দিতে হয়েছিল ১২টি সূত্র। 

ঈসা (আঃ) যে স্বয়ং স্রষ্টা নয়, বরং স্রষ্টার বান্দা ও রাসূল, এটা খ্রিস্টানদেরকে বুঝানোর জন্যে নিউটন খ্রিস্টান পাদ্রী ও পোপদের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংগ্রাম করেছিলেন। তাই তাঁকে ধর্ম নিয়ে হাজার-হাজার পৃষ্ঠা লিখতে হয়েছিল। খ্রিষ্টান ধর্ম যখন সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেল, যখন ইঞ্জিলকে পরিবর্তন করে ফেলা হলো, যখন ঈসা (আঃ)-কে স্রষ্টা হিসাবে উপাসনা না করলে মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হত। ঠিক সে-সময় নিউটন খ্রিস্টান ধর্মের আদি, বিশুদ্ধ ও পবিত্র রূপটি ফিরিয়ে আনার জন্যে দিনরাত ধর্মীয় গ্রন্থগুলো নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। অথচ দুঃখের বিষয়,পাঠ্যবইয়ে এবং বাঙালী বিজ্ঞানমনস্কদের লেখায় আমি এসব কোনো কিছুই পাইনি।


আবার তিনি আবিষ্কার করেছিলেন গাণিতিক ক্রম অনুসারে বাইবেল পড়ার পদ্ধতি। তিনি ছিলেন খ্রিস্টীয় "Holy Trinity' অর্থাৎ, ত্রিতত্ত্ববাদ এবং রোমান ক্যাথলিক কর্তৃক পরিচালিত চার্চ তথা পোপ প্রথার ঘোর বিরোধী। বাইবেলের 'Holy Trinity' 'ত্রিতত্ত্ববাদ' বিষয়টি তিনি কখনোই মেনে নেননি। নিউটন বললেন স্রষ্টা একজনই। ঈসা (আঃ) স্রষ্টার একজন দূত কোনোভাবেই স্রষ্টা হতে পারেন না। আর মহান স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি হজরত ঈসা আঃ কে স্রষ্টার পুত্র হিসেবে বিশ্বাস করতেন না। তার মতে হজরত ঈসা (আঃ) কে স্রষ্টা হিসেবে উপাসনা করা মূর্তিপূজার শামিল এবং অমার্জনীয় অপরাধ।

তৎকালীন সময়ে ' 'Holy Trinity' অর্থাৎ, 'ত্রিতত্ত্ববাদে' অবিশ্বাসকে এক গর্হিত অপরাধ হিসেবে ধরা হতো। এই কারণে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় নিউটন তার ধর্মীয় গবেষণা বিষয়ক পান্ডুলিপি তাঁর জীবদ্দশায় কখনোই প্রকাশ করেননি!


এজন্য নিউটনের মৃত্যুর প্রায় ৩০০ বছর পর তার রেখে যাওয়া এই পান্ডুলিপি এখন জনসম্মুখে উম্মোচিত হয়েছে। আপনারা অনেকেই হয়তো নিউজ চ্যানেলে দেখেছেন বর্তমানে ‘The Newton Project’ নামে একটি আন্তদেশীয় প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই পান্ডুলিপির উপর তাঁরা গবেষণা করছেন।

তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই মহাবিজ্ঞানী নিউটনও ধার্মিক ছিলেন! তার মতো প্রতিভাবান, প্রজ্ঞাময়, চৌকস বিজ্ঞানীও সৃষ্টিকর্তায় এবং ধর্মে বিশ্বাস করতেন। তার ধর্মীয় বিশ্বাস এতটাই চমকপ্রদ ছিল যে, তিনি ১৬৭০ সাল থেকে ১৭২৭ সাল অর্থাৎ মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৭ বছর তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করেছেন। 


সৃষ্টিকর্তা এবং ঈসা (আঃ) কে নিয়ে নিউটনের যে ১২টি সূত্রের কথা উল্লেখ করেছিলাম:-


সূত্র–১। আল্লাহ এক, চিরঞ্জীব প্রতিপালক, সর্বত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান এবং আসমান ও জমিনের স্রষ্টা। আল্লাহ ও মানবের মাঝে সম্পর্ক সৃষ্টিকারী মানুষ হলেন- নবী ঈসা (আঃ)।


সূত্র–২। আল্লাহ তায়ালা হলেন অদৃশ্য, কোনো দৃষ্টি তাকে দেখে না, অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য যা কিছু আছে তা দৃশ্যমান হয়।


সূত্র–৩। আল্লাহ নিজেই নিজের মধ্যে জীবন্ত এবং তাঁর নিজ হতে বান্দাদের জীবন দান করেন।


সূত্র–৪। আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তাঁর অন্তরে মূলত সকল জ্ঞান রয়েছে। তিনি ঈসা নবীর কাছে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান প্রেরণ করেন। নবী-রাসূলগণ ব্যতীত আসমানে বা জমিনে অথবা জমিনের নিচে এমন কেউ নেই যে সরাসরি আল্লাহ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ের জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর, এ কারণেই ঈসা (আঃ)- এর সাক্ষ্য নবুয়তের স্পৃহা এবং তিনি হলেন আল্লাহর বাণী বা রূহুল্লাহ বা আল্লাহর নবী।


সূত্র–৫। আল্লাহ অবিচল। কোনো স্থান-ই তাঁর অনুপস্থিতিতে শূন্য বা উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে সক্ষম নয়। তাঁর উপস্থিতি-ই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সকল সত্ত্বা এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচল করে।


সূত্র–৬। সকল ইবাদাত যেমন সালাত, জিকির বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, সব কিছু ঈসা (আঃ) আগমনের পূর্বেও কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ছিল, এখনো তেমনি কেবল আল্লাহর জন্যেই। ঈসা (আঃ) তাঁর প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ইবাদাত হ্রাস করার জন্যে আগমন করেননি।


সূত্র–৭। আল্লাহর উদ্দেশ্যে নবীর নাম দিয়ে দোয়া করলে তা খুবই ফলপ্রসূ হয়।


সূত্র–৮। আমাদের সৃষ্টি, আমাদের প্রদত্ত খাদ্য, পরিধেয় বস্ত্র এবং এই জীবনের অন্যান্য কল্যাণ প্রদানের জন্য আমরা কেবল আল্লাহ তায়ালার প্রতিই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। কারণ, নবীর নামের সাহায্যে আমরা যা কিছুই সরাসরি আল্লাহর কাছে চাই আল্লাহ তা আমাদের দান করেন।


সূত্র–৯। আমাদের জন্য সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে ঈসা (আ)-এর নিকট আমাদের প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই। আমরা যদি আল্লাহর কাছে সঠিকভাবে প্রার্থনা করি, তাহলে তিনিই আমাদের জন্যে সুপারিশ করবেন।


সূত্র–১০। পরিত্রাণের জন্য নবীর নাম নিয়ে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্য কারো নিকট প্রার্থনা করার প্রয়োজন নেই।


সূত্র–১১। কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর গুণবাচক উপাধিতে ভূষিত করলে তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে যায় না। কিন্তু, কোনো ফেরেশতা বা রাজা-বাদশাহকে আল্লাহর মত ইবাদাত করলে, তা প্রথম আদেশের বিরুদ্ধে চলে যায়। প্রথম আদেশের অর্থ হলো- “তোমরা আমি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না”।


সূত্র–১২। আমাদের নিকট আল্লাহ হলেন এক ও একক। তিনি আমাদের ও সকল বস্তুর প্রভু। তিনি নবী ঈসা (আ)-এরও প্রভু। এ কারনে, সর্বশক্তিমান প্রভু হিসাবে আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালারই ইবাদাত করি।

তথ্যসূত্রঃ-

[1] Isaac Newton, Keynes Ms. 8, King’s College, Cambridge, UK


এখন যদি কোনো প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীকে আমরা প্রশ্ন করি নিউটনের এ ১২টি সূত্রের কথা শুনেছেন কিনা? আমি নিশ্চিত, এ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই বলতে পারবেন না। আর এটাই হলো আমাদের আধুনিক শিক্ষিতদের বিজ্ঞানমনস্কতা!!


উল্লেখ্য নিউটনের সব-গুলো সূত্র পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৭১নং আয়াতের সাথে অসাধারণভাবে মিলে গেছে। জ্ঞান পিপাসু পাঠকদের জন্য সূত্র-গুলো আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেয়া হলো:


হে কিতাবিগণ! তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর সম্পর্কে সত্য ব্যতীত কোনো কথা বলো না। [সূত্র–২, ৩]


নিশ্চয় মরিয়ম-তনয় ঈসা মসীহ হলেন আল্লাহর রাসূল ও তাঁর বাণী। আল্লাহ তাঁর পক্ষ থেকে মরিয়মের নিকট রূহ ও তাঁর বানী প্রেরণ করেন। [সূত্র–৪]


অতএব, তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন কর। [সূত্র-১, ৯]

আর, তোমরা একথা বলো না যে, আল্লাহ হলেন তিনজন। [সূত্র-১১]


যদি একথা পরিহার কর, তবে তোমাদের মঙ্গল হবে। [সূত্র-৭, ৮]


নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়া থেকে তিনি পবিত্র। [সূত্র–৬, ১২]


আসমানে ও জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তার। [সূত্র–৫, ৪]


আর, অভিভাবক হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।” [সূত্র–৯, ১০]


[সূরা ৪/নিসা–১৭১]


©®

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...