রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৯

আল-বিরুনী: একজন বিখ্যাত জ্ঞানসাধক

অতীতের মুসলিমদের বৈজ্ঞানিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সৃষ্টিশীল কাজ ও অর্জনগুলো আমাদের বরাবরই বিস্মিত করে। ইসলামের স্বর্ণযুগে, গণিত থেকে শুরু করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, দর্শন, শিল্পকলা, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি সকল বিষয়েই মুসলিমদের নতুন নতুন আবিষ্কার, পুরনো জিনিষগুলোকে ঘষেমেজে নতুন রূপ দান করা ইত্যাদি সবকিছুতেই মুসলিমরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানীদের কথা চিন্তা করতে গেলে ইবনে সিনা, ইবন আল-হাইথাম, ইবন খালদুন, আল-ফারাবী ইত্যাদি নামগুলো নিজের অজান্তেই কল্পনায় চলে আসে।

সর্বকালের সেরা স্কলারদের এই তালিকার আরেকটি নাম হচ্ছে পারস্যের মুসলিম স্কলার আবু রায়হান আল-বিরুনী। তার জন্ম ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে, মৃত্যু ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দে, এবং তিনি জীবনের বেশীরভাগ সময়ই কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়া ও ইন্ডিয়াতে।

তার সুপ্রসিদ্ধ কর্মজীবনের বর্ণময় যাত্রায় তিনি ইতিহাস, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, ভূবিদ্যাসহ অনেক বিষয়ে পাণ্ডিত্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তার সময়ে গোটা মুসলিম বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও তিনি সকল ঝামেলার উর্ধ্বে থেকে তার কাজ চালিয়ে যান এবং ইতিহাসের সর্বকালের সেরা একজন স্কলার হিসেবে গড়ে উঠেন।

শৈশবকাল
আল-বিরুনীর জন্ম ৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে উত্তর-পূর্ব পারস্যের খোরাসান প্রদেশে। তার সময়ের অন্যান্য সব শিশুর মতো তিনিও শৈশবেই জ্ঞানার্জন করা শুরু করেন। তখন তিনি আরবী ও ফারসি ভাষা, ইসলামের প্রাথমিক বিষয়সমূহ এবং বিজ্ঞানের উপর জ্ঞানলাভ করেন। শুরু থেকেই তিনি গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যায় বিশেষ আগ্রহ দেখান এবং পরবর্তীতে তৎকালীন শ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিদদের অধীনে পড়ালেখা করে জ্যোতির্বিদ্যায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন।

২০ বছর বয়সে তিনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ শুরু করেন। ৩ বছর ধরে তিনি গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন স্কলারের অধীনে পড়ালেখা করে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি জুরজান (বর্তমানে ‘গুরগান’, উত্তর ইরানের একটি শহর) এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং স্থানীয় শাসক শামস আল-মা’আলি কাবুস এর অধীনে চাকুরী নেন। জীবনের পরবর্তী ১০ বছর তিনি উত্তর ইরানের এই ছোট্ট শহরেই বসবাস করেন, নিজের গবেষণা চালিয়ে যান, বই লিখেন, এবং জ্ঞানার্জনে রত থাকেন।

এ সময়েই তিনি তার কিংবদন্তী গ্রন্থ রচনা করেন যেখানে তিনি প্রাচীন সভ্যতাসমূহের উত্থান এবং পতনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন। এ রচনার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে অনেক বিষয়ে তিনি যে পাণ্ডিত্য অর্জন করবেন তার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। গ্রন্থটি শুধুই একটি ইতিহাস গ্রন্থ ছিলনা, বরং ইতিহাসের পাশাপাশি বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা, এবং সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানের বিস্তারিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে তিনি অতীতের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। জুরজান শহরে তার করা কাজগুলোর মাধ্যমেই তিনি তৎকালীন বিশ্বের অগ্রগামী মস্তিষ্কের একজন হিসেবে বহিঃপ্রকাশ করেন।

গজনীতে আল-বিরুনী

জুরজান এ ১০ বছর থাকার পর আল-বিরুনী গজনীতে চলে যান এবং তার কিছু কিংবদন্তী কাজ এই শহরেই করেন। বাস্তবে, গজনীতে না গেলে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু কাজ হয়তো করা সম্ভব হতোনা। এখানে তিনি গজনীর সুলতান মাহমুদ এর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। আর গজনী ছিল তখনকার এক নামকরা সুবৃহৎ নগরী, যা বর্তমান আফগানিস্তানে অবস্থিত। সুলতান মাহমুদের সাম্রাজ্যের সীমানা আফগানিস্তান ছাড়িয়ে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, মূলত বর্তমান ইরান, পাকিস্তান এবং ইন্ডিয়াতেও। মূলত এই শক্তিশালী সাম্রাজ্যের কারণেই আল-বিরুনী তার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ পান এবং তার যোগ্যতা প্রমাণ করে দেখান।

সুলতান মাহমুদের সাথে থাকার কারণে যে নির্দিষ্ট যে সুবিধাটি তিনি পেয়েছিলেন তা হলো, ইন্ডিয়াতে নিজের শাসনকার্য বজায় রাখার জন্য সুলতান মাহমুদ নিয়মিত সামরিক অভিযান চালাতেন এবং সকল অভিযানেই আল-বিরুনীকে সাথে করে নিয়ে যেতেন। এটি ছিল সুলতান মাহমুদ এর একটি অভ্যাস। যার ফলে আল-বিরুনীর সুযোগ হয় ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি এবং ধর্মের সাথে পরিচয় লাভ করার এবং বিস্তারিত জানার।

নতুন আইডিয়াকে খুব সহজে রপ্ত করার সহজাত দক্ষতা আল-বিরুনীর ছিল, যার ফলে তিনি অতি অল্প সময়েই সংস্কৃত ভাষা শিখে ফেলেন। সংস্কৃত ছিল হিন্দুদের সনাতন স্তোত্রমালার ভাষা। ফলে ইন্ডিয়ান গ্রন্থগুলোর জগত তার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। ইন্ডিয়ার বইগুলো তিনি পড়তেন এবং পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের বইগুলোর সাথে তুলনা করতেন। তিনি সংস্কৃত ভাষার বইগুলো আরবী এবং ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন, পাশাপাশি আরবী বইগুলো সংস্কৃততে অনুবাদ করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে সভ্যতাগুলোর লক্ষ্য হওয়া উচিত একে অপরের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা, একে অপরকে ধ্বংস করা নয়।


হিন্দু গ্রন্থসমূহ পড়ার দক্ষতা থাকায় তিনি প্রাচীন ইন্ডিয়ার ইতিহাসের উপর একটি বিশ্বকোষ সংকলন করেন যা

‘কিতাব তারিখ আল-হিন্দ’ (ইন্ডিয়ার ইতিহাসের গ্রন্থ) হিসেবে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে, প্রাচীন ইন্ডিয়ার ইতিহাস নিয়ে আমরা আজ যা কিছু জানি তার বেশীরভাগই আল-বিরুনীর এই গ্রন্থ থেকেই সংগৃহীত। সত্যি বলতে তারিখ আল-হিন্দ বাস্তবে শুধুই প্রাচীন ইন্ডিয়া সংক্রান্ত গ্রন্থ নয়। বরং, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপট বোধগম্য হওয়ার জন্য আল-বিরুনী জ্ঞানের অনেক শাখাকে একত্র করে ব্যাখ্যা করার যে যোগ্যতা রাখতেন, এই গ্রন্থটি ছিল তারই সাক্ষ্য। বইটি হচ্ছে ইন্ডিয়ার দর্শন, ভূগোল, এবং সংস্কৃতি জানার একটি উন্মুক্ত দরজা। একারণে তারিখ আল-হিন্দ কে বিশ্বের সর্বপ্রথম নৃবিদ্যা (Anthropology – মানব সমাজ এবং এর ক্রমবিকাশ সংক্রান্ত বিদ্যা) উপর লিখিত গ্রন্থ হিসেবে ধরে নেয়া যায়।

জ্ঞানিক আবিষ্কারসমূহ
ইন্ডিয়ার ইতিহাস এবং সংস্কৃতির এক বিশেষজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি আল-বিরুনী বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্যও সময় বের করতে পেরেছিলেন। যেহেতু তিনি অনেক ভ্রমণ করতেন, তাই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সরাসরি দেখার এবং নিজ হাতে পরখ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি অনেক নতুন তত্ত্ব প্রদান করেন এবং তত্ত্বগুলো কিভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত তা দেখিয়েছিলেন। তিনি গঙ্গা নদীর উৎস থেকে শুরু করে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত নদীতে বিভিন্ন ধরনের মাটির উপাদান নিয়ে গবেষণা করেন। এর মাধ্যমে কিভাবে মাটির ক্ষয় হয়, কিভাবে নতুন করে চর জেগে উঠে ও আকৃতি পায় তা নিয়ে তত্ত্ব প্রদান করেন, এবং এসব ক্ষেত্রে পানি কি ভূমিকা পালন করে তার উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

একই ধরনের আরেক গবেষণায় তিনি হিমালয় পর্বতমালায় প্রাচীন সামুদ্রিক প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন, যে পর্বতমালার মাধ্যমে ইন্ডিয়া গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। সমুদ্রের নিম্নস্তরের প্রাণী শামুক এবং এ জাতীয় অন্যান্য প্রাণী সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে হাজার হাজার মাইল ভ্রমণ করে হিমালয় পর্বতমালার পাশে চলে আসবে, ব্যাপারটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এর মাধ্যমে আল-বিরুনী এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে হিমালয় পর্বতমালা অবশ্যই পূর্বে কোন এক সময় সমুদ্রের নীচে ছিল, এবং ধীরে ধীরে লক্ষাধিক বছর পর বর্তমান অবস্থানে সরে এসেছে। পৃথিবীর গঠনের ব্যাপারে আধুনিক বিজ্ঞানের ধারণা অনুযায়ী পৃথিবীর উপরিতল কিছু পাতলা, অনমনীয় পাতের সমন্বয়ে তৈরি, যারা একে অপরের দিকে চলাচল করতে সক্ষম। এই পাতগুলো টেকটনিক পাত হিসেবে পরিচিত। আল-বিরুনীর গবেষণাটি আধুনিক বিজ্ঞানের এই ধারণাকেই নিশ্চিত করেছিল – কিভাবে সময়ের সাথে মহাদেশগুলোর স্থান পরিবর্তন হয়।

আল-বিরুনী ভূবিদ্যা (Geology)-র একজন পথিকৃৎ। তিনি শতাধিক বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং রত্নপাথর সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা করেন। এগুলোর বৈশিষ্ট্য, এগুলো কিভাবে সৃষ্টি হয়, এবং কোথায় পাওয়া যায় তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। রত্নপাথর নিয়ে লেখা তার বইগুলো স্ট্যান্ডার্ড বই হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।

আধুনিক ইরানের এক ডাকটিকেটে আল-বিরুনী

একাদশ শতাব্দীতে আল-বিরুনী তার বর্ণময় কর্ম এবং গবেষণা জীবন চালিয়ে যান, এবং বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণায় নতুন নতুন ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রদান করেনঃ

# কিভাবে পৃথিবীর এর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান।
# কিভাবে কুয়া এবং ঝর্ণা থেকে পানি ভূ-পৃষ্ঠে প্রবাহিত হয়।
# স্থিতিবিদ্যা (Statics) এবং গতিবিদ্যা (Dynamics) কে একীভূত করে বলবিদ্যা (Mechanics) নামক গবেষণার নতুন ক্ষেত্রের প্রবর্তন। (Mechanics এর উপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক Mechanical Engineering, Civil Engineering, Structural Engineering, Aerospace Engineering, Automotive Engineering, Naval Architecture, Astronomy, Geophysical Science, Biophysics সহ গবেষণা ও কাজের হরেক রকমের ক্ষেত্র)।

# সহস্রাধিক শহরের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়, এবং এর সাহায্যে তিনি প্রত্যেক শহর থেকে মক্কার
দিক নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

# ‘ছায়া’-র অপটিক্যাল (আলোকবিদ্যা বিষয়ক) গবেষণা, এবং এর মাধ্যমে নামাজের সময় নির্ধারণ
করেন।

# মানুষের মাঝে জোতির্বিদ্যা (Astronomy)-র ‘কুসংস্কারাচ্ছন্ন’ ধ্যান-ধারণা দূর করে এর বৈজ্ঞানি
রূপ দেন।

৭৫ বছরের বর্ণময় জীবনে আল-বিরুনী প্রচলিত অসংখ্য বিষয়ে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। ১০৪৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একশ’রও বেশী বই লিখেন যার বেশীরভাগই পরবর্তীতে হারিয়ে গিয়েছে। তার ধীশক্তি, বিভিন্ন বিষয়ে পাণ্ডিত্য এবং জ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে একসূত্রে গেঁথে দেয়ার দক্ষতা তাকে স্থান করে দিয়েছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুসলিম স্কলারদের তালিকায়।

তার জীবন প্রমাণ করে জ্ঞানের জগতের প্রচলিত সীমানাকে নবদূরত্বে নিয়ে গিয়ে নতুন নতুন সব শাখা সৃষ্টি করায় অতীতের মুসলিম স্কলারদের যোগ্যতা কতটুকু ছিল। তার অর্জনগুলো দেখিয়ে দেয় কিভাবে সেরা স্কলারগণ রাজনৈতিক সমস্যা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, এবং জীবনের অন্যান্য সাধারণ সব সমস্যার উর্ধ্বে থেকেও ধরণীকে পরিবর্তন করে দেয়ার মতো গবেষণা করতে পারেন এবং অসাধারণ সব আবিষ্কার করে যান মানব সভ্যতার কল্যাণ সাধনের জন্য।

মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯

আসুন জেনে নিই কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

★দুইপক্ষ - কৃষ্ণপক্ষ, শুক্লপক্ষ।

★দুই অয়ণ=উত্তরায়ণ, দক্ষিণায়ন।

★ত্রি ভুবন – স্বর্গ, মর্ত, পাতাল।

★ত্রিফলা - হরীতকী, বিভীতকী বা বহেড়া, আমলকী।

★ত্রিধারা - মন্দাকিনী, অলকানন্দা, ভোগবতী।

★ত্রিশক্তি - কালী, তারা, ত্রিপুরা।

★ত্রিকাল - অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ।

★ত্রিকুল - পিতৃকুল, মাতৃকুল, শ্বশুরকুল।

★ত্রিবেণী - গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী।

★ত্রিপিটক - সূত্র, বিনয়, অভিধর্ম।

★ত্রিরত্ন - বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘ।

★ত্রিবর্গ - ধর্ম, অর্থ, কাম।

★গরমমশলা - দারুচিনি, লবঙ্গ, ছোটো এলাচ।

★চারবেদ - ঋক, সাম, যজু, অথর্ব।

★চারযুগ - সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি।

★চতুর্বর্গ - ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।

★চতুরঙ্গ সেনা - হস্তী, অশ্ব, রথ, পদাতিক।

★চতুর্ধাম - রামনাথ, বৈদ্যনাথ, জগন্নাথ, দ্বারকানাথ।

★চতুরাশ্রম - ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস।

★চতুর্বর্ণ - ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র।

★পঞ্চবাণ - সম্মোহন, উন্মাদন, শোষণ, তাপন,
স্তম্ভন।

★পঞ্চগঙ্গা - ভাগীরথী, গোমতী,কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী, কাবেরী।

★পঞ্চনদী - কিরণা, ধূতপাপা, সরস্বতী, গঙ্গা, যমুনা।

★পঞ্চনদ - ঝিলম বা বিতস্তা, চন্দ্রভাগা, ইরাবতী, বিপাশা, শতদ্রু।

★পাঁচফোড়ন - মৌরি, মেথি, কালোজিরে, জিরে, রাঁধুনি।

★পঞ্চধান্য - শালি, ব্রীহি, শূক, শিম্বি, ক্ষুদ্র।

★পঞ্চবটী - অশ্বত্থ, বট, বিল্ব, আমলকী, অশোক।

★পঞ্চপ্রাণ - প্রাণ, অপান, সমান, উদান,ব্যান।

★পঞ্চমুক্তি - সার্ষ্টি, সারূপ্য, সালোক,সাযুজ্য, নির্বান।

★পঞ্চতীর্থ - কুরুক্ষেত্র, গয়া, গঙ্গা,প্রভাস, পুষ্কর।

★পঞ্চতিক্ত - নিম, গুলঞ্চ, বাসক, পলতা, কন্টকারী।

★পঞ্চনুন - সৌর্বচল, সৈন্ধ, বিট, ঔদ্ভিদ, সামুদ্রিক।

★পঞ্চগুণ - রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ।

★পঞ্চগব্য - দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, গোমূত্র,গোময়।

★পঞ্চভুত - ক্ষিতি, অপ্, তেজঃ, মরুত,ব্যোম।

★পঞ্চ ‘ক’ - কেশ বা চুল, কাঙ্গা বাচিরুনি, কড়া বা কঙ্কণ বা বালা, কৃপাণবা ছুরি, কাশেরা।

★পঞ্চ 'ম' - মদ্য, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা ওমৈথুন।

★পঞ্চরত্ন - নীলকান্ত, হীরক, পদ্মরাগ, মুক্তা, প্রবাল।

★পঞ্চশস্য - ধান, যব, মাষ, তিল, মুগ।

★পঞ্চামৃত - দধি, দুগ্ধ, ঘৃত, মধু, চিনি।

★পঞ্চায়ুধ - তরবারি, শক্তি, ধনুক, বর্ম,পরশু বা কুঠার।

★পঞ্চপল্লব - আম, অশ্বত্থ, পাকুড়, বট, যজ্ঞডুমুর।

★পঞ্চোপচার - গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ,নৈবেদ্য।

★পঞ্চপাণ্ডব - যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব।

★পঞ্চকন্যা - অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তি, তারা, মন্দোদরী

★অষ্টকুলাচল (পৌরাণিক)- হিমালয়, মহেন্দ্র, মলয়, সহ্য, শক্তিমান, ঋক্ষ, বিন্ধ্য, পরিপাত্র বা পরিযাত্র।

★অষ্টনাগ (পৌরাণিক) - বাসুকি বাভোগীন্দ্র, তক্ষক, অনন্ত, পদ্ম, মহাপদ্ম, কুলীর, কর্কট, শঙ্খ।

★অষ্টসিদ্ধি - অণিমা, লঘিমা, গরিমা, প্রাপ্তি, প্রাকাম্য, ,মহিমা, ঈশিত্ব,বশিত্ব।

★অষ্টদিগগজ - ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম, সুপ্রতীক।

★অষ্টনায়িকা - মঙ্গলা, বিজয়া, ভদ্রা, জয়ন্তী, অপরাজিতা, নন্দিনী, নারসিংহী, কৌমারী।

★অষ্টধর্ম - সত্য, শৌচ, অহিংসা, অনসূয়া, ক্ষমা, অনৃশংস্য, অকার্পণ্য, সন্তোষ।

★অষ্টগ্রহ - বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।

★নবগ্রহ (পৌরাণিক) - সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু, কেতু।

★নবরত্ন - ধন্বন্তরি, ক্ষপণক, অমরসিংহ, শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকর্পর, কালিদাস, বরাহমিহির, বররুচি।

★নবদুর্গা - শৈলপুত্রী বা পার্বতী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী, সিদ্ধিদা।

★নবরস - আদি বা শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ,রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস, অদ্ভুত,শান্ত।

★নব গুণ - আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপ, দান।

★নব শাখ - তাঁতি, মালাকার, সদগোপ, নাপিত, বারুই, কামার, কুমোর, তিলি,ময়রা।

★একাদশরুদ্র - অজ, একপাদ, অতিব্রধ্ন, পিনাকী, অপরাজিত, ত্র্যম্বক, মহেশ্বর,বৃষাকপি, শম্ভু, হর, ঈশ্বর।

★বারোমাস - বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক,অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র।

★বারো রাশিচক্র - মেষ, বৃষ, মিথুন,কর্কট,সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর,কুম্ভ, মীন।
@©@

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...