বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ওরা লম্পট

একদা এক লম্পট কর্তৃক প্রকাশ্যে এক সুন্দরী তরুণীকে ধর্ষণ করিতে দেখিয়া আরেক লম্পট, কৌশলে তাহারে মুক্ত করিয়া আনিলো ঘরে।

অতপর বুদ্ধি খাটাইয়া তাহারে আটকাইয়া শুশ্রূষার ছলে, প্রত্যহ ধর্ষণ করিতে লাগিল যুগযুগ ধরে!

সেই নিরীহ সুন্দরী তরুণীটি ছিল আমার মাতৃভূমি; জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশ! 

সেদিনের সেই প্রকাশ্য ধর্ষণকারীর নাম বর্বর পাকিস্তান! আর সাহায্যেকারীর ভূমিকায় যে নরপশু -
মহা প্রতারক ; বন্ধুর মুখোশধারী নীরব ঘাতক,
তাহা আর কেহ নয়; কথিত বঙ্গমিত্র ভারত!

(বিঃদ্রঃ ইহা কোন কবিতা নয়)
কপি

রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

কবি আল মাহমুদ

নামঃ  মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদ।
জন্ম : ১১ জুলাই ১৯৩৬৷
মোড়াইল গ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ।
মৃত্যু  :১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।

১৯৫০-এর দশকে যে কয়েকজন লেখক বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লিখেছেন তাদের মধ্যে মাহমুদ একজন। লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলে পড়ালেখা করেন। মূলত এই সময় থেকেই তার লেখালেখির শুরু। আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি মধ্যযুগীয় প্রণয়োপাখ্যান, বৈষ্ণব পদাবলি, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল প্রমুখের সাহিত্য পাঠ করে ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা শুরু করেন এবং একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।

কর্মজীবন :

সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে মাহমুদ ঢাকা আগেমন করেন। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র/পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তিনি পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সম্পাদক থাকাকালীন এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে লেখার কারণে এক বছরের জন্য কারাবরণ করেন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী হন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

সাহিত্যজীবন :

১৯৫৪ সাল অর্থাৎ ১৮ বছর বয়স থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল পত্রিকা এবং কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুষ্কোণ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাস ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত 'কবিতা' পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা-কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম সুপরিচিত হয়ে ওঠে এবং তাকে নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। এরপর কালের কলস (১৯৬৬), সোনালি কাবিন (১৯৬৬), মায়াবী পর্দা দুলে উঠো (১৯৬৯) কাব্যগ্রন্থগুলো তাকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।

তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার শহরমুখী প্রবণতার মধ্যেই ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ আবহ, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের জীবনপ্রবাহ এবং নরনারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহকে তার কবিতায় অবলম্বন করেন। নারী ও প্রেমের বিষয়টি তার কবিতায় ব্যাপকভাবে এসেছে। উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী হিসেবে নারীর যৌনতা, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগের লালসাকে তিনি শিল্পের অংশ হিসেবেই দেখিয়েছেন। আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ তার অনন্য কীর্তি।

১৯৬৮ সালে ‘লোক লোকান্তর’ ও ‘কালের কলস’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তার সবচেয়ে সাড়া জাগানো সাহিত্যকর্ম সোনালি কাবিন। ১৯৯০-এর দশক থেকে তার কবিতায় বিশ্বস্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস উৎকীর্ণ হতে থাকে; এর জন্য তিনি প্রগতিশীলদের সমালোচনার মুখোমুখি হন। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল। কোনো কোনো তাত্ত্বিকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বিশ্বাসগ্রস্ততার কারণে তার বেশকিছু কবিতা লোকায়তিক সাহিত্যদর্শন দৃষ্টান্তবাদ দ্বারা অগ্রহণযোগ্য। তবে একথাও সত্য, কবিতায় দর্শন থাকে, কিন্তু দর্শন দ্বারা কবিতা নিয়ন্ত্রিত নয়, কবিতা আবেগের কারবার।

ব্যক্তিগত জীবন :

আল মাহমুদ ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দা নাদিরা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এই দম্পতির পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।

২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮২ বছর ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

ইঁদুর বিড়ালের সমঝোতা, দোকানদারের বারোটা!!!

এক মুদি দোকানে বাসা বেঁধেছিল দুষ্টু কিছু ইঁদুর। রাতের বেলা দোকানদার বাসায় চলে গেলে ইঁদুরদের নাচানাচি লাফালাফির উৎসব শুরু হয়ে যেত। একটা যেত তেলের বোতলে হামলা চালাতে আরেকটা লাফাতো চালের বস্তার ওপর আর অন্যরা এভাবে চিনির বস্তা আটার বস্তাসহ বিভিন্ন প্যাকেট আর বস্তা কাটার উৎসবে মেতে উঠতো। যা-ই সংগ্রহ করতো সেগুলো নিয়ে জমাতো গর্তের ভেতর তাদের থাকার ঘরে। অন্য ইঁদুরেরা বাদাম আখরোট ইত্যাদি যে যা পেত খেয়ে পেট ভর্তি করে নিতো। দোকানদার যতো ওষুধ আর বিষই সেখানে ছড়াতো কোনো কাজই হতো না। দুই একটা হয়তো মরতো কিন্তু শতটা নতুন জন্ম নিতো।

দোকানদারের বন্ধুরা যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েছিল তারা চমৎকার একটা বুদ্ধি দিলো। তারা বলল: ‘ওষুধ ফসুদে কোনো কাজ হবে না, এক কাজ করো, মোটা তাজা দেখে একটা বিড়াল এনে দোকানে রেখে দাও। দেখবে ইঁদুরের বংশ ধ্বংস হয়ে গেছে’। দোকানদার অনেক ঘুরে ফিরে শেষ পর্যন্ত মোটাতাজা একটা বিড়াল পেল। বিড়ালটা দিনভর এটা সেটা খেয়ে দোকানের সামনেই ঝিমাতো আর রাত হলেই দোকানের ভেতর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকাতো। অপেক্ষায় থাকতো কখন ইঁদুর বেরিয়ে আসে। ইঁদুর বের হলেই বিড়াল হামলা চালিয়ে কাজ সেরে দিত। এভাবে বিড়ালের উপস্থিতিতে ইঁদুরেরা আর আগের মতো দোকানের বস্তা কাটার উৎসব পালন করতে পারতো না।

দোকানদার পরিস্থিতির উন্নতি দেখে খুব খুশি। এখন আর ইঁদুরের দল তার দোকানের মালামাল নষ্ট করে না বা নিয়ে যায় না। বিড়ালও দোকানদারের ওপর খুব খুশি কেননা সে তাকে দিনভর খাবার দেয়, বিশ্রামের সুযোগ দেয়। বিড়ালও সতর্কতার সাথে পাহারা দিয়ে দোকানদারকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করলো। কিন্তু কোনো কোনো ইঁদুর বিড়ালের তন্দ্রার সুযোগ নিতে শুরু করলো। বস্তা কেটে নিজের জন্যে এবং অন্যদের জন্যেও খাবার নিয়ে যেতে লাগলো। দোকানদার এই দুই একটা চোর ইঁদুরকেও কীভাবে পাকড়াও করা যায়  তা ভাবল। ভেবেচিন্তে সে দিনের বেলা বেড়ালটাকে কম খেতে দিতে শুরু করলো, যাতে রাতের বেলা বিড়ালের ক্ষিদে লাগে, আর ক্ষিদের কারণে রাতে বেশি বেশি ইঁদুর শিকার করে। দুই এক সপ্তাহ এই বুদ্ধিটা বেশ কাজে দিলো।

মোটাতাজা বিড়ালটি পেট পুরে খাবার খেতে না পেয়ে ধীরে ধীরে শীর্ণ হয়ে যেতে লাগলো। সেজন্যে রাতে অনেক বেশী শিকারে মন লাগালো। সে কারণে ইঁদুরগুলো আর দোকানের জিনিসপত্রের ওপর খুব একটা হামলা করতে সাহস পেলো না। দোকানদারও বেশ খুশি। কিন্তু বিড়াল খাবার না পাবার কারণে আগের মতো সন্তুষ্ট থাকতে পারলো না। দোকানদারও তার দিকে আর নজর দিচ্ছে না। সেও এখন ভাবতে শুরু করলো দোকানের খাদ্য সামগ্রীর ওপর হামলা করবে। বিড়ালের মনোভাব আর দোকানদারের ব্যাপারটা ইঁদুরগুলো লক্ষ্য করছিলো। তারা সবাই বৈঠকে বসলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইঁদুরগুলো বস্তা, প্যাকেট, এটাসেটার ফাঁকফোঁকরে একসাথে লুকিয়ে সাহসের সাথে মাথাটা বের করলো। সাহসী ইঁদুর যেটা সে বিড়ালের উদ্দেশ্যে বলল:‘শোনো! আমার ওপর হামলা করার আগে এক মিনিটের জন্য আমার কথাটা শোনো। তুমি নিশ্চিত থাকো যে পালানোর পথ ঠিক করা আছে, তুমি আমার নাগাল পাবে না। তবে আমার কথাটা শুনলে তোমার উপকারও হতে পারে’।

বেড়াল চিন্তাভাবনা করে বলল: ঠিক আছে বলো!

ইঁদুর বলল: তুমি আসার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে, না খেতে পেয়ে মরার মতো অবস্থা।

বিড়াল বলল: তাই তো হবার কথা...! তোমরা ভিন্ন কিছু আশা করছিলে...!

ইঁদুর বলল: না, তা না; তবে একটু ভেবে দেখুন.. দোকানদার হলো মানুষ আর আপনি এবং আমরা তো...

বিড়াল ভেবেছিল ইঁদুর তাকে ছোটো করার চেষ্টা করছে, তাই দ্রুত মাথা তুলতেই ইঁদুরটাও ঢুকে গেল বস্তার ফাঁকে। ঢুকেই বলল: তুমি আমার কথাটা শোনো..গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে দোকানদার তোমাকে এতো কম খেতে দিচ্ছে যে কয়দিন পর হয়তো তোমার আর শিকার করার মতো শক্তিও থাকবে না..।

বিড়াল ভাবল ইঁদুর তো ঠিকই বলছে। সে একটু সংযত হলো। বলল: কী বলতে চাও তুমি...

ইঁদুর এবার একটু সামনে এসে বলল: ক্ষুধায় তোমারও তো নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে দোকানের মজার মজার খাবারগুলোর বস্তায় বা প্যাকেটে আঁচড় বসাতে.. করছে না? নৈলে আমরা যদি অন্য কোনো গর্তে গিয়ে আশ্রয় নি, তুমি তো মরে যাবে না খেয়ে। তাই আমাদের প্রস্তাব হলো তুমি রাতের বেলা ঘণ্টাখানেক একটু রেস্ট নাও, আমরা এই ফাঁকে আমাদের কাজটা সেরে নেবো... বিনিময়ে তোমার জন্যেও পর্যাপ্ত খাবার আমরা দোকানের এক কোণে জমিয়ে রাখবো.. তুমি তো আর তোমার ঐ ভোঁতা নখ দিয়ে বস্তা কাটতে পারবে না, তাইনা’?

বিড়াল মনে মনে সাতপাঁচ ভেবে ইঁদুরকে পরীক্ষা করার জন্যে বলল: আমি আজ ভীষণ টায়ার্ড, ঘুমাবো.. তোদের যা খুশি কর!

ইঁদুরেরা বুঝল বিড়াল তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে। গর্তে ফিরে গিয়ে সবাইকে নিয়ে রাতে হামলা চালালো যার যার পছন্দের খাবারের ওপর। ইচ্ছেমতো খেলো এবং নিয়েও গেল। আর কিছু খাবার রেখে গেল বিড়ালের জন্যে। ইঁদুরেরা চলে যাবার পর বিড়াল খাবারগুলো পেট ভরে খেয়ে দু'হাতের ওপর মাথাটা এলিয়ে দিয়ে ঘুমালো। পরের কয়েক রাতেও ইঁদুর-বিড়াল পারস্পরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি ও কর্মসূচি ঠিকঠাকভাবেই বাস্তবায়িত হলো। এখন ইঁদুরেরাও খুশি বিড়ালও খুশি। কিন্তু বেচারা দোকানদার বুঝতেই পারে নি এভাবে ‘বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে’ যাচ্ছে।

‘ইঁদুর বিড়ালের সমঝোতা, দোকানদারের বারোটা’।

(বুুঝলে বুঝেন, না বুঝলে মুড়ি খান)

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

শেখ হাসিনার জীবনী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ সন্তানের মধ্যে শেখ হাসিনা সবার বড়। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতের হত্যাযজ্ঞের সময় শেখ হাসিনা এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান এবং ১৯৮০ সালে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন।

শেখ হাসিনা তাঁর অনুপস্থিতিতে ১৯৮১ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন তিনি নয়া দিল্লিতে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসানের পর তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক মহিলা কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে শেখ হাসিনা সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে শেখ তিনটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং সংবিধানের ৫১ এবং ৫৬ ধারা মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক ফর্মুলা ঘোষণা করেন।

১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা দেশের পঞ্চম সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারে পরিবর্তন করতে সংসদে সকল দলের নেতৃত্ব দেন। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য শেখ হাসিনা ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন। তাঁর আন্দোলনের ফলে আমাদের সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংযোজিত হয়েছিল। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। নির্বাচনের পর ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন।

১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা কৃষক এবং দুঃস্থ, ভূমিহীন এবং দারিদ্র্য-পীড়িত কৃষকদের কল্যাণে অনেক নব এবং বাস্তব কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দুস্থ এবং বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক লোকের জন্য শান্তিনিবাস স্থাপন, গৃহহীন মানুষদেরকে আশ্রয় দানের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি ৫ বছর মেয়াদ সম্পন্নের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তার দলীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যারা ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ব্যাপক হত্যা, নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং শান্তির সপক্ষে একটি শক্তিশালী জনমত গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি জীবনে কয়েকবার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। সবচেয়ে মারাত্মক ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট যখন ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তার জনসভায় এক ডজনেরও বেশি উচ্চ-প্রযুক্তির গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল। এই সুপরিকল্পিত হামলায় তার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী মারা যান এবং ৫০০ এর অধিক নেতা-কর্মী আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও ঐ হামলায় চোখে মারাত্মক আঘাত পান। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা এবং কাল্পনিক অভিযোগে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হন এবং জেলে যান। দেশে-বিদেশে প্রবল জনমতের মুখে প্রায় এক বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুলাই শেখ হাসিনাকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছিল।

১৯৯৬-২০০১ সালে তাঁর শাসনামলে তাঁর দূরদর্শী বৈদেশিক নীতি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সফল অংশগ্রহণ বিদেশে আমাদের দেশের ইমেজ উজ্জ্বল করেছিল। ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে শান্তির দূত শেখ হাসিনা প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশ ভ্রমণ করেন এবং প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিস্ফোরোন্মুখ পরিস্থিতি শান্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর ফলে বাংলাদেশের ইমেজ উজ্জ্বল হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাপক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তি (সিটিবিটি) স্বাক্ষর করে।

সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য শেখ হাসিনা সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রিসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্র“য়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান করে।

১৯৯৭ সালের ২৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের আবের্টে বিশ্ববিদ্যালয়, ডান্ডি লিবারেল আর্টসে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ফিলোসিফো ডিগ্রি প্রদান করে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক দেশীকোত্তমা (ডক্টর অব লিটারেচার) ডিগ্রি প্রদান করেন।

শান্তি এবং গণতন্ত্রের জন্য অসাধারণ অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৯৯৯ সালের ২০ অক্টোবর সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান করেন।

গণতন্ত্র এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশ্ব বিখ্যাত ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস ২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় ২০০০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব হিউম্যান লেটারস ডিগ্রি প্রদান করে।

১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান করে।

কৃষিক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখায় ২০০১ সালের ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করে।

পিপলস ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া ২০০৫ সালে শেখ হাসিনাকে ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রি প্রদান করে।

আন্তর্জাতিক মানবিক উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ, রাশিয়া শেখ হাসিনাকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ায় এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ফ্রান্সের ডফিন বিশ্ববিদ্যালয় ২০১১ সালের ২৫ মে শেখ হাসিনাকে ডিপ্লোমা এবং পদক প্রদান করে।

বাংলাদেশে বহুসংস্কৃতির গণতন্ত্র এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং তাঁর রাষ্ট্রনায়কোচিত এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডি.টি ডিগ্রি প্রদান করে।

রাজনৈতিক সাহস এবং প্রজ্ঞার দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ২৫ বছরের জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে শান্তি বয়ে আনতে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কোর হোফো-বনি শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়।

দূরদর্শিতা, সাহস এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক ক্ষেত্রে অর্জনের স্বীকৃতিস্বরুপ শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের র‌্যানডলফ উইম্যানস কলেজ শেখ হাসিনাকে ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাপূর্ণ পার্ল এস বাক অ্যাওয়ার্ড-১৯৯৯ প্রদান করে।

ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা-এফএও শেখ হাসিনাকে ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট মর্যাদাপূর্ণ সেরেস পদক প্রদান করে। সর্ব ভারতীয় শান্তি পরিষদ ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনাকে “মাদার তেরেসা পদক” প্রদান করে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অহিংস ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের বিকাশে অবদান রাখায় নরওয়ের অসলোর মহাত্মা এম কে গান্ধী ফাউন্ডেশন শেখ হাসিনাকে এম কে গান্ধী অ্যাওয়ার্ড- ১৯৯৮ প্রদান করে।

রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এর রোটারি ফাউন্ডেশন কর্তৃক শেখ হাসিনাকে পল হ্যারিস ফেলো ঘোষণা করা হয়। তাঁকে ১৯৯৬-৯৭ এবং ১৯৯৮-৯৯ সালে মেডেল অব ডিসটিঙ্কশন প্রদান করা হয় এবং ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব লায়ন্স ক্লাবস কর্তৃক ১৯৯৬-৯৭ সালে হেড অব স্টেট মেডেল প্রদান করা হয়।

শেখ হাসিনাকে ২০০৯ সালে মর্যাদাপূর্ণ ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এসোসিও (এশিয়ান-ওসেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন) আইটি অ্যাওয়ার্ড- ২০১০ প্রদান করে। হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো এর নিকট থেকে শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্লোবাল ডাইভার্সিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

নারী এবং শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নব ধারণার জন্য ইউএন ইকোনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা, জাতিসংঘে এন্টিগুয়া এবং বার্বুডার স্থায়ী মিশন, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) এবং সাউথ সাউথ নিউজ ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

২০১১ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলা একাডেমী ফেলোশিপ প্রদান করে।

শেখ হাসিনা বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- “ওরা টোকাই কেন?”, “বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম”, “দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা”, “আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম”, “আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি”, “সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র”।

তিনি বেশ কয়েকবার পবিত্র হজ্ব ও ওমরাহ্ পালন করেছেন। তিনি ‘‘জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’’- এর সভাপতি। তিনি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী এবং দারিদ্র্য বিমোচনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। প্রযুক্তি, রান্না, সঙ্গীত এবং বই পড়ার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তাঁর স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ৯ মে ২০০৯ তারিখে ইন্তেকাল করেন। শেখ হাসিনার জ্যেষ্ঠ পুত্র সজীব ওয়াজেদ একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশারদ। তাঁর একমাত্র কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ একজন মনোবিজ্ঞানী এবং তিনি অটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার নাতি-নাতনীর সংখ্যা পাঁচ জন।

০৫ জানুয়ারি ২০১৪  তারিখে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বারের মত শপথ নেন শেখ হাসিনা। ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ের পর চতুর্থ বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপত গ্রহন করেন।

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...