সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভাল লাগে-

সীমাশূন্য-অনিয়ন্ত্রিত ভালোবাসা..
কোটি কোটি স্বপ্ন..
লক্ষ লক্ষ অনুভূতি..
হাজার হাজার ভাবনা..
শত শত স্মৃতি..
সবই একজনকে ঘিরে..
ভাবতেই অবাক লাগে..
অবাক হবার পর ভালোও লাগে....

মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস।

শেষ হয়ে যাওয়া টুথপেষ্টের গলা টিপে টিপে যারা টুথপেষ্ট বের করতে পারে, তারা জীবন সংগ্রামে বাধার পাহাড় দেখে উল্টা পথে দৌঁড় দিতে জানে না। যে বাবা পেনশনের টাকা দিয়ে হাজারটা খরচের খাত থেকে একটা খাত বাছাই করে খরচ করে, সে বাবার সন্তানেরা নেশার গলিতে হারিয়ে যায় না। যে মা মাসের পর মাস ক্ষুধা নেই বলে, নিজের পেট খালি রেখে সন্তানদের খাওয়ায়, সেই মায়ের ফ্যামিলিতে ভাঙ্গন ধরে না।
:
যে ছেলেটা টিউশনির বেতন পেয়ে, অসুস্থ মায়ের জন্য ঔষধ কিনে বাড়ি ফিরে, সে ছেলে রাতে গেমস আর আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। যে মেয়েটা টাকা বাঁচাতে লুকিয়ে লুকিয়ে দুই গ্লাস পানি খেয়ে দুপুরের লাঞ্চ সেরে ফেলে, সেই মেয়েটা বাবা মায়ের অসহায়ত্বের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলে না। যেই ফ্যামিলিতে অর্থের যত অভাব, সেই ফ্যামিলির বন্ধন তত অটুট।

একটা মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির ভিত্তিই হলো স্ট্রাগল আর সেক্রিফাইস। যেখানে বাবা হচ্ছে স্ট্রাগলের কিং আর মা হচ্ছে সেক্রিফাইসের কুইন। মায়ের বিয়ের দিন থেকেই শুরু হয় সেক্রিফাইসের শোভাযাত্রা। নিজের চাওয়া পাওয়াকে আলমারিতে লুকিয়ে রেখেই শুরু করে দেয় ফ্যামিলি গড়ায় অবিরাম সেক্রিফাইস। পরিবারে সন্তান আসলেই সেই সেক্রিফাইসের হার দশগুণ বেড়ে যায়।

সেক্রিফাইসের আট ভাগ চলে যায় সন্তানের পিছনে। এক ভাগ স্বামীর পিছনে আর একবার ফ্যামিলির পিছনে। বোকা মহিলা নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য একভাগ সময়ও রাখে না। একজন মা-শিক্ষক হয়ে সন্তানকে পড়ান, বাবুর্চি হয়ে রান্না করেন, পার্সোনাল এসিষ্ট্যান্ট হয়ে সবকিছু ঠিক-ঠাক করেন, বডিগার্ড হয়ে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে আগলে রাখেন, ভালবাসা দিয়ে দুঃখ-কষ্ট দূর করেন।

অন্যদিকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবার ষ্ট্রাগলের পরিমানটাও বাড়তে থাকে। রিটায়ার্ড করা একজন বাবার পক্ষে সংসারের খরচ মিটানো, ছেলে-মেয়ে কে মানুষ করানো যে, কত বড় সংগ্রাম সেটা বাবারাই শুধু বলতে পারেন। মা হচ্ছেন বাবার এই স্ট্রাগলের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

মিডেল ক্লাসের মেয়েরা অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে বাবার ফ্যামিলিতে, বাকী অর্ধেক জীবন সেক্রিফাইস করে স্বামীর ফ্যামিলিতে। আর মিডেল ক্লাসের ছেলেরা প্রেমিকার হাত ছেড়ে দিয়ে, এক বুক কষ্ট চেপে ধরে, নিজেকে স্টাবলিষ্ট করার নেভার ইন্ডিং যুদ্ধে নেমে পড়ে। এটাই জীবন, এটায় বাস্তবতা। এসব ছেলেদের পিছুটান থাকে বলে সবকিছু ইচ্ছে মতো করতে পারে না।

সত্যিকার অর্থে জীবন কে উপভোগ করে মধ্যবিত্তরা!

একুশের আক্ষেপানুরাগ

বেশ কয়েক বছর থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারির অঙ্গীকার ছিল অফিস আদালতে শতভাগ বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা। বিদেশী ভাষার ব্যবহার কমানো, ব্যানার, ফেস...