বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতি এর মধ্যে পার্থক্য কী?

সংস্কৃতি আর সাংস্কৃতির মধ্যকার পার্থক্য খুব দৃশ্যমান না হলেও এক নয়। সংস্কৃতি জীবনযাপনের নির্দিষ্ট কিছু অনুষঙ্গকে ঘিরে পরিচালিত হয়। অন্যদিকে জীবনযাপনের সামগ্রিকতাকেই বলা হয় সাংস্কৃতি। সেদিক বিবেচনায় কোন দেশের মানুষের আচার-ব্যবহার, জীবিকার উপায়, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতি-নীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয় তাকে আমরা সংস্কৃতি বলতে পারি। অন্যদিকে মানুষ তাদের জীবনযাপনের জন্য লিখিত বা অলিখিত বিভিন্ন কায়দায় যে রীতিগুলো গড়ে তোলে এবং সেই রীতি অনুযায়ী যে জীবন প্রক্রিয়া সমাজে পরিলক্ষিত হয় তাকেই বলা হচ্ছে সাংস্কৃতি। তবে এটা সত্যি যে সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই মানুষকে সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন আনতে হয়। যে জাতি যত বেশি তার মূলকে ধরে পরিবর্তিত হতে পারে তারা বর্তমান সমাজ কাঠামোয় তত বেশি অগ্রগামী। আর সেদিক বিচারে বর্তমান পৃথিবীর আদিবাসী জনগোষ্ঠিগুলো অতটা অগ্রগামী নয়। অধিকাংশ সনাতনপন্থী আদিবাসীরা এখনও তাদের পূর্বপুরুষদের রীতিনীতিকেই আদর্শ হিসেবে মানে।

বাংলা বানান সমস্যা ও স্বরূপ।

বাংলা নিয়ে মাতামাতি আর চেতনার বহিঃপ্রকাশ কেবল এই ভাষার মাস এলেই দেখতে পাওয়া যায়। অতএব সচেতনতা গেলানোরও মোক্ষম সময় এই ফেব্রুয়ারি।

বাংলা নিয়ে আগেও অনেক চেঁচিয়েছি, এবার আর সেসব ভূমিকা টানব না। সরাসরি সমস্যা নিয়ে আলাপ করব। একজন শিক্ষিত লোক যদি বানান লিখতে ভুল করে তবে সেটা কি লজ্জার নয়?

লজ্জার এই কারণে যে, শিক্ষার অপর নাম সচেতনতা, সার্টিফিকেট নয়। আপনি কী লিখছেন সে সম্পর্কে সচেতন নন। এই আপনি শিক্ষিত? আপনি রসায়ন পড়েছেন, ইংরেজিতে পড়েছেন তাই বলে এটা হতেই পারে না যে আপনি আপনার মাতৃভাষায় ভুল করবেন।

যুক্তির অত অবকাশও নেই, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত, এবং লজ্জার কারণে হলেও আপনার এবার বানানের প্রতি অন্তত যত্নবান হওয়া উচিত।

আমাদের বানানে ভুল হওয়ার কারণগুলো কী?

প্রথম কারণ আমাদের উচ্চারণ। আমরা মনে মনে যা উচ্চারণ করি সেটাই তো লিখি। এখন আপনি যদি "রিশকা" উচ্চারণে অভ্যস্ত হন, আপনি বানান জানা সত্ত্বেও লেখার সময় "রিশকা"ই লিখবেন।
আঞ্চলিক উচ্চারণে অনেককেই এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। চট্টগ্রামের অনেকে মনের অজান্তেই কোথায়'কে "কুতাই" লিখে ফেলেন, "তারে" বা তাকে লেখার জায়গায় লিখে বসেন থার বা থাকে! এটা কেবলই উচ্চারণ প্রবণতার দোষ।

সংশোধনটা আপনাদের হাতে।

আমাদের বানান ভুল হবার দ্বিতীয় কারণ হল, আমরা পড়ার সময় ঠিকভাবে অক্ষর বা শব্দগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখি না। লেখার সময় আমরা যেমন মনে মনে লেখ্যকে আউড়াই, তেমনই শব্দটাকে কল্পনাও করি। আমরা যাই বলি বা লিখি তার একটা ছবি আমাদের মস্তিষ্কে সংরক্ষিত থাকে। বলার বা লেখার সময় সেখান থেকে মস্তিষ্ক review করে। আপনি যখন অবস্তুবাচক কোন শব্দ লিখতে চাইবেন, ধরুন, লিখতে চান আমার, তখন খেয়াল করে দেখবেন আপনার মনে ভেসে উঠবে আমার শব্দটির লিখিত রূপ। আপনি নিরীহ লিখতে গিয়ে যদি নীরিহ লিখে বসেন, আপনাআপনিই আপনার মনটা খচ্ করে উঠবে। কারণ এরকম শব্দ আপনার মস্তিষ্কে নেই বলেই আপনার কাছে শব্দটি বেমানান লাগছে।

তাহলে আপনাকে যেটা করতে হবে, যখন কিছু পড়বেন, শব্দগুলোর ছবিও মনে গেঁথে নেবার চেষ্টা করবেন। কাজটা মোটেও কঠিন বা কষ্টের কিছু নয়।

আমি জানি আপনারা প্রত্যেকেই শিক্ষিত। এবং শিক্ষিত মানুষের ঘরে একটি বইও থাকবে না এটা অসম্ভব। আর আমি যে ঘরেই বই দেখি, বিশেষ করে বইয়ের সংগ্রহ দেখি, সে ঘরেই আমার চোখ প্রথম খুঁজতে থাকে একটি বাংলা অভিধান। যার ঘরে পাই না, সেই ঘরের পাঠক কর্তাটির প্রতি আমার আর শ্রদ্ধা থাকে না। কেননা তখন আমি নিশ্চিত জানি যে এই লোকটা বানানে প্রতিনিয়ত অজস্র ভুল করে।

আবারও বলি, আপনার ঘরে টলস্টয় বা বোদলেয়ার থাক বা না থাক, একটি অভিধান থাকা আপনার রুচি এবং সচেতনতা প্রকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

অনেকেই গা বাঁচাতে বলেন, বাংলা খুব কঠিন ভাষা। তাঁদের জ্ঞাতার্থে বলি, ইংরেজি ভাষার article এবং preposition কতটা কঠিন, ভেবেছেন? জার্মান ভাষার প্রত্যেকটি শব্দের জন্য তার article এবং gender জানা জরুরি। ফ্রেঞ্চ ভাষার কঠিনতম অধ্যায় হচ্ছে pronoun; আর এ দুটি ভাষাতে উচ্চারণের ব্যাপক ঝামেলা তো আছেই। আপনি লিখবেন একটা, সেটাকে পড়া হবে অন্য একটা! লেখা এবং উচ্চারণে আকাশ পাতাল পার্থক্য! সে অর্থে আমাদের বাংলা লক্ষগুণে সহজ, কেবল আপনি এই ভাষাটির প্রতি যত্নবান ছিলেন না কোন দিন।
আর হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তার মাতৃভাষায় দক্ষ নয়, তার পক্ষে অন্য ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা অসম্ভব।

সমস্যা আপনার, নিজের ভুলকে সংশোধন করার দায়িত্বও আপনার। নইলে আপনারই ব্যক্তিত্বে ত্রুটি থেকে যাবে।

বানানের ভুল সম্পর্কে আরেকটু বলি, আপনারা অনেকেই "ই" এবং "য়" এর পার্থক্যটা বোঝেন না। কারণটা কী?

যায় এবং যাই, খায় এবং খাই ইত্যাদির পার্থক্য কি আপনারা একদমই বোঝেন না??

জিজ্ঞেস করা হল, তুমি কোথায়?
উত্তর এল, বাসাই।

"যাই" বললে যে আমার যাওয়া বোঝায়, "খাই" বললে যে আমার খাওয়া বুঝায় এবং একইভাবে "যায়" "খায়" বলতে যে অন্য কারো যাওয়া খাওয়া বুঝায় এটা কি আপনারা ছেলেবেলা থেকেই দেখে আসছেন না?
(উদা: আমি যাই। সে যায়।)

"য়" এর উচ্চারণ সংক্ষিপ্ত "এ" ধ্বনির মতো। বাসায় লিখলে অনেকটা বাসাএর মতো শোনায়, সেখানে "সায়" উচ্চারণের বদলে "সাই" উচ্চারণটা কীভাবে আপনার মস্তিষ্ক সমর্থন করে আমি ভেবে পাই না!

চট্টগ্রাম অঞ্চলে শিশুশিক্ষার পর্যায় হতেই গলদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শিশুর মস্তিষ্কে। সেখানে "ও" কে উচ্চারণ করা হয় "উ", "ঔ" কে উচ্চারণ করা হয় "আউ"। "স্বরে অ" কে পড়া হয় "স্বর-উ"!

স্বরপাঠে ও এবং ল লিখলে উচ্চারণ কী হয়, প্রশ্ন করলে উত্তর আসে উল!
ভুল তো ওখান থেকেই গিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে সমস্ত শিক্ষকের উচ্চারণ শুদ্ধতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।

আলোচনার প্রসঙ্গ এবার একটু অন্য দিকে নেব।
বাংলা বানানে বৈচিত্র্য বিস্তর। এই বৈচিত্র্য শুরু হয়েছে সেই প্রাচীন কাল হতেই। একেক কবি বা লিপিকার শব্দের বানান তখন থেকেই একেক রকম লিখে আসছেন। সেই যে প্রভেদ, তা আজ পর্যন্ত সমাধান করা যায়নি।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী এবং অধুনা আমাদের বাংলা একাডেমি বানান প্রমিতকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ইতিবাচক অবদান রেখেছে। আমরা সম্প্রতি বানানের একাধিক রূপকে বর্জন করে সহজ এবং সমর্থনযোগ্য রূপগুলোকে বিধেয় করেছেন। এটি অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
তবে এটাকে আমি এক অর্থে "ছাড় দেওয়া" বলে অভিযুক্ত করি। মুখে তুলে খাইয়ে দেয়ার মতো ভাষাকে যথাসম্ভব সহজ করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে কারণ আমরা আমাদের ভাষার প্রতি এতই অনাগ্রহী! ছাড় না দিয়ে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হলে যত কঠিনই হোক, আমরা আমাদের ভাষা যথাযথভাবে শিখতে বাধ্য হতাম। এই ছাড়টা দেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি।

বাংলা একাডেমি ই কার এবং ঈ কারের মধ্যকার একটি প্রভেদ দেখিয়েছে, ঈ কার কেবলই সংস্কৃতের জন্য। তদ্ভব, দেশি এবং বিদেশি শব্দের বেলায় ঈ হবে না।

অনেক অংশের মতো আমার এই অংশেও আপত্তি আছে। দেশি শব্দে ঈ নেই সত্যি, কিন্তু বিদেশি শব্দে অনেক ক্ষেত্রেই ঈ অপরিহার্য, যেমন: আ'মীন। আমিন বলা হলে অর্থ পাল্টে যাচ্ছে। ঈদ কে ইদ লেখা হলে তাতে আর আনন্দ থাকে না। Sea কে শুধু সি লিখলে কি মানাবে? Mean কে মীন না লিখে মিন লেখা হলে মানায় কি?

বাংলা একাডেমিকে এটা আবারও ভাবতে হবে।

বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮

কঠিন অবস্থায় ও নিরাশ হবেন না।

একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায় পড়ে গেলো। গাধাটা করুণ সুরে কেঁদে কৃষকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে লাগলো। কৃষক ভাবলো যেহেতু গাধাটা বৃদ্ধ হয়ে গেছে, কাজেই একে উদ্ধারের ঝামেলায় না গিয়ে মাটি ফেলে কুয়ার মাঝেই কবর দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কাজেই কৃষক শাবল দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো গাধার উপর। প্রথমে গাধা ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার করে গলা ফাঁটিয়ে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সব শান্ত হয়ে গেলো। কৃষক এই নিরবতার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে কুয়ার ভিতর উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলো।
প্রতিবার যেই গাধাটার উপর মাটি ফেলা হয়েছে, সে তা পিঠ ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সেই মাটিকে ধাপ বানিয়ে একধাপ একধাপ করে বেশ খানিকটা উপরে ওঠে এসেছে। এটা দেখে কৃষক আরো মাটি ফেললো এবং পরিশেষে গাধাটা বের হয়ে আসলো কুয়া থেকে।

জীবন আপনার উপর শাবল ভর্তি মাটি ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার কাজ হচ্ছে সেই চাপা দেয়ার মাটিকেই কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা। প্রতিটি সমস্যাই আসলে সমাধানের একটি করে ধাপ, যদি আপনি তা কাজে লাগানোর মতো ইতিবাচক হয়ে থাকেন। যেকোন সুগভীর কুয়া থেকেই মুক্তিলাভ সম্ভব, যদি না আপনি হাল ছেড়ে দেন।
-----------------------------

সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে একটি ব্যাঙ রেখে পানি গরম করা শুরু করা হল ,,,।
পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটিও তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে
সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করল যদিও সে চাইলেই লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত
কিন্তু সে লাফ দেয় না,,, । সে সহ্য করতে থাকে,,, ।
আস্তে আস্তে তাপমাত্রা যখন আরও বাড়িয়ে ফুটন্ত গরম করা হয়
তখন ব্যাঙটি আর সহ্য করতে না পেরে সে সিদ্ধান্ত নেয় লাফ দেওয়ার
কিন্তু তখন আর তার লাফ দেওয়ার মত শক্তি তার থাকে না,,,।
পানি আরও গরম হতে থাকে যার ফলে সে গরম পানিতে ফুটে একটা সময় মারা যায় ,,,।

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙটি কিভাবে মারা গেছে ??
তাহলে অধিকাংশ মানুষই বলবেন গরম পানির কারনে মারা গেছে,,, ।
কিন্তু না সে গরম পানির জন্য মারা যায়নি
সে মারা গেছে লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে নেওয়ার কারনে,,,।
ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের স্থান কাল পাত্র ভেদে
একেকটা বিষয়ে সহ্য করার ক্ষমতা থাকে কিন্তু
আমাদের প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও
আমাদের বুঝতে হবে কখন সরে যাওয়া উচিত অর্থাৎ
সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নেওয়া উচিত ,,,।
আবেগ ভালবাসা দেখিয়ে দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত না ,,,।

”””So Let us decide when to jump,,,!
Let's jump while we still have the strength...,,,”””

শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮

 ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম কানুন

ডিসেম্বর মানেই শীতের আনাগোনা। বিকেল হলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করে। এছাড়া আমাদের দেশে শীতের আগমন টের পাওয়ার আরেকটি প্রচলিত চিত্র হচ্ছে সন্ধ্যারাতে ব্যাডমিন্টন খেলা।

গ্রামগঞ্জে বাড়ির আঙিনায়, শহরের আনাচে কানাচে ফাঁকা জায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট দেখলেই বোঝা যায় শীত চলে এসেছে।

প্রতিবছর এই সময়টাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট তৈরির হিড়িক পড়ে যায় পুরো দেশজুড়ে। পাড়ার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই খেলার কোর্ট কাটতে। চলুন জেনে নেয়া যাক ব্যাডমিন্টন খেলার সঠিক নিয়মকানুন।

ব্যাডমিন্টনের কোর্ট: ব্যাডমিন্টনের কোর্ট সমতল আয়তাকৃতির হয়ে থাকে। একক ও দ্বৈত উভয় ক্ষেত্রে যার দৈর্ঘ্য ১৩.৪ মিটার (৪৪ ফুট)। প্রস্থের মাপ বাড়ে দ্বৈতের ক্ষেত্রে। দ্বৈতের জন্য কোর্টের প্রস্থ ৬.১ মিটার (২০ ফুট), এককে ৫.১৮ মিটার (১৭ ফুট)। নেটের উচ্চতা ১.৫৫ মিটার (পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি)।

র‌্যাকেট/ব্যাট : BWF(Badminton World Federation) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু মাপ রয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই মাপ অনুযায়ী বিভিন্ন র‌্যাকেট প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান বণিজ্যিকভাবে র‌্যাকেট উৎপাদন করে থাকে।

একটি র‌্যাকেটের দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৬৮ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা, এবং প্রস্থ ২৩ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা। জাল বোনা মাথার দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ২৮ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা এবং জাল বোনা মাথার প্রস্থ সর্বাধিক ২২ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে আধুনিক র‌্যাকেটসমূহের মাপ সর্বোচ্চ মাপের তুলনায় কিছুটা ছোট হয়।

শাটল (কর্ক): শাটলটির ওজন ৪.৭৪ গ্রামের কম অথবা ৫.৫০ গ্রামের বেশি হবে না। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৬টি পালক থাকবে। খেলোয়াড়: একক ম্যাচে উভয়পক্ষে ১ জন করে সর্বমোট ২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। দ্বৈত খেলায় উভয়পক্ষে ২ জন করে সর্বমোট ৪ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে।

খেলার নিয়ম ও পয়েন্ট: একক ও দ্বৈত উভয় খেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২১ পয়েন্টে গেম হয়। উভয় খেলোয়াড় বা দল ২০-২০ পয়েন্ট অর্জন করলে সেক্ষেত্রে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়লাভ করতে হবে, অর্থাৎ ২২-২০, ২৫-২৩ ইত্যাদি।

উভয় দলের পয়েন্ট সমান হওয়াকে ডিউস বলে। মনে রাখতে হবে, এভাবে সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টের মধ্যে অবশ্যই গেম শেষ করতে হবে। তিনটি গেমের মধ্যে যে বা যে দল দুই খেলায় জিতবে, তারাই বিজয়ী হবে।

একক খেলার সময় সার্ভিসকারীর পয়েন্ট শূন্য বা জোড় সংখ্যা হলে খেলোয়াড় তাদের ডান দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস করবে এবং বেজোড় সংখ্যা হলে বাম দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস করবে। প্রতি পয়েন্টের পর খেলোয়াড়রা তাদের সার্ভিস বা রিসিভ কোর্ট বদল করবে।

দ্বৈত খেলার সময় প্রথম সার্ভিসের জন্য ডানদিকের খেলোয়াড় কোনাকুনি বিপক্ষের কোর্টে সার্ভিস করবে। যাকে সার্ভিস করা হবে কেবল সেই খেলোয়াড় সার্ভিস গ্রহণ করবে। কোনো খেলোয়াড় পরপর দুইবার সার্ভিস করতে পারবে না। প্রথম গেমে বিজয়ী খেলোয়াড় দ্বিতীয় গেমে সার্ভিস শুরু করবে।

সার্ভিসের সময় সার্ভারের দুই পা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। সার্ভিস করার সময় শাটল নেটে লেগেও যদি ঠিক কোর্টে পড়ে তবে সার্ভিস ঠিক হয়েছে বলে ধরা হবে। শাটল দাগ স্পর্শ করলেই শুদ্ধ হয়েছে বলে ধরা হবে।

নেট অতিক্রম করে কেউ শাটলে আঘাত করতে পারবে না এবং খেলা চলাকালে কেউ র‌্যাকেট বা শরীরের কোনো অংশ দিয়ে নেট ও পোস্ট স্পর্শ করতে পারবে না।

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...